আব্দুস সবুর তানোর থেকে:বাবা মার কবরসহ গ্রামের কবরস্থান জিয়ারত করে মনোনয়ন কিনতে গেলেন ঢাকায় গোলাম রাব্বানী। তিনি রাজশাহী -১ ( তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের মনোনয়ন কিনতে শনিবার ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিবেন বলে নিশ্চিত করেন রাব্বানী । এর আগে গত শুক্রবার রাব্বানী তার নিজ গ্রাম তানোর উপজেলার প্রকাশ নগর জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করে বাবা মায়ের কবরসহ গ্রামের প্রয়াত ব্যক্তিদের গোরস্থান জিয়ারত করেন । এসময় মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান, উপজেলা আ"লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল সরকার পাপুল, কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) সাবেক চেয়ারম্যান মুসলেম উদ্দিন প্রামাণিক, তানোর পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি রাজিব সরকার হিরোসহ বিপুল সংখ্যাক দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, গোলাম রাব্বানী তানোর উপজেলা আ"লীগের সাবেক সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার দুবারের মেয়র এবং পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) দুবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। বিগত ২০১৮ সালে প্রথমবারের মত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু পান নি। গত ২০২১ সালে রাব্বানী এমপি ভোট করার জন্য পৌরসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। রাব্বানীর পিতা প্রয়াত আলহাজ্ব মাহাম পাঁচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। তাদের পরিবার আ"লীগের পরিবার। তার দাদাও ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। ছাত্র জীবন থেকেই গোলাম রাব্বানী ছাত্র লীগ থেকে রাজনীতি শুরু করেন। প্রায় শত বছরের রাজনৈতিক পরিবার হিসেবে পরিচিত ও উপজেলার সম্ভ্রান্ত আ"লীগ পরিবারের সন্তান তিনি।দলীয় সুত্র জানায়, তৃনমুল থেকে উঠে আসা জনপ্রতিনিধি গোলাম রাব্বানী। বিগত ২০১৮ সালে তিনি মনোনায়ন চাইলেও মেয়র থাকার কারনে তাকে এমপি টিকিট দেয়া হয়নি বলে রাজনীতির মাঠে প্রচার রয়েছে।
সিনিয়র নেতারা জানান, উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা গত শুক্রবার রাব্বানীর নিজ গ্রাম প্রকাশনগরে আসেন। জুম্মার নামাজ পর গ্রামবাসী ও দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে আপামর জনগণের কাছে দোয়া চান।সাবেক কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) চেয়ারম্যান মসলেম উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, রাব্বানী একেবারেই তৃনমুল থেকে উঠে আসা একজন পরিক্ষিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। দীর্ঘ দিন ধরে রাজনীতি করে আসছেন। গত ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে এমপির টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র থাকার কারনে তাকে টিকিট দেয়া হয়নি। শুধু মাত্র এমপির টিকিটের জন্য রাব্বানী পৌরসভার ভোট করেননি। তৃনমুল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে আপামর তানোর গোদাগাড়ী বাসীর একটাই চাওয়া আগামী নির্বাচনে যেন ক্লীন ইমেজের এই নেতাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। কারন রাব্বানী পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের দুবার করে চারবারের জনপ্রতিনিধি ছিলেন। যেহেতু পরিক্ষিত ক্লীন ইমেজের নেতাদের মনোনায়ন দিবেন, সেদিক বিবেচনা করলে রাব্বানীর বিকল্প নাই বলে তিনি মনে করেন। তারপরও দেশরত্ন যাকেই নৌকা প্রতীক দিবেন তার হয়ে সবাই কাজ করবে।
সাবেক ছাত্র লীগ নেতা পাপুল সরকার বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছুই নেই। সবারই উপরে উঠার একটা ইচ্ছে থাকে। রাব্বানী তৃনমুল থেকে উঠে আসা একজন নেতা। তিনি যখন কোন সভা করেন শোনা মাত্রই শতশত নেতাকর্মী হাজির হন। দুই উপজেলায় রাব্বানীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সবদিক বিবেচনা করলে রাব্বানীই যোগ্য প্রার্থী। তবে দেশরত্ন যাকেই নৌকা প্রতীক দিবেন আমরা সবাই তার হয়েই কাজ করব।
গোলাম রাব্বানী বলেন, শনিবার ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দিব। এর আগে গত শুক্রবার আমার নিজ গ্রামে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ কে নিয়ে মতবিনিময় ও দোয়া মাহফিল করা হয়। সেখানে উপজেলার আ"লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় সব ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আপনি মনোনয়নের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী জানতে চাইলে তিনি জানান, বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে মেয়র থাকার কারনে মনোনয়ন পায়নি। হাই কমান্ডের নির্দেশনায় মেয়রের ভোট করিনি। শুধু মাত্র এমপি ভোট করার জন্য। আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে ৯৫% আশাবাদী। কোন কারনে যদি না পান সেক্ষেত্রে কি করবেন জানতে চাইলে তিনি জানান, দেশরত্ন যাকে নৌকা প্রতীক দিবেন তার হয়েই কাজ করব। কারন রক্তে লিখা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সেখান থেকে ফিরে আসার উপায় নাই। তবে আমি খুবই আশাবাদী আমাকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে বলেও দৃঢ় বিশ্বাস তার।