Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত আমড়াগাছিয়া ছালেহিয়া কমপ্লেক্স ময়দান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত আমড়াগাছিয়া ছালেহিয়া কমপ্লেক্স ময়দান। লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুছুল্লীদের এ জমায়েতে মোনাজাত পরিচালনা করেন ছারছীনা দরবারের পীর আলহাজ্ব হয়রত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেবব্বুল্লাহ (মাঃআঃ)। তিন দিন ব্যাপী এ মাহফিলে দেশ বরেন্য আলেম ওয়ালামাগণ ওয়াজ নসিহত করেন। ওয়াজ মাহফিলের শেষ দিন শুক্রবার জুমআর

নামাজ বাদ লক্ষাধীক মানুষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু। আখেরী মোনাজাতে ছারছিনা শরীফের পীর দেশ ও মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহ মোহাম্মদ হোসাইন পীরজাদা ছারছীনা, আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ নুরুর রহমান বেগ, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত আলিয়া মাদ্রাসার উপাধাক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন ছালেহী ও মোহাদ্দেস আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা বোরহান উদ্দিন।


আরও খবর



রামগড়ে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিএ ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধিদের মাঝে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে প্রতিবন্ধি  তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ উপহার  ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে রামগড় থানা প্রাঙ্গণের সামনে জেলা পুলিশের আয়োজনে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধি উপকার ভোগীরা খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)কে ধন্যবাদ জানাতে ভূলেননি।

রামগড় থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রামগড় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মো. নিজাম উদ্দিন লাভলু, রামগড় উপজেলা প্রতিবন্ধি কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য তিশা প্রমূখ।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে, খাগড়ছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন,জেলার  আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিদের  বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায়  পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রামগড় থানা এলাকার ৩০ জন অসহায়- হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ইফতার ও ঈদ বস্ত্র হাতে তুলেদিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। প্রতিবন্ধি, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী  আমাদের সমাজেরই একটি অংশ। তাই তাঁদেরকে পৃথক করে দেখার সুযোগ নেই। যদিও নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝে এই গোষ্ঠী পিছিয়ে আছে। তবে সঠিক প্রশিক্ষণ ও সুযোগ পেলে তারাও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। জানিয়ে তিনি আরো বলেন এধরনের কার্যক্রম জেলা পুলিশের অব্যাহত রয়েছে। যা ভবিষ্যতে  এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান।

এসময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো, জসীম উদ্দিন পিপিএম, রামগড় সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.নাজিম উদ্দিন, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব প্রিয় দাশ,
রামগড় স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ (ওসি) মো.মনির হোসেন সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঈদের পর কর্মে ফেরা মানুষের উপচে পরা ভীড়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:ঈদ উল ফিতর ও বৈশাখ উপলক্ষে টানা ৫ দিনের ছুটি শেষে সোমবার ১৫ এপ্রিল খুলেছে সরকারি বেসরকারি দপ্তর,ব্যান্ক বিমা সহ সকল প্রতিষ্ঠান।গত ৯ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণার পরও অনেকেই অতিরিক্ত ছুটিতে রয়েছেন বলে একাধিক প্রতিষ্ঠানেই কর্মচান্ঞল্য থাকার কথা নয়।

জানা যায়,৮ এপ্রিল অফিস শেষে করেই সরকারি ছুটি শুরু হয়ে যায়। ১৫ এপ্রিল সোমবার কাজে যোগদানের কথা থাকলেও ঢাকা গামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৪ এপ্রিল রবিবার বন্ধ থাকায় ১৩ এপ্রিল শনিবার কর্মজীবিরা ঢাকা সহ অনেক জায়গায় যাত্রা শুরু করেন।টানা এ ছুটি শেষে সোমবার সব প্রকার অফিস-আদালত খুলছে বলে জানা যায়। তবে স্কুল কলেজ খুলতে আরো দুই চার দিন লাগতে পারে বলে জানান স্কুল ও কলেজ পরিচালকরা।

মরিয়ম নামের এক নারী যাত্রী জানান, সৈয়দপুর থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় যাত্রা যথেষ্ট আরামদায়ক।  সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত পুলিশি সেবা পাওয়া যায় সার্বক্ষনিক। এর ফলে প্রায় সময় ট্রেনেই যাওয়া আসা করি।

সৈয়দপুর রেলওয়ের সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার রানা বলেন,রবিবার ১৪ এপ্রিল নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ থাকায় ১৩ এপ্রিল কর্মে ফেরা মানুষের উপচে পরা ভীড় হয়েছে। যাত্রীরা যাতে ভালো ভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এজন্য প্রায় ৪ টি নতুন বগি সংযুক্তও করা হয়েছে। 

স্টেশন মাষ্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, যাত্রীদের সুব্যবস্হা ও বগি বৃদ্ধি করায়, তারা আরাম আয়াসে ফিরতে পারছেন নীজ কর্মসংস্থানে। সার্বক্ষনিক দেয়া হচ্ছে পুলিশি সেবা।

দেখা গেছে নারীর টানে প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ করতে কর্মব্যস্ত ঢাকা শহরকে সাময়িক বিদায় জানিয়ে ৮ এপ্রিলের মধ্যে গ্রামে ঈদ করতে আসেন লাখ লাখ মানুষ।

ঈদের আগে ট্রেন ছাড়াও বাস--লঞ্চ সব মাধ্যমেই ছিল বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। নানা দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে মানুষ। আর সেই উৎসব আনন্দ শেষ করে এখন কর্মে ফেরার পালা তাদের।

যদিও ঈদের পর প্রথম কর্ম দিবসে উপস্থিতির সংখ্যা কম থাকাটাই স্বাভাবিক। কেননা অনেকে ঈদের সাধারণ ছুটির সঙ্গে আরো ২/৪ দিন ছুটি বাড়িয়ে গ্রামেই কাটিয়ে দেবেন আরো ৪/৫ দিন। তাই ১৭/১৮ এপ্রিল হতে পারে পূর্ণ কর্ম ব্যস্ততা।সেই সময় পুরোপুরি প্রাণ চাঞ্চল্য হয়ে উঠবে ঢাকা।

গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যস্ততা শুরু হবে ১৪ এপ্রিল রবিবার থেকেই। কেন না সোমবার সব প্রকার পত্রিকা চালু হচ্ছে বলে জানা যায়। 


আরও খবর



গুইমারা রিজিয়ন এর উদ্যােগে অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- উপলক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা সেনা রিজিয়ন এর উদ্যােগে অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) গুইমারা রিজিয়ন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় সকালের দিকে গুইমারা সেনা রিজিয়ন, এর শহীদ লেঃ মুশফিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- উদযাপন উপলক্ষ্যে গুইমারা রিজিয়ন এর আওতায় ৪৫০টি দু:স্থ,অসহায় হতদরিদ্র  পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল উপকার ভোগীদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলেদেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল  বলেন, আর্তমানবতা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং যেকোন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সকলের জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্য ও প্রচেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে। পাহাড়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যেও গুইমারা রিজিয়ন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পূর্বের ন্যায় সকলের পাশে থেকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।

 এ সময় গুইমারা রিজিয়নের অন্যান্য সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



আনু মুহাম্মদ আশঙ্কামুক্ত, খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ খিলগাওয়ে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে পায়ের আঙ্গুল হারিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন,এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনু মুহাম্মদকে দেখতে এসে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তার চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করছি। খুব দ্রুতই তার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করব। এরপর তার পায়ে অপারেশন করা হবে। আশা করছি খুব দ্রুতই তিনি তার কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারবেন।


আরও খবর



স্বাগত ১৪৩১, আজ পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। বাংলা ১৪৩১ সালের প্রথম দিন আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল)। এ দিনটির মাধ্যমে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গতকাল (শনিবার)। একই সঙ্গে দিনটি ছিল বাংলা ১৪৩০ সালের শেষ দিন।

জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ - এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কূপমুণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়।

আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় এ নববর্ষ।

এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রতি বছরের মতো বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ পহেলা বৈশাখের ভোর থেকেই রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেছে।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ....’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস এবং এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা সাল।

বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব অতীতে ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয় আজও।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।


আরও খবর