Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আদালতের আদেশ অমান্য করছে পুলিশ কনস্টেবল মা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৮৭জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোটারঃ-

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত মো: কামরুল ইসলামের একমাত্র ছেলেকে আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করে পিতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কামরুল ইসলাম ফেনী জেলার লেমুয়া বাজারের লেমুয়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। 

জানা যায়, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার কেওয়ার জোড়  গ্রামের আজিজুল  হকের পুলিশ কনস্টেবল মেয়ে হাবিবা আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।সংসার জীবনে মো:রাদ্দীদ বিন কামরুল নামক তাদের তিন বছরের একটা পুত্র সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে উভয়ের বনিবনা না হওয়ায় এবং কামরুল ইসলামের স্ত্রী পুলিশে চাকুরির সুবাদে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ।


কামরুল ইসলাম কে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার সর্বোপরি ৩০০০০০/- টাকার স্বর্নলংকার ২০০০০০/- টাকার আসবাবপত্র সহ নগদ টাকাপয়সা নিয়া সংসার করবেনা মর্মে অন্যত্রে চলে যাওয়ার কারনে পুলিশ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কোন সহযোগিতা না পাওয়ার কারন দেখিয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম গত ২৪ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে হবিগঞ্জ জেলার নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে স্ব শরীরে হাজির হয়ে তালাক প্রদান করে।


এ সুবাদে পুলিশ কনস্টেবল হাবিবা তার সন্তানকে কর্মস্হল  সিলেট জি,আর,পি থানায় ব্যারাকে নিয়ে যায়। বাবার সাথে সন্তানের দেখা সাক্ষাত বন্ধ করে দেয়। কামরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানায়,একমাত্র আদরের সন্তান যেন পিতৃ-স্নেহ থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য কামরুল ইসলাম তার তালাক দেওয়া স্ত্রীর কথা মত প্রতি মাসে ৫০০০/- টাকা দিয়ে ছেলেকে দেখতে পেত। যার রশিদ প্রতিবেদকের কাছে জমা আছে। কিন্তু হঠাৎ দেখা করা বন্ধ করায়  তিনি গত ১৯ শে জুন ২০২২ ইং তারিখে হবিগঞ্জের পারিবারিক আদালতে পারিবারিক মোকদ্দমা নং ৪৪/২০২২ সন্তানকে দেখার আবেদন করেন।


আবেদন পর্যালোচনা করে আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতি শুক্রবার সকাল ১০'০ টা থেকে বিকাল ৪'০ টা পর্যন্ত সময়ের জন্য বাদীর নাবালক পুত্র মো:রাদ্দীদ বিন কামরুল কে তার পিতার সহিত দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য সি,আই রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী চৌকি, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, সিলেট কার্যালয়ে হাজির করার জন্য নির্দেশ দেন। প্রথম কিছুদিন সি,আই এনায়েত উল্লা পিতা পুত্রকে দেখা সাক্ষাত করার ব্যবস্থা করে দিলেও হঠাৎ সহযোগিতা বন্ধ করে দেয় বলে কামরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানায়।


কামরুল ইসলামের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য প্রতিবেদক পরিচয় গোপন রেখে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চালায়। সিলেট জি,আর,পি তে কর্মরত হাবিবার একাধিক সহকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাবিবার অনেতিক কাজের কথা স্বীকার করে। এবং  সিনিয়র কর্মকর্তাদের হাত করে পুলিশি ক্ষমতা ব্যবহার করার পাশাপাশি কামরুল ইসলাম কে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি দমকির কথা ও শুনা যায়। 

ছেলেকে তার বাবার সাথে দেখা করতে না দেওয়ার কারন জানতে চাইলে হাবিবা বলেন, রাদ্দীদ তার বাবার কাছে গেলেই  অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি মা হিসাবে তা চাই না। তাছাড়া তার বাবা তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। আমার কষ্ট হয়। আমি ও সি,আই স্যার সবাই কামরুল কে কল দেই, সে কল রিসিভ করে না। তাই দেখা করতে দেই না। 


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সি,আই এনায়েত উল্লা' বলেন ওদের ঝামেলা আমি বইতে পারব না তাই এগুলোর মধ্যে নাই। তাদের ব্যাপারে তারাই ভাল জানে। কিন্তু রাদ্দীদের বাবা কামরুল ইসলাম বলেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, ছেলে অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই, তখন কি টাইম মেন্টেইন করা যায়।তাছাড়া মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অতিরিক্ত রেশন আদায়ের অভিযোগ ও পাওয়া গেছে হাবিবার বিরুদ্ধে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



