Logo
আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

২০২৬ বিশ্বকাপের লোগো উন্মোচন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের অফিসিয়াল লোগো ও ব্র্যান্ডিং উন্মোচন করল ফিফা। যেখানে আগামী আসরের আয়োজক দেশ যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। খবর গোল ডট কমের।

১৯৯৪ সালের পর প্রথমবার উত্তর ও মধ্য আমেরিকায় ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ফিরছে। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে আসরটি আয়োজন করেছিল।

আসছে বিশ্বকাপকে ঘিরে নতুন একটি স্লোগানও তৈরি হয়েছে। যা হলো, ‘আমরা ২৬’। এবারের লোগোতে ওপর-নিচ করে সাদা রঙের ‘২’ ও ‘৬’ বসানো হয়েছে। আর সামনে থাকছে বিশ্বকাপের ট্রফির ছবি। এবারই বিশ্বকাপের কোনো লোগোতে প্রথমবার বিশ্বকাপের ট্রফি ব্যবহার করা হয়েছে।

তবে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, লোগোতে এমন কোনো রং ব্যবহার করা যাবে না যা তিনটি দেশের কাউকে প্রতিনিধিত্ব করে।

লোগোটি উন্মোচন করেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও ব্রাজিল কিংবদন্তি রোনালদো। পরে ইনফান্তিনো বলেন, ‘আমরা ২৬ একটি আওয়াজ। এটি এমন একটি মুহূর্ত যখন তিনটি দেশ এবং একটি সমগ্র মহাদেশ সম্মিলিতভাবে বলে, ‘'আমরা বিশ্বকে স্বাগত জানাতে এবং সর্বকালের সর্ববৃহৎ, সেরা এবং সর্বাধিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ফিফা বিশ্বকাপ উপহার দেওয়ার জন্য একত্রিত৷'’ টুর্নামেন্ট প্রতিটি আয়োজক দেশ এবং অংশগ্রহণকারী দলকে নিজেদের ইতিহাস তুলে ধরবে।’

৩টি দেশের মোট ১৬টি শহরে বিশ্বকাপ গড়াবে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ১১, মেক্সিকোর ৩ ও কানাডার ২টি শহর। তবে টুর্নামেন্টে তিনটি দেশের আলাদা লোগোও দেখা যাবে। যা উন্মোচন হবে বৃহস্পতিবার।

এদিকে ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। তবে ফিফা বস ইনফান্তিনো যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসকে ইঙ্গিত করেছেন।

আগামী আসরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলবে আর্জেন্টিনা। গতবছর কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা জিতেছিলেন লিওনেল মেসিরা। ২০২৬ সালের ১১ জুন থেকে ১৯ জুলাই আসরটি মাঠে গড়াবে।


আরও খবর



নৌকায় ভোট চেয়ে জান্নাত আরা হেনরীর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের উন্নয়নের লিপলেট বিতরণ করেছেন সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য নৌকার মাঝি তৃণমূল জনসাধারণের ভালোবাসা ও বিশ্বাসের প্রতীক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা হেনরী।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর চৌরাস্তা থেকে এস. এস. রোর্ডে তৃণমূল জনসাধারণের কাছে গত ১৫ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের লিফলেট বিতরণ করা হয়।

গণসংযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে, নৌকার পক্ষে ভোট ও দোয়া কামনা করেন ড. জান্নাত আর হেনরী 

 ড. জান্নাত আরা হেনরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিগত প্রায় ১৫ বছরের উন্নয়নের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। আর এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য মিজানুর রহমান দুদু, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন, ও সাধারণ সম্পাদক সুমন রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সাম্পাদক আফরিন মায়া, পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক করিম মুন্সি ও ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান, প্রমুখ।

