Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন

বাউফলে চাচার হাতে ভাতিজা খুন হওয়ার ঘটনায় মামলা করায় বাদীকে হুমকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৪৪জন দেখেছেন

পটুয়াখালীর বাউফলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচার হাতে ভাতিজা আল-আমিন মৃধা (৩৫) খুন হওয়ার ঘটনায় মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে আসামী পক্ষ।  এঘটনায় শামীম মৃধা বাদী  হয়ে বাউফল থানায়  একটি মামলা দায়ের করে। প্রতিপক্ষ ক্ষেপ্ত হয়ে মামলার বাদী ও বাদীর লোকজনকে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধবপুর গ্রামের হাতেম মৃধার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আল-আমিন একই গ্রামের মো. শানু মৃধার ছেলে।

 ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আল-আমিন মিলঘর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথের মধ্যে হাতেম মৃধার বাড়ির সামনে পৌঁছালে তার গতিরোধ করে আপন চাচা ও চাচাতো ভাইসহ কয়েকজন যুবক। পরে তারা আল-আমিনকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে আল-আমিন এর চিৎকারে স্থানীয়রা, এগিয়ে এসে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে এই ঘটনায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষ এই হত্যাকারীদের বিচার চায়

 আল-আমিন এর পরিবারের দাবি, জমিজমা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে একই বাড়ির চাচা মোতালেব মৃধা ও চাচাতো ভাই মো. জাফরের নেতৃত্বে আল-আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আবুল হাসান (২৫) নামে এক আরবী শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের আরবী শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে আরবী পড়তে যান একই গ্রামের ভুক্তভোগী ৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। ওইদিন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে দেরী করায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়ে সবাইকে আরবী পড়াতে শুরু করেন আবুল হোসেন। পড়া শেষে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল হক। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা এমন জঘন্য ন্যাক্কার অসামাজিক ঘটনা ঘটানোর আগে অন্তত হাজার বার ভাববে।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষক আবুল হাসান ন্যায় বিচার পাননি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


আরও খবর



মাগুরায় শিক্ষাগত মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চার বছরের কোর্সকে বিএসসি সমমান দেয়ার বিরোধীতা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাগুরা জেলার ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। 

মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ভায়না মোড়ে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মাগুরার কার্যালয়ে সংগঠনের জেলা সভাপতি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক কারিগরি ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাহবুবুর রহমান টিটো। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা আবুল হাসান, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়ালিদ বিন জাহাঙ্গীরসহ অন্যরা। বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনার পর দীর্ঘ চব্বিশ বছরে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনের যুক্তিহীন বিরোধিতার কারণে চার বছরের ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কোর্সকে বিএসসি সমমান প্রদানের কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।  দেশের ৮৫ ভাগ উন্নয়ন কার্যক্রম ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দ্বারা সম্পন্ন হলেও তাদের উপযুক্ত সম্মান না দেয়ায় ক্ষোভে ফুসছেন প্রকৌশলীরা। এ অবস্থায় দ্রুত ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সম্মান প্রদানের দাবি জানান তারা। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে বলে হুমকি দেন আয়োজকরা।

আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এ অবস্থায় তিন দিনের জন্য ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এমন পরিস্থিতির মধ্যে রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে খুলবে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তীব্র গরম থেকে রক্ষা করতে আপাতত স্কুলের অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মাহবুবুর রহমান গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন গঠনমূলক সাংবাদিকতাকে স্বাগত জানিয়ে।এজেন্ডা নিয়ে কোনো অপতথ্য ছড়ালে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব,

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সকল সমালোচনা স্বাগত জানাই। কিন্তু এজেন্ডা নিয়ে কোনো অপতথ্য ছড়ালে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। গঠনমূলক সাংবাদিকতাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমি মনে করি না সরকার যারা পরিচালনা করছেন তারা সবাই ফেরেশতা; সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, আমরা জানি আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সে সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সে ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা নয় মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সে বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে তেমনই তথ্যের সঙ্গেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। কঠিনটা যাতে সহজতর হয় সে পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্য যে, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। সেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এ কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

আরাফাত আরও বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাস হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি।

তিনি বলেন, যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে- প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুত সময়ে সংসদে পাস করার ব্যবস্থা করব।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যা আছে তো আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকব। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করব।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করব। একই সঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখব না।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হনিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ও ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


আরও খবর



নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image
নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০হাজার টাকার অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। 

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। 

আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন স্ত্রী তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুড়বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১জুলাই সালাউদ্দিন তাঁর স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।

আরও খবর