Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশের ২ নারী এশিয়ার সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায়

প্রকাশিত:সোমবার ১২ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৭৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :প্রতিবছরের মতো এবারও এশিয়ার সেরা ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী এশিয়ান সায়েন্টিস্ট। এবারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন দুই বাংলাদেশি নারী বিজ্ঞানী।

তালিকায় স্থান পাওয়া দুই বাংলাদেশি নারী বিজ্ঞানী হলেন-বাংলাদেশের চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) পরিচালক ও বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী।

২০১৬ সাল থেকে গবেষণায় অনবদ্য অবদান রাখা বিজ্ঞানীদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে এশিয়ান সায়েন্টিস্ট। এবার অষ্টমবারের মতো তালিকা প্রকাশ করল প্রতিষ্ঠানটি।

সেঁজুতি সাহা বাংলাদেশের অন্যতম একজন নারী বিজ্ঞানী। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত একটি রোগ, যে ভাইরাসের মাধ্যমে জ্বর হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। এই তথ্যের প্রমাণ ছিল না আগে। সেঁজুতি সাহার দলের সদস্যরা তা প্রমাণ করে রোগটির চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী ২০২২ সালে ওডব্লিওএসডি-এলজাইভার ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছিলেন। দেশের জলপথে প্লাস্টিক দূষণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তিনি।


আরও খবর



টিফিনের টাকায় পথচারীদের শরবত খাওয়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:দেশ জুড়ে চলছে দাবদাহ । জনজীবনে নেমেছে অস্থিরতা। এই গরমে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্নের মানুষরা । যাদের জীবিকার তাগিদ রাস্তায় বের হতেই হচ্ছে । সেই মানুষদের এতটুকু প্রশান্তি দেওয়ার জন্য টিফিনের টাকা জমিয়ে শরবত পান করাচ্ছে কয়েকজন শিক্ষার্থী।

গত ১ মে বুধবার  সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রূপগঞ্জ উপজেলার  তারাবো পৌরসভার বরপা এলাকায়  শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইশিকা, চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসান ভূঁইয়া, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের এর নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অর্ণব ভুইয়া মুসলিম মডার্ন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অরিণ ভূঁইয়া ও লিটল ফ্লাওয়ার এডুকেয়ার স্কুলের নার্সারি শিক্ষার্থী অবন্তী ভুইয়া জনজীবনে স্বস্তি ফেরাতে তৃষ্ণার্ত রিক্সা, অটোরিক্সা ও সিএনজি চালক এবং পথচারীদের মধ্যে নিরাপদ সুপেয় পানি, স্যালাইন পানি ও শরবত বিতরণ করা করে। 

শিক্ষার্থী ঈশিকা বলেন, তীব্র গরমে মানুষ খুব কষ্টে আছে।  এ কারণে আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে টিফিনের টাকা জমিয়ে মানুষের কষ্ট কমানোর জন্য পথচারীদের শরবত ও সুপেয় পানি পান করাচ্ছি। 

তীব্র তাপদাহে ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত মানুষ বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি ও শরবত পান করতে পারায় শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান পথচারীরা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



তরুণদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে কার্ভড ডিসপ্লের সেরা স্মার্টফোন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

চৌধুরী নাইম আহমেদ মুজিব:স্মার্টফোনের এই যুগে ফোনের যেইসকল ফিচার পূর্বে শুধুই প্রিমিয়াম ডিভাইসে পাওয়া যেতো, সেগুলো বর্তমানে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। এরকমই একটি ফিচার হচ্ছে কার্ভড ডিসপ্লে। উন্নতমানের স্মার্টফোনের এই ফিচারটি ক্রমান্বয়ে হয়ে উঠেছে একটি সাশ্রয়ী পছন্দ। আমরা স্মার্টফোনে কার্ভড ডিসপ্লে পরিসর নিয়ে আলোচনা করবো এবং কীভাবে ব্র্যান্ডগুলি এই প্রিমিয়াম ফিচারটি আরও বিস্তৃত দর্শকদের কাছে পৌছে দিতে পারে তা নিয়ে কথা বলবো।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, স্মার্টফোনের বাজারে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হচ্ছে ব্র্যান্ডগুলির প্রতিনিয়ত প্রিমিয়াম ফিচার গুলোকে সাশ্রয়ী বাজেটের ফোনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা গুলো। যার অন্যতম একটি হচ্ছে কার্ভড ডিসপ্লে ফিচার যা ব্র্যান্ড গুলোর উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বর্তমানে সাশ্রয়ী বাজেটের ফোনেও পাওয়া যায়। ইনফিনিক্স, অনার এবং টেকনোর মতো ব্র্যান্ড গুলো এই চর্চাকে স্বাগত জানিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে কার্ভড ডিসপ্লের স্মার্টফোন সরবরাহ করছে।

এই রেঞ্জের স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভিভো ভি২৯ ডিভাইসটি, যার মূল্য ৫৬,৯৯৯ টাকা। এই ডিভাইসটিতে একটি কার্ভড ডিসপ্লে রয়েছে যা ফোনের নান্দনিকতা এবং কার্যকারিতা উভয়ই বৃদ্ধি করে এবং ব্যবহারকারীদেরকে একটি ইমারসিভ বা নিমগ্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করে। একইভাবে, ৪১,৯৯৯ টাকা মূল্যের অনার এক্স  নাইনবি তেও রয়েছে একটি কার্ভড ডিসপ্লে যা ভোক্তার ক্রয় সক্ষমতা নিশ্চিত করে ডিভাইসের সামগ্রিক ডিজাইনকে আরো উন্নত করে।

কিন্তু এই সাশ্রয়ী বাজেটের কার্ভড ডিসপ্লে ফিচার সমৃদ্ধ স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে টেকনো স্পার্ক ২০ প্রো প্লাস ডিভাইসটি যার মূল্যমান মাত্র ২৬,৯৯৯ টাকা। কার্ভড ডিসপ্লের পাশাপাশি এতে রয়েছে মসৃণ ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরমেন্স এবং বর্ধিত ব্যবহার অভিজ্ঞতা। এই বিশেষ ফিচার গুলার সমন্বয়ে টেকনো স্পার্ক ২০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটি হয়ে উঠেছে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ।

স্মার্টফোন প্রযুক্তির উত্তারত্তর বিকাশের এই ধারায়, আমরা সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসগুলিতে আরও উদ্ভাবন এবং প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্যগুলির উপস্থিতি আশা করতে পারি। কার্ভড ডিসপ্লের এই উপস্থিতি হলো ভোক্তাদের বিভিন্ন চাহিদা  এবং পছন্দগুলি মেটানোর জন্য ব্র্যান্ডগুলি কীভাবে প্রচেষ্টা করছে তার একটি উদাহরণ। অধিক বিকল্পের উপস্থিতি থাকায়, ভোক্তারা এখন সাধ্যের সাথে আপোষ না করেই প্রিমিয়াম ফিচার গুলো উপভোগ করতে পারে৷

সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোনগুলিতে কার্ভড ডিসপ্লের উপস্থিতি স্মার্টফোন প্রযুক্তির বিবর্তনে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। ব্র্যান্ডগুলি বৃহত্তর ভোক্তাদের কাছে প্রিমিয়াম ফিচার গুলোকে সরবরাহ করার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, যার ফলে গ্রাহকদের বিভিন্ন চাহিদা এবং পছন্দগুলি পূরণ হচ্ছে। পরিবর্তনশীল এই স্মার্টফোনের বাজারে আমরা আশা করতে পারি প্রিমিয়াম এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসগুলির মধ্যে দাম ও ফিচারের ব্যবধান কমে এসে সর্বাপরি ব্যবহারকারীদের জন্য অধিক সুবিধা এবং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে জুয়ার টাকাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত, থানায় মামলা, আটক -১

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী তেঘরবিশা মেলায় জুয়ার আসর কে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের হামলায় ছুরিকাঘাতে যুবলীগের দুই কর্মী আহত হয়েছে। 

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের আজাদ অটো রাইস মিলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।   এ  ঘটনায় গত  ২০ এপ্রিল রাতে জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- জেলা যুবলীগের কর্মী শহরের আদর্শপাড়া এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম মন্ডল ও একই এলাকার কাজেম উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন।

মামলার আসামী হলেন- জয়পুরহাট কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও শহরের আদর্শপাড়া এলাকার বাবুর ছেলে পিয়াস আহমেদ পৃথিবী (২৮), একই এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে আল আমিন (২৫), ওসমান আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৪), হানিফের ছেলে হাসিব (২২), রফিকুল ইসলামের ছেলে রঞ্জু (২৮)। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, সনাতন ধর্মালম্বীদের শিবপূজা উপলক্ষে তেঘরবিশায় মেলা বসে। প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসন দরপত্র আহবান করে মেলাটি ইজারা দেয়। এ বছরও দরপত্র আহবান করা হয়েছিল। তবে কেউ দরপত্রে অংশ নেয়নি। উপজেলা প্রশাসন মেলা থেকে খাস আদায় করে। মেলাটি গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়। মেলা শুরুর পর থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালী আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চালু করে। দুদিন পর অশ্লীল নৃত্য বন্ধ হলেও চলতে থাকে জুয়া। মেলায় পুলিশের পাহারাও ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই জুয়া চালিয়ে গেছেন প্রভাবশালীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মেলায় জুয়া চলার সময় গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ছাত্রদলের পিয়াস নামের এক নেতা তার কিছু ছেলেপেলে নিয়ে মেলায় জুয়া বোর্ড হইতে টাকা দাবি করে এবং ভিডিও ধারনের চেষ্টা করে। এসময় জুয়া বোর্ডের পাশে অবস্থিত দোকানদার তাকে বাধা দিলে পিয়াস দোকানদারকে চড় থাপ্পড় মারেন এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে খোরশেদ তাদের ডেকে নিয়ে শাসিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে মেলা থেকে বের করে দেন। এরপর রাতে বাড়ি ফেরার পথে খোরশেদ ও ফারুকের গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করার ঘটনার ঘটে।

মামলার বাদী মোসলেম উদ্দীন বলেন, আমার ছেলে খোরশেদ ও ভাতিজা ফারুককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে খোরশেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া মেডিকেলে রেফার্ড করেন। আর ফারুক হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছি।

 জয়পুরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল জান্নাত শাহ্ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর রুহুল আমিন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সমপ্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল সংস্কৃতির মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার সাপছড়ি এলাকার ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ৭ম মহাসম্মেলন ও ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল-২০২৪ অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে  প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন। 

তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় সবদিকেই অনেক দূর এগিয়েছে। আধুনিক সমাজেও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় তাদের কৃষ্টি, কালচার এবং ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এটি প্রশংসার দাবীদার।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত আসন হতে রাঙ্গামাটির তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায়ের জ্বরতী তঞ্চঙ্গাকে  সংসদ সদস্য হিসেবে পার্বত্যবাসীকে  উপহার দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পার্বত্য অঞ্চলে  বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সহাবস্থানকে আরো গতিশীল করবে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নব নিযুক্ত সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
 
এর আগে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন ও রঙীন বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজিব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা। 

সম্মেলনের ১ম পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মফিজুল হক প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার সদস্য সচিব উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা।

সম্মেলন এর দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যান সংস্থার শিল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় কাউনসিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

আরও খবর



সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন গঠনমূলক সাংবাদিকতাকে স্বাগত জানিয়ে।এজেন্ডা নিয়ে কোনো অপতথ্য ছড়ালে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব,

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সকল সমালোচনা স্বাগত জানাই। কিন্তু এজেন্ডা নিয়ে কোনো অপতথ্য ছড়ালে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। গঠনমূলক সাংবাদিকতাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমি মনে করি না সরকার যারা পরিচালনা করছেন তারা সবাই ফেরেশতা; সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, আমরা জানি আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সে সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সে ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা নয় মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সে বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে তেমনই তথ্যের সঙ্গেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। কঠিনটা যাতে সহজতর হয় সে পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্য যে, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। সেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এ কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

আরাফাত আরও বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাস হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি।

তিনি বলেন, যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে- প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুত সময়ে সংসদে পাস করার ব্যবস্থা করব।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যা আছে তো আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকব। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করব।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করব। একই সঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখব না।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হনিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ও ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


আরও খবর