আরও খবর



জেলার শ্রেষ্ঠ মোরেলগঞ্জের ইউএনও তারেক সুলতান

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান জেলায় শ্রেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুদ্ধ বাংলা ভাষার চর্চা, ইংরেজি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা অর্জন ও গুনগত শিক্ষা নিশ্চিত করণের বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন করায় ২০২৩ সালের যাচাই- বাছাইয়ে ৯টি উপজেলার মধ্যে তিনি জেলায় শ্রেষ্ঠ হন। তারেক সুলতান চলতি বছরের ১ জানুয়ারি নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মোরেলগঞ্জে যোগদান করেন। সে থেকেই তিনি উপজেলার ৩০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ নজরদারি শুরু করেন। শিক্ষার্থীদেরকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষাতা অর্জনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ লানিং সেন্টারের কার্যক্রম শুরু করেছেন। যার অংশ হিসেবে এ উপজেলায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে ২টি ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ লানিং সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।

নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের সিমানায় থাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, জমি উদ্ধার ও রেকর্ডভুক্ত করণ, অভিভাবক সমাবেশ, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও স্কাউটিং সম্প্রসারণ তদারকি করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গুনাগত পরিবর্তন হয়েছে। তিনি এ উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস ও প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কাজে দক্ষ একজন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফেলোশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ উনিভাার্সিটি হতে মাস্টার অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট প্যাকটিস বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তার এ উচ্চ শিক্ষা চলাকালিন জাতীসংঘের সদর দপ্তরে যক্ষা নিরোধ বিষয়ে জাতীসংঘের হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরামে অংশ গ্রহন, নিউয়ার্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ার্ল্ডস লিড়ার ফোরাম ২০১৯ রকফেলার ফাউন্ডেশনে কর্মশালা, সোশ্যাল গুড, সামিট সহ পরিবেশ বিপর্যয় প্রতিরোধে একাধিক একাডেমিক কাজে অংশ গ্রহন করেছেন এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মধ্য দিয়ে এ সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায় তথা আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়ানোরও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে উদ্ভূত এই (রোহিঙ্গা) সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে হবে, সব বিকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সদরদপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক ইভেন্ট আয়োজন করে। ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শেখ হাসিনা তার প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন বিষয়টি সমাধান করে এবং এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবনধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এই বিষয়টিকে তাদের এজেন্ডার শীর্ষে রাখে।

তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা এবং ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য চলমান এবং প্রচলিত আইনি এবং বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মর্মান্তিক বিতাড়নের ঘটনা দেখে আসা বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের স্থায়ী দুর্ভোগের কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে আমরা সমবেত হয়েছি। রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপর থেকে আমরা আমাদের মাটিতে তাদের আশ্রয় এবং তাদের মৌলিক ও মানবিক সেবা দিয়ে আসছি।

তিনি বলেন, আমি আমাদের সব অংশীজন এবং বন্ধুদের তাদের সংহতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ইস্যুটি এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ তিনি বলেন, গত ছয় বছরে একজন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি। বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘ উপস্থিতি কেবল তাদের আরও হতাশার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে না, এটি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অনিশ্চিত করে তুলছে। আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট।

তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে সে বিষয়ে আমরা অবগত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না। কেননা ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়ন ও বিতারণের শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটিই সবকিছু নয়।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা মিয়ানমারে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিশ্চিত জীবনযাপন করতে পারবে। এর জন্য আমাদের সমস্যাটির মূলে গিয়ে সমাধান করতে হবে, যা মিয়ানমারেই রয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দরকার। যেন বাড়িঘর থেকে তাদের পালাতে না হয়। এখানে উপস্থিত অনেক দেশ আছে, যারা কয়েক দশক ধরে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। আমার বিশ্বাস মালয়েশিয়া এবং সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে একমত হবে।

এক মিলিয়নেরও বেশি বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আশ্রয় দেওয়া কখনও বাংলাদেশের জন্য একটি বিকল্প ছিল না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ, যেখানে জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি। এটি এরই মধ্যেই জলবায়ু-প্ররোচিত অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার দ্বারা অতিরিক্ত চাপে পড়েছে।

