Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

আমরা দুজন ভালো মানুষ হারালাম: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শাহজাহান কামালের মতো একজন ভালো মানুষ রাজনীতিতে বিরল। তাকে হারানো মানে, আমরা একজন ভালো মানুষকে হারালাম।  আব্দুস সাত্তারও ভালো মানুষ  ছিলেন। এ দুই নেতার মৃত্যুতে আমরা দুজন ভালো মানুষ হারালাম।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর ন্যাম ভবন প্রাঙ্গণে দুই এমপির মরদেহে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মাঝে মধ্যে বড় কষ্ট লাগে, আমার দেশের রাজনীতি থেকে কেন যেন মনে হয় ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখানে নামাজে জানাজার শামিল হয়েছি। আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে ফুল দিয়েছি। আমাদের পার্টির প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে রয়েছেন, তিনি শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে শাহজাহান কামাল আমার খুবই ক্লোজলি রিলেটেড ছিল। তিনি ছাত্রনেতা থেকে পরে মন্ত্রী। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একজন সাচ্চা আদর্শবান মানুষ ছিলেন। আব্দুল সাত্তারও একজন ভালো মানুষ হিসেবে তার এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।


আরও খবর



আমতলীতে সওজের ১৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীর একেস্কুল চৌরাস্তা মোরে বুধবার দুপুরে সওজের জমি দখল করে গড়ে তোলা ১৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, আমতলী একেস্কুল চৌরাস্তা মোরে সওজের জমি দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী মনির পঞ্চায়েত আলম পঞ্চায়েত,জাকির হাওলাদার, গফফার হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার, মাসুম পঞ্চায়েত, ইউনুছ ফকির ও খলিল ফকিরসহ বিভিন্ন ব্যাক্তিরা সওজের জমি দখল করে ১৫টি ঘর তুলে বিভিন্ন ব্যাক্তির নিকট ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এ অবৈধ স্থাপনা সড়িয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও তারা না সরোনোয় বুধবার দুপুরে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান।

আমতলী উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ৪ জেলার উপর দিয়ে মিছিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় ফারাক্কা দিবস পালন করেছে জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতি। কর্মসুচি বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়। ভারতের কাছ থেকে ফারাক্কা ও তিস্তা নদীসহ ৫৪ টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মাগুরা থেকে জিকে প্রকল্পের প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত মিছিল, প্রচার অভিযান ও স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি পালিত হয়। 

এই কর্মসূচি জিকে প্রকল্পের ৪ জেলা তথা- মাগুরা, ঝিনেদা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ১৩ উপজেলার মধ্য দিয়ে যাবে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন  সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, কেন্দ্রীয় নেতা তসলিম উর রহমান, কাজী ফিরোজ, সহিদুল এনাম পল্লবসহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। 

কর্মসূচিতে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ অংশ নেন।বক্তারা,ভারতের কাছ থেকে ফারাক্কা ও তিস্তা নদীসহ ৫৪ টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা সহ ৮ দফা দাবী বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। 

আরও খবর



সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে জামিল হোসেন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল আনুমানিক বিকাল সারে ৫ টায় গরমের তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে হিট ষ্ট্রোকে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।জামিল হোসেন শহরের নতুন বাবু পাড়ার তিল খাজা রোর্ডের মরহুম মন্জুর হোসের ছেলে বলে জানা যায়। 


স্হানীয়রা জানান,জামিল হোসেন ওইদিন বিকাল আনুমানিক সারে ৫ টায় তার বাড়ি সংলগ্ন এক দোকানে যান সওদা কেনার জন্য। সওদা কিনে বাড়ি ফেরার সময় পথেই হিট ষ্ট্রোক করেন। দোকানী আলী হোসেন সহ বাড়ির লোকজন অসুস্থ বৃদ্ধাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে কর্মরত চিকিৎসক আফরোজা বেগম সুমি তাঁকে মৃত্যু বলে ঘোষণা দেন।

জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন,হিট ষ্ট্রোকে মারা যাওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থল যাই।তবে মৃত্যুের শরীরে আঘাতের কোন দাগ ছিল না। 

এবিষয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে কর্মরত লোকমান হোসেন বলেন, বেশ কয়েক দিন থেকে ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করেছে।প্রচন্ড তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, প্রচন্ড গরমে হিট ষ্ট্রোক থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রচন্ড গরমে অস্থির অস্থির লাগলে ১/২ ঘন্টা পরপর ঘাড় ও মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। পানি খেতে হবে সবসময়। এরপরেও অস্বস্তি বোধ করলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি। 

আরও খবর



বিরামপুরে ছোট যমুনা নদীর পাড়ে হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী ফারুক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃহাঁস পালন একটি লাভজনক পেশা। হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার জহুরুল ইসলাম ফারুক নামে এক যুবক। তিন বছর আগে ৭০০ হাঁস দিয়ে খামার শুরু করলেও তিনি। তিন বছরে ৫ হাজারেরও বেশি হাঁস বিক্রি করেছেন। বর্তমানে তাঁর খামারে  এক হাজার হাঁস রয়েছে। সেই হাঁসগুলো অল্প দিনের মধ্যেই ডিম দেবে। যমুনা নদীর ধারে তাঁর এই খামার দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অনেকেই। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে নানান পরামর্শ।

সরেজমিনে দেখা যায়, দিনাজপুর জেলার  বিরামপুর উপজেলার ছোট যমুনা নদীর পাড়ে ফারুক গড়ে তুলেছেন এ হাঁসের খামার। দল বেঁধে চলছে হাঁসের দল। প্রতিটি হাঁসের বাচ্চা ৩০ টাকা দরে কিনেছেন বলে জানান তিনি। প্রথম পর্যায়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ৭০০ হাঁসের মাধ্যমে খামার তৈরি করলেও তিন বছরে তিনি ৫ হাজারেরও বেশি হাঁস বিক্রি করেছেন। নদীর বুকে সারাদিন হাঁসগুলো খাবার খেয়ে থাকেন। বর্তমানে তাঁর খামারে ক্যাম্বেল জাতের হাঁসও রয়েছে।

হাঁসগুলোকে সন্ধ্যার পর শুধু ৫০ কেজি গম খেতে দেন তিনি। দেখা যায়, ফারুক হাঁসগুলোকে ডাকা মাত্রই ছুটে আসে তাঁর কাছে। সারাদিন হাঁসগুলো এখানে প্রাকৃতিক খাবার খায়। সন্ধ্যায় সেগুলোকে শুকনো স্থানে রেখে পরিচর্যা শেষে পুনরায় সকালে নদীতে উন্মুক্ত করা হয়। এক জায়গায় স্থির না রেখে পানি ও প্রাকৃতিক খাবারের প্রাপ্যতানুসারে স্থানান্তর করা হয় হাঁসগুলোকে। ভ্রাম্যমাণ খামারটি একদিকে বদলে দিয়েছে তাঁর ভাগ্য। অপরদিকে ওই এলাকাবাসী পেয়েছে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রেরণা। হাঁস পালন সম্পর্কে নানা পরামর্শ নিতে আসছেন অনেকেই। তাঁর খামারে কাজ করে সংসার পরিচালনা করছেন অনেক পরিবার।

এ বিষয়ে হাঁস খামারি জহুরুল ইসলাম ফারুক বলেন, ছোট পরিসরে প্রায় তিন বছর ধরেই যমুনা নদীর তীরে হাঁস পালন করছেন তিনি। তাঁর খামারে ক্যাম্বেল জাতের হাঁস রয়েছে। সরকার থেকে সহযোগিতা পেলে তিনি হাঁসের একটি বড় হ্যাচারি তৈরি করবেন। তাঁর খামারের হাঁসগুলো অল্পদিনের মধ্যেই ডিম দেবে। সেই ডিম থেকে তিনি আবার বাচ্চা তৈরি করার চিন্তা করছেন।

বিরামপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিপুল কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিরামপুরের ছোট যমুনা নদীতে ভ্রাম্যমাণ হাঁস পালনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ফারুকের খামারটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে খামারিদের সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ভ্যাকসিন, চিকিৎসা ও পরামর্শ সেবা দিয়ে থাকি। বিরামপুর উপজেলাতে প্রায় ৩৪টির মতো ছোট -বড় হাঁসের খামার রয়েছে। এই খামারগুলোতে বিভিন্ন জাতের হাঁস রয়েছে। হাঁসগুলো থেকে স্থানীয় মাংস এবং ডিমের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।


আরও খবর



তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ স্মার্ট বিতরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ধ্যানধারণার এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে লালন করা একজন কর্মবীর মানুষ।তার দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে তিনি তিতাস গ্যাসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে বেশ দক্ষতার  পরিচয় দিয়েছেন।তার সময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেকর্ড গড়েছে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বিতরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।এজন্য তিতাস গ্যাস কে ডিজিটাইজেশন করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইতোমধ্যেই। তার আড়াই বছরের দায়িত্ব পালনকালীন সময়টি তিতাস গ্যাসের সাফল্যের এক স্বর্ণালী অধ্যায়। তার তত্ত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে পেট্রোবাংলার অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিতাস গ্যাস প্রথম স্থান অর্জন করে।


সংশ্লিষ্টরা জানান, হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিতাসের সিস্টেম লসও কমে এসেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সিস্টেম লসের পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সর্বশেষ ২০২৩ অর্থবছরের আগস্ট পর্যন্ত সিস্টেম লসের পরিমাণ কমে এসে দাড়ায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশে।যা ধীরে ধীরে আরো কমে আসবে এবং সিষ্টেম লস শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


সম্প্রতি বকেয়া আদায়ে ধারাবাহিক অভিযানে তিতাস গ্যাস মেট্রো ঢাকা রাজস্ব বিভাগ-৫, ধানমন্ডী অফিসের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম চলার কারণে অফিসে সেবা গ্রহিতাদের প্রচন্ড ভিড় লক্ষনীয় যার প্রভাব অন্যন্য আঞ্চলিক অফিস গুলোতেও পড়েছে।


তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার ও বকেয়ার কারণে আবাসিক ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪৮৬টি বার্নার, ৫১৫টি শিল্প, ৫২৯টি বাণিজ্য, ১৭৯টি ক্যাপটিভ ও ৫৪টি সিএনজি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ৭৪৪ দশমিক ৪১ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ৪৭০ কোটি ৯০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৯১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।শাস্তিমুলক ব্যাবস্থার অংশ হিসেবে  গ্যাস খেকোদের ঘনিষ্ঠ তিতাস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধ বরখাস্ত, সাময়িক বরখাস্ত,বদলির মাধ্যমে তার সক্ষমতার জানান দিয়েছেন।যেকোন মুল্যে অবৈধ গ্যাস সংযোগ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে তার চেষ্টার কোন কমতি নেই।অবৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রহনে মামলা এবং জরিমানা আরোপ করে নজির স্থাপন করেছেন হারুনুর রশীদ মোল্লাহ।অবৈধ পাইপলাইন অপসারণেও স্থাপিত হয়েছে নজির।



তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, যতক্ষণ অবৈধ সংযোগ আছে ততক্ষণ অভিযান চলবে। কোনো ছাড় নেই। এ ধরনের কাজের সঙ্গে যদি কোনো কর্মকর্তাও জড়িত থাকেন, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, তিতাসের এলাকায় এখন সঞ্চালন লাইন অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। সেগুলোর স্থানে নতুন লাইন বসানো হবে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ, জয়দেবপুরসহ যেসব এলাকায় শিল্পকারখানা রয়েছে, সেখানে নতুন পাইপলাইন বসানো হবে। যাতে শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ থাকে। পাশাপাশি পাইপলাইনে সার্বিক বিষয় দেখভাল করতে স্ক্যাডা সিস্টেম বসানো হবে।


তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আড়াই  বছরে অনিয়ম, অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ৯ জনকে বরখাস্তসহ মোট ৭৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ২৮৩ জনকে নানা অভিযোগে বদলি করা হয়েছে।তিতাস গ্যাসের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, এমডির কঠোর অ্যাকশনে অনিয়ম ও দুর্নীতি একেবারেই নেই অবৈধ গ্যাস সংযোগের সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে


আরও খবর