Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

আ.লীগের মনোনয়নপত্র শেষ দিনে বিক্রি চলছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ  আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জামাদানের শেষ দিন মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর)। সকাল থেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির প্রধান কার্যালয়ে। উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান।

আজ শেষদিনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য আসা নেতাকর্মীর সংখ্যাই বেশি।

দেখা যায়, রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে ফুলবাড়ী অভিমুখের সড়ক দিয়ে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে কার্যালয়ের সামনে আসছেন নেতাকর্মীরা। ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে পছন্দের মনোনয়নপ্রত্যাশীর পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদেরকে। বরাবরের মতোই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের। মনোনয়নপত্র নিতে বা জমা দিতে সঙ্গে প্রার্থীসহ মোট তিনজনের বেশি ভেতরে প্রবেশ না করার জন্য মাইকেও বারবার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ফরম সংগ্রহ করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন।


আরও খবর



১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলে ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করেন। এর পর পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসে জানা যাচ্ছে।

ফলাফলে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। শুধু ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।

এর আগে সরকারপ্রধানের হাতে পরীক্ষার ফলের ‍অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

প্রধানমন্ত্রীর ফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধনের পরই বেলা ১১টা থেকে ফল জানতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।দুপুর ২টায় ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

চলতি বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট। শেষ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ১০ দিন পিছিয়ে ২৭ আগস্ট শুরু হয়। সবগুলো বোর্ডে একই দিনে পরীক্ষা শুরু না হলেও ১১টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন। যাদের মধ্যে বিজ্ঞানের ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫১২ জন, মানবিকের ৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষার ২ লাখ ১২ হাজার ২০৬ জন।

মাদ্রাসা বোর্ড থেকে ৯৮ হাজার ৩১ জন ও কারিগরি বোর্ড থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়।

করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এবারই পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে ৭৫ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ বিষয়ক অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মধ্যে পঞ্চম প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ‘টু প্লাস টু বৈঠকে’ বাংলাদেশ বিষয়ক অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের নেতারা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশের নির্বাচন দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অতি উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হতে পারে, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশের পাশাপাশি যথেষ্ট চাপও সৃষ্টি করে চলেছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য তাদের নতুন ভিসা নীতিও ঘোষণা করেছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা যথেষ্ট সক্রিয়ও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় ১৫ বার বাংলাদেশ সফর করেছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও বারবার নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আসছেন। বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েনও সৃষ্টি হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের অবস্থানের কথা পরিষ্কারভাবে আমরা জানিয়েছি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যত্র আঞ্চলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের মনোভাবের কথা ওদের (যুক্তরাষ্ট্র) স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমন হবে, নির্বাচন কেমন হবে, তা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণই তা ঠিক করবেন। তারাই তাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।

বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভারত। সে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশকে স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধিশালী করে তুলতে সে দেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভারত বরাবর সমর্থন করে আসছে। সেই সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব কেমন ছিল, সে ব্যাপারে কোনো আভাস অবশ্য পররাষ্ট্রসচিব দেননি। তিনি শুধু বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য ভারত সমীচীন মনে করে না।

এর আগেও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল ভারত
ভারতের মনোভাবের কথা গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়েও জানিয়েছিলেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। কিন্তু একই কথা ২+২ বৈঠকের পর জানানোর অর্থ, বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে ভারত এখনো সহমত নয়।

পাশাপাশি ভারত আরেকবার বুঝিয়ে দিল, নির্বাচনমুখী বাংলাদেশের পাশে তাদের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটেনি।

বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয়তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে বলে ভারতের আশঙ্কা। কারণ, ভারত মনে করে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে মৌলবাদী শক্তি মাথাচাড়া দেবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাবও মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে যাবে, যা ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ব্যাখ্যা ভারত আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে নানাভাবে জানিয়েছে। গতকাল দুই দেশের বৈঠকেও তা নতুন করে জানানো হলো।

এই বিষয়ে বিশ্লেষকদের মতামত
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের বক্তব্য কূটনৈতিক ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রগতিশীল পরিস্থিতি বজায় রাখতে মার্কিনিদের নির্বাচনে মাথা না ঘামানোর বার্তা স্পষ্ট করেছে ভারত।

উপমহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রের কাছ থেকে এমন বার্তা নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের তোড়জোড় কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছেন তারা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থানে কখনো পরিবর্তন আসেনি। এটা যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর যে চাপ সৃষ্টি করছে, তা ভারত পছন্দ করছে না।

ভারতের মনোভাব, ভারত কী চায়, তা এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে। শুক্রবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হলো। বুঝিয়ে দেওয়া হলো, একটা গণতান্ত্রিক দেশের ওপর এভাবে চাপ সৃষ্টি করা ভারত অনুমোদন করে না।

তিনি আরও বলেন, বারবার সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের কথা বলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ধরে নিচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন ঠিকমতো হবে না। তাই নানা রকম নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে ও চাপানোর হুমকি দিচ্ছে। ভারত এই বাইরের হস্তক্ষেপ বা এক্সটার্নাল ইন্টারফিয়ারেন্সও অনুমোদন করে না।

বিশেষত সেই হুমকি যখন বাংলাদেশের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিশ্বস্ত প্রতিবেশীকে দেওয়া হচ্ছে। ভারতের কাছে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা জরুরি। সে কথাও যুক্তরাষ্ট্রকে জানানোর মধ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে, এত বাড়াবাড়ির প্রয়োজন নেই।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ড. ওয়ালিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাপার যে নির্বাচন হবে সেখানে ভারত চায় না যে কেউ কথা বলুক। তার মানে আমেরিকাকে তারা বলেছে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে, আপনারাও এখানে নাক গলাতে আসবেন না। গণতান্ত্রিক নির্বাচন হোক, নির্বাচনের পর যদি বলার থাকে, আপনারা বলতে পারেন। … নির্বাচনে যে গতি, সে গতিতে যেন কোনো বাধা না আসে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেছেন, কৌশলগত লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতার কারণে বাংলাদেশ ইস্যুতে দ্বিমত যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের। যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত লক্ষ্য হচ্ছে এ অঞ্চলে বাড়তে থাকা চীনের আধিপত্য ঠেকানো। ভারতের লক্ষ্য হচ্ছে, এ অঞ্চলে নিজ প্রভাব ও বলয় বিস্তার। দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব চিন্তা করছে। আর ভারত বিবেচনা করছে তাদের জাতীয় স্বার্থ।

বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতের নীতিতে পরিবর্তন আসবে না
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন আসবে, তা ভাবার কারণ নেই। কারণ চীন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সবকিছু চিন্তা করেই বাংলাদেশকেন্দ্রিক গণতন্ত্র বা নির্বাচনের বিষয়ে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিজ অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থকে কেন্দ্র করে ভারত বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছে। বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান অতীতে যা ছিল, বর্তমানে তা রয়েছে আর ভবিষ্যতেও তাই থাকবে বলে ধারণা করেন তিনি।

স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। মানবাধিকার প্রশ্নে নিজেদের দেশের নীতি যেখানে দ্বিমুখী, সেখানে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পেছনে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নিজের স্বার্থ্ জড়িত। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়া ভারতের জবাব বাংলাদেশের ভিত্তিকে আরো মজবুত করল।


আরও খবর



পিছিয়ে পড়লে চলবে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এইচএসসি পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের গালমন্দ করা যাবে না। তাদেরকে উৎসাহ দিতে হবে। এ পরীক্ষায় খারাপ করলেও পরের পরীক্ষায় ভালো করবে- অভিভাবকদের এমন উৎসাহ দিতে হবে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে গণভবনে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, এবার ছেলেদের থেকে মেয়েদের পাসের হার বেশি। ছেলেরা কেন পিছিয়ে পড়ছে? সে বিষয়টা খুঁজে বের করতে শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

ছেলেদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিছিয়ে পড়লে চলবে না। মেয়েদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



হরতালে টহল দিচ্ছে র‌্যাবের ৪৪২ দল সারাদেশে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপির ডাকা ১২ ঘণ্টার হরতালে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে রয়েছে র‌্যাবের ৪৪২টি টহল দল।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র‌্যাব ফোর্সেস এর ১৪৬টি টহল দলসহ সারাদেশে ৪৪২টি টইল দল মোতায়েন রয়েছে।

ব্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, যে কোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



সরকার কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞায় উদ্বিগ্ন নয়: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞায় সরকার উদ্বিগ্ন নয় বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় তাহলে বিএনপি ও তার দোসরাই নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। নিষেধাজ্ঞা আসলে বিএনপির বিরুদ্ধে আসবে। বিএনপিই নির্বাচনের পথে প্রধান অন্তরায়।

বিএনপির বিরুদ্ধে এখনও কেন নিষেধাজ্ঞা আসছে না সেই প্রশ্ন করেন কাদের। এসময় দেশি বিদেশি চক্র গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে ১০ ডিসেম্বর ‘গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে’ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্ল্যাটফর্ম ‘মায়ের ডাক’-এর ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। যদিও এই কর্মসূচি পালনে এখনও কোনো অনুমতি দেয়নি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

তবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর বেশি বাড়াবাড়ি করলে জনগণ প্রতিহত করবে। এদিন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর রয়েছে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে অনেক মন্ত্রী-এমপিকে শোকজ করা হয়েছে। এ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য অনেক মন্ত্রী-এমপি শোকজ পেয়েছে, যা বিরল।

তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত করতেই ইউএনও ওসি বদলি করা হচ্ছে।

১৪ দল আর জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপরে আসন সমঝোতা নিয়ে কোনো সংকট থাকবে না।


আরও খবর