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ উপস্থিতি আমাদের জনগণের জন্য গুরুতর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত প্রভাব ফেলেছে। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির হিসেবে পরিচিত এই আশ্রয় শিবিরের কারণে ৬ হাজার ৮০০ একর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের ফলে কক্সবাজারের জীব বৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনকারীদের রাখাইনে পুনরায় একত্রিত হতে সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে। রাখাইনে মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থার উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আস্থা তৈরির ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলো, বিশেষ করে আসিয়ান সদস্যরা, মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক নিয়ে, নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে পারে। এএইচএ কেন্দ্রের ব্যাপক প্রয়োজন মূল্যায়নের ভিত্তিতে, প্রত্যাবর্তনকারী রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করে ছোট সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।


আরও খবর



ব্রাজিলে পুতিনকে গ্রেপ্তার করা হবে না: লুলা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ব্রাজিলে গ্রেপ্তার করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলমান জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর এই জোটের পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলন ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা শনিবার বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি আগামী বছর রিও ডি জেনিরোতে গ্রুপ অব ২০ সভায় যোগ দেন তবে তাকে ব্রাজিলে গ্রেপ্তার করা হবে না।

দিল্লিতে জি-২০ সভার ফাঁকে নিউজ শো ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লুলা বলেন, পুতিনকে আগামী বছরের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তিনি বলেন, ব্রাজিলে সেই সম্মেলনের আগে রাশিয়ায় ব্রিকস ব্লকের দেশগুলোর একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি।

লুলা বলেন, আমি বিশ্বাস করি পুতিন সহজেই ব্রাজিলে যেতে পারবেন। তার ভাষায়, ‘আমি যদি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট থাকি এবং তিনি (পুতিন) ব্রাজিলে আসেন, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করার অভিযোগে চলতি বছরের মার্চ মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। পুতিনের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, তিনি বেআইনিভাবে ইউক্রেনের শিশুদের রাশিয়াতে সরিয়ে নিয়েছেন।

আদালত বলছে, এই অপরাধ গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকেই ঘটে চলেছে। একই অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও।

মূলত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হাতে বিচারিক ক্ষমতা থাকলেও কোনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা নেই। আইসিসি যা করতে পারে তা হলো, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিভিন্ন দেশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা এবং গ্রেপ্তারের পরে তাকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে বিচারের জন্য হাজির করা।

এছাড়া আইসিসি তার বিচারিক ক্ষমতাও শুধু সেসব দেশে প্রয়োগ করতে পারে, যে দেশগুলো এই আদালত গঠন করতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তিটি রোম সংবিধি নামে পরিচিত। রাশিয়া এই সংবিধিতে স্বাক্ষর করেনি। তাই পুতিন বা মারিয়া এলভোভা-বেলোভাকে আপাতত এই আদালতের হাতে সমর্পণের কোনও সুযোগ নেই।

তবে ব্রাজিল রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশ। কিন্তু লুলার এই মন্তব্যের পর তার কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

রয়টার্স বলছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন বারবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলন ও বৈঠক এড়িয়ে গেছেন। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন উপস্থিত হননি এবং দিল্লিতে চলমান জি-২০ ইভেন্টেও রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট নিজে উপস্থিত না হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে পাঠিয়েছেন।

শনিবার সম্মেলনের প্রথমদিনই সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সবার সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারতের উত্থাপিত ‘নয়াদিল্লি ঘোষণা’। ওই ঘোষণায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও নিন্দা জানানো হয়নি।

তবে কোনও অঞ্চল দখলের জন্য শক্তি ব্যবহার না করতে সকল রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে ওই ঘোষণায়।


আরও খবর



রাজধানীতে অজ্ঞানপার্টি বেপরোয়া গত এক সপ্তাহে পুলিশ সহ ১৫ জন হাসপাতালে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৯৩জন দেখেছেন

Image

শফিক আহমেদ :রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গত  এক সপ্তাহে অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন গত সপ্তাহে ১৫ জন।  এদের  অচেতন অবস্হায় উদ্বার ক

রে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ষ্টমাক  ওয়াশ করার পর ভর্তি করা হয়।পুলিশ জানায়,-লালবাগ চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে নাদিম হোসেন (৪০), ধানমন্ডিতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন মো. শমসের আলী (৩৯), আসাদগেটে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৪) ও সায়দাবাদ মো. মাসুদ (৩৮), খিলগাঁও ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে অজ্ঞাতপরিচয় (২২) ও পল্টন থানার গুলিস্তান আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক।রোববার দুপুর, থেকে ও রাত পর্যন্ত আসাদগেট, ধানমন্ডি, সায়দাবাদ, খিলগাঁও গুলিস্তান ও লালবাগ- আজমপুর পৃথক ছয়টি এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

সোমবার বিকেলে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এসব ঘটনার  বিষয় গুলো নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন জানান, সোমবার দুপুর ২টার দিকে লালবাগ চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে নাদিম হোসেন (৪০) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী। এসময় তিনি নগদ টাকা-পয়সা সর্বস্ব খুইয়েছেন। পরে তাকে পথচারীরা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।তিনি আরও জানান, আমরা খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে  চৌরাস্তা পুলিশ বক্স থেকে তাকে অচেতন অবস্হায় উদ্ধার করি। নাদিমের বন্ধু কাজল জানান, নাদিমের বাসা গাজীপুরের কালীগঞ্জে।

পেশায় সে একজন কাপড় ব্যবসায়ী । ঢাকায় মালামাল কেনার জন্য এসে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে নগদ টাকা-পয়সা সর্বস্ব খুয়েছেন ।জাহাঙ্গীরের ছেলে মো. আরাফাত জানান, তাদের বাসা লালবাগ আমলিগোলায়। তার বাবা উত্তরা একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। শনিবার সকালে উত্তরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। দুপুরে জানতে পারেন তার বাবা আসাদগেট এলাকায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়েছেন। পরে পথচারী তাকে দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।এদিকে, ধানমন্ডি থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) শফিউর রহমান জানান, ধানমন্ডি ১২/এ তাকওয়া মনজিদের পাশ থেকে গতকাল রোববার বিকেলে সাড়ে ৪ টার দিকে মো: শমসের (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়েছেন।এছাড়া মাসুদের সহকর্মী রবিউল ইসলাম জানান, মাসুদের বাসা যাত্রাবাড়ি শনিরআখড়া এলাকায়।

শ্যামপুর ঢাকা ম্যাচ এলাকায় একটি ডায়িং কারখানায় কাজ করেন। শনিবার সকালে কাজে নারায়নগঞ্জ আড়াইহাজার এলাকায় গিয়েছিলেন মাসুদ। সেখান থেকে কর্মস্থল হয়ে ঢাকায় ফেরার পথে বাসের মধ্যে কৌশলে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা তাকে কিছু খাইয়ে টাকা টাকা পয়সা সব কিছু নিয়ে যায়। তিনি জানান, গতকাল রোববার বিকেল ৪ টার দিকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন তিনি। পরে তাকে অচেতন অবস্হায় ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। অপদিকে সোমবার খিলগাঁও থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তুহিন জালান, রোববার দিবাগত মধ্যরাতে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে অজ্ঞাতপরিচয় (২২) নামে এক যুবককে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে রাত দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় ঢামেকের ভর্তি করা হয়।

পরে পাকস্থলি ওয়াশ করে ন মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পল্টন থানা  উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ জানান, গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পল্টন থানার গুলিস্তান আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে থেকে অচেতন অবস্থায় এক যুবককে অচেতন অবস্হায় উদ্বার করে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তিনি জানান, অচেতন যুবকের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। তবে, তার কত টাকা খোয়া গেছে সুস্থ হলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। তবে মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাজধানীতে হঠাৎ করে অজ্ঞান পার্টির উৎপাত বেড়ে গেছে। প্রতিদিন কোন না কোন স্হান থেকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পড়ে পড়ে অসুস্হ হয়ে হাসপাতালে আসছেন। এদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্হ হয়ে  চলে গেছেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর