Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

বহু নাটকীয়তার পর মাহির জামিন

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর প্রতিনিধি ;বহু নাটকীয়তার পর অবশেষে জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আজ শনিবার বিকেলে তার জামিন মঞ্জুর করেন গাজীপুর মহানগর মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন। প্রেগনেন্সি ও সেলিব্রেটি বিবেচনায় আদালত এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে।

মাহির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার সাদত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন আইনজীবী মাহির পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই আদালতের একই বিচারক মাহিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার আগে আজ বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাহিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মাহিয়া মাহি সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

এদিকে, শনিবার গ্রেপ্তার পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাহি দেশের ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি প্রক্রিয়া শেষে আমরা দ্রুতই তার রিমান্ড চাইব।’ মাহির স্বামী রকিব সরকার এখনো পলাতক রয়েছে বলেও জানান মোল্যা নজরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ পালন করতে যাওয়া চিত্রনায়িকা মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে ফেসবুক লাইভে রকিবের গাড়ির শোরুমে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন। ফেসবুকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন এই নায়িকা।

এ ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে গাজীপুরে দুটি মামলা হয়েছে। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেছেন বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া। এ ছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের নামে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।


আরও খবর



রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের দূতকে জোরালো ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণ উদ্‌ঘাটন ও মোকাবিলায় জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে আরও জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হেজারকে রাখাইনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অন্যান্য সব অংশীদারদের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিশেষ দূতের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ বুধবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

রোহিঙ্গা বিষয়ে সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত বিভিন্ন রেজুলেশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে এবং আসিয়ান নেতৃত্বসহ সব বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সুযোগ দেওয়া হলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে পারে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।

কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তনসহ রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচীসমূহের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা যেমন, খাদ্য, শিক্ষা, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা মেটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে কাজ করার আহ্বান জানান।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো যাতে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরত্বারোপ করেন। তিনি বিশেষ দূতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন এবং তাকে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। বিনিময়ে বিশেষ দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার এবং তাজিকিস্তান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ইমোমালি রহমানের সঙ্গে জাতিসংঘের সদরদফতরে একটি উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে যোগদান করেন।

উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২২-২৪ মার্চ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।


আরও খবর



রমজানে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে যা বললেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাসে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো শঙ্কা দেখছি না বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ভারত থেকে ডিজেল আসার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চলের জ্বালানি সংকট কাটাতে চালু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন। আগামী ১৮ মার্চ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধনের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলে ডিজেলের ঘাটতি পূরণ হবে। এতে জ্বালানি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে উত্তরের ১৬ জেলার মানুষ। যে ডিজেল আসবে তার মান ভালো।

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি মাসের ১৮ তারিখ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তেল আনার এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সরবরাহ শুরু হলে দীর্ঘদিনের জ্বালানি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে উত্তরাঞ্চলের মানুষ।

জানা গেছে, ভারতের শিলিগুড়ি নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) ও বাংলাদেশ মেঘনা পেট্রোলিয়ম লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনে বছরে ভারত থেকে আসবে ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল। এছাড়া এ পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল আমদানিতে ব্যারেল প্রতি ৫ দশমিক ৫০ ডলার খরচ হবে। আগে চট্টগ্রাম-খুলনা বন্দর থেকে সড়কপথে তেল আনতে প্রতি ব্যারেলে ব্যয় হতো প্রায় ১১ ডলার।


আরও খবর



মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষবার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন।, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নৃশংস অভিযান চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। অতর্কিত হামলায় নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ করে হানাদার বাহিনী। ওই পরিস্থিতিতে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার এই ঘোষণা দেন।

বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার সর্বস্তরের জনগণ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বিশ্বমানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।

আজ সেই দুঃসাহসী ঘটনার ৫৩তম দিবস; আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি বেসামরিক লোকের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচার হয়।

বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যে কোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণার নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

তৎকালীন ইপিআরের ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এ উপলক্ষে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহে থাকবে আলোকসজ্জা।

এদিন সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুদিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে আওয়ামী লীগ। ভোরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। এরপর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। এ ছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় উপসানালয়ে দোয়া ও প্রার্থনা হবে। এ ছাড়া সকাল ১১টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন। এ ছাড়া ২৭ মার্চ সকাল ১১টায় আলোচনাসভা হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



নামাজের পরেই ইমামকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক ;পাকিস্তানের এক মসজিদের ইমামকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করাচির গুলিস্তান-ই-জাওহারের ব্লক৯-এ ঘটেছে এ ঘটনা। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গুলিতে নিহত ব্যক্তির নাম মাওলানা কায়ুম সুফি। তিনি পাকিস্তান ওলেমা এসোসিয়েশনের সদস্য এবং মোহাম্মাদিয়া নুরানি ইসলামিক সেন্টারের ইমাম। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, নামাজের পর ইমাম সুফি বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞাত হামলাকারীকে মোটরসাইকেলে করে এসে তার ওপর গুলি চালায়।

এই হামলার দায় এখন পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠী স্বীকার করেনি। এছাড়া দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকেও বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।


আরও খবর



নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছে আ. লীগ সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ আহ্বান জানান। বিএনপি ঘোষিত ‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে: ২৭ দফা রূপরেখার গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে যে নির্বাচন হয় সেটা ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। সেই নির্বাচনকে সবাই সম্মানের চোখে দেখে। কিন্তু বুধবার নির্বাচনকে ঘিরে যা ঘটেছে তা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। আমরা ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি।

‘এটা ঘটা প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। এখন মনে হয় যে সরকারও নেই। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ব্যবস্থা তারা ভেঙে দিয়েছেন,’ যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। 

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে ৭৩ দিন হরতাল করেছিল। আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। আজকে তারা সেটা বাতিল করে ফেলেছে। এখন দেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আগে প্রেসক্লাবের নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। তারা এভাবে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।

বিএনপির আন্দোলন চলছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের আন্দোলনে ১৭ জন ভাই প্রাণ দিয়েছে। আসুন, আমরা সবাই মিলে কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের ‘সংবিধান বিতর্ক’ বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাহাত্তর সালের সংবিধান প্রণয়নের আগে ১৯৭১ সালের আগে দুটো নির্বাচন হয়েছিল। একটি পাকিস্তান জাতীয় সংসদের আরেকটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। এরপর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যদের দিয়ে সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠন করেছিলেন। যারা দেশের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় সংবিধান রচনা করেছিলেন। যেখানে গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনটা আজকে আছে

তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আর বলেন গণতন্ত্রের কথা। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানও বলেছিলেন, গণতন্ত্রের কথা। আজকে কোন রাষ্ট্রে বাস করছি আমরা। সত্য কথা বললে বলা হয় আমরা নাকি সমস্যা তৈরি করতে যাচ্ছি। তারা দেশের ভোট ও নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়টি তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। যা শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ও হয়েছিল। তিনিও বাকশাল কায়েম করেছিলেন। আসলে আওয়ামী লীগ হলো চোর। সব ক্ষেত্রে তারা চুরি করে। এর চেয়ে বড় চোর বিশ্বে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখন তারা যমুনা নদী সংকুচিত করতে প্রকল্প নিয়েছে। আসলে এখন কিছু নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে কষ্ট হয় যে, যখন দেখি কিছু বুদ্ধিজীবী এই নেত্রীকে সাপোর্ট করে। তার অন্যায়গুলোকে সমর্থন করেন। এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? চিৎকার দিয়ে বলতে পারি আমরা এই বাংলাদেশ চাইনি। আজকে দেশের মানুষ ভাত পায় না, চাল পায় না। একজন শ্রমিক তার ছেলেকে প্রোটিন হিসেবে ডিমও খাওয়াতে পারে না।

আলোচনা সভায় ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান আব্দুল করিম আব্বাসী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল ) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম সহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাব। ২৭ দফা রুপরেখা বাস্তবায়ন ও দেশ জাতিকে রক্ষার জন্য যুগপৎ আন্দোলনে আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা সবাই শরিক হবেন এই প্রত্যাশা করি।’

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন নেতারা।


আরও খবর