Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আত্মহত্যার হুমকি দিলেন হিরো আলম!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৭২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার হিরো আলম। রুচির দুর্ভিক্ষের কারণে সমাজে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে-বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে তিনি এ হুমকি দেন। 

গতকাল সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলম বলেন, ‘আপনাদের মতো রুচিসম্পন্ন মানুষের কারণে যদি আমি আত্মহত্যা করি, তবে এর দায় আপনাদেরই নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘তাদের মতো এত বড় মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন। এটা আমার জন্য সৌভাগ্য।

মানুষের রুচি নাকি নষ্ট হয়ে গেছে উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, ‘আমি নাকি ১৮ কোটি লোকের রুচি নষ্ট করেছি। আপনারা কেন আমাকে সাপোর্ট করেন, রুচি নষ্ট করেন।

এই ইউটিউবার আরও বলেন, ‘স্যার আপনি আমাকে নিয়ে যে কথাবার্তা বলেছেন, অনেক আর্টিস্ট আপনার হাতে তৈরি। অনেক লোক আপনার হাতে তৈরি। স্যার আপনি ইচ্ছে করলে কিন্তু আমাকে তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু করেন না।

তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের জন্য বাংলাদেশ নাকি নষ্ট হচ্ছে। যখন নাটকে গালিগালাজ করে, তখন কি আপনাদের রুচি নষ্ট হয় না।

হিরো আলম বলেন, ‘আমার কী অপরাধ, কেন আমার লেখাপড়া নাই, চেহারা নাই? আপনার ছেলে যদি হতাম আমি। এভাবে বলতে পারতেন কেউ। হিরো আলমের মামা খালু নাই, ওয়েট নাই। অনেক এমপি দেখছি- সমাজের, দেশের, মানুষের কথা বলে না। নিজেরা ব্যস্ত।

মানুষের রুচি কেন নষ্ট হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কয়টা লোকের রুচি আছে, সংসদে যারা; তাদের কয়জনের লেখাপড়া আছে। ১৮ কোটি লোক থাকতে আমাকে নিয়ে কেন রুচিতে বাধে আপনাদের।

এই ইউটিউবার বলেন, ‘হিরো আলমকে মেরে ফেলে দেন। মেরে না ফেলে দিলে কেউ থামাতে পারবেন না। আমি আমার যোগ্যতায় আলম থেকে আজ হিরো আলম। মামুনুর রশীদ স্যার, আপনি আমাকে তৈরি করুন। আমাকে তৈরি করবে কে। আমাকে কেউ তৈরি করবে না। তাহলে রুচির পরিবর্তনও হবে না।

‘আজ আমার জন্য কে দায়ী’ প্রশ্ন রেখে হিরো আলম বলেন, ‘আপনারা আমাকে নিয়ে কথা কেন বলেন। একদিন এমন লাইভ করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনার রুচি নিয়ে থাকেন। আমি যদি আত্মহত্যা করি, এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা। মানুষ আত্মহত্যা কখন করে জানেন? সবকিছুতে টর্চারিং করতেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘হিরো আলমের কাজগুলো দেখেন, রুচি আছে কিনা। কত রুচি সম্পন্ন গান উপহার, নাটক বানাতে পারি। এতে আমার কী করণীয়।

হিরো আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি আমাকে জেলে দেন। আমাকে সাহায্য করেন কেউ? আমাকে ধিক্কার দেওয়া বন্ধ করুন। আপনারা বড় বড় কথাবার্তা বলেন। রুচি চেঞ্জ করতে পারেন না কেন।

এই ইউটিউবার বলেন, ‘আমি কি অপরাধ করেছি। আমি যদি রুচি নষ্ট করে থাকি, টিকটক দেখেন তো; কেন তাদের বন্ধ করতে পারতেছেন না। অন্যদের নিয়ে কথাবার্তা বলেন না। এসবের জন্য আমি যদি আত্মহত্যা করি; এর জন্য দায়ী থাকবেন রুচিসম্পন্ন মানুষেরা। অন্যদের মতো আমি তো এই রুচি নিয়ে আসি নাই।’

এর আগে গত রোববার সংবাদমাধ্যমে ‘রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান: মামুনুর রশীদ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়।

অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি অনুষ্ঠানে মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।


আরও খবর



গম চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে আত্রাইয়ের কৃষক

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: দেশের উত্তর জনপদের কৃষিপ্রধান জেলা নওগাঁ। খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে উত্তরের শস্যভান্ডার নামেও পরিচিত এ জেলা। এ জেলায় সব ধরনের ফসল ও শস্য উৎপাদন হলেও দেশের মোট উৎপাদিত ধানের সিংহভাগই হয় এ জেলায়। তবে এ জেলার আত্রাই উপজেলায় ধান, ভূট্টাসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ অধিক হলেও বর্তমানে দিন দিন গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। ফলে কয়েক বছরে ধীরে ধীরে এ উপজেলায় কমেছে গম চাষ।

যদিও এটা লাভজনক ফসল। তবে কৃষকেরা বলছে উৎপাদন খরচের তুলনায় মুনাফা না পাওয়া এর অন্যতম কারণ। এদিকে কৃষি অধিদপ্তর বলছে, অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে ভূট্টার অধিক ফলন ও মুনাফা হওয়ায় গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক এমনটিই মনে করছেন তারা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, গত বছর উপজেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হলেও সেটা এবার বেড়ে ৪৫০ হেক্টরে। জানা গেছে, আত্রাই উপজেলায় দিন দিন গমের চাষ ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে।

মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী থাকলেও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, এমনকি ফলন কম হওয়ার কারণে গম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কৃষকরা। নানাবিধ কারনে এ উপজেলার গম চাষ হুমকির মুখে পড়েছে। বিগত দিনে এ উপজেলায় গম চাষে কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও বর্তমান সময়ে গম চাষে কৃষকরা অনাগ্রহী। এ উপজেলার কৃষকরা মনে করেন গম চাষের চেয়ে অন্য ফসল চাষ করে তুলনামূলক ভাবে অনেক লাভবান হওয়া যায়। সে জন্য গমের পরিবর্তে অন্য ফসল চাষ করছেন।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক নাইম হোসেন বলেন, আমি বিগতদিন ভ’ট্টা চাষ করতাম এবার কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী গম চাষ করেছি বর্তমানে আমার ফসলের অবস্থা খুব ভালো। আশাকরছি ফলনও ভালো পাবো।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক ওয়াজেদ আলী বলেন, আমি সাধারণত ধান ও ভূট্টার আবাদ বেশি পরিমানে করে থাকি। কিন্ত এবার গমের আবাদও করেছি। জমিতে এসে ফসল দেখলে মনটা জুড়িয়ে যায়। আগামী বছরে আমি সরকারি সহযোগিতা পেলে আরো বেশী জমিতে গমের চাষ করবো।

এছাড়া অন্যান্য উপজেলার একাধিক কৃষক বলেন, সরকারী ভাবে আমার সহযোগিতা পেলে ধান চাষের পাশাপাশি গম চাষ করতে পারবো। ধান চাষের উপর কৃষকদের আগ্রহ ও ফলন বৃদ্ধি করতে যেমন বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে একই ভাবে কৃষকদের গম চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করলে গম চাষের প্রতি আগ্রহী হবেন কৃষকরা।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জনান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় গমের আবাদ অনেকটা বেশি হয়েছে। আশা করছি গমের বাম্পার ফলন হবে। কৃষকদের যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয় তাই কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপশ কুমার রায় জানান, সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।

তিনি আরো বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গম চাষ কমে গেছে, প্রদর্শনী পাট করে কিছু কিছু চাষিদের সার ও গমের বীজ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া এ বছরে গম চাষের উপর কৃষকের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। সরকারি সকল সুযোগ- সুবিধা, কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে। গম চাষের উপযোগী জমিতে উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ ও ভূট্টা হওয়ায় গম চাষ কমে যাওয়ার একটি কারণ।


