
স্টাফ রিপোটারঃ-
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত মো: কামরুল ইসলামের একমাত্র ছেলেকে আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করে পিতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কামরুল ইসলাম ফেনী জেলার লেমুয়া বাজারের লেমুয়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার কেওয়ার জোড় গ্রামের আজিজুল হকের পুলিশ কনস্টেবল মেয়ে হাবিবা আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।সংসার জীবনে মো:রাদ্দীদ বিন কামরুল নামক তাদের তিন বছরের একটা পুত্র সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে উভয়ের বনিবনা না হওয়ায় এবং কামরুল ইসলামের স্ত্রী পুলিশে চাকুরির সুবাদে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ।
কামরুল ইসলাম কে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার সর্বোপরি ৩০০০০০/- টাকার স্বর্নলংকার ২০০০০০/- টাকার আসবাবপত্র সহ নগদ টাকাপয়সা নিয়া সংসার করবেনা মর্মে অন্যত্রে চলে যাওয়ার কারনে পুলিশ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কোন সহযোগিতা না পাওয়ার কারন দেখিয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম গত ২৪ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে হবিগঞ্জ জেলার নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে স্ব শরীরে হাজির হয়ে তালাক প্রদান করে।
এ সুবাদে পুলিশ কনস্টেবল হাবিবা তার সন্তানকে কর্মস্হল সিলেট জি,আর,পি থানায় ব্যারাকে নিয়ে যায়। বাবার সাথে সন্তানের দেখা সাক্ষাত বন্ধ করে দেয়। কামরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানায়,একমাত্র আদরের সন্তান যেন পিতৃ-স্নেহ থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য কামরুল ইসলাম তার তালাক দেওয়া স্ত্রীর কথা মত প্রতি মাসে ৫০০০/- টাকা দিয়ে ছেলেকে দেখতে পেত। যার রশিদ প্রতিবেদকের কাছে জমা আছে। কিন্তু হঠাৎ দেখা করা বন্ধ করায় তিনি গত ১৯ শে জুন ২০২২ ইং তারিখে হবিগঞ্জের পারিবারিক আদালতে পারিবারিক মোকদ্দমা নং ৪৪/২০২২ সন্তানকে দেখার আবেদন করেন।
আবেদন পর্যালোচনা করে আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতি শুক্রবার সকাল ১০'০ টা থেকে বিকাল ৪'০ টা পর্যন্ত সময়ের জন্য বাদীর নাবালক পুত্র মো:রাদ্দীদ বিন কামরুল কে তার পিতার সহিত দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য সি,আই রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী চৌকি, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, সিলেট কার্যালয়ে হাজির করার জন্য নির্দেশ দেন। প্রথম কিছুদিন সি,আই এনায়েত উল্লা পিতা পুত্রকে দেখা সাক্ষাত করার ব্যবস্থা করে দিলেও হঠাৎ সহযোগিতা বন্ধ করে দেয় বলে কামরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানায়।
কামরুল ইসলামের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য প্রতিবেদক পরিচয় গোপন রেখে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চালায়। সিলেট জি,আর,পি তে কর্মরত হাবিবার একাধিক সহকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাবিবার অনেতিক কাজের কথা স্বীকার করে। এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের হাত করে পুলিশি ক্ষমতা ব্যবহার করার পাশাপাশি কামরুল ইসলাম কে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি দমকির কথা ও শুনা যায়।
ছেলেকে তার বাবার সাথে দেখা করতে না দেওয়ার কারন জানতে চাইলে হাবিবা বলেন, রাদ্দীদ তার বাবার কাছে গেলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি মা হিসাবে তা চাই না। তাছাড়া তার বাবা তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। আমার কষ্ট হয়। আমি ও সি,আই স্যার সবাই কামরুল কে কল দেই, সে কল রিসিভ করে না। তাই দেখা করতে দেই না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সি,আই এনায়েত উল্লা' বলেন ওদের ঝামেলা আমি বইতে পারব না তাই এগুলোর মধ্যে নাই। তাদের ব্যাপারে তারাই ভাল জানে। কিন্তু রাদ্দীদের বাবা কামরুল ইসলাম বলেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, ছেলে অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই, তখন কি টাইম মেন্টেইন করা যায়।তাছাড়া মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অতিরিক্ত রেশন আদায়ের অভিযোগ ও পাওয়া গেছে হাবিবার বিরুদ্ধে।
-খবর প্রতিদিন/ সি.বা