Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

আমিরাতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে অভিনন্দন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৩৮জন দেখেছেন

Image

মো নূরুল্লাহ খান,  আরব আমিরাত থেকে :

সংযুক্ত আরব আমিরাতে  বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সভাপতি, সেতুু মন্ত্রী জননেতা ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য মন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ চৌধুরী ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। 


 আবুধাবির আল নাফিম রেস্টুরেন্ট হলরুমে সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলা উদ্দিন। 

এসময়ে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমু, সহসভাপতি শওকত আকবর, সহসভাপতি মোহাম্মদ জামশেদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মউন উদ্দিন মঈন, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম কাদের ইফতি, দপ্তর সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক আবু তাহের,বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি ছৈয়দ মুহাম্মদ লুৎফর রহমান, প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু আবুধাবির সভাপতি এস এম রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ মোছাফ্ফার সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন সিকদার, আবুধাবি যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন জসিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


অনুস্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাহবুব খোন্দাকার, সেলিম নেওয়াজ, মোহাম্মদ খোরশেদ, মোহাম্মদ এরশাদ,সজল চৌধুরী, নাসির উদ্দিন মামুন প্রমুখ।

বক্তারা নব গঠিত কমিটির সভানেত্রী, সাধারন সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনারায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে নিজ নিজ অবস্থান হতে থেকে কাজ করার আহবান জানান।

পরিশেষে মোনাজাতে জননেত্রীসহ দেশ, জাতি ও প্রবাসীদের কল্যান কামনা করা হয়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



সৈয়দপুরে অপরিপক্ব লিচু ও আম বিক্রি, স্বাস্থ্যঝুকির শঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮০জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর শহরে অপরিপক্ব লিচু ও মিসরি ভোগ আম উঠতে শুরু করেছে। দেখতে আধপাকা মনে হলেও  জম্মের টক। একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা আর এক কেজি মিসরি ভোগ আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। স্বাস্হ্য  ঝুকি জানার পরেও অপরিপক্ক ওইসব লিচু আর আম কিনছেন  অসচেতন ক্রেতারা। যা খেয়ে পেটের পিরায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।প্রচন্ড গরমে অপরিপক্ক এসব ফল কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে ব্যাবসায়িরা বলছেন, মৌসুমের নতুন ফল খাওয়ার সবারই আগ্রহ থাকে,এরফলে দামও পাওয়া যায় ভালো। একারনে,গ্রামের যেসব বাগানে লিচু হলকা লাল হয়েছে,সেগুলো বাগান মালিকদের বেশি দাম দিয়ে সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন। 

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বলছে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু হলো উত্তরবঙ্গের সুস্বাদু লিচু। এই লিচু পরিপক্ব হতে এখনো ২০/২৫ দিন বাকি। আর মিসরি ভোগ আম সুস্বাদু হয় বদরগন্জের খাগরাবন ও রাজশাহীর। তেমনি হাড়ি ভাংগা আমের জন্য বিখ্যাত রংপুর। এসব আম পরিপক্ব হয়ে পাকতে এখনো ২০/২৫ দিন সময় লাগবে।বাজারে যেসব লিচু ও আম বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলির কোনটাই পরিপক্ব নয়। আইন প্রয়োগ কারি সংস্হার উচিত অভিযান চালায়ে মোটা অংকের জরিমানা করা। 
সৈয়দপুর ১০০ বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, অপরিপক্ক যে কোন ফল খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সহ মারাত্মক ভাবে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তিনি অপরিপক্ক কোন ফলই বিক্রি না করার জন্য ব্যবসায়িদের অনুরোধ জানান। 

দুলাল নামের এক আড়তদার বলেন, সৈয়দপুর শহরের সব আড়তদারদের বদনাম করে ছেড়েছেন গিয়াস নামের এক ফল আড়তদার। তিনি বলেন, যেখানে কৃষি অধিদপ্তর, ও ডাক্তার বলছেন অপরিপক্ক ফল খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে, সেখানে তিনি তাদের কথার তোয়াক্কা না করে, অতিরিক্ত লাভের আশায় অপরিপক্ক লিচু ও মিসরি ভোগ আম বিক্রি করে চলেছেন। এসব ব্যবসায়ির মোটা অংকের জরিমানা সহ জেল দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাদেক পাগলা নামের এক ক্রেতা বলেন,বছরের প্রথম ফল তো তাই কিনলাম। বিক্রেতা বললেন ফল গুলো মিষ্টি হবে, এখন দেখছি জম্মের টক।

ফল বিক্রেতা গিয়াস জানান, লাভের আশায় আম ও লিচু সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। তিনি বলেন সব মাছই ময়লা খায় শুধু নাম হয় নাড়িয়া মাছের। অনেকের আড়তেই অপরিপক্ক ফল আছে এবং তারা দাপটের সাথেই তা বিক্রি করছেন। কিন্তু তাদের প্রশাসন সহ কেউই কিছু বলেন না। অভিযান যদি চালাতেই হয়, তাহলে সকল অবৈধ ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়ার দাবী করেন তিনি। 

আরও খবর



তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ স্মার্ট বিতরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ধ্যানধারণার এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে লালন করা একজন কর্মবীর মানুষ।তার দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে তিনি তিতাস গ্যাসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে বেশ দক্ষতার  পরিচয় দিয়েছেন।তার সময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেকর্ড গড়েছে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বিতরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।এজন্য তিতাস গ্যাস কে ডিজিটাইজেশন করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইতোমধ্যেই। তার আড়াই বছরের দায়িত্ব পালনকালীন সময়টি তিতাস গ্যাসের সাফল্যের এক স্বর্ণালী অধ্যায়। তার তত্ত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে পেট্রোবাংলার অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিতাস গ্যাস প্রথম স্থান অর্জন করে।


সংশ্লিষ্টরা জানান, হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিতাসের সিস্টেম লসও কমে এসেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সিস্টেম লসের পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সর্বশেষ ২০২৩ অর্থবছরের আগস্ট পর্যন্ত সিস্টেম লসের পরিমাণ কমে এসে দাড়ায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশে।যা ধীরে ধীরে আরো কমে আসবে এবং সিষ্টেম লস শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


সম্প্রতি বকেয়া আদায়ে ধারাবাহিক অভিযানে তিতাস গ্যাস মেট্রো ঢাকা রাজস্ব বিভাগ-৫, ধানমন্ডী অফিসের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম চলার কারণে অফিসে সেবা গ্রহিতাদের প্রচন্ড ভিড় লক্ষনীয় যার প্রভাব অন্যন্য আঞ্চলিক অফিস গুলোতেও পড়েছে।


তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার ও বকেয়ার কারণে আবাসিক ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪৮৬টি বার্নার, ৫১৫টি শিল্প, ৫২৯টি বাণিজ্য, ১৭৯টি ক্যাপটিভ ও ৫৪টি সিএনজি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ৭৪৪ দশমিক ৪১ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ৪৭০ কোটি ৯০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৯১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।শাস্তিমুলক ব্যাবস্থার অংশ হিসেবে  গ্যাস খেকোদের ঘনিষ্ঠ তিতাস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধ বরখাস্ত, সাময়িক বরখাস্ত,বদলির মাধ্যমে তার সক্ষমতার জানান দিয়েছেন।যেকোন মুল্যে অবৈধ গ্যাস সংযোগ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে তার চেষ্টার কোন কমতি নেই।অবৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রহনে মামলা এবং জরিমানা আরোপ করে নজির স্থাপন করেছেন হারুনুর রশীদ মোল্লাহ।অবৈধ পাইপলাইন অপসারণেও স্থাপিত হয়েছে নজির।



তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, যতক্ষণ অবৈধ সংযোগ আছে ততক্ষণ অভিযান চলবে। কোনো ছাড় নেই। এ ধরনের কাজের সঙ্গে যদি কোনো কর্মকর্তাও জড়িত থাকেন, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, তিতাসের এলাকায় এখন সঞ্চালন লাইন অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। সেগুলোর স্থানে নতুন লাইন বসানো হবে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ, জয়দেবপুরসহ যেসব এলাকায় শিল্পকারখানা রয়েছে, সেখানে নতুন পাইপলাইন বসানো হবে। যাতে শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ থাকে। পাশাপাশি পাইপলাইনে সার্বিক বিষয় দেখভাল করতে স্ক্যাডা সিস্টেম বসানো হবে।


তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আড়াই  বছরে অনিয়ম, অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ৯ জনকে বরখাস্তসহ মোট ৭৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ২৮৩ জনকে নানা অভিযোগে বদলি করা হয়েছে।তিতাস গ্যাসের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, এমডির কঠোর অ্যাকশনে অনিয়ম ও দুর্নীতি একেবারেই নেই অবৈধ গ্যাস সংযোগের সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে


আরও খবর



রাজধানীর চার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি,বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান । ঢাকার ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে৷ এছাড়া যারা কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা তাদেরও তালিকা করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে। কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়টি নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি’র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়। কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জি এম তসলিম, জিয়া খান, অনিমেষ কর ও কাওসার সোহেলী।


আরও খবর



ইতিহাস সৃষ্টি করে সর্বকনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন তানভীর রেজা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১৫জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টি করে সর্বকনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তানভীর রেজা। গত ৮ মে বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল চার টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসার চশম প্রতীকের প্রার্থী তানভীর রেজা কে বে সরকারী ভাবে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। তানভীর ৩৮ হাজার ৫৩৭ ভোট পান এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে সোহেল রানা ভোট পান ২৪ হাজার ৬০১ টি। তালা প্রতীকের চেয়ে ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট বেশি পান চশমা প্রতীক। যে কজন প্রার্থী ছিলেন তানভীর রেজা সবার চেয়ে কম বয়সী। তিনি এত পরিমান ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করবেন কেউ ভাবতেই পারেন নি। তানভীর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং আজিজুর গ্রামে বাড়ি। অপর প্রার্থী সোহেল রানা সাবেক ছাত্র লীগ নেতা ও তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী আবু বাক্কার সিদ্দিকের কাছে পরাজিত হন। 

জানা গেছে, প্রয়াত এরশাদ সরকারের সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হত। এরপর ১৯৯১ সালে বিএনপি ও  ১৯৯৬ সালে আওয়ামী এবং ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকার উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বাতিল করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সরকারের সেবা গ্রামগঞ্জে পৌছে দিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সে মোতাবেক ২০০৯ সালে তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন চশমা প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা আব্দুর রহিম। ২০১৪ সালেও আব্দুর রহিম পুনরায় নির্বাচিত হন। এর পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এনির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী আবু বাক্কার সিদ্দিক ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এনির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সর্বকনিষ্ঠ তানভীর রেজা চশমা প্রতীকে নির্বাচিত হন।

ডলার নামের চশমা প্রতীকের এক কর্মী জানান, তানভীরের বয়স কম, তার সাথে সবাই কথা বলতে পারবে। কোন কাজ না করলেও তাকে অনেক কিছু বলা যাবে। কারন সে আমাদের বয়সের। তানভীর একেবারে কম বয়সে ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
মোসারফ নামের আরেক কর্মী জানান, তানভীর বয়সে ছোট তাকে ভোট দিবে কিনা সন্দেহ ছিল। কিন্তু তাকে মানুষ এত পরিমান ভালোবাসা দিয়েছে কল্পনাতীত। আমার জানা মতে তার মত কম বয়সে ভাইস চেয়ারম্যান কেউ হতে পারেনি।

বিজয়ী প্রার্থী তানভীর রেজা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার এবিজয় উপজেলা বাসীকে উৎসর্গ করেছি। আমি যে পরিমান ভালোবাসা পেয়েছি তার প্রতিদান অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব। আমার দপ্তর সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আরও খবর



বিশ্ব মা দিবস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪৪জন দেখেছেন

Image

তরিকুল ইসলাম:মা পৃথিবীর মধুরতম ডাক। পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা- প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল। আজ পৃথিবীর সেই সকল মমতাময়ীর সম্মানে বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী বিশেষ মর্যাদায় পালিত হয় দিনটি।

আসলে মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি মায়েরই সন্তানের ভালোবাসা প্রাপ্য প্রতিদিনই। তবুও দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, নিজের সব স্বাদ-আহ্লাদ সন্তানের নামে করে দেন যে মা, তার সম্মানে আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।

মায়ের সঙ্গে সন্তানের আত্মিক বন্ধন জন্ম-জন্মান্তরের। অটুট এ বন্ধনের প্রাগাঢ় আবেগে তাড়িত হয়ে যুগে যুগে রচিত হয়েছে বহু গান, কবিতা, গল্প, আর উপন্যাস। সৃষ্টি হয়েছে বহু কালজয়ী শিল্পকর্ম। বাংলা সাহিত্যেও মাকে নিয়ে অসংখ্য কবিতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’, শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’ হুমায়ুন আজাদের ‘আমাদের মা’ আল মাহমুদের ‘নোলক’, কালিদাসের ‘মাতৃভক্তি’ এমনই কিছু কালজয়ী বন্দনা।

পৃথিবীর সকল যুগের সকল ধর্মে মা সম্মান রাখা হয়েছে সবচেয়ে উঁচুতে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভধারণ করে। তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার শোকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৪)।


আরও খবর