Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র জুরি বোর্ডে পরিচালক ফজলুল হক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ২২৯জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার: নাট্যকার ও পরিচালক ফজলুল হক (ফজলুল সেলিম) বাভাসি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২-২০২৩ এর বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। তিনি শোবিজে ফজলুল সেলিম নামেই পরিচিত।

এরই মধ্যে চলচ্চিত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ-ভারত-সিংগাপুর (বাভাসি) ত্রিদেশীয় উদ্যোগে আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসব দেশ ও দেশের বাহির থেকে এ পর্যন্ত ১২০টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। জুরি বোর্ডের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ১২০ থেকে ৫০টি বাছাই করা হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডের ৫০টি চলচ্চিত্র থেকে ১০টি চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য।

ফজলুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক বাভাসি চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২-২০২৩ সবগুলো রাউন্ডেই বিচারক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। একজন পরিচালক হিসেবে বিষয়টি আমার কাছে গর্বেরও বটে।

বাভাসি চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, নির্মাতা, শিল্পী, চিত্রগ্রাহক, রূপসজ্জা, শিল্প নির্দেশক, সম্পাদনা ও আবহ-সংগীতের ওপর মেধা যাচাই-বাছাই করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করা হবে। কর্মের যোগ্যতা অনুযায়ী নতুনদের প্রতিভা বিকাশের সেই সুযোগটি প্রতিবছর করে দিচ্ছে বাভাসি। এই প্রত্যয়ে আন্তর্জাতিক বাভাসি চলচ্চিত্র উৎস প্রতিবছর আয়োজন করে আসছে। ৬ বছর পেরিয়ে ৭ বছরে পর্দাপণ করলো বাভাসি, সত্যি একটি মাইলফলক ও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বাভাসি। এখান থেকে পূর্বে যারা বিজয়ী হয়ে বের হয়েছে তারা বর্তমানে মিডিয়াতে ভালো পারফর্ম করছে এবং তাদের নিজ মেধায় এগিয়ে যাচ্ছে।

ফজলুল হক আরও বলেন, ‘বিচারক হিসেবে আমার ওপর কর্তৃপক্ষ আস্থা রাখার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং দায়িত্ব পেয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত।’


আরও খবর



৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাত ১টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে দেশের আট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উপ-পরিচালক মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোতে দুই নম্বর (পুনঃ) দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর



মেহেরপুরে খরার কবলে বোরো আবাদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃচলতি মৌসুমে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুরের জনপদ। এমন অবস্থায় খরার কবলে পড়েছে বোরো ধানের আবাদ। সেচ দিতে দিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধানের জমি।

একদিকে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে আবার মাটি শুকনা থাকায় দ্রুত শুষে নিচ্ছে পানি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্পুরক সেচ দিয়ে বোরো ধান টিকিয়ে রাখার পরামর্শ কৃষি বিভাগের। তবে এতে চাষ খরচ বেড়ে যাচ্ছে দিগুন থেকে তিনগুণ। অনেকেই ধান ক্ষেত পরিপক্ক হবার আগেই কেটে ফেলছেন।

কৃষি বিভাগের হিসেবে মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে। তবে চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর। বর্তমানে ধানে থোড় থেকে শীষে রুপ নিয়েছে। আবার অনেক এলাকায় ধানক্ষেত অর্ধ পরিপক্ক। এমন এক সময় খরার কবলে পড়েছে বোরো আবাদ। তীব্র তাপদাহে ধানের জমির মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে।

কৃষকরা জানান, জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দেওয়া লাগছে। এদিকে অতি তাপদাহের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শ্যালো ম্যাশিনে পানি উঠছে কম। ফলে সময় বেশি লাগায় এক লিটার ডিজেলের পরিবর্তে কোন কোন জমিতে প্রতিদিন দুই লিটার করে ডিজেল খরচ হচ্ছে। এতে বোরো ধান চাষের উৎপাদন খরচ বেড়ে হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। ফলে এবার বোরো চাষে লোকসানের আশঙ্কা করছে চাষীরা। তাই ক্ষেতের ধান পরিপক্ক হবার আগেই অনেকেই কেটে ধানক্ষেত কেটে ফেরছেন।

সহড়াবাড়িয়া গ্রামের ধানচাষি গোলাম কিবরিয়া জানান, প্রচ- খরায় একদিকে যেমন ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে দেখা দিয়েছে পোঁকার আক্রমন। বালাইনাশক ব্যবহারেও কোন কাজ হচ্ছে না। মাস খানেক আগে যে জমিতে সপ্তাহে দুদিন সেচ দিতে হতো, সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ছে অনেক গুন। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

বালিয়াঘাট গ্রামের চাষি নাহারুল জানান, রোদে ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়ে টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। কাচা ধান কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন।

গাংনীর জুগির গোফা গ্রামের কৃষক আবুল হাসেম জানান, ধান আবাদ করে এবার লোকসান গুনতে হবে। সেচের পানিতে এবার উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরোপুরি ধান পাকতে আরো ১৫/২০ দিন সময় লাগবে। প্রতিদিন পানি দেয়া সম্ভব না তাই অপরিপক্ক ধান কেটে নিচ্ছেন তিনি। একই কথা জানালেন বাথানপাড়ার আব্দুল মান্নান। তার আড়াই বিঘা জমির ধান বাধ্য হয়ে কেটে ফেলেছেন।

সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের চাষী আলামিন জানান, খরাতে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ পাশাপাশি বেড়েছে পোকার আক্রমন। বিষ দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছেনা। যে জমিতে সপ্তাহে তিনদিন সেচ দিয়েই চলতো সেই জমিতে এখন প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে এবার। চাষীদের দাবী লোকসান থেকে বাঁচাতে ধানের দাম যেনো মণ প্রতি ১৫ থেকে ১৬শ টাকা থাকে। তা না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এবার দীর্ঘদিন খরার চলছে। ফলে জমির মাঝে মাঝে কিছু শীষ মরে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জমিতে সেচ দিয়ে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি জমিয়ে রাখার এবং পোকামাকড় দমনে কীটানাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করেনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রকাশিত ৩৭ বছর আগে করা এক রিট খারিজের পুর্ণাঙ্গ রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

১৯৮৮ সালে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তখনই হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

রিট আবেদনের ২৩ বছর পর ২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের মার্চে শুনানি শেষে রিট সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে ৩ বিচারপতি।

আদালত বলেন, এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার রিটকারীদের নেই।


আরও খবর



ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি বিদ্যুত বন্ধ গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএমনিতেই গেল ১০ দিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহ আর গরম অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের অজুহাতে বিদ্যুত বন্ধ। এতে রোগিদের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছে। জ্বর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগিদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগি সেবা নিতে আসা রোগিদের অবস্থা আরো নাজুক। বিদ্যুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে একটি জেনারেটর থাকলেও সেটি দীর্ঘ দিন অচল। ফলে কোন ক্রমেই সংকট কাটছে না। রোগিদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সগণ। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোন স্বদুত্তর দিতে পারেনি।

মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মেহেরপুরের ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহষ্পতিবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রী,শুক্রবার ৪২.৭ ডিগ্রী ও আজ শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.৩ ডিগ্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছে আবহাওয়া অফিস। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত।

বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। শিশুদের কান্নায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিদিন আড়াই শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর যে রোগির অবস্থা একটু সংকটাপন্ন তাকে ভর্তি রাখা হচ্ছে।

আজ রোব্বার সকালে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৫ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ২৮ জন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দ্বিগুন রোগি ভর্তি থাকলেও প্রচন্ড রোগ ও ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এমনিতেই গরম আর দাবদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের নামে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুত বন্ধ। ফলে রোগিদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন। অসুস্থ রোগিরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রায়হানের মা রাশিদা জানান, তার ছেলে ডাইরিয়া রোগ নিয়ে আজ ৪ দিন ভর্তি।

প্রচন্ড গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুত বন্ধ হলে সিঁিড়তে আশ্রয় নিতে হয়। হাসপাতালের কোন জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। একই কথা জানালেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু শাহানাজের মা জামিলা খাতুন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ৫দির ভর্তি রয়েছেন। গরমে তাদের ভরসা একমাত্র তালের পাখা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কয়েকজন জানান, এখানে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর রয়েছে। প্রতি মাসে তেলেরও পর্যাপ্ত বরাদ্দ অথচ সেটি চলেনা। বছর খানেক হলো জেনারেটরটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামত  করার কোন উদ্যোগ নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীই নয় রোগী সাধারনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবুও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

গাংনী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জানান, প্রচন্ত তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম হলেও বাধ্য হয়ে বিদ্যুত বন্ধ রাখা  হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের কারনে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুতের জন্য সাময়িকভাবে এটি করতে হচ্ছে। এতে রোগি ও সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে কিন্ত কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, জেনারেটরটি অকেজো হবার দুবার মেকানিক্স এনে ঠিক করার চেষ্টা করা হয় কিন্ত সেটি আর ভাল করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে ছাড়া কোন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এখানে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই নেই।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নে যে বারাদ্দ পাওয়া যায় সেখানে সেটি ব্যায় করতে হয়। তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে কোন প্রস্তাব উত্থাপন করেননি স্বাস্থ কর্মকর্তা। সরেজমিনে গিয়ে দেখে কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর জানান,তিনি বিষয়টি জানেন এবং জেনারেটরসহ অন্যান্য বিষয়গুলো যাতে সমাধান হয় তা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।



আরও খবর



তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চলমান দেশের ৬ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ এবং এটি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে যা অব্যাহত থাকবে আগামী ৭২ ঘণ্টা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ খবর জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক।

তিনি বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর ফলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

একই সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগেরর উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর