Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

২৫ মার্চ রাশিফল

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩২১জন দেখেছেন

Image

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)

ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি বিশেষ শুভ। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। পাওনা আদায়ে কুশলী হোন। লেখালেখি কিংবা সাহিত্যকর্মের জন্য সম্মাননা পেতে পারেন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)

শিক্ষার্থীদের কারও কারও জন্য দিনটি সাফল্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। পরিবারের বয়স্ক কারও রোগমুক্তি ঘটবে। প্রেমে ইতিবাচক সাড়া পেতে পারেন। দূরের যাত্রায় সহযাত্রীর ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।

মিথুন (২২ মে-২১ জুন)

বেকারদের কারও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে। যাবতীয় কেনাকাটায় সতর্ক থাকুন। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে আপনার বিয়ে পাকাপাকি হতে পারে।

কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)

বিদেশ যাত্রায় যাবতীয় জটিলতা দূর হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকুন। পাওনা আদায় হবে। কেনাকাটায় লাভবান হবেন। ফেসবুকে কারও সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কের সূচনা হতে পারে। স্বাস্থ্য ভালো যাবে।

সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)

শিল্পকলা কিংবা সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য প্রশংসিত হতে পারেন। মামলা-মোকদ্দমায় জড়ানো উচিত হবে না। কর্মস্থলে আপনার ওপর বসের সুনজর পড়তে পারে। কেনাকাটায় বাড়তি ক্রয়ের চিন্তা পরিহার করুন।

কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)

চাকরিতে কারও কারও আটকে থাকা পদোন্নতির বিষয়ে নিষ্পত্তি হতে পারে। ব্যবসায়ে নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। যাবতীয় কেনাকাটায় লাভের মুখ দেখবেন।

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)

বিদেশ যাত্রায় হাতছাড়া হয়ে যাওয়া সুযোগ ফিরে আসতে পারে। পাওনা আদায়ে কুশলী হোন। কোনো আইনি সমস্যার সমাধান হবে। রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন। দূরে কোথাও গেলে বিশ্বস্ত কাউকে সঙ্গে নিন।

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)

ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকুন। জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হবে। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগার সম্ভাবনা আছে। কেনাকাটায় বাড়তি কিছু কিনবেন না।

ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)

বেকারদের কেউ কেউ প্রত্যাশার চেয়ে ভালো চাকরি পেতে পারেন। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। ই-মেইলে পাওয়া একাধিক প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। আজ হঠাৎ করেই হাতে টাকা-পয়সা চলে আসতে পারে। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন।

মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)

বেকারদের কেউ ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশযাত্রায় সফল হতে পারেন। দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনদের কাছে পাওয়া কোনো সুখবর দিয়ে। আজ কারও প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণের জন্য দিনটি শুভ। যাবতীয় কেনাকাটায় সাবধান থাকুন।

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)

যে কোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি বিশেষ শুভ। প্রেমের ব্যাপারে কেউ আপনার মনের দরজায় কড়া নাড়তে পারে। পারিবারিক দ্বন্দের অবসান হবে। দূরের যাত্রায় বিশ্বস্ত কাউকে সঙ্গে নিন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)

বেকারদের কেউ বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হতে পারেন। ফেসবুকে কারও সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কের সূচনা হবে। আপনার মধ্যস্থতায় ইতিবাচক কিছু ঘটার সম্ভাবনা আছে। হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান জিনিস খুঁজে পেতে পারেন। যাবতীয় কেনাকাটায় সতর্ক থাকুন।


আরও খবর



চিনির সংকট হবে না,মজুত আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:যে পরিমাণ চিনি মজুত আছে, আশা করছি বাজারে চিনির কোনো সংকট হবে না,জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।তিনি বলেন, কিছুদিন আগে একটি চিনির গুদামে আগুন লেগেছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। বিভিন্ন মিলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর কলোনি বাজার পলিটেকনিক মাঠে টিসিবি আয়োজিত টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হাসানস।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি লোককে প্রতি মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হচ্ছে। টিসিবির সেবাগ্রহণকারী গ্রাহকদের তথ্য আবার যাচাই বাছাই করে ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, টিসিবির পণ্য কিনতে গ্রাহকদের অনেক সময় পরিশ্রম হয়। এই ভোগান্তি কমাতে টিসিবির ডিলারশিপের দোকানগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে এই ১ কোটি গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে কিন্তু বাজারের চাপটা অনেক কমে যাবে। ফলে সাধারণ ভোক্তারাও সহজে কেনাকাটা করতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তারপরও আমরা সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য বিতরণ করে যাচ্ছি। ১৬৩ টাকার তেল দিচ্ছি ১০০ টাকায়, ১৪০ টাকার চিনি দিচ্ছি ৭০ টাকায়।


আরও খবর



২৫ মার্চ ভয়াল, গণহত্যা দিবস আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:২৫ মার্চ ভয়াল, গণহত্যা দিবস আজ।বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ‘১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি।’ পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তার কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার করা হল আরো ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয় , ‘১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রাত ১১ থেকে ১১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দেবেন। এদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে। বাসস


আরও খবর



ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:তরুণদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন সিরিজ ‘নোট ৪০’ নিয়ে এসেছে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এই সিরিজে থাকছে দুটি মডেল- ইনফিনিক্স নোট ৪০ এবং ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো। অত্যাধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি, চমৎকার পারফরম্যান্স এবং সফটওয়্যার আপডেটের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাজারে এসেছে শক্তিশালী এই ফোনগুলো।