পোরশায় একটি “মিনি পুকুর” বদলে দিয়েছে শিক্ষিত বেকার যুবকের ভাগ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৬জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ):শিক্ষিত বেকার যুবকের নাম নাইমুল ইসলাম নাঈম, তিনি এইচএসসি পাস করে নওগাঁর পোরশা সরকারি কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন, কিন্তু গত করোনা মহামারির সময় পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়েন। বাড়িতে বেকার বসে থাকা এবং পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাকে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে হয় বাপ-দাদার পেশা কৃষি কাজে। বরেন্দ্র অঞ্চল এখন আমের জন্য বিখ্যাত হওয়ায় তিনি আম চাষ করার পরিকল্পনা করেন। গত বছর তার গ্রামের পাশের মাঠে স্থানীয় এক ব্যক্তির নিকট থেকে ১২বছরের জন্য সোয়া ২বিঘা জমি লিজ নিয়ে তৈরি করেন আম্ব্রপালী জাতের আম বাগান। আর সেই বাগানের মধ্যে থাকা ছোট গর্তকে একটি বেসরকারি সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় পুনঃখনন করে তৈরি করেন একটি মিনি পুকুর। ঐ পুকুরের পানি ব্যবহার করে, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করে শিক্ষিত এই বেকার যুবকের ভাগ্যের চাকা ঘোরা শুরু করেছে।

নাইমুল ইসলাম নাঈম নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের ছাওড় দক্ষিনপাড়া গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে, তার এই বাগানটি ছাওড়ের বরেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন।

তরুণ চাষি নাইমুল ইসলাম নাঈম জানান, জমিতে আম বাগান তৈরি করার পরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট তীব্র খরা প্রবন এলাকা হওয়ায় পানির অভাবে তার আম বাগানের গাছ মরতে শুরু করে। বাগানটি রাস্তার সাথে হওয়ায় মরা গাছগুলি ঐ এলাকায় কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সিসিডিবি’র কর্মকর্তাদের নজরে আসে। সংস্থার পক্ষ হতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে ঐ বাগানে থাকা একটি ছোট গর্তকে পুনঃখনন করে আনুমানিক ১শতাংশ জমির উপর একটি মিনি পুকুর তৈরি করা হয়। এই মিনি পুকুর মূলত আকাশের বৃষ্টির পানি ধরে রেখে প্রয়োজন ও পরিমাণমতো গাছে পানি সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ঐ পুকুর থেকে বাগানের গাছ বাঁচিয়েও সিসিডিবি’র সহযোগিতায় পুকুর পাড়ে বেগুন, লাউ, টমেটো, সিম, করলা, পটল, গাজরসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি চাষ করেন নাঈম। এর পরেও ঐ মিনি পুকুরে পানি অবশিষ্ট থাকায় সিসিডিবি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আম বাগানের সাথি ফসল হিসাবে তিনি চাষ করেন মিষ্টি কুমড়া। বিনামূল্যে উন্নতমানের মিষ্টি কুমড়ার বীজ, ফেরোমেন ফাঁদ, হলুদ আঠাঁলো ফাঁদ, ২/৩জি কাটিং পদ্ধত্তি, কেঁচো সারের ব্যবহার, মালচিং ইত্যাদি জৈব পদ্ধত্তি চর্চা করার জন্য সহায়তা করে আসছে সিসিডিবি।

চাষি নাঈম আরও জানান, আম বাগান বাদে শুধু মিষ্টি কুমড়া পরিচর্যায় এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ১০হাজার টাকা। বাগানে মিষ্টি কুমড়ার গাছ রয়েছে ৮৫০টি, প্রতি গাছে ফল রয়েছে ৩-৪টি, তবে গাছে পর্যায়ক্রমে ফল ধরা চলমান রয়েছে। বর্তমান স্থানীয় বাজারে এই ফল বিক্রি হচ্ছে সাইজ ভেদে ৫০-৬০ টাকা প্রতিটি। শুধু মিষ্টি কুমড়া বিক্রয় করে দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করবেন বলে তিনি আশা করছেন। এছাড়াও তিনি তার পুকুরপাড় থেকে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি বিক্রি করে প্রতি মাসে ২-৩ হাজার টাকা আয় করছেন। এর সবগুলো ঐ মিনি পুকুরের সংরক্ষিত বৃষ্টির পানির কারণে সম্ভপর হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বেসরকারি সংস্থা খ্রিস্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) এর প্রোমোটিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট কমিউনিটিস ইন বাংলাদেশ-২ প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী স্টিভ রায় রুপন বলেন, আমরা প্রকল্পের কাজের জন্য ঐ বাগান সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। পানির অভাবে বাগানের গাছগুলো মরে যাচ্ছে দেখে আমাদের প্রকল্প থেকে উক্ত উপকারভোগী সদস্যকে “জলবায়ু অভিযোজিত কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রসারের জন্য” ঐ বাগানে থাকা একটি ছোট গর্তকে পুনঃখনন করে একটি মিনি পুকুর তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। তীব্র খরা প্রবণ এলাকা হওয়ায় খরা মৌসুমে এই এলাকার অনেক পুকুরই পানিশূন্য হয়ে যায়। আমরা ঐ মিনি পুকুরে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য ত্রিপল বিছিয়ে দিয়েছি, এখানে পানিতে কচুরিপানা এবং তালপাতা রাখা হয়েছে যাতে পানি কম বাষ্প হয় এবং বেশি দিন পানি ব্যবহার করা সম্ভব হয়। তিনি আরও জানান, তীব্র খরা প্রবণ এই এলাকার বিভিন্ন জমিতে বিশেষ করে নতুন ফল বাগানগুলোতে এমন মিনি পুকুর খনন করলে কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বেশ অবদান রাখা যাবে। একই সাথে বৃষ্টির পানি ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে ভূমিকা রাখবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, আমরা আম চাষি কৃষকদের আম বাগানে সাথি ফসল হিসাবে এই জাতীয় শাকসবজি ও মসলার মধ্যে পেঁয়াজ রসুন চাষ করতে বলছি। এতে আম গাছের পরিচর্যায় যে খরচ হবে তা এখান থেকেই উঠে আসবে। সিসিডিবির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এমন মিনি পুকুর এই এলাকার বাগানগুলোতে তৈরি করতে পারলে জমিতে সেচের পানির সংকট নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। 


আরও খবর



হোমনায় নানা আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image
হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:কুমিল্লার হোমনায় নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।দিবসটি  উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১বার তোপধ্বনি, পরিষদ মাঠে স্থাপিত উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

এরপর সকাল আটটায় হোমনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে কুচকাওয়াজ এবং শারীরচর্চা প্রদর্শন করা হয়।
শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। পরে বেলা ১১ টায় উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমার সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা,  শহিদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা -২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ।  এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেহানা বেগম, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মহাসিন সরকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার রিনা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইউছুফ হাসান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জয়নাল আবেদিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান আবুল, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন ও হুমায়ূন কবির খন্দকার প্রমুখ। 

আরও খবর



সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ংকর। কারণ, সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের ওপর কোনো নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদিঘী চত্বরে ‘চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

‘দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হয়ত মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নেই। ওনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নেই বলছেন। মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে। দেখুন, এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে এবং হচ্ছে। মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরনের দুর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়েই ঈদ উদযাপন করছে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যু কর্তৃক হাইজ্যাক হওয়া জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব সহসা আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব সহসাই মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ইতোমধ্যেই সাধিত হয়েছে।

এর আগে চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন এবং আমরাও বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজকে ঈদ উৎসবকে উপলক্ষ করে চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই সামিল হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে।

এ সময় চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব আয়োজক কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ ও কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ব্যাংকে ডাকাতি ও অপহরণ: রুমা ও থানচিতে পুলিশের ৬ মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ডাকাতি বান্দরবানে দুই দিনে ৩ ব্যাংকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট, থানায় হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রুমা ও থানচি থানায় মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়।

মামলার এজাহারে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কথা বলা হলেও কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। সব মামলায় এজাহারে থেকে ৫শ’ আসামি অজ্ঞাত লেখা রয়েছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নূর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, দুই থানায় ব্যাংক লুট, অস্ত্র ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনায় কয়েকশ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীকে আসামি করে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া গত রাতে থানচিতে আক্রমণের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হবে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা ঘেরাও করে কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

এ সময় তারা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র-গুলি লুট করে এবং তাদের মারধর করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করার চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে দুর্গম পাহাড়ে চলে যায়।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আবারও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা করে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এসময় সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে রুমা থেকে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র‌্যাব। কিন্তু এ ঘটনার পরপরও থানচি বাজার ও থানায় হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

এসময় তাদের প্রতিহত করতে অন্তত ৫০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে মধ্যরাতে বান্দরবানের আলীকদমের ২৬ মাইল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি চেকপোস্টেও গুলির ঘটনা ঘটে।


আরও খবর



বিশেষ সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু ইউসিবি অ্যাসেট প্রিভিলেজ কার্ডের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজেদের মূল প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির সহযোগিতায় দেশে প্রথমবারের মতো বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘ইউসিবি অ্যাসেট প্রিভিলেজ’ নামে একটি বিশেষ সুবিধা নিয়ে এসেছে ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। পুঁজিবাজারে এমন পরিষেবা এটাই প্রথম, যা ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের নির্বাচিত বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

‘ইউসিবি অ্যাসেট প্রিভিলেজ’ -এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা ভ্রমণের সময় এয়ারপোর্টে ইউসিবির অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক লাউঞ্জে বিশেষ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী আরিফ কাদরী ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সম্মানিত বিনিয়োগকারী সজল দত্ত গুপ্তের কাছে কার্ডটি হস্তান্তরের মাধ্যমে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী শেখ মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান।

আজ ২ এপ্রিল ২০২৪ -এ অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির প্রধান কার্যালয়ে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তাহমিদুজ্জামান, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মোহাম্মদ রহমত পাশা, ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও তানজিম আলমগীরসহ ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।


আরও খবর