সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা--১সুন্দরগঞ্জ আসনে এমপি হয়ে সংসদে যাওয়ার প্রত্যাশা ছিল সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারীর।সে জন্যই তিনি তারই ছোট ভাই প্রয়াত এমপি মন্জ্ঞুরুল ইসলাম লিটনের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন।এবংসেই থেকেই সুন্দরগঞ্জকে ঢেলে সাজাতে শুরু করেন।বিগত ২০১৭সাল হতে তিনি আওয়ামী লীগের সমস্ত দায়-দ্বায়িক্ত কাঁধে নিয়ে সুন্দরগঞ্জকে নিজের মনের আয়নায় সাজিয়ে তোলেন।এরই প্রেক্ষিতে নানাদিক বিশ্লেষণ করে জননেত্রী ও প্রধান-মন্ত্রী শেখ হাছিনা মুল্যায়ন করে তাকে দলীয়(নৌকা)প্রতিকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্ত বাঁধ সাজলো মহাজোটের সিদ্ধান্ত।তাই দলীয় সি়দ্ধান্তে ও সমঝোতার আসন হিসেবে আসনটি ছেরেদিতে হয় জাতীয় পাটীকে। দলের এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে ভেবেই মায়ের স্বপ্নপুরনে গোছালো সুন্দরগঞ্জকে বুকে আগলে রাখতে প্রস্তুতি নেন ও যথা সময়ে মেয়ে নাহীদ নিগার সাগর।তিনি সতন্ত্রপ্রার্থি হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন।
দলীয় সিদ্ধান্তে মায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরেই মায়ের সেই গোছালো মাঠে নেমেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলেন।জনগনের সেই ভালবাসা শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে মাত্র ২২দিনের নির্বাচনী প্রচারণায় গত ৭ জানুয়ারি জনগনের স্বতস্ফুর্ত ও উৎসব মূখর পরিবেশে ভোটপ্রদান করায় তিনি সতন্ত্র প্রার্থি হয়েও ৬৬হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্ধি--জাতীয়পাটীর বর্তমান সাংসদ ও জাতীয়পাটীর কেন্দ্রীয় কমিটির অতিরিক্ত মহাসচিব-টক-শো-নন্দীত ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি(লাঙ্গল)৪৩হাজার ৪শ ৯১ভোট পান। ২২হাজার ৫শ,৫৮ ভোটের ব্যাবধানে পরাজীত হন।
আব্দুল্লা নাহিদ-নিগার সাগর এমপি নির্বাচিত হয়ে এক বার্তায় তিনি বলেন,,,নানা-মামার-ও মায়ের প্রতি সন্মান দেখিয়ে এ এলাকার মানুষ যে ভালবাসা আমাকে দেখিয়েছেন,,তা কোনদিন ভুলবার নয়,,,প্রিয় সুন্দরগঞ্জ বাসি আমি আপনাদের ভালবাসায় সিক্ত।আপনাদের মুল্যবান ভোটদিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে,,,আগামী ৫বছরের জন্য আপনাদের দায়িত্ব শেষ করেছেন।এখন আপনাদের সেই দেয়া দায়িত্ব মুল্যায়নের পালা আমিশুরু করবো।
ইনশাআল্লাহ্ আমি আমার সবকিছু শতভাগ উজারকরে দিয়ে উন্নয়ন করার চেষ্টা করবো। আপনারা মনের মধ্যে যে জায়গা দিয়েছেন,,তা আমি আরোও শক্ত করে নিবো।