Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
তারেক-জেবায়দার মামলা

বিচারকের সামনে হাতাহাতি, বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের নামে জিডি

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৭৮জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদকবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্য নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটার পর রাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ ২৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডিতে বিএনপিপনন্থী আরও ১০০-১৫০ জন আইনজীবীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার ছাড়াও যাদের নামে জিডি করা হয়েছে তারা হলেন আইনজীবী সেলিম, মিলন, মিনহাজ রানা, আনোয়ার হোসেন, মো. জাবেদ, শফিকুল ইসলাম শফিক, আব্দুল হান্নান, আব্দুল খালেক মিলন, জহিরুল ইসলাম কাইয়ুম, তাহমিনা আক্তার হাশমী, শামিমা আক্তার শাম্মি, নারগিস সুলতানা মুক্তি, ওমর ফারুক ফারুকী, মো. নিজাম উদ্দিন নিজাম, মো. ইব্রাহীম স্বপন, মো. মোয়াজ্জেম, মো. নুরুজ্জামান, এইচ এম মাসুম, মো. হিরা, মো. সামছুজ্জামান দিপু, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. মাসুম হাসান, মো. নিহার হোসেন ফারুক, মো. তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, জহিরুল ইসলাম মুকুল ও নুরুজ্জামান তপন।

জিডিতে বলা হয়, মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ কোর্ট ও বিশেষ ট্রাইবুনাল-১-এ তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। দুপুরের বিরতির পর মহানগর দায়রা জজ বিকেল ৩টায় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত করার লক্ষ্যে উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে আদালতের ভেতর হট্টগোলসহ সাক্ষীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। আদালতে উপস্থিত অ্যাডিশনাল পিপি তাপস পাল ও দুদকের পিপি জাহাঙ্গীর হোসাইন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বলেন, ‘আদালতে হট্টগোলের ঘটনায় একটি জিডি করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির শাহ মো. মামুন। মঙ্গলবার রাতেই জিডি হয়েছে। তদন্ত করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

উল্লেখ্য, গত রোববার থেকে মামলাটিতে প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রাখা হচ্ছিল। তাই গত সোমবার বিএনপিদলীয় আইনীজীবী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী মামলাটির সাক্ষ্য চলাকালে বিচারক ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানকে বলেন, ‘মামলাটিতে প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়টি দৃষ্টিকটূ। আমরা চাই এভাবে যেন প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণ না করা হয়।’ তখন বিচারক বলেছিলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।

এরপরও গতকাল আবার মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য থাকায় এ আইনজীবী বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবীর উপস্থিতিতে বিষয়টি আবার আদালতে মেনশন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের একজন প্রসিকিউটর বিচারককে মেনশন করা আইনজীবী ফারুকীর বক্তব্য ভিডিও করছিলেন। তখন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ভিডিও করতে বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। তখন বিচারক এজলাস ছেড়ে যান।

খবর পেয়ে আওয়ামী লীগদলীয় আইনজীবীরাও ওই আদালতে আসেন। তখন উভয়পক্ষের আইনজীবীরা একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত কক্ষে অবস্থানের পর তারা চলে যান। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিচারক পুনরায় এজলাসে ওঠেন। তিনি ২৫ মিনিট অবস্থান করে সাক্ষীর অবশিষ্ট জবানবন্দি শেষ করেন।


আরও খবর



হিলিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলিতে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে ১৭ ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি আব্দুল লতিফ মাস্টার,আশরাফ আলী প্রধান,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী,বোয়ালদাড় ইউপি চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাহাঙ্গির আলম ও মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিদুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।আলোচনা সভা শেষে চিত্রাংকন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ প্রকল্পের আওতায় আয়াত এডুকেশনের আয়োজনে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন অফিসের সভা কক্ষে এ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়াত এডুকেশনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর লায়লা করিম’র সভাপতিত্বে অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল ফজল মুহম্মদ মুশিউর রহমান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার শর্মা, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মু. বেলায়েত হোসেন। এছাড়াও সভায় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসারবৃন্দ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা পাবলিক হেলথ্ নার্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রকল্পের এডভোকেসি, কমিউনিটি মবিলাইজেশন, এ্যাওয়ারনেস কার্যক্রম বিষয়ে উপস্থাপনা করেন আয়াত এডুকেশন’র প্রকল্প সমন্বয়কারী সুমিত বণিক। সভায় অন্যান্যের মাঝে মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার মোঃ হাসান হাফিজুর রহমান, সংবাদকর্মী ইউসুফ আলী প্রধান, স্বেচ্ছাসেবক পান্না আক্তার, আয়াত এডুকেশনের এ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড অফিসার সারোয়ার আলম, কমিউনিটি মবিলাইজার অনন্যা রহমান ও ফাহিম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



ইউপি সদস্য’কে চোর পেটানোর মতো পিটালো ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বনের জমি জবর-দখল করে ইউপি চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাইয়ের নির্মাণার্ধীন মার্কেট ভেঙ্গে দিলো বনবিভাগ। আর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ইউপি সদস্যকে চোর পেটানোর মতোই পিটালেন ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্বজনরা। এঘটনায় ওই আহত ইউপি সদস্য বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ করলে বুধবার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

আহত হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার নলোয়া এলাকার হেলাল উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মজনু মন্ডল। তিনি বর্তমানে বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার)।

এলাকাবাসী, আহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার নলোয়া বাজার এলাকায় বনের জমি জবর-দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বোয়ালী বন বিট কর্মকর্তা আবু ইউনুছ ও তার কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজস করে ওই মাকেট নির্মাণ করেছেন স্থানীয় বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাই শাহিন।

বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসলে গত মঙ্গলবার সকালে ওই মার্কেটটি ভেঙ্গে দেয় বনবিভাগের লোকজন। ওই মার্কেটটি ভাঙ্গার পিছনে স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজনু মন্ডলের হাত রয়েছে, এমন সন্দেহে ইউপি চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন খান, তার ছেলে নিসাদুল রহমান, ভাতিজা পলাশ, শ্যালক হাসান, দুই পুতুরাসহ কয়েকজন ওই বাজারের একটি দোকানের ভেতর থেকে ইউপি সদস্য মজনুকে ফিল্মি স্টাইলে তুলে বাইরে বের করে। এসময় তারা সবাই মিলে চোর পেটানোর মতোই ওই ইউপি সদস্যকে এলোপাথারী পেটায়। পরে আশপাশের লোকজন আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওইদিন ইউপি সদস্য মজনু মন্ডল বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বুধবার দুপুরে ওই ঘটনার তদন্তে যান কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।

খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ কবীর, ওই ইউনিয়নের অন্যান্য ইউপি সদস্যরা হাসপাতালে তাকে দেখতে যান। কিন্তু তাকে দেখতে যাননি অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারমান আবজাল হোসেন খান। আহত ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের আরো অভিযোগ, গত ছয় মাস আগে একদিন সকালে কে বা কাহারা ৯ লক্ষ টাকার মালামালসহ তাদের মৎস্য খামারের গোডাউন আগুন পুড়িয়ে দিয়েছিল। বছরখানেক আগে তাদের রাতের আধারে বসত-বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। গত ১৫ দিন আগে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তাদের মৎস্য খামারের রাস্তা বন্ধ করে দেয় তার লোকজন। ইউপি সদস্যকে পেটানোর ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে পূর্বের ঘটনায়ও ওই চেয়ারম্যান ও তার লোকজন জড়িত বলেও তাদের অভিযোগ।

আহত ইউপি সদস্য মজনু মন্ডল বলেন, চেয়ারম্যানের মেয়ের জামাই শাহিনের নির্মাণাধীন মার্কেট ভেঙ্গে দিয়েছে বনবিভাগের লোকজন। কিন্তু চেয়ারম্যান ও তার স্বজনরা আমাকে সন্দেহ করে দোকানের ভেতর থেকে তুলে নিয়ে চোর পেটানোর মতো পিটিয়েছেন। এর সুষ্ঠ বিচার চান ওই ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের লোকজন।

অভিযুক্ত স্থানীয় চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন খান জানান,ইউপি সদস্য মজনু মন্ডল বনের জমিতে স্থাপনা ভাঙ্গা-গড়ার সঙ্গে জড়িত। ওই স্থাপনাটি ভাঙ্গলে স্থানীয় লোকজন তার সঙ্গে ধাক্কা- ধাক্কি করে। আমি তাদের সবাইকে সরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আমি তাকে মারধর করি নাই।

এব্যাপারে জানতে স্থানীয় বোয়ালী বিট কর্মকর্তা আবু ইউনুছ এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, ওই ইউপি সদস্যকে পেটানোর ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



যশোরের ঝিকরগাছায় দৃর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করেছে টিউবওয়েল,চায়ের দোকান ও হোটেলের পানিতে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৮জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বিশ্ব পানি দিবসের গভীর রাতে যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে স্কুলের টিউবওয়েল সহ চায়ের দোকান ও হোটেলের ড্রামের পানিতে বিষ প্রয়োগ করেছে দৃর্বৃত্তরা। পানিতে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে টের পাওয়ায় বিষাক্ত পানি পান থেকে বিরত থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে পুরো গ্রাম পানি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান।

