Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ। লিঙ্গ সমতার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয়। বিশ্বব্যাপী নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা; তাদের কাজের প্রশংসা এবং অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্যে থাকে নানা আয়োজন।

এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল : ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’। যার বাংলা দাঁড়ায়- ‘লিঙ্গ সমতার জন্য উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি’।

বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অধিকার রক্ষা, ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। গত ৫০ বছরে বাঙালি নারীরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন। তবে এ অর্জন কারও একক চেষ্টায় বা একদিনে হয়নি। এটা সামগ্রিক অর্জন এবং অনেক ভঙ্গুর পথ অতিক্রম করে, নানা বাধা পেরিয়ে নারীরা আজ এই অবস্থানে।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বিশ্বের সব নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষ্যে বেলা আড়াইটায় এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হবে। 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নারী  আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলোর জাতীয় মোর্চা সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্ক শহরের একটি পোশাক কারখানায় ন্যায্য মজুরি ও শ্রমের দাবিতে আন্দোলন করেন নারী শ্রমিকরা। কিন্তু ওই আন্দোলনে পুলিশ নির্যাতন চালায় এবং অনেককে গ্রেপ্তারও করে। ১৯০৮ সালের একই দিনে নিউইয়র্কে পোশাক শ্রমিক ইউনিয়নের নারীরা আরেকটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। চলে ১৪ দিন ধরে। এতে প্রায় ২০ হাজার নারী শ্রমিক অংশ নেন। তারা কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত শ্রম এবং শিশুশ্রম বন্ধের দাবি জানান।

১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকায় সে সময়কার সোশ্যালিস্ট পার্টি প্রথম জাতীয় পর্যায়ে নারী দিবস পালন করে। ১৯১০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মান সমাজতাত্ত্বিক ক্লারা জেটকিন নারীর ভোটাধিকার এবং নারী দিবস পালনের দাবি জানান। পরে তার উদ্যোগেই ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়। তাতে অংশ নেয় জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও ডেনমার্কের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। ১৯১৩ সালে রাশিয়ার নারীরা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার নারী দিবস পালন করেন। এর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সেই ঐতিহাসিক ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশেও ১৯৭৫ সাল থেকে ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উদযাপন হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে চীন, কিউবা, ভিয়েতনাম, উগান্ডা, রাশিয়া, ইউক্রেনসহ ১৫টি দেশে প্রতি বছর ৮ মার্চ সরকারি ছুটি থাকে। এই দিনে নারী অধিকার, লিঙ্গ সমতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হয়। পাশাপাশি নারীদের সমান অধিকারের লড়াইকে শক্তিশালী করাও দিবসটি উদযাপনের অন্যতম উদ্দেশ্য। নারী দিবসের রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে- বেগুনি ও সাদা। রঙ দুটি সুবিচার ও মর্যাদার প্রতীক, যা দৃঢ়ভাবে নারীর ক্ষমতায়নকেই নির্দেশ করে।


আরও খবর



ইবিতে ফি সমন্বয়ের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান, ইবি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফি সমন্বয়ের দাবিতে পৃথক পৃথক মানববন্ধন করেছেন ছাত্র ইউনিয়ন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (০২ মার্চ) সকালে ফি সমন্বয় নিয়ে লুকোচুরির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

পরে মানববন্ধন শেষে পৃথক পৃথক স্বারকলিপি প্রদান করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বরত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। 

সাধারণ শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-  সমন্বয়ের ঘোষণা দেওয়া ফি সমূহ অবশ্যই সমন্বয় করতে হবে, ইতোমধ্যে যারা অতিরিক্ত ফি জমা দিয়েছে তাদের টাকা মাস্টার্সে সমন্বয় করতে হবে এবং বিভিন্ন ফি দেওয়ার পরেও একাডেমিক শাখার খাতায় না তোলার বিষয় সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

স্মারকলিপিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ৷ ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে অযাচিত বর্ধিত ফি ২০ শতাংশ কমানোর ঘোষনা দেন ও যারা ইতোপূর্বে ফি জমা দিয়েছিলো, তাদের ফি পরবর্তী সেমিস্টারে সমন্বয় করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন৷ 

সেই ঘোষণার পর থেকে  উক্ত দুই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা সমন্বয় করে ফি জমা দিয়ে আসছে৷ কিন্তু প্রশাসনে রদবদল হওয়ায় পূর্বের প্রজ্ঞাপনের তোয়াক্কা না করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস পূর্ণাঙ্গ ফি প্রদান পূর্বক সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্র উত্তোলন করার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন। অন্যথায় সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। যা উক্ত দুই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণার সামিল বলে স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়৷ 

এ বিষয়ে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষিত ফি কেন সমন্বয় হচ্ছে না সে ব্যপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করছি৷ 

এদিকে শিক্ষার্থীদের ফি সমন্বয় বাস্তবায়ন ও প্রশাসনের অন্যায্য ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। শনিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় দলীয় টেন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার মাধ্যমে শেষ হয়। 

এসময় সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নুর আলমের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মুখলেসুর রাহমান সুইট, ইবি সংসদের সহ-সভাপতি উদয় দেবনাথ, সাদিয়া মাহমুদ মীম, দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আহমাদ গালিবসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ২০ শতাংশ ফি কমানোর আশ্বাস দেয় তৎকালীন প্রশাসন। তবে ওই দুই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে সনদ উত্তোলন করতে গেলে পুনরায় বকেয়া ফি জমা দেওয়ার দাবি জানান কতৃপক্ষ। যা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক।

ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফি সমন্বয় তো করেনি, উপর্যুপরি শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে ২০১৯-২০ সেশন থেকে অন্যায্য ভাবে ফি বাড়িয়েছে, যা অত্যন্ত অমানবিক আচরণ। অনতিলম্বে ফি সমন্বয় বাস্তবায়ন এবং অন্যায্য ফি প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবি সমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না করেন তাহলে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বরত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সবার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টির সমাধান করা হবে।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:"দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়বো, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়বো"- এ শ্লোগান নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় রবিবার (১০ মার্চ) জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে এদিন সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে কেন্দ্রিয় হাইস্কুল মাঠে গিয়ে সমবেত হয়। 


ইউএনও রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন,  ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা স্যামুয়েল মার্ডি, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দিন, মৎস্য অফিসার রাকিবুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার নাসিম ইকবাল প্রমুখ। এছাড়াও সভায় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন কর্মকর্তা, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় সকলকে প্রস্তুতিসহ সচেতন থাকার আহবান জানান। ইউএনও তার বক্তব্যে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের এবং মহড়া কার্যক্রের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এইসাথে তিনি বিভিন্ন দুর্যোগ থেকে রক্ষায় সকলকে সচেতনতা সৃষ্টির আহবান জানান। পরে অগ্নিকান্ড এবং ভূমিকম্প বিষয়ে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ইএসডিও ম্যানেজার খায়রুল ইসলাম। 

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




শ্রীলংকাকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:তীরে গিয়ে তরী ডুবেছিল বাংলাদেশের ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে । মাত্র ৩ রানে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েওে হেরে যেতে হয়েছে । তবে বাঁচা-মরার দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শ্রীলংকাকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা।

শ্রীলংকা প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে। জবাব দিতে নেমে অধিনায়ক শান্তর হাফ সেঞ্চুরিতে ১১ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। 

১৬৬ রানের জবাবে শুরু থেকেই আগ্রাসী খেলতে থাকেন লিটন ও সৌম্য। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তুলে নেন ৬৩ রান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস-দিলশান মাদুশঙ্কারা সুবিধা করতে পারছিলেন না এই দুজনের সামনে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরই বলে আসেন শ্রীলংকার নতুন মালিঙ্গা মাথিশা পাথিরানা। এসেই সৌম্যকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ওপেনার। সৌম্য আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন দাসও। দলীয় ৮৩ রানের মাথায় এই পাথিরানার বলেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। শেষ হয় ২৪ বলে তার ৩৬ রানের ইনিংস। 

শান্ত ও তাওহীদ হৃদয় দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ম্যাচের হাল ধরেন। শ্রীলংকার বোলারদের কোনোরকম সুযোগ না দিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত খেলা খেলতে থাকেন এই দুজন। শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নেন শান্ত। পূর্ণ হয় তার ফিফটিও। তার ৩৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি চার ও ২ ছক্কায়। আরেক পাশে ২৫ বলে ২টি চার ও ১ ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়। 

প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে শ্রীলংকা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতেই লংকানদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই মেডেন আদায় করেন শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় ওভারেই আভিশকাকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন। প্রথম ৩ ওভারে ১ উইকেট হারানো লংকানদের রান ছিল মাত্র ৮। তবে পাওয়ার প্লের পরের ৩ ওভারে খেলা নিজেদের পক্ষে নিয়ে নেয় শ্রীলংকা। তাসকিন-মোস্তাফিজুর রহমানদের তুলোধুনো করে ৬ ওভার শেষে তাদের রানই পৌঁছায় ৪৯-এ। 

৮ ওভার শেষে শ্রীলংকা তোলে ৬৪ রান। নবম ওভারের চতুর্থ বলে সৌম্য সরকারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কুশল।ভাঙে ৪২ বলে ৬৬ রানের জুটি। ২২ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করেন কুশল। পরের ওভারে রান আউট হয়ে যান দারুণ খেলতে থাকা কামিন্দুও। ২৭ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ রান করেন তিনি। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারানো লংকানদের রান দাঁড়ায় ৭৮-এ। 

টিকতে পারেননি সাদিরা সামারাবিক্রামাও। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে কট এন্ড বল হয়ে ফেরেন তিনি। তবে এই সময়ে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর মৃদু ঝড় বইয়ে দেন অধিনায়ক আসালঙ্কা। বিশেষ করে শেখ মেহেদী হাসানের করা ১৪তম ওভারে দুইটি ছক্কা মারেন তিনি। তবে ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১১২ রানের মাথায় সরাসরি বোল্ড হন ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই ব্যাটার। 

এরপর আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ করে আসেন এই দুজন। ৩৭ বলে গড়েন অপরাজিত ৫৩ রানের জুটি। তাতে দলের রান ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫। ২১ বলে ৪টি চারে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন ম্যাথিউস আর ১৮ বলে শানাকা অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে। 


আরও খবর



যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত খুনী আক্তারুজ্জামান ডলার’'কে ৩১ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ১৯৯৩ সালে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দ্বে  যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন কোটা গ্রামের চাঞ্চল্যকর মতিয়ার রহমান তরফদার (৩০) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সুদীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক চরমপন্থী মাস্টারমাইন্ড খুনী  আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‍্যাব-৩ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‍্যাবের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং রাত ২ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৯৯৩ সালের যশোর জেলার অভয়নগর থানায় চরমপন্থী  পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের মধ্যে অস্ত্রের দ্বন্দে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ দেশে-বিদেশে পলাতক প্রধান আসামি চরমপন্থী আক্তারুজ্জামান ডলার (৫৫)’কে রাজধানীর  ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও মামলার সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম মতিয়ার রহমান তরফদার ও গ্রেফতারকৃত আসামী আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার একই গ্রামের দুই পাড়ার বাসিন্দা ছিল। ডলার ছিল তৎকালীন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (সর্বহারা পার্টির) সক্রিয় সদস্য। ভিকটিম অভয়নগর এলাকার রাজঘাটে অবস্থিত কার্পেটিং জুট মিলস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানা এলাকার জনৈক তোযাম চেয়ারম্যানকে সর্বহারা পার্টির ডলার ও তার দোসররা হত্যা করে একটি বন্দুক ছিনিয়ে নেয়। 

এই ছিনিয়ে নেওয়া বন্দুকটি আসামি আক্তারুজ্জামান ওরফে ডলার বস্তায় ভরে জনৈক ভ্যান চালক আসলামের ভ্যানে তেজপাতা আছে মর্মে এটি যশোরের নোয়াপাড়ায় নিয়ে যেতে বলে। ভ্যান চলার সময় মাঝে মাঝে ইটের ধাক্কায় খটখট আওয়াজ হওয়ায় ভ্যানচালক আসলাম পথিমধ্যে পায়রা বাজারে ভিকটিম মতিয়ার রহমানকে ঘটনাটি বলে। তখন সে বস্তা খুলে একটি বন্দুক পায় যার গায়ে কয়েকদিন আগে মৃত তোযাম চেয়ারম্যানের নাম সম্বলিত ছিল। 

তখন তৎকালীন চেয়ারম্যান আমিন সাহেবের মধ্যস্থতায় বন্দুকটি পায়রা বাজারে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে  হস্তান্তর করে। এলাকায় এই মর্মে খবর প্রকাশ পায় মৃত তোযাম চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় ডলারসহ চরমপন্থী  অন্য সদস্যরা জড়িত। এই ঘটনায় ডলার সহ তার চরমপন্থী দলের  অন্য সদস্যরা ভিকটিমকে শায়েস্তা করার পায়তারা করতে থাকে। ১৯৯৩ সালের দশম রমজানের ৩ মার্চ ১৯৯৩  খ্রিস্টাব্দে ডলার সহ ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র চরমপন্থী  পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির দল ভিকটিমের ছোট ভাইকে রাইস মিলে বেঁধে রেখে ভিকটিমের পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। 

ভিকটিমকে ঘরের বেড়া কেটে টেনে হেঁচড়ে বাইরে নিয়ে এসে বাড়ির সামনেই রাত ১০ টা নাগাদ মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ২২ টি কোপ মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভিকটিমের বাবার একটি বন্দুক ও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মূলত: চরমপন্থী  দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় উক্ত ভিকটিম নিহত হয়। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় হত্যা মামলাটি রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পরপরই গ্রেফতারকৃত আসামি নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফেরারি জীবনযাপন করতে শুরু করে। 

এক পর্যায়ে নিজের নাম ঠিকানা ও পরিচয় গোপন রেখে মাহমুদুল হাসান নামে নতুন নাম ধারণ করে ও নতুন পাসপোর্ট তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত দক্ষিণ আফ্রিকায় আত্মগোপনে ছিলেন। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই অদ্যাবধি সে পলাতক ছিল। যেহেতু আসামি দীর্ঘদিন যাবত ছদ্মবেশ ধারণ করে পালিয়ে ছিল, আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য পরিচালনা শেষে আদালত উক্ত মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০০  খ্রিষ্টাব্দ তারিখে বিজ্ঞ আদালত ধৃত ডলারের বিরুদ্ধে উক্ত হত্যা মামলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের যাবতীয়  প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত মর্মে রায় প্রদান করে। দুধর্ষ এই খুনী গত ২২ মার্চ ২০২৪ ইং ঢাকা মহানগরীর মানিকদী এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন র‍্যাব-৩ এর হাতে আটক হয়।ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও খবর



রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সিলগালা করতে রাজউকে চিঠি

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী উন্নয়ন  (রাজউককে) চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে সিলগালা করতে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য।

শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে এ চিঠি দেওয়া হয়। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আইনজীবী।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিবকে চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে আরও অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর আগে নিমতলীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাসহ প্রায় প্রতিবছরই এ ধরনের অঘটন ঘটছে এবং প্রাণহানি হচ্ছে। তাই সেসব বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তার সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া বলেন, ‘রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় আমি নিজে ঘটনাস্থলে ছিলাম। আমি অনেককে সেখান থেকে উদ্ধারে কাজ করেছি। কোনো অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটলেই কর্তৃপক্ষ তৎপরতা দেখায়। অথচ, আগে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয় না। যদি আগে পদক্ষেপ নেওয়া যায় তাহলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।


আরও খবর