Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম
তারেক-জেবায়দার মামলা

বিচারকের সামনে হাতাহাতি, বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের নামে জিডি

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৯৬জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদকবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাক্ষ্য নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটার পর রাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ ২৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। জিডিতে বিএনপিপনন্থী আরও ১০০-১৫০ জন আইনজীবীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার ছাড়াও যাদের নামে জিডি করা হয়েছে তারা হলেন আইনজীবী সেলিম, মিলন, মিনহাজ রানা, আনোয়ার হোসেন, মো. জাবেদ, শফিকুল ইসলাম শফিক, আব্দুল হান্নান, আব্দুল খালেক মিলন, জহিরুল ইসলাম কাইয়ুম, তাহমিনা আক্তার হাশমী, শামিমা আক্তার শাম্মি, নারগিস সুলতানা মুক্তি, ওমর ফারুক ফারুকী, মো. নিজাম উদ্দিন নিজাম, মো. ইব্রাহীম স্বপন, মো. মোয়াজ্জেম, মো. নুরুজ্জামান, এইচ এম মাসুম, মো. হিরা, মো. সামছুজ্জামান দিপু, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. মাসুম হাসান, মো. নিহার হোসেন ফারুক, মো. তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, জহিরুল ইসলাম মুকুল ও নুরুজ্জামান তপন।

জিডিতে বলা হয়, মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ কোর্ট ও বিশেষ ট্রাইবুনাল-১-এ তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। দুপুরের বিরতির পর মহানগর দায়রা জজ বিকেল ৩টায় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত করার লক্ষ্যে উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে আদালতের ভেতর হট্টগোলসহ সাক্ষীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। আদালতে উপস্থিত অ্যাডিশনাল পিপি তাপস পাল ও দুদকের পিপি জাহাঙ্গীর হোসাইন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বলেন, ‘আদালতে হট্টগোলের ঘটনায় একটি জিডি করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির শাহ মো. মামুন। মঙ্গলবার রাতেই জিডি হয়েছে। তদন্ত করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

উল্লেখ্য, গত রোববার থেকে মামলাটিতে প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রাখা হচ্ছিল। তাই গত সোমবার বিএনপিদলীয় আইনীজীবী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী মামলাটির সাক্ষ্য চলাকালে বিচারক ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানকে বলেন, ‘মামলাটিতে প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়টি দৃষ্টিকটূ। আমরা চাই এভাবে যেন প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণ না করা হয়।’ তখন বিচারক বলেছিলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।

এরপরও গতকাল আবার মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য থাকায় এ আইনজীবী বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবীর উপস্থিতিতে বিষয়টি আবার আদালতে মেনশন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের একজন প্রসিকিউটর বিচারককে মেনশন করা আইনজীবী ফারুকীর বক্তব্য ভিডিও করছিলেন। তখন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ভিডিও করতে বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। তখন বিচারক এজলাস ছেড়ে যান।

খবর পেয়ে আওয়ামী লীগদলীয় আইনজীবীরাও ওই আদালতে আসেন। তখন উভয়পক্ষের আইনজীবীরা একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত কক্ষে অবস্থানের পর তারা চলে যান। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিচারক পুনরায় এজলাসে ওঠেন। তিনি ২৫ মিনিট অবস্থান করে সাক্ষীর অবশিষ্ট জবানবন্দি শেষ করেন।


আরও খবর



সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে পাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় সংসদে ‘সাইবার নিরাপত্তা বিল’ ২০২৩ পাস হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে উত্থাপন করেন। ৫ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা বিল জাতীয় সংসদে পেশ করেন তিনি।

সংসদের কার্যপ্রণালীবিধি অনুযায়ী, অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। স্থায়ী কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে তাদের প্রতিবেদন সংসদে জমা দেয়।

এর আগে রোববার সাইবার নিরাপত্ত বিলের চূড়ান্ত রিপোর্ট সংসদে পেশ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

গত রোববার কমিটির পক্ষে সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক রিপোর্টটি উত্থাপন করেন। বিলটিতে ৩২ ধারা বাদ দেয়াসহ ৪২ ও ২১ ধারায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বিলটির ৩৪ ধারায় কিছু শব্দগত পরিবর্তন ও মিথ্যা মামলাজনিত শাস্তির বিধানাবলী আনা হয়েছে। এখানে কমিটি পরিস্কার করে বলেছে, (১) যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জানিয়েও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে সেটি হবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন উক্ত ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সেই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

কোনো ব্যক্তি যদি উপধারা (১) এর অধীন এই আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে উক্ত ধারায় বর্ণিত অপরাধের মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেই দণ্ডের পরিমাণ হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে। (৩) কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল উপধারা (১) এর অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ৩২ ধারা বাতিলসহ বেশ কিছু সংশোধনী এনে সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি। বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে এই সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এছাড়া বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে ‘পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা বা’ এর স্থলে ‘পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হবে। বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল।

ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল। বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় সাব ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পুলিশ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করতে পারবেন।

উত্থাপিত বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য–উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল যদি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা উহার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করে, বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উক্ত তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করবার জন্য, মহাপরিচালকের মাধ্যমে, বিটিআরসিকে অনুরোধ করিতে পারিবে।

এখানে প্রতীয়মান শব্দের জায়গায় ‘তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হবে।


আরও খবর



পোরশায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর পোরশায় মানসুরা বিবি  (২০) নামে এক  গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার মশিদপুর ইউনিয়নের শিহন্ডী গ্রামের মনিরুজ্জামানের স্ত্রী।ঘটনা  দিন রোববার দুপুরে সকলের অজান্তে নিজ শয়ন কক্ষে গলায় দড়ি ফাঁস লাগিয়ে  দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। তার আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি।তবে  স্থানীয়দের ধারণা, পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যারপথ বেছে নিতে পারেন।পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  জহুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,  লাশ মর্গে প্রেরণের জন্য উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও  তিনি আরো জানান।


আরও খবর



ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক বিনিয়োগ দাবি তরুণদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট  প্রতিনিধি:“ফান্ড আওয়ার ফিউচার” (আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক বিনিয়োগ কর) গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক সমর্থনে  বাগেরহাটে কর্মসূচি পালন করেছে। শুক্রবার( ১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। যুবরা সরকারী পর্যায়ের বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলো এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানীর পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করার আহবান জানায়। 

জলবায়ু সংকট নিরসন, ন্যায়বিচার দাবি ও জনগনকে সচেতন করতে একশনএইড বাংলাদেশের সহায়তায় ও এক্টিভিস্তা নেটওয়ার্ক এর  ৩০ টিরও বেশি যুব সংগঠনের সহস্রাধিক তরুণ এই গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে অংশ নেয়। সংগঠণগুলোর মধ্যে অন্যতম ইয়ুথ একশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট, সূর্যোদয় যুব সোসাইটি, সিক্ত বাংলাদেশ, সোসাইটি ফর একশান এন্ড ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ-সাদা, চেঞ্জমেকার্স, ইয়ুথ একশন ফর ডেভেলপমেন্ট, নির্ভয় ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ আর্মি, ভ্রমণকন্যা-ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ, জনকল্যান সংস্থা, বিডি ফাউন্ডেশন, টিম ইনক্লুশন, ভলান্টিয়ার অপরচুনিটিস, উদ্ভাবন সমাজ কল্যাণ সংস্থা, শরুব ইয়ুথ টিম, এসএইচবিও, নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্স, ব্রাইট ইয়ুথ অর্গানাইজেশন। একই সময়ে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেট, নীলফামারি, জামালপুর ও বরগুনাসহ বাংলাদেশের ২৬টি জেলায় এবং ৭ টি লোকাল ইয়ুথ হাবে তরুণ এক্টিভিস্টা স্বেচ্ছাসেবকরাও এই গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে সংহতি প্রকাশ করেন।

এসময় তরুণরা দলমত নির্বিশেষে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সাথে নিয়ে জলবায়ু সংকট নিরসন, ন্যায়বিচার দাবিতে ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেয়। তাদের প্ল্যাকার্ডগুলোতে প্রকাশ পায় পৃথিবীকে জলবায়ু সংকট থেকে বাঁচিয়ে তুলার আকুতি। প্লেকার্ডে তাদের প্রতিবাদের অক্ষরে লিখা দাবি জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ কর; নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি কর, জলবায়ু সুবিচার চাই, ইত্যাদি প্রকাশ পায়। 

তাছাড়াও যুবরা বলেন, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানীতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে, তাদের নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে আমাদের এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানীতে অর্থায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে যার প্রভাব পড়ছে মূলত দক্ষিণের জলবায়ু-সংরক্ষিত দেশগুলিতে। এটি অনুন্নত দেশগুলোর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে তাদের পরিবেশগত ঋণ বহুগুন বাড়িয়ে তুলছে। আমরা বাংলাদেশের তরুণরা তাই সর্বোচ্চ কার্বণ নির্গমনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশগুলির কাছে অবিলম্বে জীবাশ্ম-তহবিল বন্ধ করাসহ জলবায়ু সংকটের কারণে ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলির জন্য লস এন্ড ডেমেজ এ অর্থায়ন নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে জিবাশ্ম জ্বালানির কোম্পানি ও বানিজ্যিক কৃষির মত ক্ষতিকারক এরিয়াগুলোতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। 

জলবায়ু বিষয়ে জনগন ও নীতিনির্ধারকদের সুবিবেচনার জন্য স্ট্রাইকের বিকল্প নেই বলে জানান একশনএইড বাংলাদেশের একজন তরুণ এক্টিভিস্টা ও জলবায়ুকর্মীরা  তারা বলেন, “প্রতি বছর উপকূলীয় অঞ্চলে পানি বাড়ছে এবং আমি যেখান থেকে এসেছি সেখানে আমাদের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ভবিষ্যত প্রজন্ম ও বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করা বাঞ্চনীয়। যত তাড়াতাড়ি আমাদের বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ এই কাজ করবে তত তাড়াতাড়ি এ পৃথিবী সুরক্ষিত হবে।”

একশনএইড বাংলাদেশ এর যুব প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক মোঃ নাজমুল আহসান জানান “সারা পৃথিবীতে যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানিতে ও ব্যবসায়িক কৃষি পন্যে বিনিয়োগ বেড়ে চলছে তা ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়নমূলক পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে একটি বিরাট অন্তরায়। ফলে বাংলাদেশের তরুণরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জলবায়ু সহিষ্ণু টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু প্রশমন তহবিলের দাবি করছে।” 

একশনএইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘‘ফসিল-ফাইনান্স ও ক্ষতিকর ব্যাবসায়িক কৃষি পন্যতে বিনিয়োগ প্রবণতা ক্রমবর্ধমান পুঁজিবাদী মানসিকতার একটি প্রধান উদাহরণ যেখানে মানুষের চেয়ে মুনাফাই মুখ্য। এটি পৃথিবীতে বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ুকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস


আরও খবর



ছাত্রলীগ নেতাকে দেখতে হাসপাতালে ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ছাত্রলীগ নেতা নাঈমকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি বিএসএমএমইউ’তে যান।

এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে.এন.রায় নিয়তি বলেন, ডিএমপি কমিশনার বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছাত্র নেতা নাঈমকে দেখতে গিয়েছেন। তিনি সেখানে নাঈমের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

উল্লেখ্য, এডিসি হারুন শনিবার রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়।

পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে আনেন। তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। এরপর তাদের অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে পাঠানো হয়।


আরও খবর



ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও অনুষ্ঠানে যোগদানের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার দ্য লোটে নিউইয়র্ক থেকে গাড়িতে করে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩ অক্টোবর পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করবেন।

সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং ৪ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান। বাসস


আরও খবর