আরও খবর



গরমে তৃষ্ণা মেটাতে চাহিদা বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জ সহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। ফলে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন প্রখর সূর্যতাপে ও ভ্যাপসা গরমে ঘেমে অস্থির হচ্ছেন তারা। গরমে তৃষ্ণা মেটাতে অসংখ্য মানুষকে ফলের জুস ও বরফ মেশানো শরবতের দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায়।

তীব্র গরমের ফলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাও বেড়েছে শরবত ও ফলের জুসের দোকান, ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস মেশানো শরবতে তৃষ্ণা মেটান অনেক শ্রেণী পেশার মানুষ। স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি তাদের কাছে অনেকটাই অবহেলিত, তাই এই তীব্র গরমে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ ধরনের ফলের জুস ও শরবতের দোকান। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম ১০ টাকা ট্যাং মেশানো গ্লাস ১৫ টাকা, ও ফলের জুস ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকার উপরে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে হাট, বাজারে, শপিং মলের সামনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে খোলা ভ্যানের ওপর ফিল্টারের মধ্যে বরফ মেশানো পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় শরবত। মাত্র তিনটি উপকরণের মিশ্রণে এ ধরনের শরবত বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্লাস ১০ টাকা, ট্যাং মেশানো ১৫ টাকা। তীব্র গরমে সামান্য তৃপ্তি মেটাতে বাধ্য হয়ে সেগুলো খাচ্ছেন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় গুলোতে এদের উপস্থিতি থাকলেও হাট, বাজারে ও শপিং সেন্টারগুলোর সামনে এদের বেশি সংখ্যায় দেখা যায়। প্রচণ্ড গরমে জর্জরিত পথচারীদের নোংরা পরিবেশ কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা কারও কারও মনে এলেও বরফশীতল লেবুর শরবতের প্রচণ্ড লোভনীয় প্রশান্তির কথা মনে করে সেসব পান করছেন অনেকে। এভাবেই পথের এসব শরবতের দোকানে ভিড়ও লেগে থাকে সারাক্ষণ।

সিরাজগঞ্জ সদরে কয়েক জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, এসব লেবুর শরবত তৈরির পদ্ধতি সবারই এক। কাঠ কিংবা লোহার একটি যন্ত্রের মাঝে অর্ধেকটা লেবু রেখে চাপ দেওয়া হয়। এতে রস গিয়ে পড়বে নিচে রাখা গ্লাস কিংবা মগে। এবার তাতে যোগ করা হবে বরফ শীতল পানি আর বিট লবণ।

এই বিষয়ে শরবত বিক্রেতা আব্দুল গনি বলেন, গত বছরের ব্যবধানে এই শরবতের দাম একটু বেশি হয়েছে। লেবু বিট লবণ বরফ এগুলোর দাম  বৃদ্ধি হওয়ার। কারণে। কেউ আবার শরবতের রং সুন্দর করার জন্য মেশায় কৃত্রিম রং, অরেঞ্জ পাউডার। স্বাদ মিষ্টি করার জন্য স্যাকারিন, টেস্টিং সল্টও মেশানো হয়। কেউ এর মধ্যে আপেল ও মাল্টার কুচি দিয়ে ৩০ টাকায় স্পেশাল শরবত বিক্রি করছেন। কেউ তোকমা দানা, ইসবগুল, মেথির মতো উপাদানও মেশাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, এতো গরমে তৃষ্ণার্ত ও শরীর সতেজ রাখতে লেবুর শরবত ভালো লাগে। আমি মানুষকে প্রতিদিন দেখি শরবত খাই। আজকে আমি নিজে খেলাম অনেক ভালো লাগলো।

আরও খবর



ভুটানের রাজাকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (২৬মার্চ) বিকেলে কেক কাটা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সহধর্মিণী, ভুটানের রাজার সহধর্মিণী, বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও জাতীয় সংসদ সদস্যদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এদিন স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি প্রথমে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ওয়াংচুকও শ্রদ্ধা জানান।

এর আগে, সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চার দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের রাজা।


আরও খবর



দেশসেরা ইন্সটিটিউট গুলোর মধ্যে নিটার ১৬তম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বিশ্বব্যাপী সমগ্র  ইন্সটিটিউট সমূহে পরিচালিত মানসম্মত  গবেষণা কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে সম্প্রতি আলফার-ডগার সাইন্টিফিক ইনডেক্স  "এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স ২০২৪" শিরোনামে একটি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী, দেশের ২০৭টি ইন্সটিটিউটের মধ্যে সাভারে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর অবস্থান ১৬তম এবং  সমগ্র বিশ্বের ২০৬টি দেশের ২৯৮৬টি ইন্সটিটিউটের মধ্যে নিটারের অবস্থান ২২৯২তম।

এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স মূলত বিগত ৫ বছরের নয়টি প্যারামিটারের উপর ভিত্তি করে এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে এবং মোট ১২টি বিষয় এই র‌্যাঙ্কিং এর অন্তর্ভুক্ত। সেগুলো হলো- এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্টি, আর্টস, ডিজাইন এন্ড আর্কিটেকচার, বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট, ইকোনোমিকস এন্ড ইকোনোমেট্রিক্স, এডুকেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, হিস্ট্রি, ফিলোসোফি, থ্রিওলোজি, ল এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ, মেডিক্যাল এন্ড হেলথ সায়েন্স, ন্যাচারাল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স। বিশ্বব্যাপী ২০৬ টি দেশের ২৯৮৬টি ইন্সটিটিউটের মধ্যে এই র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ইন্সটিটিউট গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে আছে বাংলাদেশ উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩০৮), দ্বিতীয় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২১৩), তৃতীয় বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৩৮২), চতুর্থ পথিকৃৎ ইন্সটিটিউট অফ হেলথ স্টাডিজ (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৫৪৪), পঞ্চম বাংলাদেশ কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৭৩০), ষষ্ঠ মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৭৯৩), সপ্তম বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৮৩৯), অষ্টম বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইন্সটিটিউট (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৮৬২), নবম ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৯৪৩), দশম স্থানে বাংলাদেশ ফিসারিজ রিসার্চ ইন্সটিটিউট (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৯৬২)।

র‌্যাঙ্কিং পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ-নিটার এর ৩০ জন গবেষকদের মধ্যে দেশের সেরা ৩০% এর মধ্যে আছে একজন গবেষক, দেশ-সেরা ৪০% এর মধ্যেও আছে একজন গবেষক, দেশ-সেরা ৫০% এর মধ্যেও আছে একজন গবেষক, দেশ-সেরা ৬০% এর মধ্যে আছে তিনজন গবেষক,  দেশ-সেরা ৭০% এর মধ্যে আছে নয়জন গবেষক, দেশ-সেরা ৮০% এর মধ্যে আছে ১২ জন গবেষক, দেশ-সেরা ৯০% এর মধ্যে আছে ১৯ জন গবেষক। এছাড়াও, ইন্সটিটিউট টির সেরা গবেষক হিসেবে নাম উঠে এসেছে ইন্সটিটিউটটির কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব: আনিসুর রহমান এর।


আরও খবর



"আল্লাহ যেন দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগের তৌফিক দান করেন"

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শবে কদর রজনীতে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) লাইলাতুল কদর উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল করেন। মহান আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ [জিবরাইল (আঃ)] অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।’ (সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫)

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কদরের রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন নিশ্চয়ই আমি তা (কুরআন) এক মুবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয় ৷

মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রজনীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনিতে দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার তৌফিক দান করেন।

পবিত্র এই রজনীতে তিনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।


আরও খবর