Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাগেরহাটে চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে আটেকে রেখে নির্যাতন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২২৩জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চুরির অপবাদ দিয়ে শেখ আব্দুল্লাহ (২৫) নামের এক যুবককে প্রায় ২২ ঘন্টা আটকে রেখে অমানুসিক নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি স্থানীয় বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহর সামনে ওই যুবকের চোখ তুলে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ফাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে নির্যাতনের বিষয়টি কাউকে না জানানোর শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয় আব্দুল্লাকে। ঘটনাটি ঘটেছে রামপাল উপজেলার ব্রী-চাকশ্রি এলাকায়।


জানাযায়, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ইজিবাইকযোগে বাগেরহাট আসার পথে রামপাল উপজেলার চাকশ্রি নামক স্থান থেকে জোরপূর্বক শেখ আব্দুল্লাহকে তুলে নিয়ে যায় ব্রি চাকশ্রী এলাকার শেখ হাসান আলী ও ইউপি চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহর ভাগ্নে আবু সালেহসহ কয়েকজন। চুরির অপবাদ দিয়ে প্রায় ২২ নির্যাতনের পরে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয় শেখ আব্দুল্লাহকে। এদিকে চারদিন পার হলেও এ ঘটনায় কোন মালা হয়নি। তবে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় নরেচড়ে বসেছে পুলিশ।  ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।

ভাইরাল হওয়া ২ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়ঃ একটি ঘরের পিছনে আম গাছের সাথে বেধে এক যুবককে মারধর করছে কয়েকজন যুবক। পরে মাটিতে শোয়ায়ে এক পা পাড়ায়ে ধরে আরেক পা উপড়ে উঠিয়ে গালিগালাজ করা হচ্ছে। এক পর্যায়ে দুই পায়ের তলায় মোটা লাঠি দিয়ে পেটাতে দেখা যায় আবু সালেকে। ওই যুবক মাগো মাগো বলে চিল্লাচ্ছিল।


নির্যাতনের শিকার আব্দুল্লাহ বাগেরহাট সদর উপজেলার মুনিগঞ্জ এলাকার শেখ গফুরের ছেলে। সে বর্তমানে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নির্যাতনের শিকার আব্দুল্লাহ বলেন, পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ব্রি চাকশ্রী এলাকার শেখ হাসান আলীকে আমি ১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা ধার প্রদান করি। কিন্তু সে আমাকে টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকে। পরবর্তীতে টাকা বাবাদ শেখ হাসান আলী তার মালিকানাধীন ইজিবাইকটি আমার কাছে বিক্রি করে দেয়। প্রতিদিন দুইশ টাকা ভাড়ায় সে ইজিবাইকটি চালাতে থাকে। কিন্তু কয়েকদিন টাকা দেওয়ার পরে আর টাকা দেয় না। যার কারণে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমি ইজিবাইক নিয়ে বিক্রি করে দেই। পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে আর কথা হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ইজিবাইকযোগে রামপাল থেকে বাগেরহাট আসার পথে চাকশ্রী নামক স্থান থেকে  শেখ হাসান আলী ও চেয়ারম্যানের ভাগ্নে আবু সালেহসহ কয়েকজন মিলে জোরপূর্বক আমাকে ধরে নিয়ে যায়। ব্রি চাকশ্রী এলাকায় শেখ হাসান আলী বাড়িতে নিয়ে আমাকে নির্যাতন করে। সন্ধ্যার দিকে আমার বন্ধু প্রাইভেট কার চালক আল আমিনকে চাকশ্রী আসার জন্য আমাকে দিয়ে ফোন করায়। পরে আল আমিন গেলে তাকেও বেধে রাখে হাসান ও আবু সালেহ‘রা। সারারাত আমাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে আবুল সালেহ ও হাসানসহ কয়েকজন। বেধরকের মারপিটের সাথে শরীরে সিগারের সেকা ও আঙ্গুলের মধ্যে খেজুরের কাটা ঢুকিয়েছে। চোখ উঠিয়ে ফেলার কথা বলেছে।


আব্দুল্লাহ আরও বলেন, সারারাত এভাবে অত্যাচারের পরে দুপুরে বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহর কাছে নিয়ে যায় আমাকে ও আমার বন্ধু আল আমিনকে। তিনি কোন কথা না শুনে আমাদের চোখ তুলে ফেলতে বলেন। পরে ফাকা স্ট্যাম্পে আমার এবং আমার মায়ের স্বাক্ষর রেখে এবং ৩ লক্ষ টাকার দেওয়ার স্বীকারোক্তি রেখে ছেড়ে দেয়। আমার উপর হামলাকারীদের কঠিন বিচার চাই।


শেখ আব্দুল্লাহ‘র মা খালেদা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে যেভাবে নির্যাতন করেছে তা মানুষে করে না। চেয়ারম্যানের কাছে যেয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। আমি আমার ছেলেকে নির্যাতনের বিচার চাই। প্রত্যক্ষদর্শী শেখ আব্দুল্লাহ‘র বন্ধু প্রাইভেটকার চালক আল আমিন বলেন, আল আমিনের ফোন পেয়ে চাকশ্রী বাজারে গেলে, হাসান ও আবু সালেহ আমাকে বেধে রাখে। সারারাত আব্দুল্লাহকে নির্যাতন করে। শুক্রবার দুপুরে আমাদের ছেড়ে দেয়।


এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ বলেছেন, তার সামনে কোন নির্যাতন হয়নি। আবু সালেহ তার ভাগ্নে নয়।বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: অসীম কুমার সমাদ্ধার বলেন, যুবক আব্দুল্লাহ‘র শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা-জখম রয়েছে। মারাক্তক ইনজুরি রয়েছে কিনা সে বিষয়ে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর জানা যাবে।


পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, ভিডিওটি আমরা দেখেছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

 


আরও খবর

বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




স্মার্ট ফোনে দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করায় ২১ শিক্ষক বহিস্কার, গ্রেফতার ১

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চলতি দাখিল পরীক্ষায় স্মার্ট ফোনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আলীমন খান নামে এক যুবককে গ্রেফতার ও সহকারি কেন্দ্র সচিবসহ দায়িত্বরত ২১ জন শিক্ষককে কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে এক বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। রবিবার বেলা ১০টার দিকে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষা শুরুর পরপরই পোলেরহাট আজহারিয়া দাখিল মাদরাসা উপকেন্দ্রে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে ধরা পড়ে। কেন্দ্রটিতে ৪৭৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।

নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, আলামিন খান(২২) নামে বহিরাগত এক যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের সাথে কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকদের হাত রয়েছে এমন সন্দেহে সহকারি কেন্দ্র সচিব মাওলানা আব্দুস সোবাহানসহ দায়িত্বরত ২১জন শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নতুন করে নিয়োগ দেওয়া কক্ষ পরিদর্শকেরা পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন।

কেন্দ্র সচিব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মোবাইল ফোনে প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত সন্দেহে আলামিন খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষকও এ ঘটনায় জড়িয়ে যেতে পারেন। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও খবর



অল্প সময়ে মানুষের মন জয় করেছেন কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুকুল আলম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:লাখো শহীদের রক্তে ও মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সোনার বাংলাদেশে জন নিরাপত্তায় নিয়োজিত অন্যতম বাহিনী “বাংলাদেশ পুলিশ” যা এখন আর আতংকের নাম নয়,পুলিশ মানে হিংস্র মনোভাবের প্রাণী নয়, পুলিশ মানে শুধুই লাঠিপেটা আর ভীতিকর চরিত্রের বেরসিক দায়িত্বশীল নয়, পুলিশ মানে এখন মানুষের ভালবাসার অরণ্য, পুলিশ মানে এখন মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার ঠিকানা, পুলিশ মানে এখন সমাজ ও মানবতার সিনবাদ।

গোটা দেশের প্রশাসনিক দায়িত্বরত পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কাফরুল থানার পুলিশ এ পর্যন্ত নতুন নতুন কিছু কার্যক্রম ও মানবিক কাজে নিজেদেরকে একত্রিত করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। এইজন্য কাফরুল থানা  পুলিশ যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় মানুষের হৃদয়ে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলে নিজেকে ও পুলিশ বাহিনীকে বরেণ্য করেছেন মানবিক পুলিশ  অফিসার (ওসি)  ফারুকুল আলম ।

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ  ফারুকুল আলম জানান, মাদকের বিরুদ্ধে শুরু করেছি  যুদ্ধ, জনমত গড়ে তুলতে আমরা  বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরে ছুটে যাচ্ছি, তেমনি ইভটিজিং ও কিশোর  গ্যাং কালচার রুখতে যাচ্ছি স্কুল-কলেজে। সেবা প্রদানের ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা করে আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি  । 

২৪ ঘন্টায় ওসিকে ফোনে পাওয়া যায়। জঙ্গিবাদে না জড়ানো, ইভটিজিং না করা, গুজব না ছড়ানোর আহ্বান যেমন রয়েছে, ভাড়া বাড়ির মালিককে সতর্ক করে ভাড়াটিয়া সম্পর্কে খোঁজ রাখার অনুরোধও জানানো হয়েছে।

এছাড়া তার সাথে রয়েছে দক্ষ চৌকস  অফিসার এসআই রানা। তার নাম ও কাফরুল থানা এলাকার মানুষ মনে রাখবে সবসময়।

আরও খবর

বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন,মোকামগুলোতে সকালে বাড়ছে তা আবার বিকেলে কমছে পেঁয়াজের দাম।

আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে বাংলহিলি পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগেও যে দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা থেকে ১০৫ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা জুয়েল বলেন,দুই দিন আগে আমি পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি দরে। আজকে আধা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৪৫ টাকা দিয়ে। হিলি বাজরের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন জানান,দুই দিন আগে পাইকারী বাজার থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৯৪-৯৫ টাকা দরে কিনে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ মঙ্গলবার সকালে পাইকারী বাজার থেকে ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা দরে কিনে খুচরা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।

তিনি আরও বলেন,আমরা চার দিন আগে মোকামে সকালে এক দামে কিনলে বিকেলে মোকামে আরেক দাম ওঠে। এভাবে দাম ওঠা নামা করলে আমরা পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা পড়ে যাই বিপাকে। মোকামেই এভাবে পেঁয়াজের দাম ওঠা নামা করায় কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা আমাদের লোকসান গুনতে হয়। আমরা স্থানীয় পাইকারী বাজারে চার দিন আগে যে পেঁয়াজ কিনেছি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ আমরা খুচরা পর্যায়ে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। চার দিন আগে কিনা পেঁয়াজেই এখনো বিক্রি করে শেষ করতে পারিনি। গত রোববার থেকে মোকামে দাম কমায় আমাদের আগের কিনা পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে।

হিলি বাজারের পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন,বর্তমানে মোকামে প্রকারভেদে ২৮ থেকে ৩৬ শত টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। মোকামেই ২৮ থেকে ৩৬ শত টাকা মন কিনে আবার পরিবহন ভাড়া আছে। সব খরচ মিলে মোকামেই কিনতে পড়ছে কেজিপ্রতি ৯৩ টাকা ৫০ পয়সা।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে কুলিক নদীর মুল ধারাকে দখলমুক্ত করতে সুরক্ষা কমিটির মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কুলিক নদীর মুল ধারাকে দখলমুক্ত করা এবং প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র রক্ষায় রাণীশংকৈল উপজেলা কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে শনিবার (৯ মার্চ) উপজেলা পরিষদ মূল ফটকে কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ'লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, কুলিক নদী সুরক্ষা সকমিটির সদস্য সচিব এ্যাভোকেট মেহেদী হাসান শুভ, সাবেক পৌর আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিউল ইসলাম (ভিপি) প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী,প্রেসক্লাব (পুরাতন) সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, সহ-সভপতি হুমায়ুন কবির,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আরথান আলী, যুগ্ন সম্পাদক জাকারিয়া হাবিব ডন, ছাত্রলীগ নেতা তামীম হোসেন প্রমুখ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,কুলিক নদী সুরক্ষার জন্য রাণীশংকৈল পৌরসভার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত 'কুলিক' নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে খননকার্য পরিচালনা করিয়া নদীর গভীরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা। নদীর দুই পাড়ের ভাঙ্গন রোধে ব্লকপাথর দিয়ে বাধাঁই করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।  

কুলিক নদীর দুই পাড়ে পর্যাপ্ত বৃক্ষ রোপন করার মাধ্যমে বনায়ন কার্যক্রম সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন।নদীর দুই পাড়ের দখল উচ্ছেদ করিয়া নদীর সৌন্দর্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুলিক নদীকে পর্যটক বান্ধব নদীতে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন। কুলিক নদীর পানিকে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করা।

পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য কুলিক নদীতে ফেল্য হইতে বিরত থাকা হিসেবে ব্যবহার না করা।অতিথি পাখির নিরাপদ অবস্থান অথবা অনিশ্চিত গ্রহন করা। যেহেতু বাংলাদেশের নদ-নদী সমৃহ দেশের জাতীয় সম্পন্ন এবং নদীর অবৈধ দখল, পানি ও পরিবেশ দূষন, শিল্প কারখানা কর্তৃক সৃষ্ট নদী দূষন, অবৈধ অবকাঠামো নির্মান ও নানাবিধ অনিয়ম রোধকল্পে এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার ও নদীর যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন নিশ্চিতবঙ্গে বিধি বিধান রহিয়াছে বিধায় বর্ণিত বিধানাবলী তৎসম যথাযথ বিধানাবলী প্রয়োগের মাধ্যমে কুলীক নদীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরী এবং সময়ের দাবী।

আরও খবর

বজ্রসহ বৃষ্টি দেশের ৭ বিভাগেই হবে

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




মেট্রোরেল রাত ৯টার পরও চলবে, বাড়বে সংখ্যাও

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে রাত ৯টার পরও মেট্রোরেল চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে বাড়বে ট্রেনের সংখ্যাও।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক ট্রেনের বাড়তি সিডিউল ঘোষণা করবেন।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জনসংযোগ কর্মকর্তা আফতাব মাহমুদ গালিব বলেন, আসন্ন ঈদে মানুষ দোকান পাট বেশি সময় খোলা রাখে। এসব যাত্রীদের সুবিধার্থে মেট্রোরেল চলাচলের সময় সূচি বাড়বে। আগামীকাল এমডি স্যার এই বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, ১৬তম রমজানের দিন মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এতে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা ১০টি বাড়বে। এখন দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। তখন চলবে ১৯৪ বার। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা আমাদের লক্ষ্য। এ জন্য চালুর পর থেকেই যাত্রী চলাচলের ধরন নিয়ে আমরা বিশ্লেষণ করছি। প্রয়োজন অনুসারে দুই ট্রেনের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা নিজেদের আয়ে চলছি। সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি নিচ্ছি না। মেট্রোরেল পরিচালনা ও বিদ্যুতের খরচ ওঠানো গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রী না বাড়িয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে লোকসান গুনতে হবে।


আরও খবর