Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড সার্টিফিকেট পেলো নিপা গ্রুপের ২ সহ প্রতিষ্ঠান

৪০০’র বেশি যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২০১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে তদন্ত চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় প্রশাসন। তদন্তে ইতোমধ্যে ৪০০’র বেশি যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া তাদের সেনা প্রত্যাহারের পর ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং এরপর থেকে তদন্তকারীরা খেরসন অঞ্চলে ৪০০টিরও বেশি যুদ্ধাপরাধ উন্মোচন করেছে।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, এই অঞ্চলে বেসামরিক ও সৈন্যদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।তার এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

তবে রুশ সৈন্যদের ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের হামলার টার্গেট করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে মস্কো।

এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ সেখানে কারফিউ জারি করেছে এবং খেরসনের ভেতরে ও বাইরে যাতায়াত সীমিত করেছে। রোববার রাতে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ান সেনাবাহিনী আমাদের দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো খেরসন অঞ্চলেও একই নৃশংসতা রেখে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনব। কোনো সন্দেহ নেই।

অবশ্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের বুচা, ইজিয়ুম এবং মরিপোলসহ বিভিন্ন এলাকায় গণকবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেন এই নৃশংসতার পেছনে রুশ সেনাদের দায়ী করেছে।

জাতিসংঘের একটি কমিশন গত মাসে জানায়, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং আক্রমণের শুরুতে ইউক্রেনে যে ‘ব্যাপক মাত্রার’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে তার জন্য রাশিয়ার বাহিনী দায়ী।

অবশ্য কিছু রাশিয়ান সৈন্য ছদ্মবেশে এখনো খেরসনে থেকে থাকতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। আর তাই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই অঞ্চলে রেখে যাওয়া রাশিয়ান সৈন্য এবং ভাড়াটে সৈন্যদের আটক অভিযান এবং নাশকতাকারীদের দমনের কাজ চলছে।’

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে খেরসনই ছিল একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যা রাশিয়ার দখলে ছিল। সেপ্টেম্বরে ক্রেমলিনে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার ইউক্রেনের সেনারা খেরসন শহর মুক্ত করে।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার রাশিয়ান সৈন্যদের পশ্চাদপসরণ করার পর খেরসন ফিরে পান ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। ইউক্রেনীয়রা এটিকে ক্রেমলিনের জন্য একটি বড় বিজয় হিসেবে দেখছে।শুক্রবার রুশ সেনারা খেরসন পরিত্যাগ করার পর শহরের বাসিন্দারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং শহরের কেন্দ্রে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের স্বাগত জানান।


আরও খবর



প্রশাসন ও প্রভাবশালির ছত্রছায়ায় রৌমারীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ভেকু চালক আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮১জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড়, যাদুরচর ও চর শৌলমারী উইনিয়নে দির্ঘদিন থেকে ব্রম্মপুত্র, হলহলিয়া ও সোনাভরি নদীতে প্রশাসনের যোগসাজসে ও প্রভাবশালির ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মহাউৎবে মেতে উঠেছে। এ অভিযোগের অপরাধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন্দবেড় ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজবের নেতৃত্বের এক অভিযানে ভেকু গাড়ি চালক ইউছুফ নামের একজনকে আটক করা হয়। অন্যদিকে দুটি ভেকু গাড়ির চাবি জব্দ করা হয়েছে। ২০ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫ টায় বন্দবেড় ইউনিয়নের রৌমারী টু চিলমারী কুড়িগ্রাম জেলা সদর যাতায়াতের নৌকা ঘাটের দক্ষিণ পাশে ও পশ্চিম খন্ধসঢ়;জনমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দীঘদিন থেকে ব্রম্মপুত্র, হলহিলয়া, সোনাভরি নদী ও জিঞ্জিরাম নদী থেকে প্রশাসন ও কিছু কু-চক্রী প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ড্রেজার ও ভেকু গাড়ি দ্বারা অবৈধভাবে উন্নয়নের নামে বালু উত্তোলন করে (ট্রাক্টর) কাকড়া গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি, পুকুর, ডোবা ভরাট ও ইট ভাটার নামে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। নষ্ট করা হচ্ছে বিভিন্ন উর্বর শক্তি জমির মাটিও। ক্ষতি করা হচ্ছে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের বাড়িঘর, গাছপাড়া ও জমিজেরাত। বন্যা আসলেই তীরবর্তী মানুষকে নদীপার থেকে দ্রুত সরে যেতে হয়। শুধু লাভবান হচ্ছে প্রশাসন ও কিছু কু-চক্রি মহল।তাদেরকে নিশেধ করার শাহসটুকু নাই তীরবর্তী মানুষের।

