Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করাই আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র, আন্দোলনের নামে সংহিসতার সমুচিত জবাব ও সাম্প্রদায়িকতার উত্থান রুখে দিতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ। একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করাই আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি। কিন্তু এই বিজয় পূর্ণতা পায়নি যতক্ষণ না পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বিজয়ের মহানায়ক শেখ মুজিব মুক্তি পান। তার অনুপস্থিতিতে বিজয় ছিল অসম্পূর্ণ। সেই অসম্পূর্ণ বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল আজকের ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে।

তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন একটি আদর্শ রাষ্ট্র। সেই আদর্শ রাষ্ট্র আমাদের অঙ্গীকার। সেই আদর্শ রাষ্ট্র আমরা প্রতিষ্ঠা করব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণ করব। আজকের এই দিনে আমাদের শপথ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বিশ্ব জনমতের চাপে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। দীর্ঘ সাড়ে ৯ মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকার পর লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

লাখো জনতা সেদিন তাকে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে খোলা ট্রাকে করে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) নিয়ে যান। সেখানে সদ্য স্বাধীন জাতির উদ্দেশে প্রায় ২০ মিনিটের আবেগঘন ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। এরপর থেকে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে আসছে জাতি।


আরও খবর



ডোমারে “আই লাভ ডোমার” স্থাপনার শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিল ব্যয়ে নির্মিত “আই লাভ ডোমার” স্থাপনার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় ডোমার উপজেলা পরিষদ মাঠে নির্মিত স্থাপনাটির শুভ উদ্বোধন করে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ। ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম (বিপিএএ)’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মাবুদ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সেলিম রেজা, পৌর কাউন্সিলর আনোয়ারুল ইসলাম, ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন প্রমুখ।

স্থাপনাটি নির্মানের ব্যাপারে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, নিউইয়র্ক শহরে ১৮৮০ সালে লুটতারাজ, আইনশৃঙ্খলা সহ সামাজিক ব্যাপক অবনতি ঘটে, ফলে দেশটির পর্যটন খাতে ভাটা পরে। এতে নিউইয়র্কেও প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান ফেরাতে ্য়ঁড়ঃ;আই লাভ নিউইয়র্ক্য়ঁড়ঃ; নামে একটি শ্লোগান শুরু হয়। শ্লোগানটি তখন ব্যাপক মানুষকে স্পর্ষ করে, এরফলে নিউইয়র্ক শহরের প্রতি পর্যটক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের মাঝে প্রচন্ড রকম ভালোবাসা ও সম্মান তৈরী করে এবং খুব অল্প সময়ে বদলেজায় নিউইয়র্ক শহরের চিত্র। এই শ্লোগানকে ধারন করে শহরের উপকন্ঠ উপজেলা পরিষদ মাঠে পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আই লাভ ডোর্মার স্থাপনাটি নির্মান করেন ডোমার উপজেলা প্রসাশন।


আরও খবর



১১তম হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’-এর নিবন্ধন শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার নিবন্ধন শুরু হয়েছে। দেশের স্নাতক তৃতীয় বর্ষ বা এর উপরের পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা তাদের  সিভি পাঠিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।  দেশের শিক্ষার্থীদের আইসিটি জ্ঞান/দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি মজবুত আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তুলতে প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে হুয়াওয়ে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে শনিবার আয়োজিত একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ-এর উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. ইয়াও ওয়েন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদও অন্যান্য অতিথিরাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেংয়ের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

এই বছর পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশ রাউন্ডের চ্যাম্পিয়ন পাবে হুয়াওয়ে মেটবুক, প্রথম রানার আপ পাবে হুয়াওয়ে প্যাড এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবে হুয়াওয়ে স্মার্ট ওয়াচ। এর পাশাপাশি, এশিয়া প্যাসিফিক রাউন্ডের শীর্ষ দুইটি প্রজেক্ট টিমের সদস্যরা পাবে চীন ভ্রমণের সুযোগ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, “চীন ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে আসছে।“এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করার তিনি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান, এবং এই প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের সর্বোচ্চ  ব্যবহার করার আহ্বান জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আজকের তরুণ এই ধরণের সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতি হিসেবে এগিয়ে যাবে।  

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. ইয়াও ওয়েন বলেন, “"সিডস ফর দ্য ফিউচার হুয়াওয়ের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। এর লক্ষ্য হল সামাজিক দায়বদ্ধতাকে আরও ভালভাবে পূরণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে তরুণদেরকে প্রশিক্ষিত করা। এই প্রোগ্রামটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের চাহিদাকে বিস্তৃতভাবে পূরণ করতে পারবে।"

তিনি আরও বলেন, “তরুণরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাতা। সেইসাথে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরও ভবিষ্যৎ। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, এই প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়ের এই জ্ঞানভিত্তিক প্ল্যাটফর্মকে সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করবে, অনেকের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে জ্ঞান বিনিময় করবে ও দেশকে সেবার জন্য দক্ষতা বাড়িয়ে তুলবে।"”

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, “প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে বিশ্বব্যাপী আইসিটি খাত তাতে বাংলাদেশেও অংশগ্রহণ করবে আমরা এমনটা প্রত্যাশা করি। আমরা জানি এই আইসিটি খাত হুয়াওয়ের উপর অনেকটাই  নির্ভরশীল।  আমাদের দেশের আইসিটি ক্ষেত্রের তরুণ প্রতিভাদের অন্যান্য দেশের তরুণদের সাথে যুক্ত করে একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যেভাবে এগিয়ে যেতে হুয়াওয়ে সাহায্য করছে তা প্রশংসার দাবীদার। । আমি এই আয়োজনের  সফলতা কামনা করি ”

লোকমান হোসেন মিয়া উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এটি খুবই ভালো সময়। বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়া সদর দপ্তর স্থাপনের জন্য তিনি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান।

হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, “প্রতিবছরের মত এবারও 'সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ' শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এটি হুয়াওয়ের একটি অনন্য কর্মসূচি, যা বাংলাদেশের  জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করার প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়কে তুলে ধরে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের সুবিধা প্রদানে সফল হয়েছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই বছর আমরা আরও প্রতিভাবান তরুণকে এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে দেখবো, যারা আগামীতে দক্ষ আইসিটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে  নেতৃত্ব দেবে।”

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের সচিব মো. নুরুল হাফিজ বলেন, “হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি ক্ষেত্রে অবদান রাখার পাশাপাশি অনেক ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়েও কাজ করছে। হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হিসেবে সিডস ফর দ্য ফিউচার শুধু কর্পোরেট দায়িত্বের উদাহরণই নয়। এতে বিশ্বব্যাপী প্রতিভাবান তরুণদেরকে দিকনির্দেশনা প্রদানের প্রত্যয়ও প্রতিফলিত হয়। ডিজিটাল যুগের পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য চালু করা প্রোগ্রামটি শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আন্তর্জাতিক নাগরিকতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও উদ্যোগ গ্রহণের মনোভাবকে উৎসাহিত করে।"

ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৩০ প্রাপ্ত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরকে ২০শে মার্চ ২০২৪-এর মধ্যে [email protected] -এ সিভি ইমেল করতে হবে।

২০১৪ সালে বাংলাদেশে শুরু হওয়ার পর থেকে 'সিডস ফর দ্য ফিউচার' দেশের তরুণদেরকে বিশেষ সুযোগ দিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে দিক নির্দেশনা পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ১৫,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে এই প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়েছে।


আরও খবর



সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টাডি ট্রাস্টের সভাপতি হলেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গবেষণা সংগঠন বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের ২০২৪-২৮ মেয়াদের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক লাউন্সে বিশেষ সাধারণ সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সিটিজেন রিসার্চ কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান টি এইচ এম জাহাঙ্গীর।

ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নিজাম উদ্দিন ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদের সভাপতি প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া।

এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান লিটু সাংগঠনিক ও অর্থ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস শিক্ষা ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. এ এস এম আলী আশরাফ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দও, সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল), দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর সম্পাদক ও প্রকাশক ড. খান আসাদুজ্জামান, এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ কোম্পানির সিইও মান্না সোম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. শিল্পী রাণী সাহা।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকারের ট্রাস্ট আইনের অধিনে নিবন্ধিত এই গবেষণা সংগঠন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামাজিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর সঠিক তথ্য নির্ভর গবেষণা করে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে নাগরিক মতামত গ্রহণ ও প্রদানের লক্ষে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন।


আরও খবর



উন্নত পেমেন্ট গেটওয়ে নিশ্চিতে কাজ করবে ইউসিবি-প্রিয়শপ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :উন্নত পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা নিশ্চিতে এক সাথে কাজ করবে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) ও প্রিয়শপডটকম লিমিটেড। ডিজিটাল লেনদেন সমৃদ্ধ করার যুগোপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে সম্প্রতি কৌশলগত অংশীদারত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। এ অংশীদারিত্বের অধীনে ইউসিবির অত্যাধুনিক গেটওয়ে সেবার মাধ্যমে সুরক্ষিত ও নিরবচ্ছিন্ন পেমেন্ট সেবা উপভোগ করবেন প্রিয়শপের ক্রেতারা।   

অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিস্বাক্ষর করেন ইউসিবির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএফও ফারুক আহম্মদ এবং প্রিয়শপডটকম লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আশিকুল আলম খান। আর্থিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের বিকাশে দুই পক্ষের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সম্মানিত অতিথিদের উপস্থিতিতে ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউসিবির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স আবুল কালাম আজাদ, হেড অব ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন মোহাম্মদ গোলাম ইয়াজদানি, প্রিয়শপডটকমের অপারেশন বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. এহসানুজ্জামান ও প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম তুশিন সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

প্রিয়শপডটকমের ক্রেতাদের জন্য নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন ক্যাশলেস পেমেন্ট সমাধান নিশ্চিত করা এবং আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল অংশগ্রহণ ত্বরান্বিত করাই ইউসিবি ও প্রিয়শপডটকম এই দুই পক্ষের কৌশলগত অংশীদারিত্বের লক্ষ্য। ডিজিটাল লেনদেন ধারাবাহিক রূপান্তরের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে; সেক্ষেত্রে, ডিজিটাল পেমেন্টের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধিতে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই অংশীদারত্ব করা হয়।


আরও খবর



প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছরেও ভবন সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীতে মাধ্যমিক পর্যায়ে নারী শিক্ষার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ৫৮ বছরেও সংস্কার না করায় প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করতে হচ্ছে। ৬টি ভবনের মধ্যে সবগুলো ভবনই ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় এখন জোরাতালি দিয়ে ক্লাশ পরিচালনা করা হচ্ছে।

বিদ্যালয় ষুত্রে জানা গেছে, আমতলীর শিক্ষানুরাগী সাবেক এমএলএ মরহুম মফিজ উদ্দিন তালুকদার ১৯৬৫ সালে আমতলী শহরের প্রানকেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে আমতলী এমইউ (মফিজ উদ্দিন) বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪২০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টির ৬টি ভবনের মধ্যে সবগুলো ভবনই ব্যবহার অযোগ্য। বিদ্যালয়টি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৬৬ সালে ৪ কক্ষের ১ তলা মূল ভবনটি নির্মান করা হয়। এই ভবনে রয়েছে ১টি হলরুম, প্রধান শিক্ষকের বসার কক্ষ, অফিস, শিক্ষক মিলনায়তন ও শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব।

ভবনটি নির্মানের পর কোন ধরনের সংস্কার না করায় বর্তমানে ভবনের ছাদে ফাটল ধরে অনেক জায়গা দিয়ে ধসে পরেছে। বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুয়ে পানি পরায় মূল ভবনের ভিতরে কেউ বসতে পারে না। এই ভবনের একটি কক্ষে রয়েছে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব। পানি পরার কারনে বর্ষা মৌসুমে তা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। প্রধান শিক্ষক,অফিসকক্ষসহ সকল রুমের একই অবস্থা। ভবনের অধিকাংশা দরজা জানালা খুলে পরেছে। মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে ১৯৭২ সালে ২ কক্ষের একটি টিনসেডের ক্লাশ রুম নির্মান করা হয়। সংস্কারের অভাবে ৫ বছর পূর্বে সেটি তালাবদ্ধ করে রাখ হয়েছে। এর পাশেই রয়েছে দোতালা টিনসেডের ১টি বিজ্ঞানাগার ভবন। সংস্কারের অভাবে ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় এটিও বর্তমানে তালাবদ্ধ। ছাউনির টিন দিয়ে পানি পরায় বিজ্ঞানাগারের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে শিক্ষার্থীদের ক্লাশের জন্য রয়েছে ২টি ভবন। ১টি তিন কক্ষের আরেকটি দুই কক্ষের। পূর্ব পাশে রয়েছে দোতালা পাঁচ কক্ষের ১টি ভবন।

তিন কক্ষের ভবনটি ১৯৮৭ সালে নির্মান করা হয়। দুই কক্ষের ভবনটি নির্মান করা ২০০৪ সালে। পূর্ব পাশের দোতলা পাঁচ কক্ষের ভবনটি নির্মান করা ২০০২ সালে। নির্মানের পর ভবনগুলো সংস্কার না করায় সব ভবনগুলোই জরাজীর্ন এবং ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পরেছে। ভবন ৩টির দেয়াল এবং ছাদের পলেস্তারার খসে পরেছে। দরজা জানালা খুলে গেছে। ছাদে ফাটল ধরায় বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুয়ে পানি পরে ফলে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত বসে ক্লাশ করতে পারে না। মেঝে গর্তহয়ে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব পাশের দোতালা ৫ কক্ষের ভবনটিতে নির্মানের সময় নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় অতি অল্প সময়ে ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পরে। ভবনটি অধিক নাজুক হওয়ায় ভয়ে কোন শিক্ষার্থীরা দোতালায় উঠতে চান না।বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রয়েছে প্রধান শিক্ষক এবং নৈশ প্রহরীর জন্য দুটি টিন সেডের ঘর। এগুলোও সংস্কার না হওয়ায় জরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে। বসবাসকারীরা নিজেদের টাকায় কোন রকম ঠিক করে বসবাস করলেও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায়।

বিদ্যালয়টি নারী শিক্ষার হলেও স্থাপনের পর থেকে নেই কোন সীমানা প্রচীর। বিদ্যালয়টি শহরের প্রধান সড়কের পাশে নির্মিত হওয়ায় এবং সড়ক থেকে দেখা যাওয়ার কারনে নারী শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় সংকোচ বোধ করছে। এছাড়া সীমানা প্রচীর না থাকায় অবাধে গরু ছাগল প্রবেশ করে মাঠ নষ্ট করছে। তাছাড়া সীমানা প্রচীর না থাকার কারনে রাতের অন্ধকারে বিদ্যালয়ের মাঠ বসে মাদকসেবীদের আড্ডা খানা।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নওশীন আক্তার ও ঝিনিয়া আক্তার বলেন, আমাদের বিদ্যায় ভবন অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন। ছাদ, দেয়াল ও পিলারের পলেস্তাররার খসে পড়েছে। বর্ষ মৌসুমে ছাদ চুয়ে পানি পরে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাছলিমা আলম বলেন, আমারা ভয়ের মধ্যে দিয়ে ক্লাশ করি। বর্ষা কালে ছাদ চুয়ে পানি পরার কারনে ঠিকমত ক্লাশ করতে পারি না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম কবীর বলেন, বিদ্যালয়ের ৬টি ভবনের মধ্যে সবভবনগুলো এখন ব্যবহার অনুযযোগী হয়ে পরেছে। ছাদের, দেয়ালের এবং পিলারের পলেস্তারার খসে পরায় ভবনগুলো অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করছে। এবিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষোর নিকট অনেকবার আবেদন করা হয়েছে।

আমতলী উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও শিক্ষাকর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সেলিম মাহমুদ বলেন, আমতলী এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে।বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নতুন ভবন নির্মানের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে।আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ভবন সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।


আরও খবর