Logo
আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিলো ইসরায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৩৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :জেরুজালেম শহরে অবস্থিত মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনা আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। ইহুদিদের প্রবেশ করতে দিলেও সেখানে এখন মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তারা।ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ওয়াফা মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ আল-আকসা মসজিদ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে। জর্ডানের নিয়োজিত এ ইসলামিক সংগঠনটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি পুলিশ মঙ্গলবার হঠাৎ করে মসজিদটির সব গেট বন্ধ করে দিয়েছে এবং মুসলিমদের সেখানে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।

মুসলিমদের বাধা দিয়ে পুলিশ ইহুদিদের আল-আকসা চত্বরে প্রবেশ এবং সেখানে প্রার্থনার সুযোগ করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ। এর মাধ্যমে এই মসজিদ সম্পর্কিত যে চুক্তি রয়েছে সেটি লঙ্ঘন করা হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, আল-আকসা মসজিদ চত্বরে অমুসলিমরা প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু সেখানে প্রার্থনা (নামাজ) করতে পারবে শুধুমাত্র মুসলিমরা। চুক্তি থাকা সত্ত্বেও, অনেক ইহুদি আল-আকসায় প্রবেশ করে সেখানে পুলিশের সহায়তায় জোরপূর্বক প্রার্থনা করে থাকে।

মসজিদটির পবিত্রতা রক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে ইহুদি আইনেও বলা আছে আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে আল-আকসায় নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের বাধা প্রদান করে পুলিশ। প্রথমে তারা শুধুমাত্র বৃদ্ধদের মসজিদে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল। এরপর মসজিদটিতে মুসলিমদের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলায় গত কয়েকদিন ধরে আল-আকসা মসজিদ নিয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। যুদ্ধ শুরুর পর সেখানে মুসলিমদের উপস্থিতি অনেকটাই কমে যায়।

অপরদিকে যুদ্ধ শুরুর আগে ও পরে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে ইহুদিদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। এ মাসের শুরুতে ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব সুককতের সময় জোর করে কয়েকশ ইহুদি সেখানে প্রবেশ করে।ইহুদিরা আল-আকসা মসজিদকে ট্যাম্পল মাউন্ট হিসেবে অভিহিত করে থাকে।

সূত্র:আল আরাবিয়া


আরও খবর

ভারতের বিভিন্ন অংশে ভূমিকম্প

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




প্রত্যেক দিন গাজায় ৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল থেকে অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে চার ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি।

তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলিরা আমাদের বলেছে যে বিরতির সময় ওই এলাকায় (গাজা উপত্যকা) কোনো সামরিক অভিযান হবে না এবং আজ থেকে এই প্রক্রিয়াটি শুরু হচ্ছে।’

জন কিরবি বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি শুরুর তিন ঘণ্টা আগে এই বিষয়ে প্রত্যেক দিন ঘোষণা দেওয়া হবে।’

গত সোমবার (৭ নভেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে টেলিফোনে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন। ওই সময় দুই নেতা গাজায় সাময়িক বিরতির বিষয়ে কথা বলেন।

নেতানিয়াহুর সাথে বাইডেনের আলোচনার দুদিন পর বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলের রাজি হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর

ভারতের বিভিন্ন অংশে ভূমিকম্প

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচনের সময় মেয়র-চেয়ারম্যানদের জন্য ১০ নির্দেশনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মেয়র ও চেয়ারম্যানদের জন্য ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। যা মানতে ব্যর্থ হলে বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম স্বাক্ষরিত এ আদেশ সিটি মেয়র, পৌর মেয়র, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে ইসির নির্দেশনার পর এ উদ্যোগ নিলো স্থানীয় সরকার বিভাগ।

মেয়র ও চেয়ারম্যানদের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনাগুলো হলো:

১. স্ব-স্ব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা।

২. নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে যেসব আদেশ/নির্দেশ দেবে তা প্রতিপালন।

৩. নির্বাচনি মিছিল, সভা ও প্রচারণা যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিধি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়।

৪. কোনো নির্বাচনি অফিস বা প্রতীক বা পোস্টার নষ্ট করার যেকোনো প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা করা।

৫. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনো উন্নয়ন স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে না, যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে।

৬. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না, যা কোনো প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তার করবে।

৭. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তি প্রার্থীর নির্বাচন বা প্রচারণার কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।

৮. মাশুল পরিশোধ করেও ব্যক্তিগত কাজে কোনো যানবাহন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

৯. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে বা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

১০. ভোটকেন্দ্র নির্মাণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তার প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তা প্রদান করবে এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।


আরও খবর



ভোলায় ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন চুড়ান্তভাবে বৈধ ঘোষণা ॥ বাতিল-৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন ভোলা (বিশেষ) প্রতিনিধি :দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোমবার ছিল মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন। শেষ দিনের যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিনে ১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। ভোলা জেলার ৪টি আসনের ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং অফিসারের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, ভোলা জেলার ৪টি আসনে মোট ২০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ১৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। ভোলা-১ সদর (১১৫) সংসদীয় আসনে ৩ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী, আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি। মোঃ শাজাহান মিয়া জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান (জাসদ)। বাতিল হওয়া প্রর্থীর নাম মোঃ মিজানুর রহমান (স্বতন্ত্র)।

ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন)-১১৬ : এ আসনে ৪ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলী আজম মুকুল এমপি, মোঃ গজনবী (জাতীয় পার্টি-জেপি), মোঃ আসাদুজ্জামান (বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি), শাহেন শাহ মোঃ শামসুদ্দিন মিয়া (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রিটু (বাংলাদেশ কংগ্রেস) এবং মোঃ মিজানুর রহমান (জাতীয় পার্টি)।

ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন)-১১৭ : এ আসনে ৫ জনের মনোনয়ন পত্র-ই বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকার মনোনীত প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি। ফারজানা চৌধুরী (জাতীয় পার্টি-জেপি), মোঃ কামাল উদ্দিন (জাতীয় পার্টি), মোঃ আলমগীর (বাংলাদেশ কংগ্রেস) এবং মোঃ জসীম উদ্দিন (স্বতন্ত্র)।

ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা)-১১৮ : এ আসনে ৫ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। মোঃ আলাউদ্দিন (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), মোঃ হানিফ (তৃণমূল বিএনপি), মোঃ মিজানুর রহমান (জাতীয় পার্টি) ও আবুল ফয়েজ (স্বতন্ত্র)।


আরও খবর



আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২৩৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় মোতায়েন রয়েছে ২৮ প্লাটুন বিজিবি।

এদিকে হরতালকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও পিকআপে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা গতকাল রাতেই হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল করেছে।

প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পর সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর পাঁচ দফায় ১১ দিন পর্যায়ক্রমে সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যা শেষ হয় গত শুক্রবার ভোরে।


আরও খবর



দাপটে চাচাদের প্রতারণায় নিঃস্ব এতিম ভাতিজা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দার ভারশোঁ ইউনিয়নের (ইউপি) চৌবাড়িয়া  গ্রামের বাসিন্দা মৃত লহির উদ্দিনের পুত্র আলতাজ উদ্দিন প্রামানিক ও আতাউর রহমান প্রামানিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তাদের ভাই প্রয়াত আব্দুল হামিদ ওরফে মুন্তাজের পুত্র ভাতিজা সাজ্জাদ হোসেন সুমন তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন।  আলতাজ ও আতাউরের এই প্রতারণার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনা তদন্ত করে আলতাজ ও আতাউরের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করেছেন চৌবাড়িয়ার জনগণ।জানা গেছে, তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মালশিরা মৌজায়, খতিয়ান নম্বর ৬৯ ও আরএস-৭৭১ নম্বর দাগে ২৩ শতক সম্পত্তি রয়েছে, এর মধ্যে ৪ শতক সম্পত্তি রাস্তার মধ্যে পড়েছে।

জানা গেছে, মালশিরা গ্রামের মৃত সখাতুল্লাহ মন্ডলের পুত্র রজব আলী মন্ডলের কাছে থেকে ক্রয় করেছেন  চৌবাড়িয়া গ্রামের মৃত লহির উদ্দিন প্রামানিকের পুত্র আব্দুল হামিদ ওরফে মুন্তাজ ও এন্তাজ। যাহার দলিল নম্বর ১২২৫ তারিখ ১৯/০২/১৯৮৬ ইং। আদালতের আদেশ মুলে এসব সম্পত্তির খাজনা-খারিজও করা হয়েছে যাহার খারিজ কেস নম্বর (৭৩৩ IX-I) ২০২২-২৩ এবং (১০১২IX-I)২০-২২-২৩। উক্ত সম্পত্তির ওপর ১৬টি দোকান ঘর রয়েছে। কিন্ত্ত বিগত ২০১৮ সালে লহির মন্ডল মারা গেলে  তার দুই পুত্র আলতাজ ও আতাউর উক্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে নানা অপতৎপরতা শুরু করে। এমনকি খারিজ বাতিলের আবেদন করেছেন। হাটের ব্যবসায়ী তৌহিদুল, আসাদুল ও শাহীন বলেন, সম্পত্তির মালিক সুমন।কিন্ত্ত সুমনের দাদা মারা যাবার পর তার দুই চাচা আলতাজ ও আতাউর দোকানের ভাড়া আদায় শুরু করেছে, এমনকি আতাউর বিশাল সারের গুদাম করে রেখেছেন। এবিষয়ে সাজ্জাদ হোসেন সুমন বলেন, তার দাদা মারা যাবার পর তার দুই চাচা আলতাজ ও আতাউর উক্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এমনকি দোকান থেকে গত ৫ বছরে ভাড়া বাবদ প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেই টাকায় তার বিরুদ্ধে কাজ করছে। শুধু তায় নয় দোকানদারকে হুমকি দিয়েছে তারা যদি সুমনকে ভাড়া দেন তাহলে তাদের দোকান ছেড়ে দিতে হবে। আবার কয়েকজনের কাছে থেকে জামানত বাবদ বড় অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন। এছাড়াও তিনটি পুকুরের কোনো হিস্যা দিচ্ছে না, আবার আলতাজ মিথ্যা তথ্য দিয়ে মালশিরা মৌজার বড় পুকুর অবস্থিত গভীর নলকুপের অপারেটর থেকে তাকে সরিয়ে দিয়েছে। সুমন বলেন, আলতাজ ও আতাউরের চাপে তার বাবা অকালে মারা গেছে তবে সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে এক চাচাকে শারীরিকভাবে অসুস্থ করে রেখেছে আলতাজ ও আতাউর যা গ্রামের সকল মানুষ জানেন। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আলতাজ উদ্দিন প্রামানিকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আতাউর রহমান প্রামানিক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার ভাতিজা সুমন জালিয়াতি করে এসব সম্পত্তি খাজনা-খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, খাজনা-খারিজ বাতিলের আবেদন করা হয়েছে, আগামিতে শুনানি হবে।এছাড়াও যে তহসিলদার খাজনা-খারিজ করেছে সে এখন জেল-হাজতে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০১৮ সালে আলতাজ ও আতাউরের পিতা লহির উদ্দিন মারা যাওয়ার পর থেকে ভাতিজা সুমনের উপর মানুষিক নির্যাতন শুরু হয়। শুধু মাত্র সম্পদ নিয়েই চলে এমন অমানবিক নির্যাতন। সুমন একজন এতিম ছেলে। আলতাজ ও আতাউর আপন চাচা। তারা আগলে রাখবে ভাতিজাকে। সেটা না করে মৃত ভায়ের সম্পদ কিভাবে দখল করা যায় এচিন্তায় মরিয়া। তাদের তো টাকা ও সম্পদের অভাব নাই। তাহলে আপন ভাতিজার সাথে এমন নির্যাতন কেন। যারা নিজের ভাই ভাতিজার সম্পদ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে, তারা কিভাবে জনগণের প্রতিনিধির স্বপ্ন দেখান।

আরও খবর