গ্রামবাসীরা জানান, অজ্ঞাত চোরেরা শনিবার মধ্যরাতে ঝিকরগাছার বোধখানা গ্রামের চা-দোকানদার সাইদ হোসেনের দোকানে চুরি সংঘটিত করে। এরপর ওই দোকানে বোতলে রাখা কিটনাশক বিষ নিয়ে বোধখানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিউবওয়েল, বোধখানা বাজারের টিউবওয়েলসহ এলাকার কয়েকটি চায়ের দোকানের চা-কেটলি, হাড়ি, হোটেলের পানির ড্রাম ও বাসাবাড়ির টিউবওয়েলের মধ্যে বিষ প্রয়োগ করে। এরপর কিটনাশক বিষে বিষাক্ত হয়ে যায় ওইসকল টিউবওয়েল, চায়ের দোকান ও হোটেলে সংরক্ষিত পানি।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওইসব টিউবওয়েলে লাল কাপড় বেঁধে বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। টিউবওয়েল থেকে সাদা রঙের পানি বের হচ্ছে। যা থেকে তীব্রতর হচ্ছে বিষের গন্ধ।

চা-দোকানদার সাইদ হোসেন বলেন, আমার দোকানে একটা বিষের বোতলে বিষ রাখা ছিল। চোরেরা আমার দোকানে চুরি করে, আমার দোকান থেকে বিষের বোতল নিয়ে গ্রামের টিউবওয়েল, বাসাবাড়ির হাড়ি, চায়ের দোকানসহ অনেক স্থানে বিষ প্রয়োগ করেছে।

ওই গ্রামের বাসিন্দা চা-দোকানি সাবানা বেগম জানান, তিনি ভোর রাতে সেহরি খেয়ে পানি খাওয়ার জন্য টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করছিলেন। এমন সময় টিউবওয়েলের পানিতে বিষাক্ত গন্ধ তার নাকে আসে। পরে তার পরিবারের সদস্যসহ আশপাশের মানুষেরা তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখেন তার টিউবওয়েল থেকে বিষাক্ত পানি উঠছে। শুধু তাই নয়, এ সময় তিনি দেখেন তার চায়ের দোকানের কেটলি এবং হাড়িতেও বিষ মিশিয়েছে কে বা কারা। এ ঘটনার পরপরই পুরো গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। একে একে গ্রামবাসীর নজরে আসে অন্যান্য টিউবওয়েল, বাসা-বাড়ি, চায়ের দোকান ও হোটেলে বিষাক্ত কিটনাশক মিশ্রিত সাদা রঙের পানি। ফলে পিপাসা পেলেও পানি পান করার সাহস পাচ্ছেন না ওই গ্রামের বাসিন্দারা।

উক্ত গ্রামের বাসিন্দা সাইফুর রহমান সাইফ বলেন, পুরো গ্রাম এখন আতঙ্কে আছে। আমাদের কাছে এ পর্যন্ত ৫-৬টি বাসা-বাড়ি, হোটেল, চায়ের দোকান ও টিউবওয়েলে বিষ প্রয়োগের খবর এসেছে। ওইসব টিউবওয়েল থেকে সাদা বিষ মিশ্রিত পানি বের হচ্ছে। আজ যদি চা-দোকানী সাবানা বেগম বুঝতে না পারতো তাহলে বোধখানা গ্রাম আজ লাশের গ্রামে পরিনত হতো।

গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রিন্স আহমেদ বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা অমানুষ। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি আরো বলেন, আমি পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করেছি। তারা ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করল গেছে। পুরো গ্রামে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে পানি পানে সতর্ক করা হয়েছে। এই গ্রামে ১০ হাজার লোকের বসবাস। আল্লাহ অনেক বড় দুর্ঘটনা থেকে এ গ্রামকে রক্ষা করেছে।

ঝিকরগাছা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম আলী আমাদের প্রতিবেদককে বলেন, বিষ প্রয়োগের ঘটনা শোনামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। খোঁজ খবর নিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফলাফল ঘোষণা করেন।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী এবার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ। এই ইউনিটে এবার অংশ নেন ১ লাখ ২ হাজার জন শিক্ষার্থী; যাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন।

বিজ্ঞান ইউনিটে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন অংশ নেন, এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন। পাসের হার ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

এছাড়া, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী, তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮২ জন। পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

চারুকলা ইউনিটে পাসের হার ১১.৭৫ শতাংশ। এই ইউনিটের পরীক্ষায় ৪ হাজার ৫১০ জন অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৫৩০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।


আরও খবর