Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

আশা পূরণ মিথুন ও বৃশ্চিকের, ব্যয় বৃদ্ধি কুম্ভের

প্রকাশিত:সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৯৯জন দেখেছেন

Image

মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)

আর্থিক দিক ভালো যাবে। প্রাপ্তিযোগ আছে। অধীনদের কাজে লাগাতে পারবেন। মূল্যবোধ বজায় রাখুন। বেদখল হওয়া সম্পত্তি রক্ষা করতে পারবেন।

বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২০ মে)    

প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে। প্রয়োজনে তাঁদের সহযোগিতা পেতে পারেন। আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। ব্যক্তিগত যোগাযোগে সুফল পাবেন। কাজকর্মে উৎসাহবোধ করবেন।

মিথুন রাশি (২১ মে-২০ জুন)

মাতৃস্বাস্থ্য ভালো যাবে। কোনো আশা পূরণ হতে পারে। বিলাসদ্রব্য কেনাকাটা হতে পারে। মন ভালো থাকবে। জ্ঞানস্পৃহা বৃদ্ধি পেতে পারে।

কর্কট রাশি (২১ জুন-২০ জুলাই)

প্রেম-ভালোবাসার জন্য দিনটি শুভ। প্রণয়-প্রস্তাবে সাড়া পেতে পারেন। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সন্তান লাভের যোগ আছে। ধর্মীয় কাজে আনন্দ পাবেন। সৃজনশীল কাজে সুফল পাবেন।

সিংহ রাশি (২১ জুলাই-২১ আগস্ট)

শত্রুপক্ষের তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। শত্রুকে দুর্বল ভাবা ঠিক হবে না। শত্রু সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। কর্মস্থলে যাবতীয় ভুল বোঝাবুঝি এড়িয়ে চলুন।

কন্যা রাশি (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর)

দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে। পারস্পরিক সামাজিক সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে। ব্যবসায়িক দিক ভালো যাবে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারবেন।

তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর)

দিনটি মিশ্র সম্ভাবনাময়। ব্যবসায়িক দিক ভালো যাবে না। বিক্রয়-বাণিজ্যে লোকসান হতে পারে। আপনার নামে অপবাদ রটার আশঙ্কা আছে। রিপুকে সংযত রাখুন।

বৃশ্চিক রাশি (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর)

সামাজিক অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। কাজকর্মে ভাগ্যের আনুকূল্য পাবেন। পেশাগত দিক ভালো যেতে পারে। কোনো আশা পূরণ হতে পারে। ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে।

ধনু রাশি (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর)

সামাজিক অবস্থান সুদৃঢ় হতে পারে। পাবলিক ইমেজ বৃদ্ধি পেতে পারে। কর্মপরিবেশ অনুকূল থাকবে। কর্মস্থলে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারবেন।

মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি)

আর্থিক দিক মোটামুটি ভালো থাকতে পারে। রাজনীতিবিদদের জন্য সময় অনুকূল থাকতে পারে। সাংগঠনিক কাজে সুফল পেতে পারেন।  মনের গভীরে পুষে রাখা কোনো আশা পূরণ হতে পারে।

কুম্ভ রাশি (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)

শরীর খুব একটা ভালো নাও যেতে পারে। পুরোনো কোনো রোগ নতুন করে দেখা দিতে পারে। অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। কোনো পূর্বকর্মের ফল ভোগ করতে পারেন।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)

নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। সে ক্ষেত্রে সাফল্য পেতে পারেন। শরীরিক দিক ভালো যেতে পারে।  বিনয়ী আচরণ দিয়ে কাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



মাগুরায় ৪৬৪ টি ঈদগাহ প্রস্তুত প্রধান ঈদের জামাত সকাল ৮ টায় নোমানী ময়দানে

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৬৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮ টায় শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুলসহ শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। জামাত পরিচালনা করবেন মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান। মাগুরা পিটিআই জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত জামাতে নামাজ আদায় করবেন মাগুরা ১ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এড, সাইফুজ্জামান শিখর। এছাড়া মাগুরা মডেল মসজিদে, পৌর গোরস্থান মসজিদ, জজকোর্ট মসজিদ, মাগুরা পুলিশ লাইনস প্যারেড গ্রাউন্ডে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মাগুরার পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা,  পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্য এবং এলাকাবাসী এ জামাতে নামাজ আদায় করবেন। এছাড়া জেলা জজ কোর্ট মসজিদ,সরকারি কলেজ জামে মসজিদ, পারনান্দুয়ালী ব্যাপারী পাড়া জামে মসজিদ, পারনান্দুয়ালী গোরস্থান ঈদগাহ ময়দান, মুন্সীপাড়া ঈদগাহ ময়দানসহ জেলার শ্রীপুর, মহম্মদপুর, শালিখা উপজেলাসহ সর্বত্র  ঈদের জামাত অনু্ষ্ঠিত হবে। জেলায় মোট ৪৬৪ ঈদগাহ ময়দান প্রস্তিত করা হয়েছে। এর মধ্যে মাগুরারা সদর উপজেলায় ২২৮ টি, শ্রীপুর উপজেলায় ৮২ টি, মহম্মদপুর উপজেলায় ১১২ টি এবং শালিখা উপজেলায় ৪২ টি ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে জেলার ৭৩০ টি গ্রামের প্রায় ২৩০০ টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন এলাকাবাসী। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহ জানান, জেলার সর্বত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য  মাগুরা জেলা পুলিশেরর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৫ অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:৬০ কিলোমিটার বেগে ঢাকাসহ দেশের ৫ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে ঈদের জামাত শেষ হয় ৮টা ৪০ মিনিটে।

জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহকারী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কথা স্মরণ করে দোয়া করা হয়। মোনাজাতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আহত, নিহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া চাওয়া হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

এর আগে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই দীর্ঘ লাইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নিতে রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে দি‌য়ে তিন‌টি চেকপোস্টের মধ্য দি‌য়ে ঈদগাহে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্ত দিয়েও দীর্ঘ লাইনে ঈদগাহে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে চিল র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষ্ণ নজরদারি। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পরই ঈদগাহে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।


আরও খবর



ডেমরায় ১৫ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ভুট্টোচত্বর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করায় প্রায় ৪০ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এতে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে আব্দুল কাদের নামক এক ব্যক্তি এ বিষয়ে ডেমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের জানান গত ২০০৯ সালে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মিয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ কন্ট্রাকটার কে সাথে নিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১২ ফুট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। মাতুয়াইল নিউটনের গুগল ম্যাপে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার নামে একজন মহিলা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে গত কয়েকদিন আগে টিনের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার উপরে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। রাস্তাটি দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়ায় ভুক্তভোগী চল্লিশটি পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রাস্তার নিচ দিয়ে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়াসার পানির পাইপ পয়ঃনিষ্কাশনের সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ রাস্তাটি এই চল্লিশটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ রাস্তার ভেতরে বেশকিছু বহুতল ভবন অবস্থিত যেখানে শত শত যানবাহনও চলাচল করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও বর্তমানে আরো কিছু বহুতল ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে।রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগীরা কয়েক দফা প্রতিবাদ করেছেন। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের  ৬৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডেমরা থানাধীন বাদশামিয়া রোড সংলগ্ন ভুট্টো চত্বর এলাকার আয়েশা  হক ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় জনৈক লিপি আক্তার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সড়কের প্রধান প্রবেশদ্বারে উঁচু দেয়াল তুলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। লিপি আক্তার সন্ত্রাসীদের দাঁড় করিয়ে রেখে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে এই স্থানে উচু প্রাচীর নির্মাণ করে। লিপি আক্তারের মা আয়েশা খাতুন ২০০৯ সালে এই জায়গাটি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়। লিপি আক্তারের মা একই খতিয়ানভুক্ত এই জমি সহ আশেপাশের বিভিন্ন জমি এসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে বিক্রয় করেন। সেই সময় এই রাস্তাটিকেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে দলিলে দেখানো হয়েছিল।সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ও রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করতে আসা লোকজনকে কাপড় উঁচিয়ে নারী নির্যাতন মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে।

ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, রাস্তাটি আমাদের ৪০টি পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটি বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের জন্য বিষয়টি গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার নলেজে নেই তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আসলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লিপি আক্তারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, জমিটা আমার মায়ের দুই পাশের ফ্যাক্টরির জন্য এতদিন এই রাস্তাটি খোলা ছিল, কিন্তু আমার প্রয়োজনে বর্তমানে আমি রাস্তাতেই বন্ধ করে দিয়েছি, কিছু দিন আগে ৬৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে জোরপূর্বক আমার এই রাস্তার দেয়ালটি ভেঙ্গে দিয়েছিল।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল  ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি অবশ্যই স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করব।



আরও খবর



ঈদ উপহার দিয়ে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় প্রবাসী তরুণের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটের আক্কেলপুরে  মালয়েশিয়া প্রবাসী এক তরুণ মোটরসাইকেলে যোগে আত্বীয়র বাড়িতে ঈদ উপহারের জিনিসপত্র পৌঁছানোর পর নিজের বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন। এসময় তাঁর  মোটরসাইকেলটি চলন্ত  ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে ছিল। ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পর একটি প্ল্যাটফার্মের ধারিতে ধাক্কা লেগে ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে মোটরসাইকেলটি রেললাইনের পাশে সিটকে পড়ে। 

শুক্রবার সকাল পৌনে ১১ টায় হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্ব দিকের রাস্তা পারাপারে সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তি হলেন মিজানুর রহমার ওরফে মুকুল হোসেন (২৮)। তিনি  আক্কেলপুর উপজেলার হাজরাপাড়া গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। মিজানুর রহমান মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে দেড় মাস আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,  মিজানুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে  শুক্রবার সকালে তাঁর খালার বাড়ি গণিপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। তিনি খালার বাড়িতে ঈদের বাজার দিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্বদিকে রাস্তা পারাপারের সময় চিলাহাটী ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কায় মিজানুর  রেললাইনের পাশে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর মোটরসাইকেলটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে আটকে যায়।  ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে  জাফরপুর স্টেশনে গিয়ে প্ল্যাটফর্মের ধারিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলটি রেললাইনের পাশে সিটক পড়ে। ট্রেনটি সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। স্বজনেরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মিজানুরের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান।

হলহলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মজিদুল হক  বলেন, আমি হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্ব দিকে ঘটনাস্থল থেকে দেড়শ গজ দূরে রেললাইনের পাশে গরু চড়াচ্ছিলাম। ঢাকাগামী একটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে মোটরসাইকেল আটকে ছিল। লোকজনের চিৎকার শুনে এসে দেখি মোটরসাইকেল চালকের ছিন্নভিন্ন দেহ রেললাইনের পাশে পড়ে আছে। খবর পেয়ে লোকজন এসে লাশটি হাজরাপাড়া গ্রামের প্রবাসী মিজানুরের বলে শনাক্ত করেন।

নিহতের মিজানুর রহমানের  খালা নাইচ আক্তার কাঁদতে-কাঁদতে  বলেন, মিজানুর শুক্রবার সকালে আমার বাড়িতে এসে ঈদের বাজার দিয়েছে। আমরাও তাকে ঈদের কিছু বাজার দিয়েছিলাম। আমার বাড়ি থেকে যাওয়ার আধাঘন্টা পর  মিজানুরের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ভাগিনার এমন মৃত্যু সহ্য করতে  পারছিনা।

নিহতের বড় ভাই আব্দুল লতিফ বলেন, মিজানুর  মালয়েশিয়াতে ছিল। সে প্রায় দেড় মাস আগে আমাদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে এসেছিল। আমরা তার বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজ করছিলাম।  খালার বাড়িতে ঈদের বাজার দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে ধাক্কায় মিজানুরের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের ঈদের আনন্দ এখন বিষাদে পরিণিত হয়েছে। 

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, হলহলিয়া ব্রীজ এলাকায় ঢাকা থেকে চিলাহাটিগামী আন্ত:নগর ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

আরও খবর