Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাধ্যতামূলক অবসরে আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ২৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;আরও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের বিশেষ সুপার মো. মুনির হোসেনকে অবসরে পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে।

মুনির হোসেন ২০১১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) ছিলেন। এর আগে আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।


আরও খবর



কনডেম সেল নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আসামিদের কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে বন্দি রাখা যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।


আরও খবর



গলাচিপায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

রিয়াদ হোসাইন,গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর গলাচিপায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি খরিপ-১/২০২৪-২৫ এর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলা কৃষি অফিস হল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলালের সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার। 

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাসিম রেজা, গলাচিপা থানার ওসি তদন্ত মোকাম্মেল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজী মু. মজিবর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সরদার মু. শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন মাসুদ, কৃষক প্রতিনিধি কাওসার আহম্মেদ তালুকদার, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ আলম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ও মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এছাড়া সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজসহ প্রান্তিক কৃষকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




আত্রাইয়ে বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর আত্রাইয়ে শফির উদ্দিন (৭২) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। 

শনিবার সকালে তার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত বৃদ্ধ উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ছোটডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধ শফির উদ্দিন শনিবার সকালে পরিবারের সবার অজান্তে নিজ বাড়ির গোয়াল ঘরের তীরের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে স্বজনরা তার মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয় পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। 

এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আত্রাই থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরিবারের লোকজনের উপর অভিমান করে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



তানোরে তামান্না হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ মজুদ ভারতীয় আলু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৯২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার কালিগঞ্জ বাজারে অবস্থিত তামান্না হিমাগারে রাখা কৃষকের আলুতে গাছ গজিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেই সাথে ভারত থেকে আমদানি করা আলু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মজুদ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আমদানি করা আলু রাতের আধারে ঢুকানো ও বাহির করার কারনে গ্যাস সংকট। মুলত একারনেই আলুতে গাছ বের হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন কৃষকরা । এতে করে অধিক টাকা খরচে কৃষকের রক্ত ঘামের আলু নষ্ট হওয়ায় মাথায় পড়েছে হাত। ফলে হিমাগার কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকান্ডের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ শতশত কৃষকরা। যার কারনে কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন কৃষকরা।

কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরের পরে সরেজমিনে হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, আলু রাখা সেটে বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে আলু রাখা একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, আলুতে ট্যাক বা গাছ গজানো দেখতে হলে সকালের দিকে আসতে হত। আলু সেটে ঢালার পর প্রায় আলুতেই এক ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চি করে গাছ গজিয়েছে। প্রায় আলুর গাছ পরিস্কার করা হয়েছে। এজন্য এখন কম দেখা যাচ্ছে। গাছ গজানো আলু বিক্রি করা কষ্টকর এবং বাজার দামও কম হবে। কি কারনে গাজ গজিয়েছে জানতে চাইলে তারা জানান ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখছে আবার সেই আলু বাহির করছে। যার কারনে ঠিকমত গ্যাস দিতে পারেনি। মুলত একারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। এটার জন্য দায় হিমাগার কর্তৃপক্ষ।  তারা আমদানি করা আলুতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে  অধিক লাভের কারনে সাধারণ কৃষকের আলুর এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন । তালন্দ ইউনিয়ন ইউপির আলু রাখা এক কৃষক সেখানেই ছিলেন, তিনি বলেন হিমাগার কর্তৃপক্ষই আলু নিয়ে মহা সিন্ডিকেট করে থাকেন প্রতিনিয়তই। আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে  সেটে ফেলার পর প্রতিটি আলুতে গাছ গজিয়ে পড়েছে। দেখে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে পড়েছে। আলু ভালো থাকার জন্য হিমাগারে রাখা হয় অথচ ভালো থাকার পরিবর্তে গাছ গজাচ্ছে। ঈদুল ফিতরের পর ও গত সপ্তাহের দিকে ভারত থেকে আমদানি করা আলু হিমাগারে রাখার কারনে গ্যাস সংকট, সে কারনেই আলুতে গাছ গজিয়েছে। তিনি আরো জানান, তামান্নাতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে এবং বায়ার হিমালয় ও রাজেও রাখা আছে ভারতীয় আলু। 
আলু রাখা সেট থেকে যাওয়া হয় ম্যানেজারের চেম্বারে। সেখানে ম্যানেজার আব্দুল মান্নান ও  তার পাশে আরেকজন বসে ছিলেন। ম্যানেজার আব্দুল মান্নানের কাছে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এসব বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই।  ভারত থেকে আমদানি করা আলু আপনার হিমাগারে মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। তার পাশে থাকা আরেক ব্যক্তি বলেন, হিমাগারের বিষয়ে কিছু জানতে হলে তামান্নার হেড অফিসে চলে যেতে হবে।

সেখান থেকে বের হয়ে সেটে আসলে কালিগঞ্জ এলাকার এক কৃষক জানান সকালের দিকে শুনতে পেয়েছি হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ গজিয়েছে, আলু বিক্রি করব। কিন্তু গাছ গজালেতো দাম কম হবে। হিমাগার গুলো মহা সিন্ডিকেট শুরু করেছে। এহিমাগারে নাকি ভারত থেকে আমদানি করা আলু মজুদ আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ট্রাকের ট্রাক ভারতীয় আলু মজুদ রাখা আছে। তিনি আরেক বেপারিকে ডেকে বলেন ভারতীয় আলু কত বস্তা হতে পারে তিনি জানান নিম্মে হলেও ১০ হাজার বস্তা ভারতীয় আলু রাখা আছে। স্থানীয় ওই কৃষক আরো জানান, আমাদের  গ্রামের শ্রমিকরাই ভারতীয় আলু বাছাই করেছে।

তানোর পৌর এলাকার এক কৃষক মোবাইলে জানান, আলু বিক্রি করার জন্য সকালের দিকে তামান্না হিমাগারে যায়। গিয়ে দেখি যে সব আলু বের করে সেটে ঢেলেছে প্রায় আলুতে গাছ গজিয়েছে। গাছ গজানো আলু বাজার দর থেকে কম।  আমি বীজের আলুও রেখেছি, সে সবেও গাছ গজিয়েছে।

বেশকিছু প্রান্তিক আলু চাষীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে সব আলু গাছ গজিয়েছে ওই সব আলু সেটে ঢালার পর বাছাই করে বিক্রি করতে হবে। এজন্য গুনতে হবে বাড়তি টাকা।  
হিমাগারে ভাড়া লুজ, প্রতি বস্তা ৩২৫ টাকা,  কন্ট্রাক বুকিং প্রতি বস্তা ২৫০-৬০ টাকা, পেট বুকিং ২৩০-৪০ টাকা, লেবার খরচ প্লাটল বাবদ প্রতি বস্তা ২৫ টাকা, সেট খরচ প্রতি বস্তায়  ৩০ টাকা, লোড প্রতি বস্তায়  ৬ টাকা, ওজন প্রতি বস্তায় ৫ টাকা,কৃষক কে ঋন দিলে হিমাগার ২৮% সুদ নেয়, বাজার দর থেকে বাকিতে কৃষকের কাছ বস্তা প্রতি ৩০ টাকা বাড়তি নেয়।

এছাড়াও যে সব কৃষকরা একজনের নামে বুকিং কেটে ১০ জন মিলে হিমাগারে ৫ হাজার বস্তা আলু রাখলে মজুদদার হিসেবে হিমাগার কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছে তাদের তালিকা দিয়েছে । অথচ যারা ফড়িয়া ব্যবসায়ী হাজার হাজার বস্তা আলু মজুদ করে রেখেছে তাদের তালিকা দেয়নি হিমাগার কর্তৃপক্ষ। 

সুত্র জানায়, আলুর বাজার লাগামহীন হওয়ার কারনে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ভারত থেকে আলু আমদানি করেছেন সরকার । কিন্তু তামান্না হিমাগারের ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থির করার কারনে ভারতীয় আলু মজুদ করেছে বলে মনে করছেন প্রান্তিক আলু চাষীরা। 

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আমরা তামান্না হিমাগার কে একাধিক বার সতর্ক করেছি। কিন্তু আমাদের তো অভিযান দেয়ার ক্ষমতা নেই। বিষয় টি নিয়ে নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



সৈয়দপুরে মা ও মেয়ে একসাথে উত্তির্ন এস এস সি পরিক্ষায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৫০জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরর ও প্যানেল মেয়র-৩ সাবিয়া সুলতানা ও তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তির্ন হয়েছেন।

ওই পরিক্ষায় প্যানেল মেয়র সাবিয়া সুলতানা পেয়েছেন জিপিএ-৩.৬৪ ও মেয়ে মোহিনী পেয়েছেন ৩.৫০ পয়েন্ট।মা পড়াশোনা করেছেন আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে আর মেয়ে শহরের ইসলামিয়া স্কুল থেকে। 

শিক্ষার যে কোন বয়স নেই তার প্রমান করলেন মা সাবিহা সুলতানা। এঘটনায় সৈয়দপুর শহর আলোচনায় মুখরিত। 

সাবিহা সুলতানা বলেন, আমার মা ছিলেন সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিল। নবম শ্রেনিতে যখন পড়তাম তখন আমার বিয়ে দেয়া হয়। স্বামী চাকরি করতেন পৌর পরিষদের অধিনে। তার ইচ্ছে ছিল আমাকে পড়াশোনা করাবে কিন্তু  শ্বশুর বাড়ির লোকজন চাইতেন না বলেই পড়াশুনা করতে পারিনি।  প্রায় দশ বছর আগে আমার মা মারা যাওয়ায় জনগনের চাপের মুখে আমি সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন করি। ওই নির্বাচনে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করেন। পরপর দুইবার  কাউন্সিল নির্বাচিত হলে বর্তমান পৌর মেয়র ও এলাবাসী আমাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলে।  সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশুনা শুরু করি। কারন, পড়াশুনার যে কোনো বয়স বা বিকল্প নেই বলে তা আমি জানতে পেরেছি । ভর্তি হই আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। মেয়ে এস এস সির ফরম ফিলাপ করে ইসলামিয়া স্কুল থেকে, আর আমি আসমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে। মা ও মেয়ে একসাথে এস এস সি পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়ে খুব ভালো লাগছে।  তিনি সকল মা দের বয়স না দেখে শিক্ষিত হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। 


আরও খবর