নদীতীরবর্তী এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার বিকাল ৫ টায় ব্রম্মপুত্র নদের ফলুয়ারচর নৌকা ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ছয়লাভের এমন চিত্র দেখা যায়। এমন অবস্থায় সাংবাদিকগণ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরিফকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানালে সাঙ্গে সঙ্গে

তিনি বন্দবেড় ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলীর নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনা স্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। তার কথা মতো সরেজমিনে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছয়লাবের চিত্র দেখতে পেলে কুটিরচর গ্রামের আমির খাঁনের ভেকু চালক ইউছুফ নামের একজনকে আটক এবং ভেকুর চাবি জব্দ করে। পরে পশ্চিম খঞ্জনমারা গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে সাজেদুলের ভেকু গাড়ির চাবিও জব্দ করা হয়।

এবিষয়ে বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার বলেন, গাড়ি চালককে আটক করেছে শুনেছি। দেখিনি। তবে ভেকু গাড়ির চাবি ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলীর কাছে রয়েছে।

ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলী বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ঘটনাটি সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ভেকু গাড়িরর মালিককে না পেয়ে, ভেকু চালককে আটক করে আনা হয়েছিল। প্র¯্রাবের কথা বলে পালিয়েছিল পরে খুজে এনে তাদের ঠিকানা লিখে নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জব্দ করা গাড়ির চাবি আমার কাছে রয়েছে। ইউএনও স্যার এলে তার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী চান দেশের সকল মানুষ শান্তি সম্প্রীতিতে এক ছাতার নিচে বাস করবে: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৩০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ জাতিকে একটি স্মার্ট দেশ উপহার দিতে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের সকল জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় শান্তি সম্প্রীতিতে এক ছাতার  নিচে বসবাস করবে।

(১৭ মে) বিকেল ৪টার দিকে  খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যবাহী বলিখেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, মানুষ যাতে খারাপ কাজে লিপ্ত না হয়, ছাত্র-ছাত্রীরা যেন স্কুলমুখী ও কলেজমুখী হয়, সেজন্য সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার পরিবেশ করে দিয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্পোর্টস, ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, দাবা, মার্শাল আর্ট, বলিখেলা নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিভিন্ন শারীরিক কসরৎ করে তাদের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখছে। আর এর সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আস্থার প্রতীক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিভাবান অস্বচ্ছল খেলোয়াড়দের কল্যাণের জন্য সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে রেখেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বলি খেলা চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এ খেলায় বিজয়ী হতে হলে একজন খেলোয়াড়ের শরীরের শক্তি ও কৌশলের প্রয়োজন হয়। জনপ্রিয় এ খেলা দেখতে মাঠে হাজার হাজার মানুষ ভীড় করে।

খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী বলিখেলায় অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হন তিনজন। বলি খেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৩৬ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে। বলি খেলা দেখতে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে হাজার মানুষের ঢল নামে। রবিন লীগ পদ্ধতিতে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ফাইনাল খেলায় কেউ কাউকে হারাতে না পারায় কুমিল্লার শাহজালাল বলি ও খাগড়াছড়ির সুমন বলি এবং সৃজন বলিকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

খেলা শেষে প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপসহ গ্রুপ পর্বের বিজয়ীদের মাঝে ট্রফি ও মেডেল বিতরণ করেন।

আরও খবর



কালিয়াকৈরে মন্ত্রীর ভাতিজার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা, হতাশায় সমর্থক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর স্বজন (ভাতিজা) ও চেয়ারম্যান প্রার্থী (কাপ পিরিচ) মুরাদ কবীর। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর যেন ক্ষুন্ন না হয় ও দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তার এমন ঘোষণা। তিনি শুক্রবার সকালে উপজেলার সফিপুর এলাকায় তার ব্যক্তিগত অফিসে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ ঘোষণা দেন। তবে প্রতীক বরাদ্ধের পর তার এমন ঘোষণায় হতাশায় পড়েছেন তার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। 

সংবাদ সম্মেলন ও কর্মী-সমর্থক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২১মে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দিয়েছে নির্বাচন অফিস। সে হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলের তিনজন। এরা হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ কবীর (কাপ পিরিচ)। তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ¦ এ্যাড. আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি’র স্বজন (ভাতিজা)। অপর দুই প্রার্থী হলেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার (আনারস) এবং গাজীপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও সেলিম আজাদ (মোটরসাইকেল)। আর প্রতীক বরাদ্ধের পর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পছন্দের প্রার্থীর পোস্টার ছড়িয়ে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় নিজের পছন্দের প্রার্থীদের প্রতীক সম্বলিত পোস্টার টাঙিয়ে দেয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর ভাতিজা চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ কবীর (কাপ পিরিচ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন। শুক্রবার সকালে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী (কাপ পিরিচ) উপজেলার সফিপুর এলাকায় তার ব্যক্তিগত অফিসে সংবাদ সম্মেলনের করে এ সিদ্ধান্ত জানান। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যে তার এমন ঘোষণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। আর প্রতীক বরাদ্ধের পর তার এমন সিদ্ধান্তে যেন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ল। তবে এখন তিনি কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিবেন এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনাও।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী (কাপ পিরিচ) মুরাদ কবীর বলেন, এ উপজেলা নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলাম। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে এ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো। কারণ আমি দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী পরিবারের সাথে জড়িত। ২০৮১ সালে ছাত্রলীগ করেছি। আজকে পর্যন্ত আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত ও সদস্য। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চুরান্তভাবে আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত এসেছে। সেটা হচ্ছে, কোনো এমপি বা মন্ত্রীর পরিবারের কেউ বা আতœীয় স্বজনরা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না। এ সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত, এ সিদ্ধান্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। আমি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য। যদিও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি নির্বাচন করতে পারি। কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো। 

এখন কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওই প্রার্থী বলেন, অন্য যে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন। তারা দুজনই আওয়ামীলীগ। সেখানে আলাদাভাবে সমর্থন দেওয়ার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। 


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়া ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ইন্দোনেশিয়ার ওয়েস্ট পাপুয়া অঞ্চলে।স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.২। 

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় অনুভূত ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২।

তবে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের আঘাতে জেরে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম পাপুয়ায় ফাকফাক এলাকার ১৫৩ কিলোমিটার (৯৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠের ১২.১ কিলোমিটার গভীরে।

এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে।

এর আগে গত মাসের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া। সমুদ্রের নিচে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে সেসময় অবশ্য বিশাল কোনও ঢেউ সৃষ্টি হয়নি এবং সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি।

খবর আনাদুলু এজেন্সি


আরও খবর



ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মুন্না নামের এক যুবকের পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর ইকরা দারুল কুরআন বালিকা মাদ্রাসার ছাত্রীদের  রতনপুর গ্রামের আল আমীন নামে এক যুবক প্রায়ই উত্বক্ত করতো। পরে ছাত্রীর অভিভাবকগণ ওই যুবকদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের ১ নং স্বাক্ষী ছিলেন আরিফ বিল্লাহ ও ২ নং স্বাক্ষী ছিলেন মুন্না হোসাইন।

ঘটনার দ্বিতীয় স্বাক্ষী মুন্না হোসাইনকে গত ১৭ই এপ্রিল রোজ বুধবার রতনপুর গ্রামের ইভিটিজিংকারী যুবক এবং অন্যান্যরা সম্মিলিতভাবে চাতলপাড় চকবাজারে দিনে  দুপুরে সবার সামনে প্রকাশ্যে  দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে আক্রমণ  করে পিটিয়ে  গুরুতর জখম করে।তাদের আঘাতে  স্ট্রোক করে মুন্না। পরে কিশোরগঞ্জের  ভাগলপুর হাসপাতালের ডাক্তারগণ প্রাথমিক চিকিৎসা করে ঢাকা হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে রেফার করে।

পরবর্তীতে রোগীকে ঢাকায় নিয়ে আসলে হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে মারা যায় মুন্না হোসাইন। মুন্নার উপর অতর্কিত হামলায় অংশগ্রহণ করে ইভটিজার  আল আমীন ও মাসুম গংরা । ইভিটিজিংকারী ও হত্যাকারী আল আমীন পিতা শমশের আলীর  বাড়ি  রতনপুর গ্রামে। মাসুম এবং জড়িত অন্যান্যদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও বিচার দাবী করেছে এলাকাবাসী।এ ঘটনায় কোন মামলা না হলেও নিহত মুন্নার লাশ থানা নিয়ে আসার খবর পাওয়া গেছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর