Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বাগেরহাটে পরিবেশবান্ধব নির্মান সামগ্রী মেলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:প্রথমবারের মত বাগেরহাটে পরিবেশবান্ধব নির্মান সামগ্রী‘র মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ জুন) সকালে শহরের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে কোডেক- এসইপি (সাস্টেইনএবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট) প্রকল্পের আয়োজনে এই মেলা শুরু হয় । দিনব্যাপি মেলার উদ্বোধন করেন বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম। এসময়, গনপূর্ত বিভাগ, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাফর সিদ্দিক, খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আসিফ উদ্দিন রাখি, কোডেক-স্বপ্নযাত্রা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহাবুব আলম, কোডেক-এসইপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক লোকমান হোসেন, ডকুমেন্টেশন অফিসার এসএম তানভীর হোসেনসহ পরিবেশ বান্ধব নির্মান সামগ্রী তৈরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ মেলায় আগত স্টল ও খানজাহান আলী কলেজে ব্লক দিয়ে নির্মিত মডেল পাঠাগার পরিদর্শণ করেন। মেলায় পরিবেশ বান্ধব নির্মান সামগ্রী কংক্রিটের তৈরি ইউনি ব্লক, সলিড ব্লক, পার্কিং টাইলস তৈরির ১০টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের স্টল ছিল। উদ্যোক্তারা পরিবেশ বান্ধব নির্মান সামগ্রী মেশিন ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করেন। স্বয়ংক্রিয় মেশিন দিয়ে ব্লক তৈরি করে দেখানো হয়। উদ্যোক্তারা পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া, গুণগত মান, ব্যবহার ও বাজারে চাহিদা সম্পর্কে অবহিত করেন দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীরাও ইটের বিকল্প হিসেবে ইউনি ব্লক, সলিড ব্লক, পার্কিং টাইলস ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এসইপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক লোকমান হোসেন বলেন, মূলত ইট ভাটায় নির্গত ধোয়া থেকে পরিবেশ দূষণরোধ ও কৃষি জমি রক্ষা করতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইটের ব্যবহার কমানো প্রয়োজন। এই কারণে পিকেএসএফ এর সহায়তায় কোডেক-এসইপি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইটের বিকল্প ব্লকের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য উদ্যোক্তাতের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ, বুয়েট থেকে টেস্টিং ও সার্টিফিকেট প্রদান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ, লার্নিং ভিজিট, মডেল স্থাপনা তৈরি, প্রকল্পের ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয়সহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করছে। এ পর্যন্ত বাগেরহাটে কংক্রিটের ব্লক দিয়ে ৫টি বাড়ি, দুটি রাস্তা নির্মিত হয়েছে। বিশ জন উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে, যারা নিয়মিত ব্লক বিক্রি করছেন।


আরও খবর



ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:ন্যায্য মজুরি প্রদান না করা ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে রংপুর শ্রম আদালতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক (অবসরপ্রাপ্ত) মো. ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে রংপুর শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। শ্রম মামলা নং ১৩/ ২০২৩।  আদালতের বিচারক একেএম ফজলুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানির তারিখ ধার্য করেন। 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামিম আল মামুন বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মজুরি, গ্রাচ্যুইটি ও অর্জিত ছুটির অর্থ বাবদ বাদীর পাওনা ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা প্রদান না করা ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং উক্ত পাওনা ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লিখিত টাকা পাওনা থাকলেও সেটা প্রদান না করেই বাদীকে বিভিন্ন সময় চাপপ্রয়োগ করে অবসর নিতে বাধ্য করেছেন ১নং বিবাদী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। মামলা দায়েরের মাধ্যমে পাওনাসহ ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বাদী ফারুকুল ইসলাম।


আরও খবর



হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধে মালিক পক্ষের ভূমিকা অপরিহার্য: কুষ্টিয়ায় প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত 'গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা' শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভা ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং মঙ্গলবার সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিচারপতি মো.নিজামুল হক নাসিম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল কুমার কর্মকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল। জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা হলুদ সাংবাদিকতা রোধে বিভিন্ন প্রস্তাবনাসহ বক্তব্য রাখেন।

আরও খবর



খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ। ক্রীড়ার ভেতর দিয়েই শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটে। খেলাধুলার মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীরা সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, দলগত প্রচেষ্টা ও নেতৃত্ব প্রদানের গুণাবলি অর্জন করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব নিজে খেলাধুলা করতেন। তার পুত্র শেখ কামাল এবং পুত্রবধু সুলতানা কামাল ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের পেশাদার খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক। ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য জাতির পিতা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পথ অনুসরণ করে আমরাও পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।’

আজ মঙ্গলবার ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‌‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক, প্রগতিশীল রাষ্ট্রে উন্নীত করার জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত অসাম্প্রদায়িক, মননশীল, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন, কর্মনিষ্ঠ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ শিগগিরই একটি বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ, আত্মনির্ভরশীল, আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে শারীরিক ও ক্রীড়া শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে শারীরিক ও মননগত বিকাশের মাধ্যমে সংবেদনশীল, যুক্তিনির্ভর ও পরোপকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে সেজন্য স্কাউটিং এবং গার্লস গাইডকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রীড়াকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলমান আছে। ক্রীড়া নিয়ে উচ্চ শিক্ষার দ্বারও আমরা অবারিত রেখেছি। বিদ্যমান কিছু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করেছি এবং নতুন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম তৈরি করছি।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি জাগরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় উৎসব জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে। আশা করি, ২৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনগুলো প্রিয় শিক্ষার্থীদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।সূত্র: বাসস


আরও খবর



ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক বিনিয়োগ দাবি তরুণদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট  প্রতিনিধি:“ফান্ড আওয়ার ফিউচার” (আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক বিনিয়োগ কর) গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক সমর্থনে  বাগেরহাটে কর্মসূচি পালন করেছে। শুক্রবার( ১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। যুবরা সরকারী পর্যায়ের বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলো এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানীর পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করার আহবান জানায়। 

জলবায়ু সংকট নিরসন, ন্যায়বিচার দাবি ও জনগনকে সচেতন করতে একশনএইড বাংলাদেশের সহায়তায় ও এক্টিভিস্তা নেটওয়ার্ক এর  ৩০ টিরও বেশি যুব সংগঠনের সহস্রাধিক তরুণ এই গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে অংশ নেয়। সংগঠণগুলোর মধ্যে অন্যতম ইয়ুথ একশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট, সূর্যোদয় যুব সোসাইটি, সিক্ত বাংলাদেশ, সোসাইটি ফর একশান এন্ড ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ-সাদা, চেঞ্জমেকার্স, ইয়ুথ একশন ফর ডেভেলপমেন্ট, নির্ভয় ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ আর্মি, ভ্রমণকন্যা-ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ, জনকল্যান সংস্থা, বিডি ফাউন্ডেশন, টিম ইনক্লুশন, ভলান্টিয়ার অপরচুনিটিস, উদ্ভাবন সমাজ কল্যাণ সংস্থা, শরুব ইয়ুথ টিম, এসএইচবিও, নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্স, ব্রাইট ইয়ুথ অর্গানাইজেশন। একই সময়ে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেট, নীলফামারি, জামালপুর ও বরগুনাসহ বাংলাদেশের ২৬টি জেলায় এবং ৭ টি লোকাল ইয়ুথ হাবে তরুণ এক্টিভিস্টা স্বেচ্ছাসেবকরাও এই গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে সংহতি প্রকাশ করেন।

এসময় তরুণরা দলমত নির্বিশেষে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সাথে নিয়ে জলবায়ু সংকট নিরসন, ন্যায়বিচার দাবিতে ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেয়। তাদের প্ল্যাকার্ডগুলোতে প্রকাশ পায় পৃথিবীকে জলবায়ু সংকট থেকে বাঁচিয়ে তুলার আকুতি। প্লেকার্ডে তাদের প্রতিবাদের অক্ষরে লিখা দাবি জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ কর; নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি কর, জলবায়ু সুবিচার চাই, ইত্যাদি প্রকাশ পায়। 

তাছাড়াও যুবরা বলেন, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানীতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে, তাদের নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে আমাদের এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানীতে অর্থায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে যার প্রভাব পড়ছে মূলত দক্ষিণের জলবায়ু-সংরক্ষিত দেশগুলিতে। এটি অনুন্নত দেশগুলোর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে তাদের পরিবেশগত ঋণ বহুগুন বাড়িয়ে তুলছে। আমরা বাংলাদেশের তরুণরা তাই সর্বোচ্চ কার্বণ নির্গমনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশগুলির কাছে অবিলম্বে জীবাশ্ম-তহবিল বন্ধ করাসহ জলবায়ু সংকটের কারণে ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলির জন্য লস এন্ড ডেমেজ এ অর্থায়ন নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে জিবাশ্ম জ্বালানির কোম্পানি ও বানিজ্যিক কৃষির মত ক্ষতিকারক এরিয়াগুলোতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। 

জলবায়ু বিষয়ে জনগন ও নীতিনির্ধারকদের সুবিবেচনার জন্য স্ট্রাইকের বিকল্প নেই বলে জানান একশনএইড বাংলাদেশের একজন তরুণ এক্টিভিস্টা ও জলবায়ুকর্মীরা  তারা বলেন, “প্রতি বছর উপকূলীয় অঞ্চলে পানি বাড়ছে এবং আমি যেখান থেকে এসেছি সেখানে আমাদের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ভবিষ্যত প্রজন্ম ও বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করা বাঞ্চনীয়। যত তাড়াতাড়ি আমাদের বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ এই কাজ করবে তত তাড়াতাড়ি এ পৃথিবী সুরক্ষিত হবে।”

একশনএইড বাংলাদেশ এর যুব প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক মোঃ নাজমুল আহসান জানান “সারা পৃথিবীতে যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানিতে ও ব্যবসায়িক কৃষি পন্যে বিনিয়োগ বেড়ে চলছে তা ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়নমূলক পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে একটি বিরাট অন্তরায়। ফলে বাংলাদেশের তরুণরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জলবায়ু সহিষ্ণু টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু প্রশমন তহবিলের দাবি করছে।” 

একশনএইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘‘ফসিল-ফাইনান্স ও ক্ষতিকর ব্যাবসায়িক কৃষি পন্যতে বিনিয়োগ প্রবণতা ক্রমবর্ধমান পুঁজিবাদী মানসিকতার একটি প্রধান উদাহরণ যেখানে মানুষের চেয়ে মুনাফাই মুখ্য। এটি পৃথিবীতে বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ুকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস


আরও খবর



তোতলা আজাদের চোরাচালান ও চাঁদাবাজি দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা ও চুনাপাথর পাচাঁরের কারণে ৩ শুল্কস্টেশনের শতশত ব্যবসায়ীরা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ্য। প্রতিদিনের মতো গতকাল রবিবার (১৭ সেপ্টেম্ভর) রাত ১২টার পর থেকে আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্ভর) ভোর পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে জেলার বীরেন্দ্রনগর, চারাগাঁও, বালিয়াঘাট, টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে প্রায় দেড় হাজার মেঃটন কয়লা ও চুনাপাথরসহ বিপুল পরিমান চিনি, বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এব্যাপারে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক ইউপি সদস্য রাশিদ মিয়া, ধন মিয়া, ফজলু সরর্দার ও আবুল বাশার খান নয়নসহ অনেকে বলেন- তাহিরপুর থানার সাবেক ওসি আব্দুল লতিফ তরফতার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ও কয়লাসহ যাদেরকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়ে ছিলেন, সেই আসামীদেরকে সোর্স বানিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সহযোগী নেকবর আলী প্রায় ২বছর যাবত অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা ও চুনাপাথর পাচাঁর করে নিজেরা ব্যবসা করছে, আবার পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নামে পাচাঁরকৃত প্রতিনৌকা থেকে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে। তারা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে ইতিমধ্যে হয়েগেছে কোটিপতি কিন্তু এসব দেখার কেউ নাই। এই সীমান্তের বাসিন্দা আলী হোসেন, বাবুল মিয়া, মানিক মিয়া ও রফিক মিয়াসহ অনেকেই বলেন- তোতলা আজাদ একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, মোক্তার মহলদার, আক্কাছ মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, আইনাল মিয়া, লেংড়া জামাল, আনোয়ার হোসেন বাবলু, রুবেল মিয়া, খোকন মিয়া, বায়েজিদ মিয়া ও জসিম মিয়াগংকে নিয়ে সিন্ডিকেড তৈরি প্রতিদিন লাখলাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চুরি করে কয়লা ও পাথরসহ মাদক পাচাঁর করলেও এব্যাপারে কেউ পদক্ষেপ নেয়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সরকারের রাজস্ব দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী করে ৩ শুল্কস্টেশনের প্রায় ৭শত ব্যবসায়ী। কিন্তু রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনের সযোগীতায় প্রতিদিন শতশত মেঃটন কয়লা ও চুনাপাথর পাঁচার করাসহ চাঁদাবাজি করছে চোরাকারবারীরা। এব্যাপারে সংশ্লিস্ট প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও তারা পদক্ষেপ নেয়না। তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সদস্য রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ বলেন-চোরাচালান ও চাঁদাবাজির জন্য বিজিবি দায়ী। তারা সুযোগ দেওয়ার কারণে সীমান্তে অন্যায় কর্মকান্ড হচ্ছে। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের টেকেরঘাট কোম্পানীর দায়িত্বে থাকা কমান্ডার ওবায়দুর বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি নিয়ে আমি কিছু বলতে পারবনা। এব্যাপারে আমাদের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।


আরও খবর