নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণের কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও নিরুপায় হয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এই বিবৃতি দেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউরোপে যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের তেল ও গ্যাসের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে বিশ্ব জুড়ে তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে পৌনে ৩ গুণ। আর যুক্তরাজ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে পৌনে ৬ গুণ। বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন গড়ে ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ভর্তুকি প্রদান করেছে। পিডিবি বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করছে। জনগণের কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সরকার নিরুপায় হয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে।
এ সময় নির্বাচনে জনগণ বারবার প্রত্যাখ্যান করায় বিএনপি এখন হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
‘সরকার পালানোর পথ পাবে না’— মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যে দলের নেতৃত্ব মুচলেকা দিয়ে রাজনীতিকে চিরবিদায় জানিয়ে দেশ ত্যাগ করে, আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামি হিসেবে বিদেশে পালিয়ে বেড়ায়, সেই দলের নেতাদের মুখে এ ধরনের বক্তব্য শোভা পায় না।
তিনি বলেন, ‘মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে বিদেশি প্রভুদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে স্যাংশন আরোপের ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। দশটির দুর্নীতিবাজ নেতৃত্ব বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দল চালায়, নেতাকর্মীদের নাশকতার উসকানি দেয়। কিন্তু বিশ্ববাসী ও দেশের জনগণের কাছে গুজব রটনাকারীদের ষড়যন্ত্র আজ ধরা পড়েছে, সত্য উদঘাটিত হয়েছে। তাই বিএনপি নেতৃবৃন্দ দিশেহারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি-যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামাত দেশের মানুষের কোনো মঙ্গল চায় না। তাই দেশের গণতন্ত্র উন্নয়ন-অগ্রগতি তাদের চোখে পড়ে না। অথচ আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তইনেত মনসিও সায়েহ বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতার কথা উল্লেখ করে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিএনপির কাছ থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। রাজনৈতিক ফয়দা লোটার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব না ছড়িয়ে তাদের আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাই। সাংবিধানিক পন্থায় একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তন হতে পারে।