Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৯২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: শর্ত সাপেক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি পাবে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদরঘাটে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানান।

এদিন সন্ধ্যায় সদরঘাটে সুন্দরবন নেভিগেশন গ্রুপের লঞ্চ এম ভি সুন্দরবন-১৬‘র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে লঞ্চটির উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তাদের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠনমূলক রাজনীতি করবে। এখানে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। তারা রাজনৈতিক নিয়ম ভঙ্গ করলে, তখন আমাদের অবজেকশন থাকে। সেটা আমরা সব সময় বলে আসছি। তাদের আমরা কখনোই মানা করিনি, তারা সারা বাংলাদেশেই মিটিং করছে, সমাবেশ করছে।

তিনি বলেন, ‘ঢাকার সমাবেশকেও আমরা মানা করিনি। আমরা শুধু তাদের আশঙ্কার কথাগুলো বলেছি। আপনারা ২৫-৩০ লাখ লোক নিয়ে আসবেন, এই লোকগুলো কোথায় বসাবেন? কোথায় থাকবে তারা? সারা ঢাকা শহর অচল করে দেবেন আপনারা। আমরা বলেছি তাদের, বড় কোনো জায়গায় যান।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সর্বশেষ বিএনপির একটি দাবি ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। আমাদের তরফ থেকে ডিএমপি কমিশনারকে বলে দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও তাই। তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সভাটি করতে পারবে। কিন্তু কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো যাবে না। প্রতিবন্ধকতা ও জনদুর্ভোগ করা যাবে না। এটা তাদের প্রতি রিকোয়েস্ট থাকবে।’


আরও খবর



দুর্যোগ সহনশীল ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার আশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১০ মার্চ) ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতি বছরের মতো দেশব্যাপী ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়ব, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ব’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেকসই ও সমন্বিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা উপকূলীয় এলাকার জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে তিনি দুর্যোগ মোকাবিলার উন্নত টেলিযোগাযোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। জাতির পিতা ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় সেই সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭২টি উঁচু মাটির কিল্লা তৈরি করেন, যা ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকারের দুর্যোগ নিয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সক্ষম হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় চিরাচরিত ‘দুর্যোগ পরবর্তী সাড়াদান ব্যবস্থাপনা’ থেকে ‘আগাম ব্যবস্থাপনা’ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমেছে। আমরা মুজিব কিল্লাকে সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করে মানব ও প্রাণিসম্পদের জন্য নিরাপদ ও টেকসই আশ্রয়স্থল করেছি।

একইভাবে পুরুষের সঙ্গে নারী স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্ত করে আধুনিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। আমরা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিতে (সিপিপি) নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছি। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ কারণে জেন্ডার রেসপনসিভ ক্যাটাগরিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্মানসূচক জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিনিয়োগ, দুর্যোগের পূর্বাভাস ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন, নতুন বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং দুর্যোগের প্রস্তুতি ও উদ্ধার কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবীদের নিবেদিত প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যেকোনো দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে, যা পরিসংখ্যানগত তথ্য বিশ্লেষণ করলে উপলব্ধি করা যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোনে প্রাণহানির সংখ্যা ১০ লাখ জন, ১৯৯১ সালের সাইক্লোনে প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার জন, ২০০৭ সালের সাইক্লোন সিডরে তিন হাজার ৬৬৩ জন, ২০০৮ সালের সাইক্লোন আইলায় ১৯০ জন, ২০১৬ সালের সাইক্লোন রুয়ানুতে ২৭ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন বুলবুলে ২৪ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন ফণিতে আটজন, ২০২০ সালের সাইক্লোন আম্ফানে আটজন, ২০২১ সালের সাইক্লোন ইয়াসে সাতজন, ২০২২ সালের সাইক্লোন সিত্রাংয়ে একজন এবং ২০২৩ সালের সাইক্লোন মোখায় মৃতের সংখ্যা শূন্য।

বাংলাদেশের এই ক্রমোন্নয়ন ‘সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’ এর শর্ত শতভাগ অর্জন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী বিপুলভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি শক্তিশালী ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সময়োপযোগী আইন, বিধি পরিকল্পনা, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরার পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ৪ মার্চ  সোমবার দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও এস এস সি ২০২৩ এর কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার  আয়োজন করা হয় এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন খুশি তেমন সাজো, মোরগ লড়াই, দড়ি লাফ, মোমবাতি দৌড়, ভারসাম্য দৌড়, বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আলমগীর কবীর জেলা শিক্ষা অফিসার মাগুরা এবং সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী রেজাউল হক সদস্য জাতীয় কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সিনিয়র সহ-সভাপতি , মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ, সভাপতি ম্যানেজিং কমিটি, পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাগুরা।

এ সময় প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা সাংস্কৃতিক চর্চা করলে শরীর মন দুটোই ভালো থাকে। তিনি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা চালিয়ে যাবার আহবান জানান।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ এনামুল হক হীরক, সহ-সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগ মাগুরা, শেখ মোঃ রেজাউল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, মাগুরা সদর, মাগুরা, আব্দুল কাদের গনী মোহন, কাউন্সিলর ৬ নং ওয়ার্ড, মাগুরা পৌরসভা, মোঃ আব্দুর রহিম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাগুরা সদর
মোঃ জাকিরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক,পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাগুরা, মোঃ অলিয়ার রহমান, প্রধান শিক্ষক পারনান্দুয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সন্ধ্যায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফলাফল ঘোষণা করেন।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী এবার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ। এই ইউনিটে এবার অংশ নেন ১ লাখ ২ হাজার জন শিক্ষার্থী; যাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন।

বিজ্ঞান ইউনিটে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন অংশ নেন, এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন। পাসের হার ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

এছাড়া, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী, তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮২ জন। পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

চারুকলা ইউনিটে পাসের হার ১১.৭৫ শতাংশ। এই ইউনিটের পরীক্ষায় ৪ হাজার ৫১০ জন অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৫৩০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।


আরও খবর



বিরামপুরে প্রতারক জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ির পর্ণোগ্রাফি মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুরে এক নারীর কন্যাকে প্রতারণা পূর্বক বিয়ের পর যৌতুক দাবি এবং অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকীর বিরুদ্ধে নিরুপায় শ্বাশুড়ি প্রতারক জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা ও পৃথক অভিযোগ দাখিল করে সুবিচার প্রার্থনা করেছেন।

মামলা সুত্রে প্রকাশ, দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার খট্টা মাধাবপাড়া গ্রামের ওবাইদুল ইমর ছেলে মনিরুজ্জামান (৩০) নিজেকে অবিবাহিত ও  নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিরামপুর পৌর শহরের প্রফেরসর পাড়ার এক যুবতীকে গত ২০২৩ইং সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে করে। পরবর্তীতে ঐ স্ত্রী জানতে পারে যে, মনিরুজ্জামান একজন চাকুরিচ্যুত প্রতারক এবং তার আগের একাধিক স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। উপরন্ত প্রতারক মনিরুজ্জামান ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা না দিলে স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকী   দেয়।

পরবর্তীতে প্রতারক মনিরুজ্জামান ফেসবুকে অন্তরঙ্গ ছবি পোষ্ট দিলে যুবতীর মাতা সাগরিকা ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর পর্ণগ্রাফি আইনে বিরামপুর থানায় জামাই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এছাড়াও সংসার কালীন সময়ে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার সাগরিকার মেয়ে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর এফিডেভিট ও কাজী অফিসের মাধ্যমে মনিরুজ্জামানকে তলাক প্রদান করেছে।

এরপরও উক্ত মনিরুজ্জামান গত ২৫ ফেব্রুয়ারী  সন্ধায় প্রফেসরপাড়া জনৈক মনিরুলের দোকানের সামনে সাগরিকা ও তার মেয়েকে দেখত পেয়ে হাত ধরে টানা হেচড়া ও চড় থাপ্পড় মারে। এসময় সাগরিকা তার মেয়েকে বাঁচাতে গেলে সাবেক জামাই মনিরুজ্জামান তার হাতের ব্যাগ কেড়ে নেয়। যাতে ২১ হাজার ৯০০ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। এঘটনায় সাগরিকা আবারো বিরামপুর থানায় অভিযোগ করে প্রতারক জামাইয়ের কবল থেকে রক্ষা ও সুবিচার প্রার্থনা করেছেন।

অপরদিকে অভিযুক্ত জামাই মনিরুজ্জামান বলেন, তার বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে এবং তিনি হাজত খেটে জামিনে রয়েছেন। তালাকের বিষয়টি তিনি জানেন না।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




পাবনাতে দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন পাবনাতেই দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণা ছাড়া কোনো কিছুতেই উৎকর্ষ লাভ করা যায় না। বিজ্ঞানকে বঙ্গবন্ধুই বেশি গুরুত্ব দিতেন। ৭৫’র পর স্বৈরশাসকরা গবেষণায় গুরুত্ব দেয়নি।

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধন ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এ ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় একটু পিছিয়ে আছি। ডাক্তার সাহেবরা শুধু প্র্যাক্টিস করে আর টাকা কামাই করে, গবেষণার দিকে বেশি যায় না। এখন গবেষণার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি, সেশনজট। শিক্ষার পরিবেশটাই নষ্ট করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সাল যখন ক্ষমতায় আসি তখন একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম যে বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্র-ছাত্রী নাই বলতে গেলে। এর ফলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার উপর আমরা জোর দিই। আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিই। যাতে প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতি মানুষের আকর্ষণ তৈরি হয়।’

৫৪ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ প্রদান করা হয় অনুষ্ঠানের শুরুতে। এরমধ্যে ২৫ জনকে ন্যাশনাল সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, ১০ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ও ১৯ জনকে বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।


আরও খবর