Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

৭১৬ জন কর্মীকে ছাঁটাই করবে লিংকডইন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬৯জন দেখেছেন

Image

চাকরি ডেস্ক: বেকারদের চাকরি খুঁজে দিতে যে সংস্থা বদ্ধপরিকর, এবার সেই সংস্থারই কর্মীরাই হারিয়েছেন চাকরি। শোনা যাচ্ছে, অন্তত ৭১৬ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিংকডইন।পেশাজীবীদের জন্য পরিচালিত সংস্থাটি ছাঁটাইয়ের পাশপাশির চীনের স্থানীয় চাকরির অ্যাপটিও বন্ধ করে দেবে।

কোম্পানির প্রধান নির্বাহী রায়ান রোসলানস্কির এক চিঠিতে জানান, সংস্থাকে কার্যক্রমকে সুবিন্যস্ত করা হলো এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য।গত ছয় মাসে, অ্যামাজন, লিংকডইনের প্যারেন্ট মাইক্রোসফট ও অ্যালফাবেটসহ বেশকিছু সংস্থা ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

রোসলানস্কি বলেন, ‘বাজার ও গ্রাহকের চাহিদার ওঠানামা এবং উদীয়মান ও সম্প্রসারিত বাজারে নিজেদের কার্যকরভাবে পরিবেশনের জন্য এই সিদ্ধান্ত এসেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিবর্তনের ফলে ২৫০টি নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হবে।উল্লেখ্য, চীনে পরিচালিত একমাত্র পশ্চিমা সামাজিক-মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। ২০১৪ সালে দেশটিতে তারা কাজ শুরু করে।


আরও খবর



নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদযাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...’


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁও শহরের সুনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের রোডের সুগার মিলস গেট সংলগ্ন এলাকায় ঐ দুটি শো-রুমের উদ্বোধন করা হয়।  

ফিতা কেটে গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের শুভ উদ্বোধন করেন বে-সরকারি এনজিও সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহমেদ রাজু, ডেইলি স্টার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক কামরুল ইসলাম রুবায়েত, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একরামুল দৌল্লা সাহেব, গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের পরিচালক মো. ওয়াসিম আকরামসহ ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।  

গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের পরিচালক মো. ওয়াসিম আকরাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলায় সুনামের সঙ্গে গোওসিয়া রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা করে আসছে। আমরা সবসময় মানসম্মত খাবার পরিবেশেন করে থাকি। এবার আমরা আরও দুটি শো-রুমের উদ্বোধন করেছি। ইনশাআল্লাহ এই দুটি শো-রুমের মাধ্যমে আমরা সাধারণ মানুষদেরকে ভালো মানের সেবা দিয়ে ঐতিহ্য রক্ষা করব। 

উদ্বোধন শেষে গোওসিয়া মিঠাই ও গোওসিয়া আইটি শো-রুমের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  

আরও খবর



সরকার বিধবা ভাতা প্রাপ্তির শর্ত শিথিল করছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা আয়ের সীমা শিথিল করে ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা,।

সোমবার (১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের মধ্যে যাদের বছরে আয় ১৫ হাজার টাকার নিচে, তারা এই ভাতার সুযোগ পাবেন। বিদ্যমান নিয়মে ১২ হাজার টাকার নিচে হলে এই ভাতা পাওয়া যেত।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার বিধবা ও স্বামী পরিত‌্যাক্তাকে মাসিক ‌৫৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়।


আরও খবর



আল জাজিরা নিষিদ্ধে ইসরায়েলে আইন পাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে আইন পাস করেছে। সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আইনটি ৭০-১০ ভোটে পাস হয় এবং তেল আবিব সরকারকে ইসরায়েলে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কার্যালয় বন্ধ করার মতো ক্ষমতা দেয়।

বিলটি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে ইসরায়েলে বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যমটির সম্প্রচার বন্ধ করার ক্ষমতা দিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপি এবং টাইমস অফ ইসরায়েল-এর বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিলটি পাস করার জন্য নেসেটে আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং 'অবিলম্বে আল জাজিরা বন্ধ করার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি বাহিনী ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের চলমান যুদ্ধে হামাসের পক্ষে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগেই এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আল জাজিরার বিরুদ্ধে। গত ১৫ অক্টোবর ইসরায়েলের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী শালোমা খারহি অভিযোগ করেছিলেন, চলমান এই যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের এই প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমটি নিয়মিত হামাসঘেঁষা সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ইসরায়েলের বেতার সংবাদমাধ্যম আর্মি রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, শিগগিরই এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে ইসরায়েলের সরকার।

এর আগে, গত বছর ২০ অক্টোবর ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে আল জাজিরার সম্প্রচার এবং সেটির স্থানীয় কার্যালয় ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করতে বিল পাস হয়।


আরও খবর

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে চেয়ারম্যান সমর্থককে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধিঃবরগুনা জেলার আমতলীতে ভোটারদের টাকা দিতে বাঁধা দেওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক হিরন গাজী (৫০) কে ছুরিকাঘাতে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকার হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মেতাহার মৃধার সমর্থক মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার এমন অভিযোগ করেন।  পুলিশ নিহত হিরন গাজীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নের পুর্ব মহিষডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে অনিল সাজ্জাল বাড়ীর সামনে বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে। 

জানাগেছে, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অভিযোগ রয়েছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও আবুল বাশার নয়ন মৃধা ভোটারদের টাকা বিতরন করছেন । বুধবার রাত ১১ টার দিকে আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৪০-৪৫ জন পুর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের টাকা দিচ্ছিল। এ সময় মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে টাকা দিতে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় নয়ন মৃধার সমর্থকরা। এক পর্যায় আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থক ইউসুফ মাতুব্বর, কাদের সরদার ও শহীদ মালাকারসহ ৬-৭ জন তাকে ছুিরকাঘাত করে। ওই ছুরিকাঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষনিক হিরনের সহযোগী মিলন সরদার, ও দেলোয়ার সরদারসহ ১০/১২ জনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। ওই রাতেই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার রুহল আমিন ও ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে আবুল সরদারের ছেলে কাদের সরদার ও তার লোকজন হিরনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী মিলন সরদার ও দেলোয়ার সরদার বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার সমর্থকরা গ্রামে টাকা বিতরন করতেছিল। এতে মোতাহার মৃধার সমর্থক হিরন গাজীসহ ১০-১২ জনে বাঁধা দেয়। এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে নয়ন মৃধার সমর্থক শহীদ মালাকার, ইউসুফ মাতুব্বর ও কাদের সরদারসহ ৬/৭ জনে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আমাদেরকেও তারা ধাওয়া করেছে। 

নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, মোর কিছুই রইলো না। ওরা মোর স্বামীরে মাইর‌্যা হালাইছে। মুই এ্যাইয়ার বিচার চাই।  

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, আবুল বাশার নয়ন মৃধার নেতৃত্বে তার ভাই পান্নু মৃধা ও  আজাদসহ ৪০-৫০ জন গ্রামে ঢুকে টাকা বিতরন করছিল। ওই সময় আমার লোকজন ঘোড়া ঘোড়া বলে ডাক চিৎকার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সমর্থক হিরন গাজীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি।

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি গতকাল আমার ব্যবসার কাজে বাসায় সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিলাম। মোতাহার মৃধা ও তার লোকজন দিয়েই হিরনকে হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে আমার উপর দায় চাপাচ্ছেন। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি। 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে আনার পুর্বেই ছুরিকাঘাতে আহত হিরন নামের একজন মারা গেছে। 

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ভোটারদের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় হিরন গাজী নামের একজনকে ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।  তিনি আরো বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর