Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

আসায় বুক বেধেছে বিলকুমারীর কৃষকরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩৪১জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: সপ্তাহের মধ্যেই কাটা পড়বে রাজশাহীর তানোরের বিলকুমারী বিলের আগাম জাতের বোরো ধান, শীষে সোনালী আকার ধারন করেছে। আবহাওয়া প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত অনুকুলে।  কৃষি দপ্তরের সঠিক পরামর্শে ও তদারকিতে রোগেরও আক্রমন নেয়। বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখছেন কৃষকরা। যুগযুগ ধরে বিলের জমিতে আগাম জাতের বোরো ধানের চাষাবাদ হয়ে আসছে। অনেক কৃষকের সারা বছরের জীবিকার একমাত্র  অবলম্বন বিলের জমিতে বোরো ধান। ধানপাকা খরতাপ শুরু হয়েছে। বিল জুড়েই সোনালী সবুজ শীষের চমৎকার দৃশ্য। অল্পদিনের মধ্যেই রক্ত ঘামের পরিশ্রমের ধান উঠানে আসবে। আসায় বুক বেধেছেন বিল পাড়ের কৃষক কৃষানীরা।

জানা গেছে, উপজেলার চান্দুড়িয়া ব্রীজ ঘাট থেকে তানোর পৌর এলাকা হয়ে কামারগাঁ ইউপির বা উপজেলার শেষপ্রান্ত মালশিরা পর্যন্ত বিল কুমারী বিলের অংশ ধরা হয়। যুগযুগ ধরে বিলের জমিতে বোরো  চাষ হয়ে থাকে। বিলের মুল অংশ পৌর সদর গুবিরপাড়া, শীতলীপাড়া, কুঠিপাড়ার নিচ অংশকে ধরা হয়। মাত্র ১৫ বিঘা জলাশয় রয়েছে। তাছাড়া বাকি এরিয়া ধানী জমিতে রুপান্তর। মাঝ দিয়ে সরু খাল রয়েছে কয়েকভাগে। এখাল বিলের নিচুঁ জমিতে সেচের ভরসা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির মালশিরা, মাড়িয়া, জমসেদপুর মাদারিপুর, মির্জাপুর,ভবানীপুর, বাতাসপুর, পারিশো দূর্গাপুর, শ্রীখন্ডা, দমদমা, মজুমদারপাড়া, কামারগাঁ, মহাদেবপুর, হাতিশাইল ও তানোর পৌর এলাকার তালন্দ, সুমাসপুর, হরিদেবপুর, গোকুল, চাপড়া, ধানতৈড়, গুবিরপাড়া, সিন্দুকাই, হিন্দুপাড়া, কুঠিপাড়া, তানোরপাড়া, গোল্লাপাড়া, আমশো, জিওল, চাদপুর, বুরুজ, হাবিবনগর, কালিগঞ্জ, মাসিন্দা, চান্দুড়িয়া ইউপির, শিবনা দমদমা, চান্দুড়িয়া, কলমা ইউপির কুযিশহর, চন্দনকোঠা এলাকার নিচে বিলকুমারী বিলের জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হবে ধান কাটা মাড়ায়।

এদিকে বিলের নিচুঁ জমি খাস, সেই খাস জমিতে ভূমুহীন কৃষকরা অল্প খরচে চাষ করে বছরের  জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।ভূমিহীন গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক ফারুক জানান, প্রায় এক বিঘার বেশি জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। খরচ খুব একটা হয় না। ধানের চেহারা ভালোই আছে। ঈদের দুএকদিন পর কাটা পড়বে। বিঘায় ২০ মন করে ফলন হয়। তবে বৃষ্টি হলে পাওয়া যায় না। শুধু আমি না অনেক দরিদ্র ভূমিহীনরা নিচের জমি রোপন করেন। এবার আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকুলে আছে। 

কৃষক সাহেব জানান, ঈদের আগে কাটা হবে। বিলের জমিতে ফলন বাম্পার হয়। পাঁচ বিঘা জমির ধান পাক ধরেছে। ধান পাকা খরতাপ শুরু হয়েছে। এরকম আবহাওয়া থাকলে সুষ্ঠ ভাবে দান ঘরে উঠবে। ফলনও ভালো পাব ও দামও ভালো আছে। তিনি আরো জানান, সব জমিতে ধান পাক ধরেছে, ঈদের আগে থেকেই কাটা শুরু হবে। আর যদি বৈশাখী ঝড় বৃষ্টিপাত হয় তাহলে মোড়কের শেষ থাকবে না। শীতলীপাড়া গুবিরপাড়ার নিচে সব জমি কমবেশি একই সাথে কাটা পড়বে।কৃষক বকুল জানান, শীতলীপাড়ার নিচে প্রায় এক বিঘা জমির ধানে পাক ধরেছে। ঈদের আগে শ্ররমিক পেলে কাটা হবে, নচেৎ ঈদের পরদিন থেকেই কাটতে হবে।

কামারগাঁ ইউপির কৃষকরা জানান, আনরা সবার আগে ধান রোপন করি। দু চারদিনের মধ্যে কাটা শুরু হবে। কারন সামান্য বৃষ্টি হলে ইউপির জমিগুলো আগে ঢুবে যায়। এজন্য সবাই আগেই রোপন করে এবং আগেই কাটা মাড়ায় শুরু হয়।ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ জানান, ধান গাছে প্রচুর শীষ এসেছে, চেহেরাও ভালো আছে। দুচার দিনের মধ্যে কৃষকরা ধান কাটা শুরু করবেন। বিলের জমিতে ফলন ভালো হয়,দামও ভালো। আবহাওয়া এরকম থাকলে বাম্পার ফলন ও লাভ করতে পারবে। আর যদি ঝড় বৃষ্টি হয় তাহলে মোড়কের শেষ থাকবে না। কারন সার কীটনাশকের দাম বেশি, এজন্য যেকোন বছরের তুলনায় খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে।

তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক জানান, ধান পাকা রোদ বা খরতাপ চলছে। এমব আবহাওয়া চলতে থাকলে সুষ্ঠু ভাবে কৃষকরা তাদের কষ্টের সোনালী ফসল ধান ঘরে তুলতে পারবে। পৌর এলাকার কৃষকদের বছরের খাবারের ভরসা বিলের জমি। এজমি থেকে য়ে পরিমান ধান পায় সেটা বছরের খাবার হয়। বিশেষ করে কুঠিপাড়া,শীতলীপাড়া, হিন্দুপাড়া ও গুবিরপাড়া গ্রামের অনেক ভূমিহীনরা বিলের নিচুঁ জমি রোপন করে থাকেন। সেই রোপনকৃত জমি থেকে যে পরিমান ধান পায় সেটা বছরের খাবার ও খড় দিয়ে জালানি এবং গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। আবহাওয়ার ভালো থাকবে বলে তো সবাই মনে করছেন। তবে বৈশাখের ঝড় বৃষ্টি নিয়ে তো একটা শংকা সবারও আছে।
  
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, উপজেলার চান্দুড়িয়া ব্রীজ ঘাট থেকে কামারগাঁ ইউপির মালশিরা গ্রাম বা চৌবাড়িয়া ব্রীজ পর্য়ন্ত ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। নিয়োমিত মাঠে থেকে কাজ করা হয়েছে। একাধিক মাঠ দিবস পালন করার কারনে ধানে রোগবালা নেই। আবহাওয়া অনুকুলে আছে। কয়েকদিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। ফলন ভালো হবে এবং দামও ভালো আছে। এবারে উপজেলায় ১৩৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। 

আরও খবর

মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদিসহ ৩ দেশ সফরে যাচ্ছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই সপ্তাহের জন্য তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন।থাইল্যান্ড দিয়ে তার এই সফর শুরু হবে।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য ইউএনএসকাপ কমিশনের ৮০তম সভা এবং দ্বিপক্ষীয় সফরে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকক সফর করবেন। এসময় কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ ১০ থেকে ১২টি খাতে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ এপ্রিল সৌদি আরবের রিয়াদে যাবেন।

সেখানে পাঁচদিন অবস্থানের পর অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে জন্য গাম্বিয়া যাবেন আগামী ৩ মে। সেখানে তিন দিন অবস্থানের পর আগামী ৭ মে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



দেশে গ্লোবাল কাস্টমার কেয়ার চালু করল হায়ার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে “হায়ার গ্রুপ গ্লোবাল লিডিং ডিজিটাল সার্ভিস সিস্টেম গ্লোবাল কাস্টমার কেয়ার (জিসিসি)” প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে গ্লোবালি সেরা অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হায়ার।বুধবার (১৭ এপ্রিল) গুলশান এভিনিউয়ের হায়ার বাংলাদেশ কর্পোরেট অফিসে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই কাস্টমার কেয়ারের উদ্বোধন করা হয়।

জিসিসি হচ্ছে হায়ার গ্রুপের সবচেয়ে উন্নত গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্ট ইন্টারেক্টিভ সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বব্যাপী অগ্রণী ডিজিটালাইজড সিস্টেম। জিসিসি চালু হওয়ার পর, হায়ারের গ্রাহকরা ফোন, ইমেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মতো একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে সহজেই পরিষেবা পেতে পারেন। হায়ার সার্ভিস টিম অন-সাইট সার্ভিস টেকনিশিয়ানদের জন্য আরও ভালো প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেক বেশি দক্ষ এবং প্রতিক্রিয়াশীল পরিষেবা প্রদান করবে, ফলে প্রযুক্তিবিদরা হায়ার গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও দক্ষভাবে পেশাগতভাবে পরিষেবা দিতে  সক্ষম হবে। জিসিসি সিস্টেম পুরো পরিষেবা প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ এবং দৃশ্যমান করে তুলবে, গ্রাহক অভিযোগের পুরো প্রক্রিয়াটি ট্র্যাক করতে এবং সন্তুষ্টি না হওয়া পর্যন্ত রিয়েল টাইমে আপডেট পেতে পারেন।জিসিসি সিস্টেম চালু করে বিশ্বের অনেক দেশে হায়ার গ্লোবালের সেরা গ্রাহক সমাধান হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হায়ার ইন্ডিয়া, হায়ার পাকিস্তান, হায়ার থাইল্যান্ড এবং আরো অনেক দেশে। সেরা পরিষেবার অভিজ্ঞতা এবং সর্বোত্তম প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার লক্ষ্যে এবার হায়ার বাংলাদেশে জিসিসি চালু করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

হায়ার গ্রুপ ওভারসিজ সার্ভিসের জেনারেল ম্যানেজার মিঃ ওয়াং ইয়ান তার বক্তিতায় বলেন, জিসিসি প্রকল্প হায়ারের পরিষেবার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ এবং পুরো পরিষেবা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। বিদেশে প্রায় বিশ বছরের উন্নয়ন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, হায়ার ব্যবহারকারীদের দ্রুত এবং উচ্চ-মানের পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ৫০ টিরও বেশি দেশে স্থানীয় বিক্রয়োত্তর পরিষেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য পরিষেবাটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টাচপয়েন্ট এবং গ্রাহকদেরও হায়ার-এর যত্নের অভিজ্ঞতা  নেওয়ার একটি সুযোগ৷

হায়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের ডিএমডি মিঃ ওয়াং শিয়াংজিন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের কোম্পানি কাস্টমার ইজ অলওয়েজ রাইট নীতি মেনে চলে। আমাদের কাছে গ্রাহকের সন্তুষ্টিই প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার এবং আন্তরিক চিরকাল। আমরা ব্যবহারকারীর চাহিদাকে সর্বদা প্রথম অগ্রাধিকার হিসাবে বিবেচনা করি। আমরা ডিজিটালাইজেশন এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে সর্বোত্তম পরিষেবার অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্য রাখছি।হায়ার একটি উদীয়মান বাজার হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছরে দ্রুত প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।

হায়ার বাংলাদেশ ‘সিনসিয়ার ফরএভার’ কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করে এবং ‘কেন্দ্রিয় গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও ব্র্যান্ডের সুনাম তৈরি পরিষেবা নীতি মেনে চলে। ডিজিটাল পুনরাবৃত্তি এবং আপগ্রেডিংয়ের মাধ্যমে, প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের দ্রুত, দক্ষ,এবং এককালীন পরিষেবা প্রদানের জন্য একটি পেশাদার, ব্র্যান্ডেড, এবং ভিন্নমাত্রার পরিষেবা ব্যবস্থা তৈরি করেছে।হায়ার বাংলাদেশে বিশাল গ্রাহকশ্রেণির জন্য আরও ভাল পরিষেবা নিশ্চিতের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। ফলে ‘গুড কোয়ালিটি’  এবং ‘গুড সার্ভিস’ হায়ারের একটি সমার্থক শব্দ হয়ে উঠছে।


আরও খবর



ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি ও রায়ানস কম্পিউটারসের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের চুক্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশের ডিজিটাল ক্ষেত্র শক্তিশালীকরণের যৌথ লক্ষ্যের প্রতিফলন হিসেবে পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা নিয়ে কৌশলগত অংশীদারিত্বের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ ফার্স্ট-জেনারেশন ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) ও কম্পিউটার রিটেইলে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান রায়ানস কম্পিউটারস। দুই প্রতিষ্ঠানের এ কৌশলগত অংশীদারিত্বের ফলে রায়ানস কম্পিউটারস থেকে পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকরা ইউসিবির অত্যাধুনিক ও নিরবচ্ছিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে সেবার অধীনে আরও স্বাচ্ছন্দ্যে পণ্যের দাম পরিশোধ করতে পারবেন।           

চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ইউসিবির হেড অব রিটেইল বিজনেস ডিভিশন মোহাম্মদ শফিকুর রহমান এবং রায়ানস কম্পিউটারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হাসান। সম্প্রতি, ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউসিবির হেড অব ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ডিভিশন মোহাম্মদ গোলাম ইয়াজদানি, প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ই-কমার্স নেসার উদ্দীন আহমেদ, এর হেড অব মার্চেন্ট অ্যাকোয়ারিং শরীফ মুনিরুল হক, রায়ানস কম্পিউটারস লিমিটেডের চিফ ফাইন্যান্স অফিসার সাজেদুল করিম এবং প্রতিষ্ঠানটির অপারেশন ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ দুই প্রতিষ্ঠানেরই ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ চুক্তির অধীনে, সকল ধরনের ভিসা ও মাস্টারকার্ডের জন্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থ্রিডি সিকিউর কোড ভেরিফিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রায়ানস কম্পিউটারসকে সুবিধাজনক পেমেন্ট অপশন সহ নানাবিধ পেমেন্ট সমাধান প্রদান করবে ইউসিবি। ডিজিটাল লেনদেনের পরিধি ধারাবাহিকভাবে বিস্তৃত হচ্ছে; এ সময়ে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দু’টি প্রতিষ্ঠানই নির্ভরযোগ্য ও


আরও খবর



খুশির ঈদ আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিরাজ করছে ঈদের আনন্দ।

গতকাল চাঁদ দেখার পর থেকে রেডিও-টেলিভিশনে বেজে চলেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী সেই গান, ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ...।

ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। সেই মোতাবেক এবার রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছিল খ্রিষ্টীয় দিনপঞ্জির গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার। ২৯ রমজান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। ওই দিন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৩০ রমজান পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার আহ্বান জানিয়ে বুধবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘ঈদ মানে আনন্দ। আসুন, আমরা আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদের প্রধান জামাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন কারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।


আরও খবর



বিমানবন্দর এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন, দুর্ঘটনার আশংকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৬৭জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী)প্রতিনিধি:সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই রানওয়ের ৪০০ গজ উত্তরে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন। নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি ওই ভবন নির্মাণ করলেও আইনি কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।  বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকার মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি না থাকলেও শুধুমাত্র পৌর কর্তৃপক্ষের নকশা অনুমোদন নেয়ার কথা বলে নির্মাণ কাজ চলছে বহুতল ভবনের। এ নিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত বিমান কর্তৃপক্ষ। 

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষা মৌসুমে বা আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তায় বিপদসীমার অনেক নিচে দিয়ে ৪৫ ডিগ্রী এ্যাঙ্গেলে উড়ন্ত বিমান অবতরণ করা হয় বিমানবন্দরে। ওই সময় ঘন মেঘের কারণে বিমান পাইলট সামনের কোন উঁচু স্থাপনা বা টাওয়ার ভালোভাবে দেখতে পান না। যার ফলে পাইলট বারবার বিমান বন্দর টাওয়ারের কাছে জানতে চান অবতরণ বিমানের সামনে কোন বহুতল ভবন, টাওয়ার বা গাছপালা আছে কিনা। থাকলে সেখানে আঘাত লেগে বিমান ক্রাশের সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। এ কারণে শুধুমাত্র বিমান ক্রাশের ভয়েই বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে কোন প্রকার বহুতল ভবন বা টাওয়ার স্থাপনে অনুমতি দেয়া হয় না। বিমান ও যাত্রীদের নিরপত্তায় ওই নির্দেশনা দেয়া না হলেও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উত্তর পার্শে সহ কয়েক স্হানে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিমানবন্দর রানওযের উত্তর পার্শে ৪০০ ফিট্ এর মধ্যে নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি সিভিল অ্যাভিয়েশন এর আইনকে তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেছেছেন। বিমান কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও পোরসভার নকশা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন কারো অনুমতির দরকার নাই।ভবনটি নির্মানের জন্য উপর মহলের নির্দেশ রয়েছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা  সৈয়দপুরে দালানকোঠা বা বহুতল ভবন  নির্মাণ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে নির্মাণের জোর তাগিদ দেয়া হলেও তা মানছেন না নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তি সহ অনেকেই। 

জানা,গেছে,সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পূর্বপাশে সেনাসিবাস, উত্তর ও পশ্চিম পাশে পৌর এলাকা এবং দক্ষিণ পাশে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন। বিধি অনুযায়ী ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। ওই চিঠির জবাবে সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুসা উদ্দিন বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের নকশা পাশ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানা যায় । এছাড়াও যদি কোন ভবনের কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওইসব বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তারা। কিন্তু তারা মারা যাওয়ার পর তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির কোন কাজই হচ্ছেনা। বর্তমান পৌর পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে বিমান উঠানামায় আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়।সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শুপ্লব কুমার ঘোষ জানান,বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে । বর্তমানে এ বিমানবন্দরে প্রতিদিন বাংলাদেশ বিমান,ও ইউএস-বাংলার বিমান চলাচল করছে। যাত্রীসেবাও দেওয়া হচ্ছে শতভাগ। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে উঁচু ভবন থাকায় আতঙ্কে রয়েছে বিমানের পাইলটরা। তিনি বলেন নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তিকে রানওয়ে সংলগ্ন ভবন নির্মাণের কোন প্রকার অনুমতি দেয়া হয় নি। অবতরণে আতঙ্কিত ভবনগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শন করেন তিনি । 

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি বলেন, নিরাপদে বিমান চলাচলের স্বার্থে রানওয়ে সংলগ্ন বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য কোন নকশা পাস করা হয় নি। যারা রানওয়ের আশপাশ এলাকার বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন তারা এক প্রকার গায়ের জোরেই করছেন। রানওয়ের আশপাশ এলাকার সকল অবৈধ বহুতল ভবন গুড়িয়ে দিতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।


আরও খবর