Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

৫৩ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনী রৌমারী উপজেলার সীমান্ত ঘেষা যাদুর চরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃআর কতকাল নড়েবড়ে বাশেঁর সাকোঁর উপর ভর করে চলতে হবে, সীমান্তঘেষা অঞ্চলের দিশেহারা মানুষদের, জানতে চায়, অঞ্চলবাসীরা। দেশ স্বাধীনের দীর্ঘ ৫৩টি বছর এভাবেই সাকোঁর উপর ভর করে চলছে এঅঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার বিছিন্ন জনপদের মানুষ।

যোগাযোগ বিছিন্ন এলাকা গুলো হচ্ছে বালিয়ামী খেওয়া ঘাট হইতে বাগান বাড়ী- লাঠিয়াল ডাঙ্গা-আলগার চর-খেওয়ার চর-উত্তর আলগার চর-বকবান্দা ব্যাপারী পাড়া-দুবলাবাড়ী- ঝাউবাড়ী-চুলিয়ার চর-বারবান্দার উপর দিয়ে ইজলামারী খেওয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার জরাজীর্ণ কাচাঁ মাটির রাস্তায় চলছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জীবনযাত্রা। অপরদিকে চর রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়রে বালিয়ামারী নয়া পাড়া মোর হইতে রৌমারী উপজেলার যাদুর চর ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের উপর দিয়ে, ভায়া বেকরিবিল গ্রাম পেরিয়ে সায়দাবাদ বাজারের মহাসড়ক পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার ধুলোবালীর রাস্তা পারিয়ে আসতে হচ্ছে মহাসড়কে। এতে করে দেখা গেছে পায়ের ধুলোমাটি মাথায় এসে বাসা বাদঁেছন। এমন জরার্জীণ অবস্তায়, এঅঞ্চলের মানুষ গুলোর জীবনযাপনে এখন পর্যন্ত কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। জনপ্রতিনিধিদের নজরে আসেনী এমন দুর্দশাগ্রস্ত এলাকা গুলো হাজারও মানুষের অভিযোগ। উপজেলা ও জেলায় এবিষয় গুলো নিয়ে অবগত করলেও আমলে নিচ্ছেনা কেউ। যারফলে এইসব অঞ্চল গুলো দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া আজও তাদের চোখে পরেনি।

এবিষয় লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিন (৮০) বলেন কি বলবো আর দুঃখের কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তিনি আবেগের সাথে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সবকটি অঞ্চলে উন্নয়ন করেছেন কিন্ত দুঃখের বিষয় এঅঞ্চলটিতে উন্নয়ন কেন করছেন না জানিনা। তিনি আরও বলেন দেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রম হতে

যাচ্ছে এই বয়সে নড়বড়ে বাশেঁর সাকোঁতে যাতয়াত করছি জীবনের ঝুকি নিয়ে। এর সমাধান কার কাছে গেলে পাওয়া যাবে জানতে ইচ্ছে করছে। আমি সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা এবং লাঠিয়াল ডাঙ্গা দুই গ্রামের মাঝখান দিয়ে ভারত থেকে বয়ে আসা জিঞ্জিরাম নদী- এই নদের উপর একটি টেকসই সেতু নির্মাণ করে দিলে এই অঞ্চলের মানুষ অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখতে পাবে। আলগারচর গ্রামের

আলহাজ্ব হাসেন আলী (৮৫) বলেন জীবনের শেষ সময়ও যাতয়াতের কোন সুবিধা ভোগ করতে পারলাম না এটা বড় দুঃখ। কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন বাড়ী থেকে বেড় হই রৌমারীর উদ্দেশ্যে প্রথমে নড়েবড়ে বাশেঁর সাকোঁ পার হয়ে আবার ধুলাবালির কাচা রাস্তা পারিয়ে মহাসড়কে যেতে পোশাক আর পোষাক থাকেনা। পায়ের ধুলা মাথা গিয়ে বাসা বাদে এমন বিঘœ দশায় জীবনযাপন করে আসছি কেউ আমাদের কথা ভাবেনা। চর লাঠিয়াল

ডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস ছাত্তার দেওয়া (১১৭) বলেন এখন আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই কখন যেন ডাক আসে চলে যেতে হবে, তবে এই এলাকার মানুষ গুলোর জন্য সরকার কেনইবা নজর দেন না বুঝে আসেনা। এই নদীতে একটি ব্রীজ হলে মাথায় করে ধানের বুঝা আনতে হতো না। তিনি আরও জানায় হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল নড়েবড়ে বাশেঁর সাকোঁতে পারাপাড় করতে অনেক ফসল পরে নষ্ট হয়ে যায়। সরকারের কাছে প্রানের দাবী এই অবহেলিত মানুষ গুলোর প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেই এই এলাকার ব্যাপক উন্নতি হবে। অবহেলি এলাকার সরেজমিন ঘুরে তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এঅঞ্চলের জীবন কাহিনী। এঅঞ্চলে কারর যদি কোন সমস্যা হয় ইমারজেন্সি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে তাহলে জল চকিতে করে ঘারে বহন করে মহাসড়কে এসে যানবাহনে উঠতে হয়। আবার দেখা যায় যেকোন ফসল নিজের তাগিতে বাজারে নিতে হচ্ছে তাহলে ভ্যান গাড়ী যোগে নিতে হলে চার পাচজন লাগে ঠেলাঠেলি করতে। মাঝে মধ্যেই দেখা গেছে রাস্তার দাবীতে মানববন্ধন করছেন অবহেলিত এলাকাবাসীরা। তারপরেও কিন্ত কেউই তা আমলে নিচ্ছেন না। সরকার এঅঞ্চলের দিকে সুনজর দিবেন এটি দাবী তাদের।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন এইসব এলাকার রাস্তা গুলো উন্নতি হলে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে তিনি মনে করছে। তিনি আরও বলেন আমি এসকল রাস্তার বিষয় অবগত আছি বরাদ্দ আসলেই ব্যবস্তা নেবে এমনটি আশ্বস্ত করেন।


আরও খবর



শিক্ষার পেছনে ব্যয় এটা বিনিয়োগ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখে সরকার বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের একটাই ইচ্ছা ছিল, দেশের মানুষের মাঝে শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। যেন তারা শিক্ষায় মনযোগ দেয়। দিনে দিনে আমাদের দেশে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বলতে চাই, যারা এখনও শিক্ষার বাইরে রয়েছে তাদেরকে শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।

রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এর পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে হবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে শিক্ষিত হতে যা যা দরকার এবং বিশ্বপরিমণ্ডলে ঠিকে থাকতে হলে যা দরকার; সেটা আমরা প্রবর্তন করতে চাই। শিক্ষাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনও সময় গেছে মাসের পর মাস ফলাফল পড়ে থেকেছে। শিক্ষার্থীরা সেটা পায়নি। কিন্তু এখন একটা নিয়মের মধ্যে আনা হয়েছে। শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখে সরকার বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের একটাই ইচ্ছা ছিল, দেশের মানুষের মাঝে শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। যেন তারা শিক্ষায় মনযোগ দেয়। দিনে দিনে আমাদের দেশে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বলতে চাই, যারা এখনও শিক্ষার বাইরে রয়েছে তাদেরকে শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কোনো উন্নতি সম্ভব নয়, সেজন্য শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে সরকার। শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখে। এরপর মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আবুল হাসান (২৫) নামে এক আরবী শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের আরবী শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে আরবী পড়তে যান একই গ্রামের ভুক্তভোগী ৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। ওইদিন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে দেরী করায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়ে সবাইকে আরবী পড়াতে শুরু করেন আবুল হোসেন। পড়া শেষে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল হক। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা এমন জঘন্য ন্যাক্কার অসামাজিক ঘটনা ঘটানোর আগে অন্তত হাজার বার ভাববে।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষক আবুল হাসান ন্যায় বিচার পাননি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৫০০ কোটি টাকা ছাড়াল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেড় হাজার কোটি টাকা টোল আদায় ছাড়িয়েছে পদ্মা সেতুতে। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের বৃহত্তম এ সেতু চালু হওয়ার পর থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

এ পর্যন্ত সেতুর উভয় প্রান্ত দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি। এরমধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ টি। অপরদিকে, জাজিরা প্রান্ত থেকে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি।

অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী জানান, সেতু দিয়ে আশানুরূপ টোল আদায় অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেতুটি। চালু হওয়ার পর প্রথম দিন ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন সেতু ব্যবহার করেছিল। সেদিন টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা।


আরও খবর



ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোট দিলেন মোদি-অমিত শাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ আজ মঙ্গলবার (৭ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার সকাল সকালই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। আহমেদাবাদের এক স্কুলে ভোট দেন তারা। খবর এনডিটিভির।

এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, নগরীর রানীপ এলাকার নিশান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন মোদি। এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছান তিনি। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন। পরে তারা দুইজন বুথের দিকে চলে যান।

এসময় প্রধানমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখার জন্য রাস্তার দুপাশে ভিড় জমান বহু মানুষ। তাকে দেখামাত্রই উল্লাস করে উঠেন। ‘মোদি মোদি’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে তিনি একজন সমর্থককে অটোগ্রাফও দেন।

ভোট দেয়ার পর মোদি বলেন, "আজ তৃতীয় দফার ভোট। আমাদের দেশে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই চেতনা থেকে দেশবাসীকে ভোট দিতে হবে। এখনো চারদফার ভোট বাকি"।

তিনি আরও বলেন, "আমি গুজরাটের ভোটার। এটাই একমাত্র জায়গা যেখানে আমি নিয়মিত ভোট দিই। অমিত ভাই এখান থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজপি) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন"।

আজকের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী। যাদের মধ্যে ১২০ জন নারী।

তৃতীয় দফার নির্বাচনে গুজরাটের ২৬টি, কর্নাটকের ১৪টি, মহারাষ্ট্রের ১১টি, উত্তর প্রদেশের ১০টি, মধ্যপ্রদেশের আটটি, ছত্তিশগড়ে সাতটি, বিহারের পাঁচটি, আসামের চারটি, পশ্চিমবঙ্গের চারটি, গোয়ার দুইটি, দাদরা অ্যান্ড নগর হাভেলি এবং দমম অ্যান্ড দিউরের দুইটি আসনে ভোটগ্রহণ হবে।

আজকের ভোটের হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




৬৯ হাজার রোহিঙ্গার পাসপোর্ট নবায়নে রাজি বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সত্তরের দশকে সৌদি আরবে যাওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সৌদি আরব জানিয়েছে, এই সংখ্যাটি ৬৯ হাজার।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশ থেকে কিছু রোহিঙ্গা সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। এর সংখ্যা কত আমাদের জানা নেই। তারা (সৌদি কর্তৃপক্ষ) আমাদের জানিয়েছেন, ৬৯ হাজার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট না থাকলে তাদের ফেরত পাঠায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে তাদের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি মোতাবেক, তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাবেন না। তবে তাদের (রোহিঙ্গা) পাসপোর্ট রিনিউ (নবায়ন) করে দিতে হবে— এমন শর্ত ছিল চুক্তিতে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এই বিষয়ে আমরা ধীরে এগোচ্ছি কেন? কিংবা আমাদের কোনো অসুবিধা আছে কি না সেটা দেখার জন্য তাঁরা এসেছিলেন। এ ছাড়া সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের উভয় দেশের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলাপ হয়েছে।

৬৯ হাজার রোহিঙ্গার দায়িত্ব কোন রাষ্ট্র নেবে বাংলাদেশ নাকি সৌদি আরব? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আবর কিন্তু ফেরত পাঠাবে না কাউকে। আবার সৌদি সরকার রোহিঙ্গাদের ওই দেশের নাগরিকত্ব দেবে না। তাহলে কীভাবে থাকবে? সে জন্য তাদের কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন। সে জন্য তারা আমাদের অনুরোধ করেছিলেন। আমরা গত বছর সেটি (চুক্তি) সই করেছিলাম। সেখানে আমাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে তারা এসেছিলেন।

সৌদিতে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা কি বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা তো বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়েই গিয়েছিলেন। সুতরাং আমরা শুধু তাদের পাসপোর্ট রিনিউ করে দেব। তাদের নাম-ঠিকানা পাসপোর্টে যেমন আছে তেমনি থাকবে।

বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, তারা নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা সব সময় আন্তরিকভাবে কাজ করছে। যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সৌদি আরব।


আরও খবর