Logo
আজঃ বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

আমার মন্তব্য ছিল ফখরুলকে নিয়ে’ হিরো আলমকে নিয়ে নয়

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকবগুড়ার দুই আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে তার কোনো মন্তব্য ছিল না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন,‘ হিরো আলম নয়, আমার মন্তব্য ছিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে।’

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের উপনির্বাচনে লড়াই করেন হিরো আলম। তবে তিনি মহাজোটের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। হিরো আলমের চমকে দেওয়া এই ফলাফল সারাদেশে আলোচনার জন্ম দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কামরাঙ্গীরচরে এক সমাবেশে বগুড়ার নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেছেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠল ফখরুলের? ফখরুল ভেবেছিলেন হিরো আলম জিতে যাবে। হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। তারা তো নির্বাচন চান নাই। হিরো আলমকে বিএনপি দাঁড় করিয়েছে। জাতীয় সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্নভঙ্গ।’

এরপর আজ সকালে এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, তিনি হিরো আলম নয়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে কথা বলেছিলেন।

 চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদের জানাজায় আওয়ামী লীগের নেতারা

 

এদিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদের জানাজায় অংশ নেন ওবায়দুল কাদের।

জানাজা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মোছলেম উদ্দিন কর্মী থেকে নেতা হয়েছিলেন, দলের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর চেতনার সৈনিক ছিলেন তিনি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আওয়ামী লীগকেই লালন করেছেন তিনি। তার এমপি হওয়ার মতো শেষ স্বপ্ন শেখ হাসিনা পূরণ করেছেন।’

মোছলেম উদ্দিনের জানাজায় আরও অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘কিভাবে কর্মী থেকে নেতা হওয়া যায়, মোসলেম উদ্দিনের কাছে তা শেখার রয়েছে।’

আরেক আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘চট্টগ্রামের রাজনীতিতে মোসলেম উদ্দিন একজন আইকন বা অথরিটি ছিলেন।’

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোছলেম উদ্দিন মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তার ব্যক্তিগত সহকারী আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন।


আরও খবর



এলিফ্যান্ট রোডে কম্পিউটার মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক ;রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের শেলটেক সিয়েরা কম্পিউটার সিটি মার্কেটের পঞ্চম তলায় আগুন লেগেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এই আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই আমরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট পাঠানো হয়। পরে আরও ইউনিট যোগ দেয়। এখন মোট ১০টি ইউনিট কাজ করছে।’

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ ছাড়া আগুনে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শেলটেক সিয়েরা কম্পিউটার সিটি মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা পৌনে ৮টার দিকে আগুন লাগার খবর পাই। মার্কেটে আগুন লাগার সময় ক্রেতা-বিক্রেতা অনেকেই ছিলেন। তবে আমার জানামতে ভেতর থেকে সবাই বের হয়ে আসতে পেরেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা এসি থেকে, নয়তো কোনো দোকানের শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে। মার্কেটটিতে মূলত কম্পিউটারের দোকান রয়েছে।’


আরও খবর



বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদি আরবকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৯২জন দেখেছেন

Image

বাসস: সৌদি আরবের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) জমির প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তেলসমৃদ্ধ দেশটির কাছ থেকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ চেয়েছেন তিনি। সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আরও সৌদি বিনিয়োগ চাই।’

সফররত সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজেদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এই অনুরোধ জানান শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবকে বাংলাদেশে তেল শোধনাগার স্থাপনেরও প্রস্তাব দেন, যেখানে অপরিশোধিত তেলসহ সব ধরনের তেল পরিশোধন করা যায়। বৈঠকে উভয়ে পারস্পরিক স্বার্থে উভয় দেশের ব্যবসা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।

সৌদি আরবের মন্ত্রী বলেন, তার দেশের শীর্ষ বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক বিলম্ব সমাধানের মাধ্যমে বিনিয়োগ পদ্ধতি সহজিকরণের আহ্বান জানান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিনিয়োগ পদ্ধতি সহজ ও দ্রুত করার জন্য বলেছেন।

প্রতিবেশি দেশগুলোতে বিশাল বাজার থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেসব দেশের সঙ্গে জলপথসহ সকল পথে কানেকটিভিটি জোরদার করার মাধ্যমে তার সরকার পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজ ও মসৃণ করতে কাজ করছে। তিনি বলেন, তারা নদী খনন করে জলপথের নব্যতা বাড়ানোর মাধ্যমে জলপথকে সচল করে তুলছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার সৌদি আরবে যাওয়ার আগে বাংলাদেশি শ্রমিকদের আরবি ভাষা ভালোভাবে জানার সুবিধার্থে একটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট তৈরি করতে চায়, যাতে তারা আরবি ভাষার লোকদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।

সৌদি মন্ত্রী বলেন, তাদের ক্রাউন প্রিন্স বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে গ্রহণ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সৌদি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন সৌদি মন্ত্রী। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের দ্রুত উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সৌদি মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‌‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে ড. মাজেদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারি।’ তিনি বলেন, গত ১০ মাসে ৬ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি চাকরিপ্রার্থী সে দেশে গেছেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ রিপোর্টে শাকিব খান একজন ধর্ষক!

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক ;সিনেমা পাড়ায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু শাকিব খান ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী প্রযোজক রহমত উল্লাহ’র বিষয়টি। প্রযোজকের দাবী, তিনি শাকিব খান অভিনীত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক। শাকিব খানের বিরুদ্ধে তিনি অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের মতো গুরুতর সব অভিযোগ এনেছেন।

গেল ১৫ মার্চ প্রযোজক রহমত উল্লাহ লিখিত আকারে সেসব অভিযোগ জমা দেন প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতিতে। এরপর বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টায় ১৬ মার্চ ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় বসেন শাকিব খান ও রহমত উল্লাহ। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসও। কিন্তু সেখানে কোনো সমঝোতার হয়নি।

গত ১৮ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। সেদিন রাতে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে গুলশান থানায় শাকিব। প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বসে থেকে তিনি মামলা না করেই ফিরে আসেন। এরপর গতকাল তিনি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। সেসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শাকিব দাবি করেন, ওই প্রযোজক ভুয়া, মিথ্যাবাদী। তিনি শাকিবের নামে মিথ্যাচার করে পালিয়ে গেছেন।

তার বিপক্ষেও অস্ট্রেলিয়া থেকে মন্তব্য করেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি পালিয়ে আসিনি। কাজের টানেই অস্ট্রেলিয়া এসেছি। কারো ভয়ে পালিয়ে আসিনি। আমি আবার আসব। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো সকল প্রমাণ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এদিকে শাকিব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো তথ্য প্রমাণ থাকলে সেগুলো কেন সামনে আনছেন না? এমন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে শাকিবের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের ধর্ষণ রিপোর্ট পাঠান তিনি। সেখানে দেখা যায়, বর্বর এক ধর্ষণের বর্ণনা। পুলিশের নথিতে উঠে এসেছে মামলার বাদী ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী অ্যানি সাবরিন নিজেই। মামলার স্বাক্ষী প্রযোজক রহমত উল্লাহ। যাকে রিপোর্টে অ্যানির ‘আংকেল’ উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম ম্যাথিউ জন ক্রুকসন।

মামলাটি করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সেন্ট জর্জ পুলিশ স্টেশনে। রিপোর্টে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শাকিব খান ওরফে রানা। ক্যারিয়ারের প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া গিয়েই এমন ধর্ষণকান্ড ঘটিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়ক। শাকিব খানের বিষয়ে পুলিশ রিপোর্টে এমন তথ্যই মিলেছে।

পুলিশ রিপোর্টে আরও জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে নভোটেল দ্য গ্র্যান্ড প্যারেড অ্যাপার্টমেন্ট ৭২১ ব্রাইটন লা স্যান্ডস হোটেল কক্ষে রাত ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত, দুই ঘণ্টা অ্যানিকে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। সেসময় ওই নারীর উপর পাশবিক নির্যাতন চালান ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক।

অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ ইনভেস্টিগেশন করে মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ধর্ষণকারী শাকিব খান মধ্যপ অবস্থায় মাতাল হয়ে অ্যানি সাবরিনকে যোনি ও পায়ুপথে নির্মমভাবে যৌনচার চালিয়েছেন।

পুলিশ সেই প্রতিবেদনে আরও বলেছে, শাকিব খান রানা একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা। ভুক্তভোগী অ্যানি সাবরিন তার আঙ্কেল রহমত উল্লাহ’র ফিল্ম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে প্রডিউসার হিসেবে কাজ করেন। সাবরিন ও উল্লাহ বাংলাদেশি সিনেমার কাজ শুরু করেছে। যার শুটিং অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় শাকিব খানের সঙ্গে অ্যানি সাবরিনের প্রথম দেখা হয় ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া শাকিব খানের নিয়মিত ট্রান্সপোর্ট, হোটেল, খাওয়া-দাওয়া ও যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করেন অ্যানি।

এই পুলিশ রিপোর্টের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে শাকিব খানের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।


আরও খবর



আইনজীবী সমিতি নির্বাচন: আওয়ামীপন্থিদের জয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: উত্তেজনা ও হট্টগোলের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের সবকটি পদে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের প্যানেল (সাদা প্যানেল) বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সভাপতি ও সম্পাদক পদে পুননির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও মো. আবদুন নূর।

ঘোষিত ফলাফল অনুসারে, সাদা প্যানেলের প্রার্থী মোমতাজ উদ্দিন ফকির তিন হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে পুননির্বাচিত হয়েছেন। সভাপতি পদে নীল প্যানেলের (বিএনপিপন্থি) প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন ২৯৩ ভোট পেয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে সাদা প্যানেলের প্রার্থী মো. আবদুন নূর তিন হাজার ৭৪১ ভোট পেয়ে পুর্ননির্বাচিত হয়েছেন। এই পদে নীল প্যানেলের প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস ৩০৯ ভোট পেয়েছেন।

সহসভাপতির দুটি পদে সাদা প্যানেল থেকে মো. আলী আজম ও জেসমিন সুলতানা জয়ী হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে একই প্যানেলের এম. মাসুদ আলম চৌধুরী জয়ী হয়েছেন। সহসম্পাদক হিসেবে জয় পেয়েছেন এ বি এম নূর-এ-আলম ও মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ।

সদস্য সাতটি পদে সাদা প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন, মহিউদ্দিন আহমেদ (রুদ্র), মনিরুজ্জামান রানা, শফিক রায়হান শাওন, মো. সাফায়েত হোসেন (সজীব), মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. নাজমুল হুদা ও সুভাষ চন্দ্র দাস।

হট্টগোল, ধাওয়া পালটা ধাওয়ার মধ্যদিয়ে সমিতির এবারের নির্বাচনে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ হয়। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণ শেষে রাত দেড়টার পর সমিতির দক্ষিণ হলে ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান ফলাফল ঘোষণা করেন।


আরও খবর



প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার সরকারের নেওয়া ‘বিচারব্যবস্থা সংস্কারের’ উদ্যোগের বিরুদ্ধে কথা বলার পরদিন গতকাল রোববার তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন, রয়টার্স, আলজাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারব্যবস্থা সংস্কারের আইনটি চলতি সপ্তাহে পার্লামেন্টে পাস করতে চাচ্ছে নেতানিয়াহু সরকার। এই আইনের মূল দিকটি হলো- সব ধরনের বিচারিক নিয়োগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা পাবে উগ্র-ডানপন্থী ক্ষমতাসীন জোট।

বিচারব্যবস্থা সংস্কারে নেতানিয়াহু সরকারের উদ্যোগের প্রতিবাদে দেশটিতে গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে

সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে অস্থিরতার কথা উল্লেখ করে গ্যালান্ট বিতর্কিত আইনটি পাসের প্রক্রিয়া আগামী মাসে স্বাধীনতা দিবসের ছুটির পর পর্যন্ত স্থগিত রাখার আহ্বান জানান। এরপরই এক দিনেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে সরিয়ে দেয়ার এ সিদ্ধান্ত এলো।

এদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করায় সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ ও বেনি গান্তেজ। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘রাজনীতির খেলায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কখনোই তুরুপের তাস হতে পারে না। নেতানিয়াহু আজ রাতে চূড়ান্ত সীমারেখাও অতিক্রম করেছেন।’

ইসরায়েলে গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে

বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তা বিপর্যস্ত’ করার কার্যক্রমে হাত না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইয়ার লাপিদ ও বেনি গান্তেজ।

অন্যদিকে, বিচারব্যবস্থা সংস্কারে নেতানিয়াহু সরকারের উদ্যোগের প্রতিবাদে দেশটিতে গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই পদক্ষেপে সামরিক বাহিনী ও ব্যবসায়ী নেতৃত্বও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলো।

নেতানিয়াহুর ডানপন্থী লিকুদ পার্টির জ্যেষ্ঠ সদস্য গ্যালান্ট। দলের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম শনিবার বিচারব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে নেওয়া আইনি উদ্যোগ স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন।


আরও খবর