ইনফিনিক্সের নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছে ম্যাগনেটিক চার্জিং। ম্যাগচার্জ নামক এই ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তিটি বাজারে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০ এর আওতায় এই প্রযুক্তি এনেছে ইনফিনিক্স। এর সাহায্যে যেকোনো পরিস্থিতিতে ও যেকোনো আবহাওয়ায় সহজেই ফোনে চার্জ দেওয়া সম্ভব হবে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং এর যাত্রা শুরু করার মাধ্যমে সুবিধাজনক চার্জিং প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ইনফিনিক্স।

নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ এবং রিভার্স চার্জের সুবিধা। ঘরে ও বাইরে যেকোনো সময় স্মার্টফোন চার্জ করতে পারবে সুবিধাজনক, বহনযোগ্য ও শক্তিশালী এই ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি। নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজের সাথে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাবেন ম্যাগকেস নামক ম্যাগনেটিক ব্যাক কাভার। এছাড়াও নোট ৪০ এর সাথে উপহার হিসেবে থাকবে ম্যাগপ্যাড নামক ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড এবং নোট ৪০ প্রো এর সাথে থাকবে ম্যাগপাওয়ার নামক ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক।

ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজে আরও যুক্ত করা হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব তৈরি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ- চিতা এক্স১। ব্যাটারির ব্যবস্থাপনায় অসাধারণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এই চিপ। প্রচলিত চিপের চেয়ে চিতা এক্স১ এর সক্ষমতা ২০৪% বেশি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর। ফলে এই ফোনগুলো গেমার ও হেভি ইউজারদের দেবে চমৎকার পারফরম্যান্স ও কার্যকারিতা। সারাদিন ধরে ব্যবহারের সুবিধার জন্য নোট ৪০ এবং নোট ৪০ প্রো উভয় ফোনেই আছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জ ব্যাটারি।

৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্ট চার্জিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোন চার্জে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে নোট ৪০ প্রো। তিনটি ভিন্ন চার্জিং মোডে মাত্র ১৬ মিনিটেই শূন্য থেকে ৫০% পর্যন্ত চার্জ হবে এই ফোন। অন্যাদিকে, নোট ৪০-এর ৪৫ ওয়াট অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জ সব পরিস্থিতিতেই ফোনের ব্যবহারকে সহজ করে তুলবে।

ফোনের ডিসপ্লের ক্ষেত্রে এই সিরিজে নতুন কৌশল এনেছে ইনফিনিক্স। প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল দিতে নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের রেসপন্সিভ টাচ স্ক্রিনে নিরাপত্তা জোরদারে দেওয়া হয়েছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। আর ফোনের ডিজাইনে আভিজাত্যের ছোঁয়া দিতে নোট ৪০ প্রো-তে আছে বেজেল-বিহীন থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে।

ফটোগ্রাফিপ্রেমীদের জন্য এই সিরিজের ফোনে প্রধান ক্যামেরা হিসেবে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। আধুনিক ইন-সেন্সর জুম প্রযুক্তির সাহায্যে নোট ৪০ সিরিজের ফোনে উন্নতমানের ইমেজ পাওয়া যাবে। ফোনটিতে ৩ গুণ জুমেও পরিষ্কার ছবি তোলা সম্ভব হবে।    

এবারের নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে ২ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ। এছাড়াও ফোনের পেছনের অংশ থেকে বিশেষ ধরনের লাইটিংয়ের জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হেলো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি। চমৎকার অডিওর জন্য নোট ৪০ সিরিজের ডুয়েল স্পিকারে আছে জেবিএল-এর প্রযুক্তির সমন্বয়।

৮ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ প্রো-এর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা। ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড এই দুটি স্টাইলিশ রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। অন্যদিকে, ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ মডেলটির বাজারমূল্য ২৬,৯৯৯ টাকা। এই ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক এই দুটি রঙে।

১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ইনফিনিক্সের অফিশিয়াল রিটেইলার এবং অনলাইনে পাওয়া যাবে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।


আরও খবর



স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

মঙ্গলবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, “যে উদ্দেশ্য ও আদর্শ নিয়ে এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, তা রক্ষা হয়নি।”

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরি এ্যানি,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক,  ঢাকা জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



নওগাঁয় স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, এক ধর্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা প্রতিনিধি:নওগাঁর মান্দায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী (৩২)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মান্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার একটি কলাবাগানে এ ঘটনা ঘটে।এদিকে ভিকটিমের দেওয়া তথ্যমতে আজ শনিবার(২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় দ্রুত এক অভিযান চালিয়ে হারুন অর রশিদ (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।অভিযুক্ত হারুন অর রশিদ সাহাপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, ‘আমি নওগাঁ শহরের একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করি। কাজের সুবাদে স্বামীকে নিয়ে শহরের দয়ালের মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতাম। পারিবারিক বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় কয়েক মাস আগে স্বামীর সাথে তার ছড়াছাড়ি হয়েছে।’ভুক্তভোগী ওই নারী আরও বলেন, মোবাইলফোনের সূত্র ধরে লুদু নামে মান্দা ফেরিঘাট এলাকার এক ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় ঘটে। তিনি বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার পর আমাকে ফেরিঘাট এলাকায় নিয়ে আসেন। রাত ৮টার দিকে চার্জারভ্যানে আশপাশে ঘুরে একটি কলাবাগানে নিয়ে যান। এরপর হত্যার ভয় দেখিয়ে একে একে আটজন আমাকে ধর্ষণ করেন।’   তিনি আরও বলেন, ‘সুযোগ পেয়ে চিৎকার দিলে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে ওইসব লোকজন আমাকে উদ্ধার করে পুলিশের জিম্মায় দেয়।’মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় হারুন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর