Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাকেরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে ৪ তরমুজ চাষীকে কুপিয়ে জখম, আটক-৩

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image
বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি:বরিশালের বাকেরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে ৪ তরমুজ চাষীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আহতরা হলেন বাহাদুর হাওলাদার (৩৬), বাবু হাওলাদার (৩০), কবির হাওলদার (৩৫) ও পনির হাওলাদার (৩০)। আহতদের মধ্যে বাহাদুর হাওলাদার ও বাবুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ভরপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান লিটনসহ  ৩জনকে আটক করেছে।

সোমবার (৪মার্চ) সকাল ১০ টায় উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের কামারখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতের ভাই মিলন হাওলাদার বাদি হয়ে ১৪-১৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে ঘটনার পরপর বেলা ১ টায় তরমুজ চাষিরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহির হাওলাদার। থানায় জমা দেয়া অভিযোগ পত্র ও সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, উপজেলার ভারপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ গ্রামের মৃত সোহরাব হাওলাদারের পুত্র মোঃ মিলন হাওলাদারের দুই ভাই বাহাদুর হাওলাদার ও রিয়াজ হাওলাদার বরিশাল শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টের আওতাধীন চরের ৬০-৬৫ একর জমি লিজ নিয়ে গলাচিপা উপজেলার ২৫-৩০ জন কৃষকের সহযোগিতায় তরমুজ চাষ করেছেন। তরমুজ চাষ করা শুরু থেকেই একই গ্রামের শাজাহান গাজীর পুত্র রুদ্র গাজী ও মৃত গাজী আলাউদ্দিনের পুত্র মিজানুর রহমান লিটন গাজী বিভিন্ন সময় তাদের নিকট নগদ ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাষকৃত জমিতে ঠিকঠাক তরমুজ চাষ করার উদ্দেশ্যে কৃষকরা বিবাদীদেরকে বিভিন্ন সময় নগদ ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। তা সত্বেও তারা ১ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবিতে তরমুজ খেতে গিয়া আধা পাকা তরমুজ নষ্ট করে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করেন। সোমবার সকাল ১০ টায় তরমুজ চাষী মোঃ মিলন হাওলাদারের ভাই বাহাদুর হাওলাদার নিজ বাড়ি দুধলমৌ কাউন্টারে যাওয়ার পথে কামারখালী বাজারের মুদি ও স্টেশনারী দোকানের সামনে পৌঁছালে রুদ্র গাজী, মিজানুর রহমান লিটন গাজী, গাজী তোফায়েল হোসেন জামাল, গাজী সাদ, রঞ্জু গাজী, মঞ্জু গাজী, মোঃ নেওয়াজ শরীফ, শাহজাহান গাজী, শুভ ও মোঃ জাকিরসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন পরিকল্পিতভাবে দা, ছেনা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে তার পথরোধ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিলে পেটে ও মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে বাবু হাওলাদার ও পনির হাওলাদারকেও কুপিয়ে আহত করে। হামলাকারীরা এসময় নগদ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। 

সংবাদ সম্মেলনে চাষী মহির হাওলাার ও কামাল জানান, প্রতি বছর তারা তরমুজ চাষ করতে এসে এলাকায় চাঁদাবাজি ও হয়রানীর শিকার হন। চাঁদাবাজরা তাদের হুমকি দিয়েছে অতিশীঘ্র চাঁদা দাবির ১ লক্ষ টাকা না দিলে চাঁদাবাজরা তাদেরসহ তরমুজ চাষী বাহাদুর হাওলাদারকে খুন করিবে, তরমুজ নিয়া যাইবে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকাইবে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তারা ঊর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

আরও খবর



আজ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা,মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ রোববার (৫ মে) চলমান তাপপ্রবাহে বন্ধ থাকার পর সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।

শনিবার (৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের।

তিনি বলেছেন, রোববার (৫ মে) থেকে ক্লাস শুরু হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ করতে হবে কিছু নির্দেশনা।

নির্দেশনাগুলো হলো:-

১. তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা;

২. শ্রেণিকক্ষের বাইরের শিক্ষাকার্যক্রম সীমিত করা;

৩. শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা;

৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়েও অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

পরদিন সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।

পরে শুক্রবার (৩ মে) আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে ঢাকাসহ ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার (৪ মে) বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



গোপন বৈঠক করার অভিযোগে ৫ প্রিজাইডিং অফিসার সহ গ্রেপ্তার ৬, থানায় মামলা দায়ের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে একজন প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে ৫ প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ কারনে ১০ প্রিজাইডিং অফিসারকে পরিবর্তন করেছে রিটানিং কর্মকর্তা। সোমবার  রাতে  জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সন্মেলনে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতারা হলো, সিরাজগঞ্জ সদর  উপজেলার যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম,  শহরের এস,বি রেলওয়ে কলোনী হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আবু সামা, বাহুকা কলেজের প্রভাষক বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন আরাফাত এবং এদের সমন্বয়ক শিয়ালকোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক   আমিনুর ইসলাম।

জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, রবিবার রাতে  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়  সদর উপজেলার কাদাই এলাকার একটি রিসোর্টের ভিতর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার তালিকাভুক্ত কতিপয় প্রিজাইডিং অফিসার  একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনেকে প্রভাবিত করতে  গোপন বৈঠক করছেন। সংবাদ পাওয়ার পরই সেখানে পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচন অফিসের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে তাদের পাওয়া যায়নি। অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে সিসি টিভির ফুটেজ ও ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের থানায় নিয়ে আসা হয়।

সংবাদ সন্মেলনে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার  ও এদের মাষ্টার মাইড  শিয়ালকোল সরকারি    প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে কোন প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করা হচ্ছিল সে বিষয়টি আরো তদন্তের পর জানানো হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সন্মেলনে রিটারিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে  সোমবার মামলা দায়ের  করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭১টি কেন্দ্র রয়েছে।

আরও খবর



রূপগঞ্জে ভূমি দস্যু জমি দখল বালু ভরাটের প্রতিবাদে মানববন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭২জন দেখেছেন

Image

মোঃআবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-

নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে কৃষকের ফসলি জমি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে জোর করে বালু ভরাট করে দখল করে নেয়ার প্রতিবাদে ভূমি দস্যু রাজ্জাক বিন ইউসুফের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় কৃষকরা।বুধবার (১৫মে ) দাউদপুর ইউনিয়নের বির  হাটাবো গ্রামের আল -জামি আহ আস- সালাফিয়্যাহ মাদ্রাসার সামনে  শতাধিক ভুক্তভুগী জমির মালিক ও কৃষকরা এ মানববন্ধন করে 


মানববন্ধনপূর্বক সভায় কৃষক ও জমির মালিকরা বলেন , দীর্ঘদিন ধরে বালু ভরাট জোর পূর্বক দখল করে  স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ করে তিনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব করে বেড়ায়। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না বলে জানা যায়।  রূপগঞ্জ থানা সহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন কাজে আসেনি বলে জানিয়েছেন আব্দুর রহমান  নামে ভুক্তভুগী কৃষক এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে কৃষকদের মাঝে।



একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে জানা যায়,  রাজ্জাক বিন ইউসুফ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের  বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে বির হাটাবো দেবগ্রাম, বির  হাটাবো,আমদিয়া মৌজার চার একর তের শতাংশ জায়গা জোর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দখল নেয়। ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান বলেন, রাজ্জাক বিন ইউসুফ আমার দেবগ্রাম মৌজার ৪৬ শতাংশ জায়গা বিভিন্নভাবে দখল করে বালু ভরাট করে।জমি দখল ও বালু ভরাটের কথা জানতে কথা বলতে চাইলে , গণমাধ্যম কর্মীদের রাজ্জাক বিন ইউসুফের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কোরবানির জন্য পশু আমদানির প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন,আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে, তাই আমদানির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কোরবানির ঈদের জন্য আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে আমাদের গবাদিপশুর বাজার স্থিতিশীল ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের আশ্বস্ত করেছি, তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এ বছর গবাদিপশু আমদানি করার প্রয়োজন নেই।

আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের দেশীয় উৎপাদিত যে গবাদিপশু খামারিরা লালন-পালন করেন, সেটাই যথেষ্ট। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।

তিনি বলেন, আগামী কোরবানির ঈদে বাজার যাতে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা আগামী কোরবানির ঈদ আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে পারব। সেই আনন্দ প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে থাকবে, সেটাই প্রত্যাশা করছি।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, গতবারের তালিকার চেয়ে আমাদের তিন লাখ বাড়তি সরবরাহ আছে। গত বছর আমাদের ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদিপশু বাজারে ছিল। কিন্তু অবিক্রীত ছিল ১৯ লাখ। সেই তুলনায় এবার ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি পশুর সরবরাহের আয়োজন রাখা হয়েছে।

পশুর হাটে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ওই সময়ে এক বিশেষ শ্রেণির মানুষ বিশেষ সুযোগ নেয়। যে কারণে অনেক সময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কোরবানির আগে আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ঠিক করব, কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।


আরও খবর



সৈয়দপুরে মা ও মেয়ে একসাথে উত্তির্ন এস এস সি পরিক্ষায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৫০জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরর ও প্যানেল মেয়র-৩ সাবিয়া সুলতানা ও তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তির্ন হয়েছেন।

ওই পরিক্ষায় প্যানেল মেয়র সাবিয়া সুলতানা পেয়েছেন জিপিএ-৩.৬৪ ও মেয়ে মোহিনী পেয়েছেন ৩.৫০ পয়েন্ট।মা পড়াশোনা করেছেন আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে আর মেয়ে শহরের ইসলামিয়া স্কুল থেকে। 

শিক্ষার যে কোন বয়স নেই তার প্রমান করলেন মা সাবিহা সুলতানা। এঘটনায় সৈয়দপুর শহর আলোচনায় মুখরিত। 

সাবিহা সুলতানা বলেন, আমার মা ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিল। নবম শ্রেনিতে যখন পড়তাম তখন আমার বিয়ে দেয়া হয়। স্বামী চাকরি করতেন পৌর পরিষদের অধিনে। তার ইচ্ছে ছিল আমাকে পড়াশোনা করাবে কিন্তু  শ্বশুর বাড়ির লোকজন চাইতেন না বলেই পড়াশুনা করতে পারিনি।  প্রায় দশ বছর আগে আমার মা মারা যাওয়ায় জনগনের চাপের মুখে আমি সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন করি। ওই নির্বাচনে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করেন। পরপর দুইবার  কাউন্সিল নির্বাচিত হলে বর্তমান পৌর মেয়র ও এলাবাসী আমাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলে।  সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশুনা শুরু করি। কারন, পড়াশুনার যে কোনো বয়স বা বিকল্প নেই বলে তা আমি জানতে পেরেছি । ভর্তি হই আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। মেয়ে এস এস সির ফরম ফিলাপ করে ইসলামিয়া স্কুল থেকে, আর আমি আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে। মা ও মেয়ে একসাথে এস এস সি পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়ে খুব ভালো লাগছে।  তিনি সকল মা দের বয়স না দেখে শিক্ষিত হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। 


আরও খবর