Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

আ.লীগের ৩০০ আসনে ৩৩৬২ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনের বিপরীতে চার দিনে মোট ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে অনলাইনে ১২১ জন ফরম কিনেছেন। এতে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় হয়েছে দলটির।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

চার দিনে ঢাকা বিভাগে ৭৩০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫৯টি, সিলেট বিভাগ ১৭২টি, ময়মনসিংহ বিভাগ ২৯৫টি, বরিশাল বিভাগে ২৫৮টি, খুলনা বিভাগে ৪১৬টি, রংপুর বিভাগে ৩০২টি ও রাজশাহী বিভাগে ৪০৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।

এদিকে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা ডাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



অবশেষে তানোরে ধরা পড়ল তান্ডব চালানো সেই হাতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে তাণ্ডব চালানো হাতিটি অবশেষে ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে এটি আটক করা সম্ভব হয়। ঢাকা থেকে আসা উদ্ধারকারী দল চেতনানাশক ট্রাংকুলাইজার ব্যবহার করে হাতিটি অচেতন করে আটক করেন।তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, হাতিটির মালিকের বাড়ি বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকায়। বিকেল ৪টার দিকে হাতিটি ধরার পর মালিকের পক্ষে শাকিল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় এ হাতি নিয়ে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল এখন আর তা নেই। এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মানিকড়া গ্রামের আমবাগানে দুটি হাতি বেঁধে রেখে এর মালিক খাবার খেতে যান। একপর্যায়ে হাতি দুটি গাছের ডাল ভেঙে ছুটে যায়। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে থেকে মানিকড়া গ্রামে হাতি দুটি দেখতে জমায়েত হয় উৎসুক মানুষ। এসময় তারা হাতি দুটি আটকের চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে হাতি দুটি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। সেখানে থাকা কিশোর মুফাসসিরকে একটি হাতি শুঁড় দিয়ে ধরে আছাড় মারে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বুলবুল হোসেনের ছেলে।

একটি হাতিকে আমনুরা শিমুলতলা মোড়ে আটক করা সম্ভব হয়। আরেকটি হাতি চলে যায় পার্শ্ববর্তী তানোর এলাকায়। তানোর উপজেলার ধামধুম এলাকায় বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাতিটি তাণ্ডব চালায়। একপর্যায়ে রামপদ মুণ্ডা নামের এক যুবককে পিষ্ট করে চলে যায় হাতিটি। এতে ঘটনাস্থলেই রামপদ মারা যান। তিনি উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের জুমার পাড়া গ্রামের মৃত ললিত মুণ্ডার ছেলে।

হাতি ছুটে যাওয়ার খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা সেটি ধরার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হাতিটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে কাজ স্থগিত করা হয়।
এদিন হাতি ধরতে উপজেলা প্রশাসন তানোরের ধামধুম গ্রামে অবস্থান নিয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে ছিল পুলিশ। ফায়ার সার্ভিস থেকে পানি দিয়েও হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। চেতনানাশক ট্রাংকুলাইজার দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শেষ পর্যন্ত খবর দেওয়া হয় ঢাকায়।

ঢাকা থেকে আসা বনবিভাগের উদ্ধারকারী দল বৃহস্পতিবার সকালে তানোরে গিয়ে দেখতে পায়, তানোরের ধামধুম গ্রাম থেকে হাতিটি সরে গিয়ে বৈধ্যপুর কবরস্থানে অবস্থান নিয়েছে। হাতি আতঙ্কে আশপাশের গ্রামের মানুষ এদিন মাঠে নামতে পারেননি। দুপুরে বনবিভাগের উদ্ধারকারী দল হাতিটি ধরে ফেললেও শিকল ভেঙে পালিয়ে যায়।

রাজশাহী বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির জানান, দুপুর ১টার দিকে চেতনানাশক দিয়ে এটি ধরে ফেলা হলেও কিছুক্ষণ পর এটি আবার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে বিকেল ৪টার দিকে চেতনানাশক ট্রাংকুলাইজার ব্যবহার করে হাতিটি অচেতন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ক্ষুব্ধ লোকজন হাতিটি ঘিরে ধরে ঢিল মারতে থাকেন। এ অবস্থায় হাতিটি আবারও ছুটে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয়দের ওপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন হাতির মালিক পক্ষকে এটি বুঝিয়ে দেয়।

আরও খবর



খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত আত্রাইয়ের গাছিরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। আবহমান গ্রাম-বাংলায় খেজুর রস ছাড়া যেন শীতের আমেজ‘ই পাওয়া যায়না। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে বসে সুস্বাদু খেজুর গাছের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। তাই শীতের শুরু থেকেই গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহের জন্য নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে এখন গাছিরা খেজুর গাছ কাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কে কত আগে খেজুর রস সংগ্রহ করতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় চলছে আত্রাইয়ের গাছিদের মাঝে। বৈচিত্রপূর্ণ ছয়টি ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় জন্মভ’মি বাংলাদেশ। এ দেশের এক একটি ঋতুর রয়েছে এক একটি বৈশিষ্ট্য। ঋতু বৈচিত্রে এখন রাতের শেষে কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা।

ক্যালেন্ডারে শীতের ঘোষণা দিলেও মানতে নারাজ আবহাওয়া ও পরিবেশ প্রকৃৃতি এখন আর পঞ্জিকার অনুশাসন মানছে না। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই গাছ থেকে রস সংগ্রহের পর্ব শুরু হবে। এবার কিছুটা আগেই নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় প্রান্তিক জনপদের গ্রামে গ্রামে সকালের শিশিরের সাথে অনুভ’ত হচ্ছে মৃদু শীত। আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে লালি ও গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়ছে। খেজুর রস ও গুড়ের জন্য আত্রাই উপজেলা এক সময় খ্যাতি ছিল। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে, ক্ষেতের আইলে, ঝোপ-ঝাড়ের পাশে ও রাস্তার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ।

কোন পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো এসব খেজুর গাছ। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরন করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুরের গুড়। গ্রামীন জনপদে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে পুকুরের পাড়ে রাস্তার ধারে পরিবেশ বান্ধব খেজুর গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ইট ভাটার রাহু গ্রাসে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে যে পরিমাণ গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমছেই। এখনও শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। এক সময় সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়ে। রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা, দানা গুড় ও পাটালী তৈরি করতেন।

যার সাধ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রূপকথা মনে হলেও বাস্তব। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। এ গাছ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এ ছাড়া খেজুরর পাতা দিয়ে আর্কষনীয় ও মজবুত পাটি তৈরী হয়। এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যাপক ব্যবহার। কিন্তু জয়বায়ু পরিবর্তন, কালের বির্বতনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ এখন উপজেলা জুড়ে বিলুপ্তির পথে।

নাটোরের লালপুর উপজেলা থেকে আসা গাছি কালাম মিঞা ও তার সহকর্মীরা জানান, আমরা পেশাগত কারণে প্রায় প্রতি বছরেই আত্রাই উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস এর জমিতে তাবু গেড়ে ওই এলাকার খেজুর গাছ মালিকদের কাছ থেকে ৪ মাসের জন্য গাছ ভেদে ৫থেকে ৭কেজি করে খেজুরের গুড় দিয়ে গাছ গুলো আমরা নেই। চাহিদা মত খেজুর গাছ না পাওয়ার কারণে রস কম হওয়ায় আশানুরুপ গুড় তৈরি করতে পাড়ি না। তারপরও এবছর প্রায় ২ শ’টির বেশি খেজুর গাছের মালিকদের সাথে চুক্তি করেছি। বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে না দিয়ে জীবন-জীবিকার জন্য এই পেশা ধরে রেখেছি। তবে যে ভাবে খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে অল্প দিনের মধ্যেই এই এলাকায় আর আমাদের ব্যবসা হবে না। বর্তমান বাজারে আখের গুড় চিনি যে মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে মানসম্পন্ন খেজুরের গুড়ের দাম এবছর কিছুটা বেশি হবে এমনটাই আসা করছেন গাছিরা। শীত একটু বেশি পড়তে শুরু করলে আত্মীয়-স্বজন আনা নেয়া ও পিঠা-পুলির উৎসবে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সে সময় আমাদের লাভ একটু বেশি হয়। যে পরিমাণে শ্রম দিতে হয় সে পরিমাণে আমরা লাভ করতে পারি না। তবুও পেশাগত কারণে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাপশ কুমার জানান, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বুক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য ও অপেক্ষার পালা। এ জন্য মৌসুমে আসার সাথে সাথে দক্ষ গাছিদের কদর বাড়ে। এদিকে উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, খেজুর গাছ আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য তথা জীবনধারায় মিশে আছে। এই ঐতিহ্যকে যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করতে হবে।


আরও খবর



দেশে ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলাে ১৩১২৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :প্রবাসীরা নভেম্বর মাসের ১৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে (বৈধ পথে) দেশে পাঠিয়েছেন ১১৮ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা ধরে)।

এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৭ কোট ৪ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং দেশে কর্মরত বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার।

রোববার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের ফলে হুন্ডির দাপট কমছে, বাড়ছে বৈধ পথে প্রবাসী আয়।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি নভেম্বরে প্রতিদিন প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার। আগের বছরের নভেম্বর মাসে প্রবাসীরা প্রতিদিন দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রায় ৫ কোটি ৩২ লাখ ডলার। আর চলতি বছরের অক্টোবরে প্রবাসীরা প্রতিদিন বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রায় ৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার মার্কিন ডলার। সে হিসাবে নভেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। প্রণোদনা বৃদ্ধিসহ নানা রকম উদ্যোগের ফলে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী বাড়ছে।


আরও খবর



শক্তিশালী শ্রম আইন বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পিটার হাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য শক্তিশালী শ্রম আইন প্রণয়ন ও এর বাস্তায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীতে বাংলাদেশ তুলা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পিটার হাস বলেন, শক্তিশালী শ্রম আইন প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়ন আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে পরিচালিত মার্কিন প্রতিষ্ঠাগুলোর একটি স্থিতিশীল ও অনুমানযোগ্য পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, সম্প্রতি সময়ে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য নূন্যতম মজুরি পর্যালোচনায় পরিষ্কার হয়েছে যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় একটি বস্তুনিষ্ঠ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রমাণভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতি বাংলাদেশে প্রয়োজন।

পিটার হাস আরও বলেন, বাংলাদেশে গার্মেন্টসখাত ও এর বাইরের খাতগুলোতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় বেসরকারিখাতসহ অন্যান্য খাত সংশ্লিষ্ট সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমমান উন্নয়নের মাধ্যমে একটি টেকসই ও সবার জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমাদের একটি লক্ষ্য।

রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বৈশ্বিকভাবে শ্রম মান উন্নয়নে গত ১৬ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন মার্কিন নতুন বৈশ্বিক শ্রম কৌশল ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ও দরকষাকষির উন্নয়ন ও সুরক্ষায় বিভিন্ন দেশের সরকার, শ্রম সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন, নাগরিক সমাজ এবং বেসরকারিখাতের সঙ্গে যোগাযোগ গভীর করার সুযোগ বাড়িয়েছে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে সেরা গার্লস ক্যাডেট কলেজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃএইচএসসি  পরীক্ষায় এ বছর জয়পুরহাট গালর্স ক্যাডেট কলেজ জেলার শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। এই কলেজ থেকে ৪৮জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৪৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অন্যদিকে, এবার জয়পুরহাট সরকারি কলেজের  মোট ১১০২ পরিক্ষার্থী মধ্যে পাশ করেছে ১০১৬ জন এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬০ জন।এছাড়া জয়পুরহাট সরকারি মহিলা কলেজের ৬৬৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৬১৭জন  জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪১ জন।

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, এ সাফল্য বিগত কয়েক বছর ধরে অর্জিত ধারাবাহিক সাফল্যেরই অংশ। ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের সঠিক দিক নির্দেশনা এবং কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম সুযোগ্য তত্ত্বাবধানে জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ এ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

পরীক্ষার্থীরা তাদের এ সাফল্যের পেছনে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষকবৃন্দ এবং বিশেষভাবে তাদের অভিভাবকবৃন্দের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেন জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের এ সাফল্যের ধারা ভবিষ্যতেও অক্ষুন্ন থাকবে। 

আরও খবর