Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে ঢাকায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৯২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য নিয়োজিত ১৭ জন অ্যাডভোকেটের একজন হিসেবে ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করবেন মাথিল্ডে।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি জারি করা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বেলজিয়ামের রানি আসার কথা জানানো হয়।

সফরকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন মাথিল্ডে। পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, একটি পোশাক কারখানা, স্থানীয় একটি স্কুল এবং বন্যার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রকল্প পরিদর্শন করবেন তিনি।

এদিকে গত ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১’-এর ধারা ২ এর দফা ক’তে দেওয়া ক্ষমতাবলে বেলজিয়ামের রানিকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স’র কাছে জিম্মি দুই সহগ্রাধিক গ্রাহক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’র কাছে হাজার হাজার গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নির্দিষ্ট মেয়াদ ৫/৬ বছর আগে শেষ হলেও তাদের জমাকৃত অর্থ এবং বিশেষ সুবিধা পাওয়া এখন চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বীমা

গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা না দিয়ে ফুলবাড়ী অফিসের কর্মকর্তা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন অফিস স্টাফরা বলে জানিয়েছেন অনেক গ্রাহক।জীবন বীমা একটি চুক্তি যার অধীনে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে একজন বীমা গ্রাহকের উপর ঘটে যাওয়া আকস্মিক কোন দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর জন্য তার পূর্ব নির্ধারিত মনোনীতককে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এ চুক্তি কার্যকর করার জন্য বীমা গ্রাহক বীমা কোম্পানিকে প্রতিনিয়ত প্রিমিয়াম প্রদান করে থাকেন । সেইপ্রিমিয়াম প্রদানসম্পন্ন করেও ৫/৬ বছর অতিবাহিত হলেওবিশেষ সুবিধা কিংবা ন্যায্য পাওনা থেকে এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।

ফুলবাড়ী ‘প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি’টি মেইন রোড সংলগ্ন মধ্যগৌরী পাড়ায় ৩ তলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় অফিস। পার্বতীপুর, বিরামপুর, চিরির বন্দর, দিনাজপুর সদর, বিরল, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, আমবাড়ী, দাউদপুর এসব উপজেলা-স্থান নিয়ে ফুলবাড়ী অফিসটি।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহকের বর্ণনা:আব্দুল কাদের, পিতা-মৃত রমজান আলী। গ্রাম রামেশ্বরপুর।পলিসি নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩। ভ্যান গাড়ি চালায়। ফুলবাড়ীর অফিস থেকে বাড়ি ১৮ কি.মি. দূরে। ২০০৯ সালে বছরে ২টি কিস্তি ১১০০ টাকা করে দিয়ে ১২ বছরে মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০২১ সালে। মোট সঞ্চয় জমা হয় ২৪ হাজার ৮০০ টাকা। তিনি এখন সঞ্চয়সহ মুনাফার জন্য ২০২১ সাল থেকে ধর্না দিচ্ছেন ! প্রতি মাসে নিজের কাজ ফেলে ৩/৪ বার করে আসেন।অফিসে তারা ব্যবহারও ভালো করেন না।এই টাকা পেলে তিনি কর্জ পরিশোধ করতেন।

সৈয়দ ইমাম হাসান (প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮)নামের একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন,তিনি এখানকার অফিসের কথা শুনে ঢাকার অফিসে গিয়ে তারা বলছেন,যা কিছু করার সব স্থানীয় ফুলবাড়ীর অফিসেই করবে।তাদের সাথেই কথা বলতে বলেছেন।

আর এক অভিযোগকারী রাধানগর গ্রামের জাহানারা বেগম। পলিসি নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫ ।স্বামী থেকেও নেই, অন্যের বাড়িতে কাজ করেন।২৭.০৬.১৯১০ তারিখে বীমা শুরু করেন।২০২২সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। ৩বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন! এমন অভিযোগ শত সহ¯্রজনের।প্রতিদিনই অফিসে বীমাকারীদের ভিড় বাড়ছে।২০১৯ সাল থেকে গ্রাহকের চেক দেয়া প্রায় বন্ধ রেখেছে। অথচ গ্রাহকদের মেয়াদ৫/৬ বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ফুলবাড়ীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে গ্রাহক চেক পাবেন ১০ থেকে ১৫ টি। ২০২০ সালে চেক পাবেন ৭০ থেকে ৭৫টি। ২০২১ সালে চেক পাবেন ৩০০ থেকে ৩৫০ টি। ২০২২সালে চেক পাবেন ৪ শতাধিক। ২০২৩ সালে চেক পাবেন ২ শতাধিক। ২০২৪ সালে জানুয়াারি পর্যন্ত ১ শতাধিক।এই হিসেবটি একমাত্র অফিসের।কিন্তু ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ ২ সহগ্রাধিক।

ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহক:১.লোকমান আলী পলিসি নম্বর ০৩১৫১৮৮-৬ ২.খাদিজা খাতুন প.নম্বর ০৫৯৩৩২২-৫ ৩.হাফিজুর রহমান প.নম্বর ০৫৯৩০৫৮-৮ ৪.সৈয়দ ইমাম হাসান প. নম্বর ০৫৯৩২২৮-৮ ৫.অশোক কুমার হালদার প. নম্বর ০৪৬৫৮৫৯-৪ ৬.শরিফা খাতুন প.নম্বর ০১৯৯৮৪৪-৬ ৭.মো. মোহন প.নম্বর ০১৯৯৯২২-৫ ৮.মো. সোহরাব হোসেন প.নম্বর ০৩০৭১৬৭ -২ ৯.মো.আরজুল হক প.নম্বর ০৩০৭১২২-৫ ১০.লুৎফর রহমান প.নম্বর ০৩০৬৮৯২ -০ ১১.মো. আনোয়ার হোসেন প.নম্বর ০৩০৬৮৯১-০ ১২.মোছা. পারভিন বেগম প.নম্বর ০৩০৭২১৩-৩ ১৩. মুশফিকুর রহমান প.নম্বর ০৫৮৫২৮৪-৪ ১৪.এনামুল হক প.নম্বর ০৫৮৫২৭২-২ ১৫.আব্দুল কাদের প.নম্বর ০৫৯৩৩৮২-৩ ১৬.সাইফুল ইসলাম প.নম্বর ০৫৯৩৩৮১ -৫ ১৭. জাহানারা বেগম প.নম্বর ০৫৭৭৮৫৯-৫।

পাশের দোকানদার নুরুজ্জামান জামান এবং মো.ফায়সাল জানান, এই প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কো. লি. -এ প্রতিনিয়ত গ্রাহক এসে দেখা যায় অফিসের লোকদের সাথে তর্কবিতর্ক করছে। টাকা দিতে না পারায় ভুক্তভোগীরা অফিসে এসে গ্যাঞ্জাম করে।অফিসটি গ্রাহকদের চরম হয়রানি করাচ্ছে।পাওনাদারের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) শাখার জিএম ও ইনচার্জ মো.আনিছুর রহমান বলেন, করোনা মহামারীর পর থেকে প্রায় ১৮ মাস অফিস বন্ধ থাকায় অনেক গ্রাহকের মেয়াদ উত্তীর্ণ কাগজপত্র জমা প্রদান করেন গ্রাহকগণ।

২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। পর্যায়ক্রমে চেক প্রদান করলেও প্রায় ১১ শতাধিক গ্রাহকের চেক প্রদান না করতে পারায় বর্তমান অফিস ইনচার্জ হতাশার মুখে। ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে ‘হবে হচ্ছে দিচ্ছি এভাবে সময়ক্ষেপণ করায় প্রতিনিয়ত ফুলবাড়ী অফিসে শত শত গ্রাহক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ইনচার্জ কখনো অফিসে বসেন, কখনো বসেন না। প্রতিনিয়ত গ্রাহকের উৎপীড়নে অফিসে দেখা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।অবশ্য গ্রাহকের মধ্যে একেবারে চেক দেয়া বন্ধ হয়নি,তবে সন্তোষজনক নয়। ফুলবাড়ীর ইউএনও মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, গ্রাহকের হয়রানির বিষয়টি আমার জানা নেই।কেউ অভিযোগ দিলে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতগুলো বীমাকারীর সাথে হয়রানির অভিযোগ গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

পৌরসভার মেয়র মাহমুদ আলম লিটন বলেন, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি. ফুলবাড়ী লোভনীয় অফার-নিশ্চয়তা দিয়ে মানুষকে সর্বস্বান্ত করছে। সহগ্রাধিক লোকের সাথে মশকরা করছে। আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। জিএম সাহেবের সাথে কথাও বলেছি। কোনো কাজ হয়নি। ফুলবাড়ীর এই প্রগ্রেসিভ কোম্পানি হাজার হাজার মানুষকে ধোঁকা দিয়ে দিন ডাকাতি করছে। সর্বশান্ত করছে এলাকার মানুষকে। কোন প্রতিকার পাচ্ছে না কোন গ্রাহক। এর দায়ভার কার? কে নিবে এদের দায়িত্ব?


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




জলঢাকায় এসএসসি পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা ৫ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃনীলফামারীর জলঢাকায় ২০২৪ সালের চলতি এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৫ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার জলঢাকা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিক্ষায় বসেছিল জলঢাকা পাইলট বিদ্যালয়ের (ভোক) শাখার ৫ শিক্ষার্থী।   

তাদের পরীক্ষার বিষয় ছিল, অ্যাপারেল ম্যানুফেকচারিং বেসিকস - ১ (দ্বিতীয়পত্র)।বিষয়ঃ কোড নং ৮১২৩। কিন্তু তারা পরিক্ষা দিয়েছে ড্রেস মেকিং - ১( দ্বিতীয় পত্রে)। এর বিযয় কোড নং ৭১২৩। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুশি মনি রোল নং ১১৪২০৫,হাবিবা আক্তার রোল ১১৪১৯৪, মন্জুআরা রোল ১১৪২০৩, বৃস্টি মনি রোল ১১৪২৪৬ ও একই বিষয়ের শিক্ষার্থী সৃস্টি মনিসহ সকলে জানায়,আমাদের পরীক্ষা কক্ষে নিয়মিত ও অনিয়মিতদের ভিন্ন-ভিন্ন বিষয় কোডে  পরীক্ষা ছিল।স্যারেরা যে প্রশ্ন দিয়েছেন সকলের একই প্রশ্ন পত্রে পরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষা শেষে দেখি অভিন্ন কোডে সকলরেই প্রশ্নপত্র এক। এখন তাঁদের ভবিষৎ  অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছে, সাংবাদিকদের। 

এ বিষয়ে জানার জন্য UNO জি,আর সারোয়ারকে একাধিকবার ফোন করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। প্রশ্ন সরবরাহের (ভোক) শাখার দায়িত্বরত দুই শিক্ষক মোশফেকুজ্জামান চৌধুরী ও মনিরুজ্জামান জানান,একটু মিসটেক হয়েছে, আমরা প্রয়োজনে বোর্ডে আবেদন করব।

প্রশ্নপত্র সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অবহেলার কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ।তাঁরা বলেন  যাদের  উদাসীনতা ও দায়িত্ব অবেহেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করে বিচারের দাবি করেন ভুক্তভুগীর পরিবার। 

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




আদলতে মনগড়া অভিযোগ পত্র দাখিলের বিরুদ্ধে দৌলতপুরে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

জালাল উদ্দীন, দৌলতপুর,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় হওয়া মামলায় আদলতে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অভিযোগে দৌলতপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার সকালে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভূরকা হাটখোলাপাড়া এলাকায় মানববন্ধন ও ঝাড়– মিছিল করেন এলাকাবাসী। এসময় ওই এলাকার ৫ শতাধিক নারী পুরুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

গেল বছরের ১৪ জুন বিকেলে গরুতে পাটক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ভুরকা হাটখোলাপাড়া গ্রামের রহমত মালিথার ছেলে শরিফুল মালিথা ওরফে ভেলশ মালিথা (৪৩) ও ঘেতু মালিথার ছেলে বজলু মালিথা (৪২) নামের দুই কৃষকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে চরাঞ্চলের এক সময়ের ত্রাশ লালচাঁদ বাহিনীর সেকেন্ডইন কমান্ড উজ্জল সর্দারসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এঘটনায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন নিহত বজলু মালিথার ছেলে নাহিদ হাসান।

পরে এঘটনার সাথে জড়িত ৫ জন এজাহার নামীও আসামীসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক রাকিবুল হাসান আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমাদেন। এতে মামলার বাদিপক্ষ না রাজি জানিয়ে মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য গতকাল মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আদালতে আবেদন করেন।

পরে বুধবার সকালে মানববন্ধন করেন নিহতের পরিবার ও এলাকাসাসী। মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে তারা জানান, বজলু মালিথা ও শরিফুল মালিথাকে প্রকাশ্য দিবালকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়।এঘটনায় আমরা ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা করেছিলাম। কিন্তুু মামলাটি সুষ্ঠ তদন্ত না করে আসামী পক্ষের থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান মামলার এজাহার থেকে হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া ৮ জনের নাম বাদ দিয়ে আদালতে মামলাটির অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। একারনে মামলাটিতে নেয় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন বক্তারা।

এসময় মানববন্ধন থেকে বক্তারা দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসানকে প্রত্যাহারের দাবী জানান। সেই সাথে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে দষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসি।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




দুর্যোগ সহনশীল ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার আশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১০ মার্চ) ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতি বছরের মতো দেশব্যাপী ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়ব, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ব’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেকসই ও সমন্বিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা উপকূলীয় এলাকার জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে তিনি দুর্যোগ মোকাবিলার উন্নত টেলিযোগাযোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। জাতির পিতা ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় সেই সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭২টি উঁচু মাটির কিল্লা তৈরি করেন, যা ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকারের দুর্যোগ নিয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সক্ষম হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় চিরাচরিত ‘দুর্যোগ পরবর্তী সাড়াদান ব্যবস্থাপনা’ থেকে ‘আগাম ব্যবস্থাপনা’ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমেছে। আমরা মুজিব কিল্লাকে সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করে মানব ও প্রাণিসম্পদের জন্য নিরাপদ ও টেকসই আশ্রয়স্থল করেছি।

একইভাবে পুরুষের সঙ্গে নারী স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্ত করে আধুনিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। আমরা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিতে (সিপিপি) নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছি। ফলে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ কারণে জেন্ডার রেসপনসিভ ক্যাটাগরিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্মানসূচক জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিনিয়োগ, দুর্যোগের পূর্বাভাস ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন, নতুন বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং দুর্যোগের প্রস্তুতি ও উদ্ধার কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবীদের নিবেদিত প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যেকোনো দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে, যা পরিসংখ্যানগত তথ্য বিশ্লেষণ করলে উপলব্ধি করা যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোনে প্রাণহানির সংখ্যা ১০ লাখ জন, ১৯৯১ সালের সাইক্লোনে প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার জন, ২০০৭ সালের সাইক্লোন সিডরে তিন হাজার ৬৬৩ জন, ২০০৮ সালের সাইক্লোন আইলায় ১৯০ জন, ২০১৬ সালের সাইক্লোন রুয়ানুতে ২৭ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন বুলবুলে ২৪ জন, ২০১৯ সালের সাইক্লোন ফণিতে আটজন, ২০২০ সালের সাইক্লোন আম্ফানে আটজন, ২০২১ সালের সাইক্লোন ইয়াসে সাতজন, ২০২২ সালের সাইক্লোন সিত্রাংয়ে একজন এবং ২০২৩ সালের সাইক্লোন মোখায় মৃতের সংখ্যা শূন্য।

বাংলাদেশের এই ক্রমোন্নয়ন ‘সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’ এর শর্ত শতভাগ অর্জন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী বিপুলভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি শক্তিশালী ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সময়োপযোগী আইন, বিধি পরিকল্পনা, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট: বাগেরহাটে বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুল চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটে প্রাইম ব্যাঙ্ক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুনামেন্টে জেলা পর্যায়ের খেলায় বাগেরহাট কামিল মাদ্রাসাকে এক ইউকেটে পরাজিত করে বাগেরহাট বহুমুখী  কলেজিয়েট স্কুল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বুধবার (০৬ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত ও বাগেরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় বাগেরহাট শেখ হেলাল  উদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। 

খেলা শেষে বাগেরহাট  পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে খেলোয়ারদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন।

এসময়, বাগেরহাট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক  মীর  জায়েসী আশরাফী জেমসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

খেলার শুরুতে বাগেরহাট কামিল মাদ্রাসা ব্যাট করতে নেমে  ৫০ ওভারে  সবকটি  উইকেট হারিয়ে  ২০৮ রান করে। দ্বিতীয়ার্ধে বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুল ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৮ ওভার ২ বলে  ২০৯ রান করে। ফাইনাল খেলার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন বিজয়ী  দলের নিলয় কুন্ডু। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছে  আট্টাকা পাইলট স্কুলের  রাতুল  ইসলাম।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