Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

আইপিএল নয়, দেশের খেলা আগে: বাংলাদেশ কোচ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২৫৫জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: ওয়ানডে সিরিজ শেষে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরপর দুদল একটি টেস্টও খেলবে। এই সিরিজ দুটির মাঝে ভারতে আইপিএল শুরু হবে। যেই আসরে আবার বাংলাদেশের তিন তারকা সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমান খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তবে ঘরের মাঠের সিরিজের মাঝে এই তিন ক্রিকেটারকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবির সঙ্গে সুর মেলালেন জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, দেশের হয়ে খেলাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী শুক্রবার আইপিএলের নতুন মৌসুম শুরু হবে।যেখানে সাকিব-লিটনকে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর পুরোনো ঠিকানা দিল্লি ক্যাপিট্যালস ধরে রেখেছে মোস্তাফিজকে। যদিও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বেশ আগেই বলেছিলেন, দেশের খেলা থাকলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জন্য ছাড়া হবে না কোনো ক্রিকেটারকে। নিলামের আগে আইপিএল কর্তৃপক্ষকেও বোর্ড থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের খেলা কখন কোন সময়ে আছে। সেটা জেনেই তারা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়েছেন।

মোস্তাফিজ অবশ্য বিসিবির টেস্ট দলের চুক্তিতে নেই। লাল বলের ক্রিকেটে তার থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তিনি আইপিএল দলে যোগ দিতে পারবেন আগেই। আলোচনাটা মূলত সাকিব-লিটনের ছাড়পত্র নিয়ে।

এই প্রসঙ্গ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেও উঠল। যেখানে প্রধান কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার কোনো ভূমিকা ছিল কি না।  প্রশ্নের জবাব অবশ্য সরাসরি না দিয়ে হাথুরু সমর্থন জানান বোর্ডের সিদ্ধান্তে।

হাথুরুসিংহে বলেন, ‘বোর্ডের সিদ্ধান্ত হলো, দেশের হয়ে আগে খেলতে হবে। তারা অনাপত্তিপত্র পাওয়ার আগে বোর্ড তাদেরকে এই বার্তাই দিয়েছে, এমনকি নিলামে তাদের নাম তোলার আগেও। সেটি আগের মতোই আছে।’

ক্রিকেট বিশ্বের বর্তমান বাস্তবতায় আইপিএল এখন পৌঁছে গেছে অনন্য উচ্চতায়। এটির প্রভাব এতটাই যে, বড় ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো আইপিএলের সময় সাধারণত কোনো সিরিজ রাখে না এখন। খেলা রাখলেও আইপিএলের জন্য ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেয় তারা।

আইপিএলের চেয়ে দেশের হয়ে খেলাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। ‘হ্যাঁ… আইপিএল খেললে তাদের (ক্রিকেটারদের) স্কিলের উন্নতি হয়, এটা নিশ্চিত। এটা নিয়ে সন্দেহ নেই, কারণ এটা শীর্ষমানের টুর্নামেন্ট। তবে সব কিছুর আগে প্রাধান্য পাবে নিজ দেশের হয়ে খেলা।


আরও খবর



বগুড়া ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

বগুড়া বিশেষ প্রতিনিধি:বগুড়া ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের স্থানীয় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এক টেবিলে বসার সুযোগ করেছে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। বগুড়া ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কর্মরত ফটো সাংবাদিকদের একমাত্র সংগঠন। এই এসোসিয়েশনের প্রতিটি কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার। এ ধরনের আয়োজনে সহনশীলতা ও পরমতসহিষ্ণুতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। দেশের মানুষ সংবাদপত্রের মাধ্যমে সমাজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। আর এ কাজটি করতে যারা অসামান্য অবদান রাখেন তারা ফটো সাংবাদিক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যে ভাবে কাজ করেন তা দেশ ও জাতি গঠনে নিঃসন্দেহে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এসময় তিনি রমজান মাসের সংযমের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগের আহবান জানান।

ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাওছার উল্লাহ আরিফের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জেএম রউফ, সাধারণ সম্পাদক মাছুদুর রহমান রানা, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া এর সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, সূচনা কম্পিউটারের স্বত্তাধিকারী নাজমুল হক সোহেল, বগুড়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম কমল। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আসাফুদ্দৌলা ডিউক, সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মুমিন, কোষাধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ মামুন, প্রদর্শনী সম্পাদক জাফর আহম্মেদ মিলন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাবু ইসলাম, সদস্য মহিত উল আলম মিলন, মোমিন জিল্লু, শফিকুল ইসলাম শফিক, বজলুর রশিদ সুইট, আব্দুস সালাম, সাইফুল ইসলাম, সোহেল রানা, বিমু রহমান, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আল আমিন,। ইফতার পূর্বে দেশ ও জাতির কল্যান কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বগুড়া বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ বেলায়েত আলী।


আরও খবর



নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image
নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০হাজার টাকার অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। 

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। 

আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন স্ত্রী তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুড়বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১জুলাই সালাউদ্দিন তাঁর স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।

আরও খবর



মেহেরপুরে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী(মেহেরপুর:মেহেরপুরে লিচু বাগানগুলোতে মুকুলের সমারোহ। চারদিকে মুকুলের মিষ্টি মৌ মৌ গন্ধ। গাছে গাছে দোল খাচ্ছে লিচুর মুকুল। গাছের প্রতিটি ডাল থেকে মুকুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। মুকুলের সুগন্ধে পাখা মেলে গুণ গুনিয়ে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে ছুটছে মৌমাছিরা। লিচু চাষিরা যেমন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গাছের পরিচর্যায়। অন্যদিকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহে শ্রম ব্যয় করছে দিনরাত। মধু সংগ্রহে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন মৌচাষিরা। গাছের ফাঁকে ফাঁকে বাক্স বসিয়ে সংগ্রহ করছেন সুস্বাদু মধু।

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুরে লিচুবাগানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে গাছের মুকুল ভালো হওয়ার মধু সংগ্রহে খুশি মৌচাষিরাও। মার্চ মাসের শুরু থেকে মধু সংগ্রহ করার ধুম পড়ে। দূর থেকে আসা মৌচাষিরা বিভিন্ন স্থানীয় বাগান মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মৌ চাষ শুরু করে। একটি বাগানে মধু সংগ্রহ করার কাজে ২-৩ জন শ্রমিক কাজ করে। দেখা যায়, লিচুর উৎপাদন বাড়াতে বাগানে বাগানে চাষিরা মৌমাছির ’মৌ বাক্স’ বসিয়েছে। পাশেই নিজেদের তৈরি ছোট কুঁড়েঘর থাকে বাক্সের তদারকি করছে মৌ চাষিরা।

লিচু গাছের নিচে সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন কাঠের তৈরি বাক্সগুলো। সেখান থেকে দলে দলে মৌমাছির ঝাঁক বসছে লিচুর মুকুলে। মুকুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির দল নিজ নিজ বক্সে মৌচাকে মধু এনে জমা করছে। ৭-৮ দিন পর পর প্রতিটি বাক্স থেকে চাষিরা মধু সংগ্রহ করছেন। লিচুর বাগান থেকে সংগ্রহ করা মধু যেমন খাঁটি তেমনই সুস্বাদু। মানের দিক থেকে ভাল হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি বছর দেশের নানান প্রান্ত থেকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করতে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাগানে আসে। এদিকে বাগান থেকেই সুস্বাদু মধু ক্রয় করছেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা।

মধু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, মধু চাষিরা এখানে মধু সংগ্রহের পাশাপাশি বিক্রিও করছেন। আমরা বাজারে যে মধু কিনি, সেগুলোয় কেমিক্যাল বা ভেজাল থাকে। তবে এখানকার মধু খাঁটি। এক মাস সময় নিয়ে দিনাজপুর থেকে এখানে এসেছেন মৌ চাষি রনি হাসান ও তার দল। রনি হাসান দীর্ঘ ১৪ বছর এই পেশায় যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, বছরে ৬ মাস আমাদের কাজ হয়। আমরা মাসে ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করতে পারি।

মৌ চাষি রনি হাসান আরো বলেন, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আরো বেশিও সংগ্রহ করা যায়। এখানে ১৫০টি বক্স রয়েছে। প্রতিটি বক্সে ৪টি-১৬টি ফ্রেম আছে। প্রতিটি ফ্রেম থেকে ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত মধু আমরা সংগ্রহ করে থাকি। ইতোমধ্যে আমরা ২’শ ৯০ কেজি মধু সংগ্রহ করেছি। আরও ২শ কেজি মধু সংগ্রহের সম্ভবনা রয়েছে। এখানে সংগ্রহের কাজ শেষ হলে আবার অন্যত্র মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় পর্যায়ে প্রতি কেজি মধু ৬শ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। মধু সংগ্রহ করা শেষ হয়ে গেলে তারা সাথে করে মৌমাছিদের নিয়ে যায় বলে জানান মৌ চাষিরা। প্রতিটি বাক্সে একটি রানী মৌমাছি, একটি পুরুষ মৌমাছিসহ অসংখ্য এপিচ জাতের কর্মী মৌমাছি রয়েছে। কর্মী মৌমাছিরা ঝাঁকে ঝাঁকে লিচুর মুকুলে ছুটে গিয়ে মধু সংগ্রহ করে।কৃষিবিদ শফিউল ইসলাম বলেন, মৌমাছির মাধ্যমে মুকুলের পরাগায়ণ ঘটানোর মাধ্যমে লিচুর ফলন ভাল হয়।

ফলে যে গাছে মৌমাছির বেশি আগমন ঘটে সে গাছে লিচুর যেমন বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকে, তেমনই মৌ চাষিরা বেশি মধু সংগ্রহ করে বাণিজ্যিকভাবে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়।


আরও খবর



আত্রাইয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর আত্রাইয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রস্তুতি মূলক সভা হয়েছে।২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাংসদ অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন।

এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক, ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম ও হাফিজুল ইসলাম, ওসি জহুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল, আত্রাই প্রেস ক্লাব সভাপতি তপন কুমার সরকার, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি উত্তাল মাহমুদ, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম, নাজিম উদ্দিন মন্ডল, খবিরুল ইসলাম, আফজাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় সারাদেশের ন্যায় বাঙালীর ঐতিহ্য বজায় রেখে সকাল আটটায় মঙ্গল শোভাযাত্রা, লাঠি খেলা, বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দিন ব্যাপী গ্রাম বাংলার কৃষ্টি-কালচার সমৃদ্ধ বৈশাখী মেলার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ব্যাংকার, এনজিও, আইনশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ও নাসকতা বিষয়ে সভা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে যা লিখলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাক্ষর করেন।এসময় তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং পরবর্তী ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত পরিবারের সদস্যদেরও স্মরণ করেন।

পরিদর্শন বইয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, আজ ২৬ মার্চ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আজকের দিনে আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি শ্রদ্ধা জানাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিতা মা-বোনদের প্রতি। গভীর বেদনাভরা ক্লান্ত হৃদয়ে স্মরণ করছি আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা এবং আমার তিন ছোট ভাই কামাল, জামাল, রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে আঘাতে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের। শ্রদ্ধা জানাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতাদের। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর যাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

আজকের এই মহান দিবসে আমাদের প্রতিজ্ঞা-স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলব, ইনশাল্লাহ। আমি বাংলাদেশের সব জনসাধারণকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।


আরও খবর