Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২২৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর)। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোয় গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করার প্রয়াসে এ দিবসটি পালিত হয়।

২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এ দিবসের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। এরপর থেকেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

২০২৩ সালের গণতন্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষমতায়ন’। জাতিসংঘ বলছে, তরুণদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হতে উৎসাহিত করতে হবে, যাতে তারা তাদের কণ্ঠস্বর শুনতে পারে।

দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বে সাধারণ নাগরিকদের অধিকার চর্চার সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র, আইন, শাসন ব্যবস্থা ও মানবাধিকারের ওপর ভিত্তি গড়ে ওঠে সমৃদ্ধ, সহনশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা। তেমন সমাজই স্বাধীনতার কাণ্ডারি। এমন সমাজ টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা এবং মানুষের মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষায় সচেষ্ট।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে এদিন বিএনপিসহ সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও জোট সমাবেশ করবে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে বাণীতে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সারা বিশ্বে বহু মত, পথের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহকে ভূলুণ্ঠিত করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এখনও একদলীয় দুঃশাসনের কালো ছায়া বিরাজমান।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এক ভয়াবহ দুর্দিন অতিক্রম করছে পুরো জাতি। বর্তমান দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে গণতন্ত্রের মুক্তির মাধ্যমে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে। সূত্র: বিবিসি


আরও খবর



আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে চাই-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৪৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইন-শৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। এ অঞ্চলের সকল সংস্থাগুলো আইন শৃঙ্খলার মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে। আমরা আইন শৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের স্বার্থকতা বাস্তবায়ন হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২য় সভায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোন কথা নেই কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংএর বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা আছে, পাশ হলেই আগামী অর্থ বছরে কাজ শুরু হবে। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি শৃঙ্খলা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সকলেরই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়, সকল গোষ্ঠী সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মুল স্রোতধারার সাথে আমাদের এক হয়ে এগুতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চল শুধু নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায় আলাদা কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে সকল সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে। 

পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আগামী দিনগুলোতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আরো বেশী তরান্বিত করা হবে। 

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, দীর্ঘ বছর পর সাজেকের রাস্তাঘাট হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে দুর্গম অঞ্চল সাজেকের মতো জায়গায় এতো তরিৎ গতিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া এবং সীমান্ত বর্ডার রোড তৈরী করা চারর্টিখানি কথা না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা থাকলে এই রাস্তা আরো দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হবে।

বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনের পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী  বীর_বাহাদুর_উশৈসিং_এমপি’র সভাপতিত্বে  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী  কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি  দীপংকর তালুকদার এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি  মোঃ মঈন উদ্দিন, যশোর-১ আসনের এমপি  শেখ আফিল উদ্দিন,  সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৮ এমপি  জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান  সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষার মহাপরিচালক  শাহ রেজওয়ান হায়াত (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব  আমিনুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), পার্বত্য মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সচিব  অমলেন্দু সিংহ (যুগ্ন সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান  হারুন-অর_রশিদ (যুগ্ন সচিব), তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সিইও বৃন্দ, আঞ্চলিক পরিষেদের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বরত উপসচিব এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



গাংনীতে কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে এবার সমিতি গঠন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১০২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএবার সোচ্ছার হয়েছে সাধারণ জনতা। কসাইদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মেহেরপুরের মহল্লায় মহল্লায় গড়ে উঠেছে সমিতি। দৈনিক সাপ্তাহিক অথবা মাসিক কিস্তিতে চাঁদা উত্তোলন করে তা দিয়ে গরু কিনছেন সমিতির লোকজন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরু জবাই করে গোস্ত ভাগাভাগি করবেন তারা। এতে যেমন সাশ্রয়ী হবেন সাধারণ লোকজন তেমনি চাপ পড়বে কসাইদের উপর। সমিতির বিষয়টি ভালভাবে দেখছেন সচেতন মহল ও স্বয়ং হাটমালিক।

জানা গেছে, রমজান মাসের আগ থেকেই ছিল দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি। ক্রেতা সাধারণের সুবিধার্থে সরকার গোমাংসের দাম ৬৮০ টাকা নির্ধারণ করলেও কসাই সিন্ডিকেট তা প্রত্যাক্ষাণ করে। বাজারে গো মাংসের দাম সাড়ে সাতশ’ টাকা কেজি। তবে ঈদের আগে ও পরে দাম আটশ টাকা থেকে ১০০০ টাকা নির্ধারণ করতে পারেন কসাইরা। কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে মহল্লায় মহল্লায় সমিতি গঠন করে নিজেরাই গরু কিনে জবাই করার সিদ্ধান্ত নেন লোকজন। এতে সাশ্রয়ী দামে মাংস পাবেন তারা। তাছাড়া কসাইদের উপর বেশ চাপ পড়বে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

জেলার বৃহত্তম পশুহাট বামন্দীতে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন মহল্লা থেকে সমিতি গঠন করে লোকজন আসছেন গরু কিনতে। গাংনী ভিটাপাড়ার মকলেছুর রহমান জানান, কসাইরা নানা ভাবে জিম্মি করে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। চড়া দামে গোস্ত কিনতে হয়। তাছাড়া কসাইরা ইচ্ছেমত মাংস বিক্রি করে। সাশ্রয়ী দামে মাংস পেতে সমিতি গঠন করা হয়েছে। এতে যেমন পছন্দ মতো গোস্ত পাওয়া যাবে তেমনি অনেকটা সাশ্রয়ী হবে। তবে কসাইদের উপর অনেকটা চাপ পড়বে বলেও জানান তারা। একই কথা জানালেন গাংনীর মালসাদহ গ্রামের আফজাল হোসেন। তিনি আরো জানান, তারা ৩২ জন সাপ্তাহিক কিস্তিতে টাকা উত্তোলন করেছেন। এক লাখ ৮২ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন।

গরু কিনতে আসা কুষ্টিয়া সদরপুরের রাজ্জাক ও মাসুদ রানা জানান, কসাইদের কাছ থেকে তারা গোস্ত কেনেন না তিন বছর ধরে। প্রতিটি উৎসবে কসাইরা বেপরোয়াভাবে দাম হাঁকে গরুর গোস্তের। বাধ্য হয়ে ৩০ জনের একটি সমিতি গঠন করেছেন। সাপ্তাহিক চাঁদা তুলে গরু কিনতে আসেন। দেখে শুনে বুঝে পছন্দের পশুটি কিনেছেন। এতে অনেক সাশ্রয় বলে দাবী করেছেন তিনি। তবে সব ধরনের পশুর দাম একটু বেশি বলে জানালেন এই সমিতি প্রধান।

গরু বিক্রেতা গাড়াবাড়িয়ার আমিরুল ইসলাম জানান, তিনি তার নিজের বাড়ির গরু এনেছেন হাটে। কয়েকহাট আগে গরুর যা দাম ছিল এখন তার চেয়ে অনেক কম। আমদানী বেশি হওয়ায় দর পতন বলে জানালেন তিনি। তবে কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে যে সমিতি গঠন করা হয়েছে এটাকে সাধুবাদ জানানে এই গরু বিক্রেতা। একই কথা জানালেন গরু ব্যবসায়ি কামারখালির আনোয়ার ও সহড়াবাড়িয়ার আশরাফুল।

জেলার ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশু হাটের ইজারদার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদের আগেই জমে উঠেছে পশুহাট। বেচা বিক্রিও বেশ ভাল। এবার জনগন অনেকটা সচেতন। বিভিন্ন গ্রাম মহল্লা থেকে লোকজন আসছেন দলবদ্ধ ভাবে। এরা সমিতি করে গরু কিনছেন। পশু পালনকারীরাও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। বেচা বিক্রিও বেড়েছে। কসাইদের হাতে জিম্মী না হয়ে নিজেরাই গরু কিনে গোস্তের ব্যবস্থা করার বিষয়টি সাধুবাদ জানিয়েছেন এই হাট মালিক।


আরও খবর



তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৭৪জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার , স্টাফ রিপোর্টার:তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তীব্র তাপদাহে পথচারী, রিকশাচালক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। এর আগে খেটে খাওয়া মানুষসহ সড়কে থাকা নারী-পুরুষ সবাইকে এ গরম থেকে কিছুটা প্রশান্তি দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় পল্লবী থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর উদ্যোগে  দিনভর রাজধানীর পল্লবী থানা  এলাকার বিভিন্ন সড়কে থাকা প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়। এ সময় পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান  বলেন, ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশক্রমে পল্লবী থানা এলাকায় পথচারী, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করানো হচ্ছে। এই প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে সাধারণ মানুষের কষ্ট কিছুটা নিবারণ করার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিশুদ্ধ পানি সাধারণত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পথচারী ও অন্যান্যদের মধ্যে সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া নিয়েছি। তাপদহ যতদিন চলবে আমরাও আমাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ। 

সরেজমিন দেখা যায়, ভ্রাম্যমান গাড়ির উপরে তৈরি করা হয়েছে 'ওয়াটার বুথ'। আর এই বুথ থেকেই পথচারী, রিকশাচালক, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকসহ সব পেশার মানুষ বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করছেন সকলে। প্রয়োজনে দেওয়া হচ্ছে ওরস্যালাইনও। এ বুথেও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন পল্লবী থানার বিভিন্ন পুলিশ সদস্যরা।

আরও খবর



প্রচন্ড গরমে স্বস্তি পেতে ফুটপাতের শরবতের দোকানে ভীর

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:প্রচন্ড গরমে সৈয়দপুরের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। প্রচন্ড তাপ আর ভ্যাপসা গরমে শরীর পুড়ে যাওয়ার ভয়ে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার চিন্তাও কেউ করছেন না।কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকের ঘরে থাকার উপায় নেই। তাপমাত্রা যতই থাকুক,দেশ ও জনগনের খোঁজ খবর রাখতে তাদের বাড়ির বাইরে বের হতেই হবে। অন্য দিকে জীবিকার তাগিদে দিনমজুরদের ঘরে থাকার ও উপায় নেই। প্রচন্ড তাপমাত্রায় একটু স্বস্তি দিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসেছে শরবতের দোকান।


২৯ এপ্রিল দুপুর বেলায় শহরের অসহায় মানুষের খোঁজ খবর ও তথ্য পাত্ত সংগ্রহ শেষে ক্লান্ত শরীরে ফুটপাতের শরবতের দোকানে ভীর করেন মাটি ও মানুষের নেতা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন।। তার সাথেই ছিলেন স্হানীয় একাধিক সাংবাদিক। প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে পান করেন ফুটপাতের শরবত।

এছাড়া শহরের প্রায় ১০ টি স্পটে খোলা হয়েছে সরবতের দোকান। অনেকে ভ্যানে করে বিক্রি
করছেন স্কুল কলেজ ও মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে।  দই, বেল ও হরেক রকম সুস্বাদু ও সুগন্ধি দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে শরবত। সকাল ১১ টার পর থেকে বিকাল ৪/৫ পর্যন্ত ওইসব শরবতের দোকানে থাকছে প্রচন্ড ভীড়। 

২৯ এপ্রিল দুপুরে শহরের পোষ্ট অফিসের সামনে শরবত বিক্রেতা নাসিম বলেন, প্রায় ১০/১২ দিন থেকে লাগাতার গরম পরছে। একারনে মানুষ গরম থেকে সামান্য একটু স্বস্তি পেতেই শরবত পান করতে আসছেন। বিক্রি ও হচ্ছে প্রচুর।সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪/৫ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ গ্লাসেরও বেশি শরবত বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, এক গ্লাস দই এর সরবত ১০ টাকা, আর বেলের শরবত ২০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। 

শহরের ১ নং রেলঘুমটি সংলগ্ন আজমলের দোকানে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফলের শরবত। ইসবগুল এর ভুষি, ও তোকমার সাথে আপেল সহ বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে শরবত।আর এই শরবত ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক গ্লাস।

তবে অনেকেই এসব শরবত নিয়ে প্রস্ন তুলছেন। কারন তাদের ব্যবহার করা করা আর বরফ স্বাস্থ্য সম্মত কি নয়। এনিয়ে দোকানী আজমল বলেন,আমি শরবতে যে পানি ব্যবহার করছি সেটি ফুটানো পানি।এর সাথে বাড়ির ফ্রিজের বরফ মিশ্রন করা হচ্ছে। 

সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন বলেন, আমরা মাঝে মধ্যে গরমে নেতা কর্মী ও সাংবাদিকদের নিয়ে ফুটপাতের শরবতের দোকানে শরবত পান করি। আজ পর্যন্ত নোংরা কিছু চোখে পড়েনি। 

তবে ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, সবই ঠিক আছে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে শরবতের ওই পানিটাই যেন মানুষের অসুস্থতার কারন হয়ে না দ্বাড়ায়।কারন খোলা থাকা পানিতে অল্পতেই জিবানু বাসা বাঁধতে পারে। সাবধানতার সাথে এসব পান করতে তিনি পরামর্শ দেন।

আরও খবর



নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ সংবাদদাতা:নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেল এর মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। এসময় নিহতদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু সন্তানসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই জন। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার নওগাঁ- বগুড়া মহাসড়কের শাহাপুর এলাকায়। নিহত স্বামী-স্ত্রী হলেন, পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী গ্রামের এনামুল হক (৪৯) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার (৩২)। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্তানসহ তারা স্বামী-স্ত্রী একটি মোটরসাইকেল যোগে নওগাঁ থেকে বগুড়ার সান্তাহারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছালে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে তারা সড়কের উপর ছিটকে পড়েন এবং দূর্ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানিয়রা তাদের আহত সন্তানসহ অপর মোটরসাইকেল আরোহী একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। 

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  জাহিদুল হক বলেন, মোটরসাইকেল দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলের আরোহীরা ছিটকে সড়কের উপর পড়েন। প্রাথমিক ভাবে স্থানিয়রা ধারনা করছেন যে, সড়কের উপর পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে দূর্ঘটনা স্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এদূর্ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল তথ্য ও আলামত জব্দ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন। এব্যাপারে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর