Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

বিএনপি সন্ত্রাস কায়েম করে আমরা দুর করে উন্নয়ন করি: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১২১জন দেখেছেন

Image

 আব্দুস সবুর  তানোর; রাজশাহীর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ২০০৮ সালের আগে সন্ত্রাসের অভয়শ্রম ছিল উত্তরের জনপদ, বিএনপি সন্ত্রাস লানল পালন করে,আমরা সেটা দুর করে উন্নয়ন করি, তাদের আর আমাদের সরকারে মাঝে এটাই পার্থক্য।আওয়ামী লীগ জনগণকে দিতে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ পায়। এটা হলো বাস্তব কথা। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আর বিএনপি, ওরা কী করে? মানুষ খুন করে, অগ্নি-সন্ত্রাস করে’।আজ রোববার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এসব কথা বলেন। রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করে। শেখ হাসিনা এই জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য রাজশাহীর মানুষকে ওয়াদা করান। জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত উঁচিয়ে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে। বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানসহ জাতীয় চার নেতা এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছিলেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটা করে যেতে পারেননি। আপনারা জানেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে। একই সঙ্গে হত্যা করে আমার মা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। ছোট্ট ভাই রাসেলকেও। আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। আমরা দেশে আসতে পারিনি। রিফিউজি হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছিল ছয়টি বছর। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতি। আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। আমি এই দেশে ফিরে আসি—এমন একটি দেশে, যেখানে আমার কোনো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। জাতির পিতার খুনিদেরকে ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসানো হয়। সেই অবস্থায় আমি দেশে ফিরে আসি শুধু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে। সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে, যেভাবে আমার বাবা জাতির পিতা চেয়েছিলেন এই বাংলাদেশকে গড়তে।’ 


শেখ হাসিনা বলেন, ‘৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি ছিল। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউ এ দেশের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা দেয়নি, চিন্তাও করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার এসে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ শুরু করে। রাজশাহীতে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর কলকারখানা চালু করে দেন। এরপর সবই বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আমরা কাজ করি। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দীর্ঘ বাঁধ করে দিয়ে সেই ভাঙন আমরা রোধ করে দিই। এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি রাজশাহীর মানুষের জন্য।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতা এখানে সুগার মিল, টেক্সটাইল মিল, জুটমিল করে দিয়েছিলেন। গোদাগাড়ীতে ডেইরি ফার্ম। এমনকি রেশম শিল্প পর্যন্ত ধ্বংস করে দিয়েছিল পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকারেরা। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে এটা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। বিএনপি অনেক কথা বলে। তারা আমাদেরকে নোটিশ দেয়। আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। এই বিএনপি-জামায়াত জোট যারা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞেস করি, পালায় কে? আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না। পিছু হটে না। ওই জিয়াউর রহমান বাধা দিয়েছিল দেশে আসতে দেবে না। আমি বাধা অতিক্রম করেই দেশে ফিরে আসি। ২০০৭ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে, তখনো আমাকে দেশে ফিরতে দেবে না। আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস দেওয়া হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আমি যাব এই কেস মোকাবিলা করব। আমি দেশে ফিরে এসেছি শুধুমাত্র এই বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি আজকে বলে, পালানোর সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগ, আমি তাদের বলতে চাই আওয়ামী লীগ পালায় না, পালায় আপনাদের নেতারা। বিএনপির নেতারা কে? বিএনপি নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কাকে নিয়ে? দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত তাদের এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যে নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে স্ট্যাম্প কাগজে মুচলেকা দিয়েছিল, আর কখনো রাজনীতি করবে না বলে দেশ থেকে ভেগে গিয়েছিল, সেই কথা কি আমাদের বিএনপি নেতাদের মনে নেই। দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা-তারেক। খালেদা জিয়া তারেক-কোকোর মাধ্যমে যে টাকা পাচার করেছিল মানি লন্ডারিং করে, তার ৪০ কোটি টাকা আমরা বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে এসেছি। এর জবাব কি তারা দিতে পারবে? আওয়ামী লীগ কখনো পালায় না, আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে কাজ করে। এই সংগঠন জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। এই সংগঠন যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। ৪০ ভাগ দারিদ্র্যসীমা আমরা ২০ ভাগে নামিয়েছি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, সমস্ত ভাতা দিয়ে যাচ্ছি। মা-বোনদের মাতৃত্বকালীন ভাতা আমরা দেই। আমাদের এই দেশের একটা মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষকে বিনা পয়সায় দুই কাঠা জমিসহ ঘর করে দিচ্ছি, যারা বাকি আছে তাদেরও করে দেব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’ 

রাজশাহীর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই রাজশাহী সব সময় অবহেলিত ছিল। আপনারা বিগত মেয়র ইলেকশনে আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমি আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই। এই রাজশাহীতে কিছুক্ষণ আগে কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই ১৪ বছরে শুধুমাত্র রাজশাহী জেলা ও মহানগরে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করে দিয়েছি। এই মহানগরে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আজকে কিছুক্ষণ আগে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ২৬টি প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ৩৭৫ কোটি টাকার ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। এই প্রকল্পগুলি আপনাদের জন্য আমি উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম।’বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে আপনারা জানেন না, জিয়াউর রহমান যখন মারা গেল, তখন দেখা গেল কী? কিছু রেখে যায় নাই। একটা ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি ছাড়া। পরে দেখা গেল, সে ভাঙা স্যুটকেস কোথায়! খালেদা জিয়ার মূল্যবান শাড়ি ফ্রান্স থেকে কিনে আনে। এত টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করেছে যে, এখন যান আপনারা দেখবেন কীভাবে আয়েশি জীবনযাপন করেছে। আর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের গিবত গায়, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আর মানুষকে উসকানি দেয়—এটাই তাদের কাজ। বাংলাদেশের মানুষের কোনো ভালো তারা সহ্য করতে পারে না। এটা হলো বাস্তবতা। এরা অপকর্ম-লুটপাট করতে পারে। বাংলা ভাই সৃষ্টি করে এই রাজশাহীতে অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে দিবালোকে তারা মিছিল করে, আর পুলিশ দেয় তাদের পাহারা। অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে পুলিশ পাহারা দেয়। এই তো খালেদা জিয়ার ২০০১ থেকে ২০০৬। তাদের দুর্নীতি-অনিয়ম, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যার ফলে বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার হয়। তা ছাড়া কোনো কারণ ছিল না। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণেই এটা হয়েছে। তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ছাড়া কিছু বোঝে না। আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে মানুষের শান্তি থাকে। দেশের উন্নতি হয়। আমরা যে ওয়াদা দেই, তা রক্ষা করি। ২০০৮-এর নির্বাচনে বলেছিলাম, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করব। আমরা তা করেছি। আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আগামীতে বাংলাদেশকে আরও উন্নত করতে চাই। প্রত্যেকটা যুবক কাজ পাবে।’ 

আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু করে দিয়েছি। এর আগে যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু করে দিয়েছিলাম। সমস্ত বাংলাদেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এসে গেছে। বন্ধ থাকা এয়ারপোর্ট আমরা চালু করে দিয়েছি। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। দেশের উন্নতি হোক। করোনাকালীন সময়ে আমি আসতে পারিনি। আজকে আপনাদের মাঝে এসে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গত নির্বাচনে নৌকা মার্কায় আপনারা ভোট দিয়েছেন। সে জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলব, আগামী নির্বাচন আসবে এই বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন কি না ওয়াদা চাই।’ এ সময় জনসভায় উপস্থিত সবাই দুই হাত তুলে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি দেন। 

জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক শিল্পপ্রতিমন্ত্রী সাবেক জেলা সভাপতি এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।


আরও খবর



দিনাজপুরে আগাম ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭৪জন দেখেছেন

Image
রিয়াজুল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি:অন্যান্য বাবের ন্যায় এবারেও সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলায় আজ বুধবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিদের একটি অংশ। দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে, চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকায়, কাহারোল উপজেলা সদরের জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইল এলাকায়, বোচাগঞ্জে, বিরল উপজেলার বনগাঁ জামে মসজিদে ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে কয়েকশ’ পরিবারের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। 

বুধবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন দিনাজপুর শহর ও আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ। এই জামায়াতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ প্রায় ২৫০ জন মুসল্লি অংশগহণ করেন। এই জামায়াতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মহেশপুর গ্রামে অবস্থিত ফ্যামিলি কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার প্রতিষ্ঠা পরিচালক ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মোহাজেরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। 

এছাড়া জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম, ফতেহজংপুর গ্রামে, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইলে, বিরল উপজেলার পশ্চিম বনগাঁ জামে মসজিদ ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে প্রায় ২০/২২টি গ্রামের কয়েক'শ মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে। 

দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুৎবায় একই দিন ঈদ ও কুরবানী করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সবাইকে একই দিনে ঈদ ও কুরবানী করার আহবান জানানো হয়। এ সময় পবিত্র কুরআনের আয়াতের আলোকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানানো হয়। 

পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়কারীদের কয়েকজন মুসল্লি জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজেলায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ আরো কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। 

উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ২০২৪ সালে এসে তা বেড়ে প্রায় ২৫০ জনে পৌঁছেছে।

আরও খবর



বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের সাত বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ।বৃহস্পতিবর (২৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এর ফলে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চাঁদপুরে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাঙ্গামাটিতে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যথাক্রমে ২২ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় জানানো হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাত ১টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে দেশের আট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উপ-পরিচালক মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোতে দুই নম্বর (পুনঃ) দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর



৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৪০ টাকা কেজি ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর টিসিবি ভবনের সামনে এ পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

দেশের পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফেরাতে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ কিনছে সরকার। যার মধ্যে প্রথম লটে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ রেলযোগে বাংলাদেশে এসেছে। মূলত এসব পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করার জন্য আমদানি করেছে সরকার।

টিসিবি জানিয়েছে, এই বিক্রি কার্যক্রম ঢাকার ১০৩টি, চট্টগ্রামের ৫০টি ও গাজীপুরের ১৫-২০টি স্পটে চালানো হবে। প্রতিটি ট্রাকে থাকবে ১০ টন করে পেঁয়াজ। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৪০ টাকা।

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি যে কোনো ভোক্তা এই পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ২ কেজি করে কিনতে পারবেন। তবে আড়াই কেজির প্যাকেজ কিনলে দাম পড়বে ১০০ টাকা।

এর আগে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে দেশে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

গত ২৭ মার্চ অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, টিসিবির জন্য ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এ ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। সরকারই এ প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিক করে দিয়েছে।


আরও খবর



যশোরে বিএনপি'র ৫২ নেতাকর্মী কারাগারে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু সহ বিএনপি'র ৫২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় তারা সকলেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা সকলেই উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন। জামিনের সময় সিমা শেষ হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিম্ন আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অমিত ও সাবু ছাড়াও বিএনপি'র উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন, মুনীর আহম্মেদ সিদ্দিকি বাচ্চু, আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি এম.তমাল আহমেদ,  জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।

এছাড়া বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে আদালত জামিন প্রদান করেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, সাবেক এমপি মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, শরফুদ্দৌলা ছোটলু, যুবদলের যুগ্মসম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল প্রমুখ।

আইনজীবী দেবাশীষ দাস বলেন, অধিকাংশ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি থেকে চারটি মামলা রয়েছে। কোতোয়ালি থানা, শার্শা থানা ও কেশবপুর থানার মামলায় তারা আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত অসুস্থ্য নেতাকর্মীদের জামিন প্রদান করেছেন ও অন্যদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।


আরও খবর