Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

৩ পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার ১০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় নাশকতা, সহিংসতা ও তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রাজধানীর গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, আড়াইহাজারে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশকতা, সহিংসতা ও তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র‌্যাব জানায়।


আরও খবর



তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ স্মার্ট বিতরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ধ্যানধারণার এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে লালন করা একজন কর্মবীর মানুষ।তার দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে তিনি তিতাস গ্যাসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে বেশ দক্ষতার  পরিচয় দিয়েছেন।তার সময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেকর্ড গড়েছে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বিতরণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।এজন্য তিতাস গ্যাস কে ডিজিটাইজেশন করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইতোমধ্যেই। তার আড়াই বছরের দায়িত্ব পালনকালীন সময়টি তিতাস গ্যাসের সাফল্যের এক স্বর্ণালী অধ্যায়। তার তত্ত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে পেট্রোবাংলার অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিতাস গ্যাস প্রথম স্থান অর্জন করে।


সংশ্লিষ্টরা জানান, হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিতাসের সিস্টেম লসও কমে এসেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সিস্টেম লসের পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সর্বশেষ ২০২৩ অর্থবছরের আগস্ট পর্যন্ত সিস্টেম লসের পরিমাণ কমে এসে দাড়ায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশে।যা ধীরে ধীরে আরো কমে আসবে এবং সিষ্টেম লস শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


সম্প্রতি বকেয়া আদায়ে ধারাবাহিক অভিযানে তিতাস গ্যাস মেট্রো ঢাকা রাজস্ব বিভাগ-৫, ধানমন্ডী অফিসের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রম চলার কারণে অফিসে সেবা গ্রহিতাদের প্রচন্ড ভিড় লক্ষনীয় যার প্রভাব অন্যন্য আঞ্চলিক অফিস গুলোতেও পড়েছে।


তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার ও বকেয়ার কারণে আবাসিক ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪৮৬টি বার্নার, ৫১৫টি শিল্প, ৫২৯টি বাণিজ্য, ১৭৯টি ক্যাপটিভ ও ৫৪টি সিএনজি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ৭৪৪ দশমিক ৪১ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ৪৭০ কোটি ৯০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৯১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।শাস্তিমুলক ব্যাবস্থার অংশ হিসেবে  গ্যাস খেকোদের ঘনিষ্ঠ তিতাস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধ বরখাস্ত, সাময়িক বরখাস্ত,বদলির মাধ্যমে তার সক্ষমতার জানান দিয়েছেন।যেকোন মুল্যে অবৈধ গ্যাস সংযোগ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে তার চেষ্টার কোন কমতি নেই।অবৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রহনে মামলা এবং জরিমানা আরোপ করে নজির স্থাপন করেছেন হারুনুর রশীদ মোল্লাহ।অবৈধ পাইপলাইন অপসারণেও স্থাপিত হয়েছে নজির।



তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, যতক্ষণ অবৈধ সংযোগ আছে ততক্ষণ অভিযান চলবে। কোনো ছাড় নেই। এ ধরনের কাজের সঙ্গে যদি কোনো কর্মকর্তাও জড়িত থাকেন, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, তিতাসের এলাকায় এখন সঞ্চালন লাইন অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। সেগুলোর স্থানে নতুন লাইন বসানো হবে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ, জয়দেবপুরসহ যেসব এলাকায় শিল্পকারখানা রয়েছে, সেখানে নতুন পাইপলাইন বসানো হবে। যাতে শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ থাকে। পাশাপাশি পাইপলাইনে সার্বিক বিষয় দেখভাল করতে স্ক্যাডা সিস্টেম বসানো হবে।


তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আড়াই  বছরে অনিয়ম, অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ৯ জনকে বরখাস্তসহ মোট ৭৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ২৮৩ জনকে নানা অভিযোগে বদলি করা হয়েছে।তিতাস গ্যাসের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, এমডির কঠোর অ্যাকশনে অনিয়ম ও দুর্নীতি একেবারেই নেই অবৈধ গ্যাস সংযোগের সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে


আরও খবর



প্রশাসন ম্যানেজ খাস পুকুর সংস্কার মাটি বানিজ্য ব্রীজের মুখ বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:জেলা উপজেলা পর্যারের প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ব্যক্তি মালিকানা পুকুর সংস্কারের সাথে সরকারি খাস পুকুরও সংস্কার করে মাটি বানিজ্য ও ব্রীজের মুখ বন্ধ করে দেয়ার কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রাম বাসী বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউপির মল্লিকপুর গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। পুকুর সংস্কারের মাটি বিক্রি করার কারনে পাকা রাস্তা মাটির রাস্তায় পরিনত হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। পুকুরটি সংস্কার করছেন মল্লিক পুর গ্রামের হাজী ওমর আলী। তিনি প্রতারণা করে পুরাতন পুকুর সংস্কারের আবেদন করে সরকারি খাস পুকুরও সংস্কার করছেন। হাজির এমন প্রতারণার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু হাজি প্রভাব শালী হওয়ার কারনে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌরসভার শেষ সীমানা বুরুজ ঘাট থেকে মোহনপুর যাওয়ার পাকা রাস্তার মাঝে বাগবাজারের পূর্ব দিকে রাস্তার দক্ষিণে বিশাল আয়তনের দিঘি রয়েছে। দিঘির মাঝে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। দিঘির মাঝে সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। দিঘির মাটি হেরো ট্র্যাক্টরে করে মাটি বহন করার কারনে পাকা রাস্তায় মাটির স্তুপ পড়ে রয়েছে পুরো রাস্তা জুড়ে।রাস্তার উপরে রয়েছে ব্রীজ। ব্রীজ দিয়ে কয়েক গ্রামের পানি বের হয়। সেই ব্রীজের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। সামান্য পরিমান বৃষ্টি হলে কয়েক গ্রামে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।

সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি ছিলেন তারা জানান, হাজি প্রতারণা করে পুকুর পুন সংস্কার করার আবেদন করেন। কিন্তু পুকুরের ভিতরে সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। সেটা গোপন করেন হাজি ওমর। শুধু তাই না পুকুরের কাদা মাটি হেরো ট্যাক্টরে করে পাকা রাস্তা দিয়ে বহন করার কারনে ব্যাপক ভাবে মাটি পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টি হয়, একারনে রাস্তা দিয়ে কোন ধরনের যান চলাচল করতে পারেনি। এমনকি মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা পর্যন্ত হয়েছে। তারপরও দেদারসে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, নিজের পুরাতন পুকুর সংস্কার করতে অনুমোদন নিতে হয়, মাটি বাহিরে দেয়া যাবেনা মর্মে অনুমতি দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু কিসের বিনিময়ে খাস পুকুর সংস্কার করতে দিয়েছে প্রশাসন বুঝতে হবে। টাকা থাকলে সবই হয়। 

পুকুর পাড়ে ছিলেন হাজি ওমর আলীর ছেলে সুজন তিনি জানান, পুরাতন পুকুর সংস্কার করা হয়েছে। আপনাদের পুকুরে খাস পুকুর রয়েছে সেটা কিভাবে সংস্কার করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, খাস পুকুর সংস্কার করা হয়নি। তবে আমাদের পুকুরের মধ্যে খাস পুকুর রয়েছে সংস্কার তো করতেই হবে। মাটি বিক্রির অনুমতি নেই কিভাবে বিক্রি করলেন জানতে চাইলে তিনি জানান তাহলে কৃষি জমিতে কিভাবে পুকুর হয়, এদেশে টাকা থাকলে সবই হয় বলে দাম্ভিকতা দেখান তিনি।সেখান থেকেই মোহনপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মিথিলা দাসকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, পুরাতন পুকুর সংস্কারের অনুমতি দেয়া আছে। কিন্তু কোনভাবেই মাটি বের করা যাবেনা। মাটিও বের করেছে এবং ব্রীজের মুখ বন্ধ করেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব করার কোন সুযোগ নেই। রবিবার অফিসে গিয়ে অনুমতির কাগজ দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুকুরের ভিতরে খাস পুকুরও রয়েছে সেটা সংস্কার করতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, খাস পুকুর সংস্কার করা যাবে না, এসব বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার ১ কাপ চায়ের দাম ৫শত টাকা- লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়-কাশিপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) রেজাউল করিমের ২২ সেপ্টেম্বরের পর আবারও উৎকোচ গ্রহনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। 

জানা গেছে, গত রবিবার ঐ ভুমি অফিসে এক ব্যাক্তি ১০টাকা খাজনা দিতে যায়। এতে ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা নেন সংশ্লিষ্ঠ্য ভূমি কর্মকর্তা। টাকা লেনদেনের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অথচ ভূমি অফিসের দেওয়ালে লেখা রয়েছে আমি এবং আমার অফিস দুর্নীতি মুক্ত। যেখানে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন, টাকা না হলে খারিজ হবে না,বাধ্য হয়ে আমি সোমবার খারিজ বাবদ ৮হাজার টাকা দিয়েছি সংশ্লিষ্ঠ্য তহসিলদারকে। 

এছাড়াও ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঐ কর্মকর্তার নামে টাকা লেনদেনের আরএকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। রবিবার (২১ এপ্রিল) ১০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ শত টাকা নিয়ে খাজনা রশিদ দিয়েছে সহকারী ভুমি কর্মকর্তা রেজাউল করিম। অথচ দেশের সকল ইউনিয়ন ভুমি অফিস কে ক্যাশলেস অফিস ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমি অফিস সূত্রে জানাগেছে, ঐ ভ‚মি কর্মকর্তা ভদেশ্বরী মৌজার ১৩৪ নম্বর হোল্ডিং এর ৫২৫/১ খতিয়ান ভুক্ত ২০.০০ (বিশ) একর পরিত্যক্ত সম্পত্তির ভুমি উন্নয়ন কর আদায় করে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। বিষয়টি তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা ১৪-০৮-২২ সালে ৪৯৫ নম্বর স্বারকে ভুমি কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশের জবাব এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

স্থানীয় সুত্রে আরো জানাযায়,তাঁর কর্মকালীন সময়ে তিনি কমপক্ষে ১০০.০০ (একশত) একর এর অধিক সরকারি সম্পত্তিকে ব্যক্তিমালিকানা সম্পত্তি দেখিয়ে সেগুলির নামজারির প্রস্তাব প্রদান, ভুমি উন্নয়ন কর গ্রহন, অথবা হোল্ডিং অনুমোদন এর মাধ্যমে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। অনুমোদিত খারিজ কেসসমুহ এবং তাঁর মাধ্যমে ইস্যুকৃত খাজনার দাখিলা ও অনুমোদিত হোল্ডিংগুলি যাচাই করলে এর সঠিক পরিমান জানা যাবে।

এলাকার কিছু ভুমি জালিয়াত চক্র উক্ত খাজনা-খারিজের কাগজ দেখিয়ে চলমান আর এস জরিপে সে সকল সরকারি সম্পত্তি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নিচ্ছেন। তিনি ২৭-০৩-২০১৯ সাল হতে দীর্ঘ ৫বছর একই অফিসে কর্মরত থাকার দাপটে তিনি কাউকে কোন কিছুই তোয়াক্কা করছেন না। ধর্মগড় ইউনিয়নের বেংপোখর গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জল বলেন,আমি একটা খারিজ বাবদ অনেক দিন ধরে ঘুরতেছি, আজ নয় কাল এই ভাবে দিন ক্ষেপন করতেছে। এইটা কাগজ লাগবে ঐটা লাগবে,বলে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে শেষে মোটা অংকের টাকা চেয়েছে আমার কাছে টাকা না দিলে খারিজ হবে না মর্মে জানিয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম গত সোমবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, ১০ টাকা খাজনা বড় বিষয় নয় তিনি আমাকে ৫শ টাকা চা খেতে দিয়েছেন। ক্যাশল্যান্ড অফিসে টাকা লেনদেন বিষয়ে তিনি বলেন, জমি মালিকদের বিকাশ নাম্বার থাকেনা তাই তারা আমাকে টাকা দেয় আমি ক্যাশ প্রেমেন্ট করে থাকি। ২২ সালে টাকা লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,তখন অফিসে হাতে হাতে টাকা লেনদেন হতো তাই সে ভিডিওটি কেবা কাহারা করেছে। ভদেশ্বরী মৌজার ১৩৪ নম্বর হোল্ডিং এর ৫২৫/১ খতিয়ান ভুক্ত ২০.০০ (বিশ) একর পরিত্যক্ত সম্পত্তির ভ‚মি উন্নয়ন কর আদায় করে সরকারি স্বার্থের ক্ষতি সাধন করেছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগেও তহসিলদারা নিয়েছে আমিও নিয়েছিলাম এবং এসিল্যান্ড স্যার আমাকে শাস্তি সোরুপ শোকজ নোটিশ প্রদান করেছিলেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সহকারি কমিশনার ভূমি রাকিবুল হাসান বলেন, ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। সংশ্লিষ্ঠ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট: ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়াবাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর ও মধ্যনগর সীমান্তে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী,কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামালসহ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায় না।

খোঁজ জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মাজু মিয়া (৩০) ও রিপন চৌধুরী (৩৬) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। কিন্তু পাশের তাহিরপুর উপজেলার বাগলী,সুন্দরবন, লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি ও কলাগাঁও এলাকায় চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া ও তার সহযোগী রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামালগং চারাগাঁও সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন কয়লা, চিনি, সুপারী, চুনাপাথর, গরু ও ছাগলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে প্রতিদিন লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করলেও এব্যাপারে নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম, টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল মিয়া, চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন, নয়াছড়া, কড়ইগড়া, বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল, হারুন, জামাল, জম্মত আলী, সাহিবুর মেম্মার, লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই। অন্যদিকে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর, চিনাকান্দি, ডলুরা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ওপেন পাচাঁর করা হচ্ছে পেয়াজ, চিনি ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। থেকে নেই দোয়াবাজার ও ছাতক উপজেলা সীমান্ত চোরাচালান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- লাউড়গড় ও চানপুর সীমান্তের বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদী দিয়ে গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পেয়াজ, চিনি, কয়লা ও পাথরসহ মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে স্কুল ছাত্র শাকিবুল ইসলামের মৃত্যু হয়। পড়ে এঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ওই স্কুল ছাত্রের লাশ বালির নিচে চাপা দেয় চোরাকারবারীরা। অনেক খোঁজাখুজির পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় যাদুকাটার বালুর ভিতর থেকে শাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত সীমান্তের অংশে চুনাপাথর ভাংগে। এরপর রাত হলে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা মোটর সাইকেল ও আটোরিক্সা বোঝাই করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর সোর্স আক্কল আলী পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে। তার কথা মতো চাঁদা না দেওয়া টেকেরঘাট ক্যাম্পের এএসআই এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে চোরাকারবারী রমিজ মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে সোর্স আক্কাল আলী। এঘটনায় ওই চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও সম্প্রতি কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চাঁনপুর সীমান্তে ২জন, টেকেরঘাট সীমান্তে ৫জন, বালিয়াঘাট সীমান্তে ১৩জন, চারাগাঁও সীমান্তে ২জনসহ লাউড়গড় সীমান্তে এপর্যন্ত শতাধিক শ্রমিক ও চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।

এব্যাপারে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কফিল উদ্দিন বলেন- বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা লাখলাখ টাকা চাঁদা নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন চোরাচালান করছে। আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়না। তাই চোরাচালানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে চোরাকারবারীরা প্রাণনাসের হুমকি দেয়ে।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। এব্যাপারে আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। সীমান্তে এলাকায় থানা পুলিশের কোন সোর্স নাই। মধ্যনগর থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ আমরা ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান কত?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দিন দিন মেগাসিটি ঢাকায়ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বায়ুদূষণ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। অবশ্য কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যেও ঢাকার বাতাসের মান কিছুটা উন্নতির দিকে রয়েছে। তবে বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছেই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

আগের দিন সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে ১৩০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে ছিল শহরটি। তার আগের দিন রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ৯২ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ২০ নম্বরে ছিল ঢাকা।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৮৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৬৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতারের দোহা শহর, ১৬৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই, ১৬৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৬১।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


আরও খবর