Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চায়না প্রকৌশলী আহত

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২২৩জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুমড়ে মুরচে যায়। এতে ওই গাড়ীতে থাকা তিন চিনা নাগরিকের মধ্যে ওয়াইইউ (৪৩) এবং চুয়েন (৩১) দুই প্রকৌশলী আহত হয়েছে। আহতদের ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার দুপুরে।

জানাগেছে, পটুয়াখালী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার লিন (৩৭) ও দুই প্রকৌশলী ওয়াইইউ ও চুয়েন মাইক্রোবাসে (ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৩-২৮৯৬) সোমবার দুপুরে ঢাকা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি খাদে পড়ে দুমড়ে মুরচে যায়। এতে ওই গাড়ীতে থাকা দুই প্রকৌশলী ওয়াইইউ এবং চুয়েন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন ইন চার্জ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিনা তিন নাগরিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়ান হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




কুড়িগ্রামের রৌমারী ভোট কেন্দ্র স্থান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃরৌমারীতে প্রায় দুই যুগ ধরে ভোট কেন্দ্র পরিচালিত হয়ে আসা কেন্দ্রটি অনত্র স্থান্তরিত হওয়ায় এলাকাবাসি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানব বন্ধন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলাধীন ৩ নং বন্দবেড় ইউনিয়নের বন্দবেড় গ্রামে। মানব বন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বন্দবেড় গ্রামের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আলহাজ্জ কদম আলী , বন্দবেড় ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু রেজাসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, বন্দবেড় গ্রামের নামে বন্দবেড় ইউনিয়নের সৃষ্টি হয়েছে দেশ স্বাধীনের পর হতে। যে গ্রামে বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় প্রায় দুই যুগ ধরে ভোট কেন্দ্রে নিয়মিত ভোটের কার্যক্রম চলে আসছিল।

হটাৎ করে ৪/৫ দিন আগে রৌমারী উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানাযায়, বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভোট সেন্টারটি কেটে বাঘমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানন্তরিত করা হয়েছে। এমন সংবাদে বন্দবেড় গ্রামের শতশত মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

যার পরিপেক্ষিতে বন্দবেড়ের শতশত ভোটার প্রতিকারের জন্য দফায় দফায় মানব বন্ধন ও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এলাকাবাসির প্রানের দাবী অবিলম্বে পূর্বের স্থানে বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রটি বহাল করা হউক। তারা আরো বলেন, ভোট কেন্দ্রটি বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বহাল না রাখলে বন্দবেড়ের ২ হাজার ভোটার ভোট বর্জনের হুসিয়ারী প্রদান করেন। পরিশেষে বন্দবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রটি বহালের  নিমিত্তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন।

এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, যেহেতু ভোট কেন্দ্রটি বাঘমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরিপের মাধ্যমে স্থানন্তরিত করা হয়েছে, পূর্বের স্থানে বহাল করার আমার এখতিয়ারের বাইরে। এব্যাপারে ঢাকা নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করার পরামর্শ দেন।


আরও খবর



যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

বিশেষ প্রতিনিধি:- রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি পানিযুক্ত ঝোপঝাড় থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় (৩৫) এক ব্যক্তির  মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা পর কে বা কারা উক্তস্থানে ফেলে রেখে গেছে।শনিবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।তিনি জানান, এখনও বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।


তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। মরদেহটি যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি পানিযুক্ত ঝোপঝাড়ে পড়েছিল।প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে পিছন দিক থেকে ওই মরদেহের হাত বাঁধা ও গলিত।

এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে।তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

     -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



সি‌লেট বিভা‌গের শ্রেষ্ঠ ও‌সি হ‌লেন মোহাম্মদ শাহ আলম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১০জন দেখেছেন

Image

র‌নি,ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:সিলেট বিভাগের ৩৯টি থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নির্বাচিত হয়েছেন।সুনামগঞ্জ‌ জেলার ছাতক থানার মোহাম্মদ শাহ আলম। গত মঙ্গলবার  তাকে এই পুরস্কার দেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম (বার)পিপিএম-সেবা। সিলেটে মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। মূলত পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশনা মোতাবেক মান দণ্ডের বিচারে গত জানুয়া‌রি  থে‌কে মার্চ তিন মাসের অপরাধ সভা পর্যালোচনায় সিলেট বিভাগের ৩৯টি থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ আলম।

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার ওসি মো. শাহ আলমের কর্মদক্ষতায় বদলে গেছে ছাতক থানার সার্বিক চিত্র। তি‌নি পে‌য়ে‌ছেন শ্রেষ্ঠত্বের পুরুষ্কার। উন্নতি হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির। সাম্প্রতি থানায় কমতে শুরু করেছে মিথ্যা মামলা রুজুর সংখ্যা। নিয়মিত অভিযানে বেড়েছে পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারের সংখ্যা। পুলিশের কঠোর নজরদারিতে কমেছে উপজেলায় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও দস্যুতার মতো অপরাধমুলক ঘটনা।

২০ ২৩ সালের ৭ আগষ্টে ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম (আইজিপি ব্যাজপ্রাপ্ত) যোগদানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯৫টি সাজা পরোয়ানা খারিজ করা হয়েছে ও দুর্ধর্ষ ৬জন আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছর ও চলতি বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত অপরাধ পরিসংখ্যান যাচাই করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।তাছাড়াও বর্তমানে ছাতক থানা দালাল মুক্ত হওয়ায় স্থানীয়রা আইনি সেবা পেতে অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সেবা গ্রহীতারা। যার বড় সাফল্য হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন রকমের সংঘাত ছাড়া সুষ্ঠ সুন্দর হয়।

থানার অপরাধ পরিসংখ্যান হিসাব অনুযায়ী শাহ আলমের যোগদানের পর থেকে-২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে ২৪ সালের জানুয়ারী মাস পর্যন্ত কোন ডাকাতি কিংবা দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি। খুন ৫টি, ধর্ষণ ৬টি, গবাদি পশু চুরি ১টি, অস্ত্র আইন ৩টি, চোরাচালান ২১টি, মাদক ১২টি, ১৯টি মহিষ উদ্ধার, ২শ বোতল ভারতীয় মদ, ৩০কেজি গাজা, প্রায় ১৩শ বস্তা চিনি ও ১৪০বস্তা পেয়াঁজ জব্দ, যৌতুক,সিধেল চুরি,মোবাইল চুরি,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন,সড়ক দুর্ঘটনা,১০টি সহ অন্যান্য আইনে ওই বছরের ৬ মাসে মোট মামলা রজু করা হয় ১৩৪টি। নিষ্পত্তি করা হয়েছে ১৭৬টি। একই সময়ে থানা পুলিশের অভিযানে মোট গ্রেপ্তার করা ক‌রেন ১৬৮ জনকে। মোট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করা হয়েছে মোট ৮৫টি। এর মধ্যে জিআর,সিআর মামলায় ৩০টি ও সাজাপ্রাপ্ত ২৮ জন আসামি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আদালতে মোট নন এফআইআর প্রসিকিউশন দেওয়া হয়েছে ১১০টি। এছাড়াও ভারতীয় পিয়াজ, চিনি, নাসির বিড়ি, গাজা, বিদেশী মদ ও শাড়ী জব্দ করা হয় ১কোটি ২৩লক্ষ ৩২হাজার ৭৩৫টাকার অবৈধ পন্য।

এদিকে, মামলার রুজুর বিষয়ে কঠোর যাচাই-বাছাইর কারণে ইদানিং মিথ্যা মামলা থেকেও রেহাই পাচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ। পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিতই বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাইকিং এর কারনে বড় রকমের দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটে‌নি  বলে  চলে এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনার কারণে কমেছে হামলা মামলার প্রবণতা। সর্বশেষ চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় পণ্য পিয়াঁজ, চিনি সহ ৭জন আসামিকে গ্রেপ্তারসহ টিউবওয়েল চুরির পণ্য উদ্ধার করা হয়।

থানার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মাদকদ্রব্য,চোরাচালান, মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখায় এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় তাকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে পুরুস্কৃত করা হলো। সভায় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলার পু‌লিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ সহ চার পু‌লিশ সুপার উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

জানা গেছে,এর আগে তিনি রাজধানী ঢাকাস্থ ডিএমপি শাখায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ী মাদারীপুর জেলায়।তিনি ২০২৩ সালের (৭ আগষ্ট) ছাতক থানায় যোগদাে‌নের পর বিভা‌গের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পুরুস্কৃত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ আলম।ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, থানার সব অফিসার ও ফোর্সদের দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই তার এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। সিলেট বিভাগের এই শ্রেষ্ঠত্বের অর্জন ছাতক থানার সকল অফিসার ও ফোর্সকে উৎসর্গ করেন তিনি।


আরও খবর



নেটওয়ার্ক শেয়ারে রবি ও বাংলালিংক-এর যৌথ উদ্যোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের অন্যতম দুই মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও বাংলালিংক তাদের নেটওয়ার্ক অবকাঠামো শেয়ার এর সম্ভ্যবতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। মোবাইল নেটওয়ার্কের মান ও গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশব্যাপী ফোর-জি’র প্রসার বাড়াতে এই যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে অপারেটর দুটি। বিশ্বে টেলিযোগাযোগ শিল্পে নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর যৌথ ব্যবহার জনপ্রিয় ও স্বীকৃত।

এর মাধ্যমে সম্পদের সদ্ব্যবহার করে জ্বালানির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানই টেকসই পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতি সমুন্নত রাখতে পারে। এছাড়া, এর ফলে ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও টেলিযোগাযোগ সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করায় সেবার মান ও মূল্য সংযোজন পরিষেবায় (ভিএএস) বেশি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরী করে। টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এ ধরণের যৌথ উদ্যোগে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

১৭ মে ২০২৪-এ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্ধসঢ়;মেদ পলক এ ঘোষণা দেন। বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। অনুষ্ঠানে রবি ও বাংলালিংক সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষর করে।

গ্রাহকদের উন্নত ও মানসম্মত সেবা প্রদানের প্রতিশ্ধসঢ়;রুতি রক্ষায় এই উদ্ভাবনী যৌথ উদ্যোগ নতুন মাইলফলক তৈরি করবে। এই চুক্তির মাধ্যম উভয় অপারেটরের গ্রাহকগণ বৈচিত্রময় ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ পাবে।

এ বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে রবি ও বাংলালিংক-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “এই সময়োপযোগী ও গতিশীল উদ্যোগ দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন

আনবে। আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সেবা ও দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে নেটওয়ার্ক শেয়ার-এর প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সম্ভ্যব্যতা যাচাই করা। প্রয়োজনীয় নীতিগত পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর যৌথ ব্যবহার শুরু হবে। আমাদের লক্ষ্য হল সকল গ্রাহকের জন্য শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ সংযোগ নিশ্চিত করা, যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জিত হয়। এই ধরণের দূরদর্শী উদ্যোগের প্রতি সর্বদা সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্ধসঢ়;মেদ পলক বলেন, “সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পকে অন্যতম চালিকাশক্তিতে রুপান্তর করতে আমরা কাজ করছি। টেলিযোগাযোগ একটি অপরিহার্য সেবা, যা গ্রাহকদের ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু হিসাবে কাজ করে। বাংলালিংক ও রবির মধ্যে এই যৌথ উদ্যোগ নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে।

পাশাপাশি, এটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকান্ডে দেশের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারকেও উৎসাহ প্রদান করবে। রবি ও বাংলালিংকের এই যৌথ উদ্যোগ দেশজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনকে আরও উন্নত করবে বলে আমার বিশ্বাস।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিপিএএ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বিটিআরসি-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট


আরও খবর



বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image
রবিউল ইসলাম বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪নং নিয়ামতি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ঢালমারা গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মা, মেয়ে ও ছেলে নিহত হয়েছে। 

সূত্রে জানা যায়, ২৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ১২:৩০ টার দিকে রিয়াজ মোল্লার স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩০) মেয়ে রেজভী আক্তার (৯) ছেলে সালমান (৫) বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহতের এই ঘটনা ঘটে। 

পার্শ্ববর্তী বাড়ির ফরিদা বেগম জানান, রিয়াজ মোল্লার  বাগানের ভিতর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের তার পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যায় সেইতার দুদিন পূর্বে ছিড়ে বিভিন্ন গাছ সহ  মাটিতে পরে ছিল। দুপুর ১২:৩০ টার দিকে রিয়াজ মোল্লার (৫) বছরের  ছেলে সালমান গাছ থেকে লেবু পারতে   গেলে প্রথমে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়, সালমানের চিৎকারে  তার মা সোনিয়া বেগম (৩০)  সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। মা ও ভাইকে খুঁজতে গিয়ে (৯) বছরের রেজভী আক্তার বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পার্শ্ববর্তী বাড়ির আমেনা বেগম বিদ্যুতের তারে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে অবহিত করেন। বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার পরে তাদের নিথর মরদেহ  উদ্ধার করা হয়। রিয়াজ মোল্লার সংসারে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।  স্থানীয়দের দাবি বাকেরগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় মা ছেলে মেয়ের সহ  তিনজন নিহত হয়েছে। 

বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ ১ বাকেরগঞ্জের জোনাল অফিসের  ম্যানেজার (ডিজিএম) গোবিন্দচন্দ্র  শনিবার বিকেলে আমাদের সময়কে জানান  তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ঢাকা থেকে তাদের একটি তদন্ত টিম  গঠন করা হয়েছে এবং বরিশালে  তাদের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে তদন্ত টিমের রিপোর্ট পেয়ে প্রকৃত  ঘটনা উন্মোচন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন জানান, ঘটনা শোনার পরপরই  ফোর্সসহ  ঘটনাস্থলে তিনি গিয়েছেন। এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। নিহতের  ঘটনায় অপমৃত্যু  মামলা রুজু  করা হবে।

আরও খবর