Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

আমতলীর আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী তানজিলা হত্যার মুল রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীতে আলোচিত তানজিলা হত্যা রহস্য পুলিশ উদঘাটন করেছে। অপহরণকারী হৃদয় খাঁনের মুক্তিপণ দাবী করা মোবাইলের সুত্র ধরেই এ রহস্য উদঘাটন করা হয়। অপহরণকারী হৃদয় খাঁন ও জাহিদুল খাঁন মাদ্রাসা ছাত্রী তানজিলাকে অপহরণ শেষে ধর্ষণ করে। পরে তানজিলার বাবার কাছে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ওই দাবীকৃত টাকা না পেয়েই অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করেছে। আসামী হৃদয় খাঁন ও জাহিদুল খাঁন পুলিশের কাছে এ হত্যা রহস্য স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে আমতলী থানায় হৃদয় খাঁন, জাহিদুল খাঁনসহ আরো অজ্ঞাত ৩ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতকদের কঠোর শাস্তি দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।

জানাগেছে, উপজেলার পুঁজাখোলা গ্রামের তোফাজ্জেল খাঁনে মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়–য়া কন্যা তানজিলাকে সোমবার সকালে বাড়ীর সামনে থেকে চাচাতো ভাই হৃদয় খাঁন ও জাহিদুল খাঁন অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে একটি বাড়ীতে রেখে তারা অপরূতাকে ধর্ষণ করে।

ওইদিন রাতেই অপহৃতার বাবা তোফাজ্জেল খাঁনের কাছে হৃদয় খাঁন তার মোবাইল থেকে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। বাবা তোফাজ্জেল খাঁন মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব করে। পরে তারা তানজিলাকে হাত-পা বেঁধে গলায় স্কার্ফ পেচিয়ে হত্যা করে। ঘাতকরা হত্যা করেই খ্যান্ত হয়নি তানজিলার মরদেহ পুজাখোলা খালের চরে হোগলপাতার খেতে কাঁদা মাটির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খাঁন আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে পুলিশ হৃদয় খাঁনকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপহরণের দুইদিন পরে তানজিলার বাড়ীর সামনে খালের চরে হোগলপাতার খেতের মধ্য থেকে বুধবার দুপুরে তার হাত-পা বাঁধা গলায় স্কাফ পেচানো মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খান বাদী হয়ে ঘাতক হৃদয় খাঁন এবং জাহিদুল খাঁনসহ আরো অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে

সোপর্দ করেছে। আদালতে বিচারক মোঃ আরিফুর রহমানের কাছে আসামীরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি দেন। পরে ওইদিন বিকেলে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিকে আসামী হৃদয় খাঁন ও জাহিদুলের কঠোর শাস্তির দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।

তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খাঁন কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, অপহরণকারী হৃদয় ও জাহিদুলের পায়ে পরে আমার মেয়ের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। কিন্তু ওরা আমার মেয়েকে বাঁচতে দিল না। আমার মেয়েকে নির্মম নির্যাতন শেষে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনায় ওদের কঠোর বিচার দাবী করছি।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী হৃদয় ও জাহিদুল ঘটনার বর্ননা দিয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মাটিরাঙ্গায় বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে

বুধবার (১৪ মে )বিকেল ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি বনবিভাগের  বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.ফরিদ মিঞা এর দিক নির্দেশনায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তীর সার্বিক সহযোগিতায় লজ্জাবতী বানরটি মাটিরাঙ্গা বন বিভাগের  কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মাটিরাঙ্গা রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে অবমুক্ত করা হয়।

 লজ্জাবতী বানরটি মাটিরাঙ্গা রেঞ্জের বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের  ৮নং ওয়ার্ড হইতে স্থানীয় এলাকাবাসীর  সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গা  রেঞ্জের কর্মকর্তা উদ্ধার করেন।গত ছয় মাসে মাটিরাঙ্গা 
রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে ৪টি লজ্জাবতী বানর
অবমুক্ত করা হয়েছে।

লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা, মো. আতাউর রহমান লস্কর, মাটিরাঙ্গা রেঞ্জের ফরেষ্টার মো. তৌহিদুর রহমান, ফরেস্টার, মো. আক্কাচ আলী, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সহ-সভাপতি মো.জসীম উদ্দিন জয়নাল, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো.মুজিবুর রহমান ভূইঁয়া সহ বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা  উপস্থিত ছিলেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী বলেন, বনজঙ্গল ও গাছপালা উজাড় হওয়ায় প্রায় সময় খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে বেরিয়ে এসে স্থানীয়দের হাতে লজ্জাবতী ধরা পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে। এসব বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করতে হলে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সচেতন করতে হবে।

আরও খবর



ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়” এর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয় হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ডোমার পৌর কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন এর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ১৯১৯ সালে ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টির বয়স শত বছর হলেও বিভিন্ন কারনে সেই সময় শত বছর উদযাপন করতে পারেনি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরামর্শে বিদ্যালয়ের শত বছর উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। আগামী ঈদুল আযহা এর ৩য় দিনে শতবর্ষ উদযাপন করা হবে। বর্তমানে রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে যার শেষ সময় আগামী ২০ মে পর্যন্ত। শতবর্ষ উদ্যাপনের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৯১৯-২০১৫ ব্যাচ ১০০০ টাকা। ২০১৬/২০১৭/২০১৮ ব্যাচ ৭০০ টাকা এবং ২০১৯ থেকে ২০২৪ ব্যাচ ৫০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সফল করতে কেউ চাইলে নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফির অতিরিক্ত দিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে যত টাকা দিবেন সেই পরিমান রশিদে লিখে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।যারা আগে ৩০০ টাকা দিছে তারা রশিদ সহ বুথে বা প্রতিনিধির নিকট রেজিস্ট্রেশন করবে, রশিদ না থাকলে স্কুলে গিয়ে

রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ফরমের সাথে ছবি ও মোবাইল নম্বর সহ নির্ধারিত ফর্ম নিজ দায়িত্বে পুরন করে জমা দিতে হবে।বর্তমানে স্কুলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ৫০০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। এ সময়ের বিদ্যালয়ের সকল বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আহ্ধসঢ়;বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্ধসঢ়;বায়ক ও অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রুহুহুল আমিন, কমিটির সহযোগী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, ম্যােিনজিং কমিটির সদস্য বেলাল হোসেন, উজ্জল কাঞ্জিলাল, মামুনুর রশিদ বসুনিয়া সজিব, প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২২জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম রায় দেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মৃত ইনারী সর্দারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের ছেলে শাহাদুল ও শাহদুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম রেখা, মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী ও সামছুদ্দিনের ছেলে রেজাউল। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের আলতাফের ছেলে নুরুন্নবীর সাথে মরিয়ম বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নুরুন্নবী বাড়ি থেকে বের হয়ে সে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোজাখুজি করেও কোন সন্ধ্যান পাননি। সেই পরকীয়ার জেরে আসামীরা তাকে হত্যা করে। পরে ২০ নভেম্বর উপজেলা দক্ষিণ হাটশহর এলাকার একটি পুরাতন কবরে নুরুরন্নবীর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরের দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।

আরও খবর



রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সেলিম প্রধানের প্রার্থীতার বৈধতার আদেশ স্থায়ীভাবে স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃক্যাসিনো-কান্ডের আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেলিম প্রধানের প্রার্থীতা ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য দেয়া উচ্চ আদালতের আদেশের উপর স্থায়ীভাবে স্থিতি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার চেয়ারম্যান প্রার্থীতার বৈধতার আদেশ স্থায়ীভাবে স্থগিত  করেছে আদালত। গতকাল ৬মে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত উচ্চ আদালতের আদেশের উপর এই স্থিতি অবস্থা জারি করে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ক্যাসিনো-কান্ডের আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেলিম প্রধান । গত ২৩ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সেলিম প্রধান আপিল করলে গত ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক আপিল খারিজ করে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন। ৩০ এপ্রিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের প্রার্থীতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে রীট করেন সেলিম প্রধান। রীটের প্রেক্ষিতে সেলিম প্রধানের প্রার্থীতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেয় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২ মে বৃহস্পতিবার সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান।  আপিলের প্রেক্ষিতে আদালত সেলিম প্রধানের করা রীটের বিষয়বস্তুর উপর স্থিতি অবস্থা জারি করে। গতকাল  ৬মে সোমবার এবিষয়ে শুনানি হয়। এর পরে বিচারক এম এ এনায়েতুর রহিম এ আদেশ জারি করেন।  

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এসময় তাঁর সহকারী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক উচ্চ আদালতের আদেশের উপর স্থায়ীভাবে স্থিতি অবস্থা জারি করেন। 

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাঁর বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছিল, সেলিম প্রধান বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো বা অনলাইন জুয়ার মূল হোতা। তিনি প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এ ঘটনায় তখন তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।


আরও খবর



আইইবি স্বর্ণপদক পেলেন এনার্জিপ্যাকের চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র চেয়ারম্যান এবং এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ডিরেক্টর ও সিইও ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলম (সিআইপি) সম্প্রতি গবেষণা, প্রকৌশল খাত এবং জাতীয় অর্থনীতিতে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মর্যাদাপূর্ণ আইইবি স্বর্ণপদক ২০২৩ অর্জন করেছেন।

গত ১১ মে রাজধানীতে আইইবি’র ৬১তম কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। পরে তিনি দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য প্রকৌশলীদের মাঝে স্বর্ণপদক ও সনদ বিতরণ করেন। ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলম স্বর্ণপদক জয়ীদের একজন।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এনার্জিপ্যাক উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসতে সচেষ্ট থাকবে এবং টেকসই উপায় অবলম্বন করে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে।”

ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলমের নেতৃত্ব, জ্ঞান ও দিকনির্দেশনায় হালকা প্রকৌশল শিল্পে অবদান রেখে চলেছে এনার্জিপ্যাক। দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এর আগে তিনি সিআইপি নির্বাচিত হন।


আরও খবর