
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে ফের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে মিরপুর ১০, ১১, ১২ নম্বরসহ আশপাশের এলাকায় কোনো যাত্রীবাহী গাড়ি চলতে পারছে না। ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে রিকশা, সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহনও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিস ও স্কুলগামীরা।
রোববার (৫ জুন) সকালে শ্রমিকদের ১০ নম্বর গোলচত্বরের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এসময় তারা ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন, আমাদের দাবি মানতে হতে হবে’ স্লোগান দেন। ১১ নম্বর, পূরবী ও মিরপুর-১২তে মেট্রোরেলের জন্য ব্যবহৃত রোড ডিভাইডার দিয়ে সড়ক আটকাতে দেখা গেছে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে শ্রমিকরা পূরবী মোড়ে একটি বিআরটিসির দোতালা বাস ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে কয়েকজনকে মারধরও করেন তারা।
যান চলছে না মিরপুর-১০ থেকে ১৪, ১ ও ২ নম্বরের সড়কেও। শেওড়াপাড়া সড়কে চলছে না কোনো যান। স্বাধীন পরিবহনের সহকারী মারুফ ইব্রাহিম বলেন, ‘গাড়ি নিয়ে বের হইছিলাম। কিন্তু সব রোড বন্ধ, বাসটারে এক জায়গায় পার্ক করতে পারলে বাঁচি।’
শিকড় পরিবহনের চালক বলেন, ‘আজ মোটরসাইকেল দিয়ে যাত্রীদের যেতে হবে। কারণ কোনো বাস চালানোর উপায় নাই।’
আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, দেশে চাল, ডাল, তেলের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে বেতন বাড়ছে না। বর্তমানে তারা যে বেতন পাচ্ছেন তা দিয়ে মাস পাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার জানানো হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
রোববার সকাল ৮টার দিকে কয়েকশ গার্মেন্টস শ্রমিক মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর, ১৩ (আয়ুর্বেদিক কলেজ) ও ১৪ নম্বরের (কচুক্ষেত মিলি সুপার মার্কেট) রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল ৯টার পর মিরপুরের আশপাশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা দলে দলে আন্দোলনে যোগ দেন। গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শ্রমিকরা একই দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
পল্লবী থানার এসি (পেট্রল) মাহবুব জাগো নিউজকে বলেন, রোববার সকাল ৮টার পর শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করেছে। আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। দ্রুতই সড়ক স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি।