Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশের মানুষের মন অনেক বড়: কোর্টনি কফি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৫৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি;চলছে শাকিব খানের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘রাজকুমার’র দৃশ্যধারণের কাজ। শুটিংয়ে অংশ নিতে ছবির মার্কিন নায়িকা কোর্টনি কফি ঢাকায় এসেছিলেন। নিজের অংশের কাজ শেষ করে ফিরে গেছেন নিজ দেশে। যাওয়ার আগে এক ভিডিও বার্তায় বাংলার মানুষের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

ভিডিও বার্তাটি শাকিব খানের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘যখন বাংলাদেশে আসার জন্য বিমানে উঠি তখনই মনে হচ্ছিল যে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত সবকিছু দারুণ। তবে আমি যতটা প্রত্যাশা করেছিলাম তার চেয়েও অনেক বেশি দারুণ। অন্যান্য দেশে আইফেল টাওয়ারের মতো বিখ্যাত অনেক কিছু রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মন অনেক বড়। আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষ হৃদয় দিয়ে তাদের দেশকে সেরা রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বৃহৎ জনসংখ্যা এবং তাদের আপ্যায়নের কারণে বাংলাদেশ ট্যুরিস্টদের অন্যতম আকর্ষণ হতে পারে।’

সিনেমায় যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই জানতাম না। শাকিব খানের জন্মদিনে আমি ও হিমেল (হিমেল আশরাফ) অংশ নিই। সেদিন সিনেমার কিছু অংশ সম্পর্কে জানি এবং সেটা আমার আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে দেয়। এখনও আমার আমেরিকান বন্ধুরা বিশ্বাস করতে পারছে না যে আমি সিনেমাটি করছি।’

বাংলাদেশে এসে ফুচকা, মিষ্টি, রসগোল্লা, মাছ—এসব বেশ ভালো লেগেছে কোর্টনির। দেশে ফিরে যাবার সময় নিউমার্কেট থেকে আট জোড়া জুতা ও কিছু চাদর কিনে নিয়ে গেছেন তিনি। সেইসঙ্গে এ-ও জানান, বড় দিনে এগুলো বাংলাদেশি উপহার হিসেবে ব্যবহার করবেন।

আরশাদ আদনান প্রযোজিত ‘রাজকুমার’ সিনেমাটি পরিচালনা করছেন হিমেল আশরাফ। ঢাকায় কয়েক দিন শুটের পর এখন ছবিটির শুটিং চলছে পাবনায়। নতুন বছরের শুরুতে বাকি অংশের শুটিং হবে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০২৮ সালে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।


আরও খবর



দুঃস্থ নারী ও এতিম শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ ও ইফতার করেছেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিএ ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানায় দুঃস্থ নারী ও এতিম শিশুদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে ঈদ উপহার বিতরণ ও একসঙ্গে ইফতার করেছেন খাগড়াছড়ি জেলার  পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)। 

রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে জেলা পুলিশের আয়োজনে পবিএ ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে মাটিরাঙ্গা থানার আওতায় দুঃস্থ নারী ও এতিম শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঈদ উপহার বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী, খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্)  মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম,  সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাটিরাঙ্গা সার্কেল  আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)   কমল কৃষ্ণ ধর সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন

একজন দুঃস্থ নারী ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়ের থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে ঈদের আনন্দের মাত্রা আরো একধাপ বেড়ে গেল। ঈদের সময় পুরাতন জামা কাপড় পড়তে হয়। কিন্তু এই বছর পুলিশ সুপার মহোদয়ের থেকে নতুন জামা পেয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারব। স্যারের কল্যাণে আজ আমাদের আনন্দ বেড়ে গেল। আল্লাহ পুলিশ সুপার মহোদয়ের মঙ্গল করুক। 

পুলিশ সুপারের কাছ থেকে ঈদ উপহার পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অসহায় এবং এতিম শিশুরা। তাদের অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তারা জানায়, প্রত্যেক মা বাবাই তার সন্তানের জন্য ঈদে নতুন জামা কেনার চেষ্টা করেন কিন্তু আমাদের মা বাবা নাই তাই নতুন জামা তো দূরের কথা ভালো খাবারও অনেক সময় ভাগ্যে জুটে না। পুলিশ সুপার মহোদয়ের থেকে ঈদ উপহার পেয়ে আমরা খুব খুশি হইছি।

সবাইকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা
পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  বলেন,“ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের জীবনে এক  শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর।পবিএ রমজান মাসে ইফতার, সেহরি, যাকাত, ফিতরা কার্যক্রমের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্রের সামাজিক ব্যবধান দূর হয়ে সমাজে সাম্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠিত হয়। ইফতারের মাধ্যমে ধনী-গরীব এক কাতারে আসে। আসুন আমরা সবাই দুঃস্থ নারী ও এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে সাম্যের সমাজ গঠনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।”

আরও খবর



পেরুতে যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ২৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:পাহাড়ি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে যাত্রীবাহী একটি বাস ৬৫০ ফুট গভীর খাদে পড়ে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।

বার্তাসংস্থা এএফপি মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুর উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি রাস্তা থেকে একটি বাস খাদে পড়ে যাওয়ার পর কমপক্ষে ২৫ জন মারা গেছেন এবং আরও ২০ জনের মতো মানুষ আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে।

দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ২৩ জনের নিহত হওয়ার কথা জানানো হলেও পরে এই তথ্য হালনাগাদ করে ২৫ জন বলে জানানো হয়।

পৌরসভার কর্মকর্তা জেইম হেরেরা বলেন, ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে বাসটি একটি নদীর ধারে পড়ে যায় এবং আরোহীদের কয়েকজন পানিতে ভেসে গেছে।

উদ্ধারকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এছাড়া এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পর সেলেনডিন পৌরসভা ৪৮ ঘণ্টার শোক ঘোষণা করেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বাসটি রাস্তায় চলাচলের উপযোগী ছিল কিনা তা তারা খতিয়ে দেখবে।

এএফপি বলছে, পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। গত বছর, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১০০ জনেরও বেশি প্রাণহানির তথ্য নিবন্ধিত করা হয়েছে।


আরও খবর



গাংনীতে ইসস্তকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:প্রচন্ড তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে ও বৃষ্টি চেয়ে ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করেছেন মেহেরপুরের গাংনীর মুসল্লীরা। আজ শুক্রবার সকাল দশটায় গাংনীর পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের ফুটবল মাঠে বিভিন্ন বয়সী মুসল্লিগন দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। শেষে খুতবা পাঠ করে গুনাহ মাফের জন্য তওবা পড়ানো হয় মুসল্লিদের। এর পরে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন মুসল্লিরা। আল্লাহর কাছে স্বস্তির পানি চেয়ে চোখের পানি ফেলেন অনেকে। এসময় কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে রহমতের বষর্ণ এবং সকল মুসলিম উম্মার জন্য শান্তি কামনা করা হয়।

নামাজে ইমামতি করেন পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা গোলাম কিবরিয়া। নামাজ শেষে তিনি মহান আল্লাহুর কাছে ক্ষমা চান। চলমান তাপদাহকে গজব উল্লেখ করে তিনি আল্লাহর কাছে তওবা করে ফরিয়াদ করার আহবান জানান।


আরও খবর

মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে জামিল হোসেন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল আনুমানিক বিকাল সারে ৫ টায় গরমের তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে হিট ষ্ট্রোকে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।জামিল হোসেন শহরের নতুন বাবু পাড়ার তিল খাজা রোর্ডের মরহুম মন্জুর হোসের ছেলে বলে জানা যায়। 


স্হানীয়রা জানান,জামিল হোসেন ওইদিন বিকাল আনুমানিক সারে ৫ টায় তার বাড়ি সংলগ্ন এক দোকানে যান সওদা কেনার জন্য। সওদা কিনে বাড়ি ফেরার সময় পথেই হিট ষ্ট্রোক করেন। দোকানী আলী হোসেন সহ বাড়ির লোকজন অসুস্থ বৃদ্ধাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে কর্মরত চিকিৎসক আফরোজা বেগম সুমি তাঁকে মৃত্যু বলে ঘোষণা দেন।

জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন,হিট ষ্ট্রোকে মারা যাওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থল যাই।তবে মৃত্যুের শরীরে আঘাতের কোন দাগ ছিল না। 

এবিষয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে কর্মরত লোকমান হোসেন বলেন, বেশ কয়েক দিন থেকে ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করেছে।প্রচন্ড তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, প্রচন্ড গরমে হিট ষ্ট্রোক থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রচন্ড গরমে অস্থির অস্থির লাগলে ১/২ ঘন্টা পরপর ঘাড় ও মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। পানি খেতে হবে সবসময়। এরপরেও অস্বস্তি বোধ করলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি। 

আরও খবর



ডিএমপির নতুন পরিকল্পনা ঈদে ঢাকায় অপরাধ দমনে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় ঈদের ছুটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বাসাবাড়িসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতি রোধে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় সোনার দোকান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটে। তবে, এবার অপরাধীরা সেই সুযোগ পাবে না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এসব অপরাধের সঙ্গে কোনো নিরাপত্তাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকার সম্ভবনা আছে কিনা সেটাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ডিএমপি সদরদপ্তরের উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে চুরি ও ছিনতাইসহ ঈদ কেন্দ্রিক সব ধরণের অপরাধ দমনে ৩৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির প্রতিটি বিভাগকে এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।

ঈদ ও ঈদ পরবর্তী মহানগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় করণীয় নির্দেশা হলো–

১. নিরাপত্তা পরিকল্পনায় মোতায়েন সব অফিসার ও ফোর্স সন্দেহজনক ব্যক্তির দেহ ও অন্যান্য বস্তু সৌজন্যতার সঙ্গে তল্লাশি করবেন।

২. ঈদগাহ প্রাঙ্গণ ও আশপাশ এলাকায় যেন কোনো ভিক্ষুক ও হকার প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করবেন।

৩. সন্দেহজনক বা জরুরি কোনো বিষয় অবগত হলে তা অতি দ্রুত সময়ে হাইকোর্ট অভ্যন্তরে সাব-কন্ট্রোলরুম বা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে জানাতে হবে।

৪. ঈদের ছুটির সময় দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিনই এলাকা ও স্থান পরিবর্তন করে কার্যকর চেকপোস্ট পরিচালনা করতে হবে। এসব চেকপোষ্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৫. মোটরসাইকেল বিরোধী অভিযান এ সময় জোরদার করতে হবে। ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবেন। তিনজন আরোহী কোনক্রমেই চলাচল করতে পারবে না।

৬. ঈদের ছুটিতে রাজধানী খালি হয়ে যায়। যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। এ সুযোগে কিছু যুবক উচ্চ গতিতে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এ প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক চেকপোষ্ট, তল্লাশি ও গাড়ি চেকিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৭. ছুটিকালীন সময়ে ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ছাদ ছিদ্র করে, সিধ কেটে চুরি, ডাকাতির আশংকা থাকে বিধায় ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ওপরে ও আশপাশের এলাকায় যারা বসবাস করে তাদের প্রতি বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. ছুটিকালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের বুথে সংঘবদ্ধ চক্র দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে বিধায় অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা প্রতিরোধে সিকিউরিটি গার্ডদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

৯. বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, মার্কেট, ব্যাংক, স্বর্ণের দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব প্রাইভেট সিকিউরিটি দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে হবে।

১০. প্রতিটি থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্টসহ দৃশ্যমান পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাতে থানার মোবাইল প্যাট্রোলসমূহ হুটার বাজিয়ে টহল দিবে। ছুটিকালীন সময়ে বাসা পরিবর্তনের নামে বাসাবাড়ির মালামাল যাতে চুরি না হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. চেকপোস্ট চলাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ছুটিকালীন সময়ে বেপরোয়া যানবাহন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১২. প্রতিটি থানা থেকে প্রতিদিন তিনটি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম টহল ডিউটি করবে। প্রতিটি টিমে এক সঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেল থাকবে। প্রতিটি মটরসাইকেলে একজন এসআই, একজন এএসআই অস্ত্রসহ ও একজন কনস্টেবল শর্টগানসহ মোতায়েন করতে হবে।

১৩. ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ ও বাহির পথসমূহে ২৪ ঘণ্টা চেকপোস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঈদ পরবর্তী সময়ে সকল থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেকপোস্ট কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।

১৪. নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত যেকোন ফোর্স মোতায়েন হওয়ার পূর্বে ইনচার্জ অফিসার তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে যথাযথ ব্রিফিং প্রদান করবেন।

১৫. ঈদের দিন থেকে সব বাণিজ্যিক বিপনীবিতান ও স্বর্ণের মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার। মার্কেট মালিক সমিতির মাধ্যমে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও মালিক সমিতি কর্তৃক তদারকি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

১৬. সব ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। এ সংক্রান্তে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সভা করে তাদেরকে নিরাপত্তা টিপস প্রদান করতে হবে।

১৭. আবাসিক এলাকায় পুলিশের মোবাইল প্যাট্রল গমনা-গমন নিশ্চিত করাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফুট প্যাট্রলের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অতিরিক্ত গাড়ি প্রয়োজন হলে উপকমিশনার (পরিবহন) সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।


আরও খবর