খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকোঁ ১ড় সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসছেন। নয়া দিল্লি থেকে তিনি ঢাকায় আসবেন।ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাকোঁ ভারতের নয়া দিল্লিতে ৯–১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি–২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এরপর সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশে দ্বিপক্ষীয় সফরে আসবেন। বাংলাদেশ সফরকালে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বা ইন্দো–প্যাসিফিক নিয়ে ফ্রান্সের কৌশল নিয়ে জোর দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে এমন একটি দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর হবে, যে দেশটি দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতি করেছে এবং অংশীদারিত্বে বৈচিত্র খুঁজছে। জলবায়ু নিয়ে প্যারিস এজেন্ডাসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে অভিন্নতা রয়েছে। আর প্যারিস এজেন্ডা বাংলাদেশ সক্রিয় সমর্থন করে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, ফলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মানবিক দিক থেকে বাংলাদেশের পাশে থাকার সংকল্প আবারও ব্যক্ত করবেন। বিশেষ করে নিয়মিত বন্যা, যা নিয়মিত হয়ে থাকে।
বিশ্বের শান্তিরক্ষা অথবা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া, আন্তর্জাতিক সংহতিমূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারি দেশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের তৎকালিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁ বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের নভেম্বর প্যারিসে দ্বিপক্ষীয় সফরে গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ম্যাকোঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এ সময় দুই দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্মতিপত্রে সই করে। দুই দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার যে সম্মতিপত্র সই করেছে, তাতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো যুক্ত রয়েছে।
২০২১ সালে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই দেশের দেওয়া যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, দুই দেশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়মিত আলোচনা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। প্রয়োজনে সামর্থ্য অনুযায়ী এক পক্ষের চাহিদা অনুযায়ী অন্য পক্ষ তা সরবরাহ ও সহযোগিতা করবে। দুই দেশ তাদের এই সম্পর্কের একটি কৌশলগত দিক নির্দেশনা দেওয়ার লক্ষ্যে সহযোগিতার সব বিষয়ে নিয়মিতভাবে রাজনৈতিক আলোচনা আয়োজনের ওপর জোর দিয়েছে।
দুই পক্ষ রাজনীতি, কূটনীতি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়সহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতায় জোর দিয়েছে।