Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

"বিনাদোষে আমি প্রায় ১৫ মাস জেল খাটলাম"

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা র্দীঘ প্রায় ১৫ মাস ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মুক্তির পর খাদিজা বলেছেন, আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

খাদিজা বলেন, আমার সঙ্গে অন্যায় তো হয়েছেই। বিনাদোষে আমি প্রায় ১৫ মাস জেল খাটলাম। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার মানসিকতা এখন নেই।

তিনি বলেন, কারাগারে নামাজ পড়ে, রোজা রেখে আর লেখাপড়া করে সময় কাটিয়েছি। আজকে আমার স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। তাই এখান থেকে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশ নেব।

এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খাদিজাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন।

প্রসঙ্গত, খাদিজাতুল কুবরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক মামলা করে পুলিশ। মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট খাদিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



মাগুরা মুক্তদিবস পালিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:যথাযোগ্য মর্যাদায় মাগুরা মুক্তদিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০: টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। পরবর্তীতে সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসন, মাগুরা এর পক্ষ থেকে নোমানী ময়দানে অবস্থিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং একই সাথে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের পতাকাও উত্তোলন করা হয়।

পরবর্তীতে, মাগুরা মুক্তদিবস উপলক্ষ্যে নোমানী ময়দানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার,   মো: মশিউদ্দৌলা রেজা; সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার  এস.এম. আব্দুর রহমান। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিবসটি পালন করে। সন্ধ্যায় ১ মিনিট ব্লাক আউটের কর্মসুচি রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ যুবলীগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুস্ফ স্থবক অর্পন করে। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু জেলা যুবলীগের আহবায়ক ফজলুর ররহমানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও খবর



খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত আত্রাইয়ের গাছিরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। আবহমান গ্রাম-বাংলায় খেজুর রস ছাড়া যেন শীতের আমেজ‘ই পাওয়া যায়না। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে বসে সুস্বাদু খেজুর গাছের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। তাই শীতের শুরু থেকেই গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহের জন্য নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে এখন গাছিরা খেজুর গাছ কাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কে কত আগে খেজুর রস সংগ্রহ করতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় চলছে আত্রাইয়ের গাছিদের মাঝে। বৈচিত্রপূর্ণ ছয়টি ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় জন্মভ’মি বাংলাদেশ। এ দেশের এক একটি ঋতুর রয়েছে এক একটি বৈশিষ্ট্য। ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা।

ক্যালেন্ডারে শীতের ঘোষণা দিলেও মানতে নারাজ আবহাওয়া ও পরিবেশ প্রকৃৃতি এখন আর পঞ্জিকার অনুশাসন মানছে না। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই গাছ থেকে রস সংগ্রহের পর্ব শুরু হবে। এবার কিছুটা আগেই নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় প্রান্তিক জনপদের গ্রামে গ্রামে সকালের শিশিরের সাথে অনুভ’ত হচ্ছে মৃদু শীত। আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে লালি ও গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়ছে। খেজুর রস ও গুড়ের জন্য আত্রাই উপজেলা এক সময় খ্যাতি ছিল। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে, ক্ষেতের আইলে, ঝোপ-ঝাড়ের পাশে ও রাস্তার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ।

কোন পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো এসব খেজুর গাছ। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরন করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুরের গুড়। গ্রামীন জনপদে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে পুকুরের পাড়ে রাস্তার ধারে পরিবেশ বান্ধব খেজুর গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ইট ভাটার রাহু গ্রাসে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে যে পরিমাণ গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমছেই। এখনও শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। এক সময় সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়ে। রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা, দানা গুড় ও পাটালী তৈরি করতেন।

যার সাধ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রূপকথা মনে হলেও বাস্তব। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। এ গাছ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এ ছাড়া খেজুরর পাতা দিয়ে আর্কষনীয় ও মজবুত পাটি তৈরী হয়। এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যাপক ব্যবহার। কিন্তু জয়বায়ু পরিবর্তন, কালের বির্বতনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ এখন উপজেলা জুড়ে বিলুপ্তির পথে।

নাটোরের লালপুর উপজেলা থেকে আসা গাছি কালাম মিঞা ও তার সহকর্মীরা জানান, আমরা পেশাগত কারণে প্রায় প্রতি বছরেই আত্রাই উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস এর জমিতে তাবু গেড়ে ওই এলাকার খেজুর গাছ মালিকদের কাছ থেকে ৪ মাসের জন্য গাছ ভেদে ৫থেকে ৭কেজি করে খেজুরের গুড় দিয়ে গাছ গুলো আমরা নেই। চাহিদা মত খেজুর গাছ না পাওয়ার কারণে রস কম হওয়ায় আশানুরুপ গুড় তৈরি করতে পাড়ি না। তারপরও এবছর প্রায় ২ শ’টির বেশি খেজুর গাছের মালিকদের সাথে চুক্তি করেছি। বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে না দিয়ে জীবন-জীবিকার জন্য এই পেশা ধরে রেখেছি। তবে যে ভাবে খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে অল্প দিনের মধ্যেই এই এলাকায় আর আমাদের ব্যবসা হবে না। বর্তমান বাজারে আখের গুড় চিনি যে মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে মানসম্পন্ন খেজুরের গুড়ের দাম এবছর কিছুটা বেশি হবে এমনটাই আসা করছেন গাছিরা। শীত একটু বেশি পড়তে শুরু করলে আত্মীয়-স্বজন আনা নেয়া ও পিঠা-পুলির উৎসবে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সে সময় আমাদের লাভ একটু বেশি হয়। যে পরিমাণে শ্রম দিতে হয় সে পরিমাণে আমরা লাভ করতে পারি না। তবুও পেশাগত কারণে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাপশ কুমার জানান, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বুক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য ও অপেক্ষার পালা। এ জন্য মৌসুমে আসার সাথে সাথে দক্ষ গাছিদের কদর বাড়ে। এদিকে উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, খেজুর গাছ আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য তথা জীবনধারায় মিশে আছে। এই ঐতিহ্যকে যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করতে হবে।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে ৫ জয়ীতাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৭জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তর থেকে ৫ জয়ীতাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী উপজেলা সভাকক্ষে ফুলবাড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অফিসের আয়োজনে ৫ জয়ীতাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ সময় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফুলবাড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রীতা মন্ডল।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ নীরু ছামছুন্নাহার, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহানুর ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদা পারভীন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, উপজেলা হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা আনছার ও ভিডিপি কর্মকর্তা রীতা রায়। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন মোছাঃ শরীফা আক্তার লাকী। এ সময় প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি হইনি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। সে সময় আমি ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি হয়নি।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দোহাজারী-কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে আমরা বাংলাদেশের গ্যাস বর্হিবিশ্বের কাছে বিক্রি করতে রাজি হয়নি, তাই আমাকে একটি চক্র পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। কারণ আমি ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি ছিলাম না।

তিনি বলেন, আজকে রেলের সঙ্গে সংযুক্ত হলো কক্সবাজার। এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। কক্সবাজার এমন একটি সমুদ্র সৈকত, যেটা বিশ্বে বিরল। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত এটি। ৮০ মাইল লম্বা, সম্পূর্ণটাই বালুকাময়।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সারাদেশে অগ্নিসংযোগ করে মানুষের ঘড়বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানিরা। ধ্বংসের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ গড়ার কাজে হাত দিয়েছিলেন জাতির পিতা। আজ দেশ অনেক এগিয়েছে।

এর আগে, বেলা ১১টায় বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজারে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এ সময় রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কাছে ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ছয় তলাবিশিষ্ট আইকনিক রেলস্টেশন নির্মিত হয়েছে। ২৯ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা এই আইকনিক রেলস্টেশন ভবনটি ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭ বর্গফুটের। রেলস্টেশনটিতে থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, শিশুযতœ কেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সুবিধা।

দৈনিক ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আইকনিক রেলস্টেশনে আরও আছে ডাকঘর, কনভেনশন সেন্টার, তথ্যকেন্দ্র, এটিএম বুথ ও প্রার্থনার স্থান।

মূল ভবনের নিচতলার রাখা হয়েছে টিকিট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কক্ষ, লকার, তথ্যকেন্দ্র, মসজিদ, শিশুদের বিনোদনের জায়গা, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ ও পদচারী সেতুতে যাতায়াতের পথ। দ্বিতীয় তলায় শপিংমল, শিশুযতœ কেন্দ্র, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি। তৃতীয় তলায় ৩৯ কক্ষবিশিষ্ট তারকা মানের হোটেল, চতুর্থ তলায় রেস্তোরাঁ, শিশুযতœ কেন্দ্র, কনফারেন্স হল ও কর্মকর্তাদের কার্যালয়।

১০১ কিলোমিটারের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে আইকনিক এই রেলস্টেশন। জানুয়ারি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বহু প্রতীক্ষার যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। দৈনিক একটি ট্রেন ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় যাত্রা করে ঢাকা বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে বিরতি দিয়ে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টায় যাত্রা করে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ফিরবে ঢাকায়। ফিরতি পথেও চট্টগ্রাম এবং ঢাকার বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতি করবে। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে ট্রেনটির।

এ ছাড়া শুরুর দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাতায়াত করবে দুটি ট্রেন। চট্টগ্রাম থেকে একটি ট্রেন ছাড়বে সকাল ৭টায়, এটি কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। দ্বিতীয় ট্রেনটি বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

অন্যদিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের পথে প্রথম ট্রেনটি ছেড়ে যাবে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে, যেটি চট্টগ্রামে পৌঁছাবে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে। দ্বিতীয় ট্রেননি সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজার থেকে রওনা দিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে। এসব ট্রেন রামু, ডুলহাজারা, চকরিয়া, সাতকানিয়া, দোহাজারী, পটিয়া, জানআলী হাট, ষোলশহর স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করাবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় বেড়ে হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।


আরও খবর



বিএনপি ছেড়ে বিএনএম থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মেজর শরিফ উদ্দীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের বাংলাদেশ জাতীতাবাদী দল বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই বিএনপি সরকারের সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অব:) শরিফ উদ্দিন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণে গোদাগাড়ী-তানোরে আসনে মানুষের মধ্যে আলোচনা তুঙ্গে।

বেশ কিছুদিন আগে থেকে তিনি বিএনএমের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক করছেন এবং ইতোমধ্যে সদস্য পদও গ্রহণ করেছেন বলে বিএনপির নির্ভর যোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে। সর্বশেষ গত বুধবার দিবাগত রাতে আবারও একটি বৈঠক হয় বিএনএম’র সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে। ওই বৈঠকে বিএনপির কোন নেতা রাজশাহীর কোন আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিবেন, সেটি নির্ধারণ করা হয়। প্রায়াত আমিনুল হকের স্থান ধরে রাখতে মেজর জেনারেল (অব:) শরিফ উদ্দিন গোদাগাড়ী- তানোরের মাঠ গোছাতে শুরু করে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীর উজ্জীবিত হতে থাকে। তবে হঠাৎ করেই নির্বাচন কমিশন হতে নতুন নিবন্ধন পাওয়া বিএনএম দল হতে নির্বাচন করছেন বলে ইতোমধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এতে করে বিএনপির একটি বড় অংশ ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার প্রতি। এদিকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেজর জেনারেল (অব:) শরীফের মুঠোফোনে একাকিবার কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসআ্যাপেও মেসেজ দিয়ে জানতে চাওয়া হলে কোন সাড়া মেলেনি।

গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল বলেন, বিএনএম থেকে তার নির্বাচনের খবরটি আমরাও শুনতে পাচ্ছি। তবে এসব বিষয় নিয়ে তিনিও আমাদেরকে কিছু বলেননি আমরাদেরও তার সাথে যোগাযোগ হয়নি বলে জানান। মেজর জেনারেল (অব:) শরীফ উদ্দিন বিএনপি ছেড়ে বিএনএম থেকে নির্বাচন করলে বিএনপির কোন ক্ষতি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এমনটি হওয়ার কিছু নেই। কেন্দ্রে থেকেই বিএনপি যাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিবেন তার জন্যই আমরা কাজ করবো। রাজশাহীÑ১ (গোদাগাড়ী-তানোর) বিএনপির দূর্গ হিসেবে পরিচিত বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে যেই নির্বাচন করুন সেই বিজয়ী হবেন বলে জানান। বিএনএমের গোদাগাড়ী উপজেলা সভাপতি সামশুজ্জোহা বাবু বলেন, ‘এ আসনে আমিসহ দুইজন নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন প্রত্যশী ছিলাম। কিন্তু আমাদের এ আসন থেকে বিএনপির একজন বড় নেতা আমাদের দলে যোগদান করেছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এ কারণে আমরা তাঁকে জায়গা ছেড়ে দিচ্ছি।


আরও খবর